ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদিদের আঁকা বর্ডার, আরাকানে মুসলিম নির্যাতনঃ আমাদের করণীয়
লিখেছেন: ' abdullah al Mamun' @ শুক্রবার, জুন ১৫, ২০১২ (১২:১০ অপরাহ্ণ)
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদিদের আঁকা বর্ডার, আরাকানে মুসলিম নির্যাতনঃ আমাদের করণীয়
আল্লাহ বলেছেনঃ “তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না অসহায়-দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য ওলী (বন্ধু) নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও”। [সুরা নিসাঃ ৭৫]
এই আয়াত অনুযায়ী, আরাকানের মুসলিমদের উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ করা আমাদের উপর ফরজ।
কিন্তু আমরা কিভাবে তা করবো? আমাদের কাছে অস্ত্র নেই। কারণ আমাদের এসব তথাকথিত রাস্ট্রযন্ত্র শুধু নিজের পোষাবাহিনী ছাড়া সবার কাছে অস্ত্র রাখা নিষিদ্ধ রেখেছে। সেটা সমস্যা হতো না, যদি রাস্ট্র সেই পোষা বাহিনীকে আরাকানের মুসলিমদের উদ্ধারের জন্য পাঠাতো।(!!)
কিন্তু, নির্মম পরিহাসের উদাহরণ হলো, তা না করে এই জালিম শাসকরা আরাকানের মুসলিমদের সাহায্যের করার বদলে তাদের পালিয়ে আসার পথও বন্ধ করে রেখেছে। এখানে যেন জালিম নাসাকা বাহিনীর আরেক সাহায্যকারী বাহিনী হিসেবে কাজ করছে আমাদের গর্বের বিডিআর, কোষ্টগার্ড এবং সেনাবাহিনীর পার্বত্য জেলার ইউনিটগুলি।
এসব নরপশু বাহিনী, যারা দুই টাকার বেতনের জন্য নিজের বুদ্ধি-বিবেক সব কিছু শঁপে দিয়েছে ‘সরকারী আদেশ’ নামক ‘দেবতার’ পায়ে, তাদেরকে বলিঃ যদি কোন গ্রামে তোমাদের মা-বোনদেরকে আটকে রেখে কোন ডাকাত দল বলাৎকার করতে থাকে, আর হাসিনা-দীপু মণিরা তোমাদেরকে বলে, তোমরা এদেরকে এই গ্রামের বাইরে আসতে দিবে না। হে নরপশুর দল, তখনও কি তোমরা সরকারী আদেশ আছে – এই কথা বলে নিজের মা-বোনদের ডাকাত দল থেকে পালিয়ে আসতে দিবে না। বরং পালিয়ে আসলে তাদেরকে ফিরত দিবে।
আল্লাহ তো এসব বর্ডার তৈরী করেন নি। আমাদের বর্ডার তো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদিদের আঁকা। এই বিটিশ-কাফিরদের আঁকা বর্ডারকে কিভাবে আমরা নিজের মা-বোন-বাবা-সন্তানের জীবনের চেয়ে বেশী মূল্যবান মনে করতে পারি ?
আর শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া – এরা তো তাদের বাবার আর স্বামীর মৃত্যুর জন্য পারলে পুরো বাংলাদেশকে শাস্তি দিবে কিন্তু আরাকানে শত শত মুসলিম মারা গেলেও ভারতীয়-কাফির মনমোহন সিং এর ইশারা ছাড়া তারা কোন কথা বলবে না।
এই জঞ্জালগুলিই এদেশের মুসলিমদেরকে তাদের উপর ফরজ দায়িত্ব আদায় করতে দিচ্ছে না।
তাই সবার আগে এসব জঞ্জালের অপসারণ জরুরী।
তারপর আসে আরেকটি কথাঃ কোন ফরজ কাজে কোন বাঁধা থাকলে সেটা দূর করাও ফরজ হয়ে যায়। তাই বাংলাদেশের কোন পেট-পুজারী সরকারী বাহিনী যদি আরাকানের মুসলিমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে বাঁধা দেয়, তবে এসব পেটপূজারী, স্বার্থপর বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আমরা সবাই জানি, কোন অন্যায় কাজ দেখলে প্রথমে হাতের দ্বারা সেটা দূর করা উচিত। সেটা না পারলে মুখে আর শেষ পর্যায় হলোঃ অন্তরে পরিবর্তন করার চেষ্টা করা, সেই কাজকে ঘৃণা করা।
বাংলাদেশে যাদের সামর্থ আছে, যাদের কাছে অস্ত্র আছে, তাদের সবার উচিত জালিম নাসাকা বাহিনীর হাত থেকে আরাকানের মুসলিমদের উদ্ধারের জন্য সেদিকে যাত্রা করা।
পথিমধ্যে কোন পেট-পুজারী, নরপশু দায়িত্বের দুহাই দিয়ে সেই যাত্রায় ব্যাঘাত করলে, সেই নর-পশুদেরকে শায়েস্তা করা।
আর যাদের অস্ত্র নেই, তাদের উচিত অন্ততঃ মুখে এটার প্রতিবাদ জানানো। বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম একটু মারামারি হলে এদেশের পত্রিকাগুলি পাগল হয়ে যায়। এখন দ্বিমুখী চরিত্রের ঐ সব মুনাফিক পত্রিকা কি করছে?
কোথায় আমাদের শান্তি-নিরাপত্তার সবক দেয়া বিদেশী কাফির রাস্ট্রদূত গুলি?
কোথায় জাতিসংঘ কিংবা অন্যান্য মানবতাবাদি সংগঠনগুলো?
কোথায় আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করে যাওয়া মানবতাবাদি এনজিও গুলো?
আসলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সব কাফির একজোট। এটাই মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন। এতাই সত্য, এটা কখনো মিথ্যা হতে পারে না।
তাই আমাদের উচিত এদেশের বার্মার সকল স্থাপণা ঘেরাও করা, বার্মার সকল পণ্য বর্জন করা, বার্মিজদেরকে এদেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া। এটা হলো চোখের বদলে চোখ, প্রাণের বদলে প্রাণের হিসাব।
কোথাও আমাদের আন্দোলনকারী ইসলাম পন্থী ভাই-বোনরা?
কোথায় আমাদের খিলাফাহ কামনাকারী ভাই বোনরা?
কোথায় আমাদের বিভিন্ন মুসলিম সংস্থা, সংগঠনগুলো??
তাই, জণগণকে এজন্য রাস্তায় নেমে আসতে হবে। প্রতিবাদ জানাতে হবে।
আর যাদের সেই কাজেরও সামর্থ নেই, তাদের উচিত ঐ জালিমদেরকে আর ঐ জালিমদের সাহায্যকারী, বর্ডার বন্ধকারী ছাগলদেরকে অন্তর দিতে ঘৃণা করা, এদেরকে পরিবর্তনের জন্য পরিকল্পণা করা, এদের বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করে তোলা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমাদের করণীয় কাজসমূহ করার তৌফিক দিন।
জেহাদের মাঠ আজও আছে,
আজও আছে জাহেল লাহাবরা।
শুধু নেই সেই মাঠে আজ,
হামজা আলীর উত্তরসূরীরা।
@এম এম নুর হোসেন, সহমত।
@এম এম নুর হোসেন, আলহামদুলিল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন।
কোথায় আমাদের ঈমান? কোথায় মুসলমানি???
@জাহিদ,
জিহাদের ময়দান হচ্ছে ঈমান গড়ার স্থান।