লগইন রেজিস্ট্রেশন

এক তাবলীগি ভাই এর আত্মপোলব্ধি – ৫ (শেষ পর্ব)

লিখেছেন: ' abdullah al Mamun' @ রবিবার, নভেম্বর ৭, ২০১০ (১০:১১ অপরাহ্ণ)

উপসংহার

ইসলামে সঠিক তরীকা শুধু একটি।

রাসুল (সা:) বলেছেন, : “ইহুদীরা ৭১টি দলে ভাগ হয়েছিল, তার মধ্যে ১ দল জান্নাতে, বাকী ৭০ দল জাহান্নামে যাবে। খৃষ্টানরা ৭২টি দলে ভাগ হয়েছিল, যার ৭১ দল জাহান্নামে, ১ দল জান্নাতে যাবে যাবে। সেই সত্তার শপথ যার হাতে মোহাম্মদের প্রাণ, আমার উম্মত ৭৩ দলে ভাগ হবে। যার ১ দল জান্নাতে, বাকী ৭২ দল জাহান্নামে যাবে।” তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তারা কা’রা ? তিনি জবাবে বললেন, ‘আল জা’মায়াত’ – সুনান ইবনে মাজাহ্‌।

আল জা’মায়াত হচ্ছে রাসুল (সাঃ) ও সাহাবীদের জা’মায়াত এবং যারা তাদেরকে অনুসরণ করেন। সুতরাং দেখা যায়, যারা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পথ অনুযায়ী আমল করে, তারাই নাযাতপ্রাপ্ত দল বলে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, বাকী যারা রাসুল (সাঃ) ও সাহাবীদের তরীকার উপর চলবে না তারা ৭২ ফিরকার অন্তর্ভূক্ত।

তিনি আরো বলেন, “আমার উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে আমার প্রজন্ম। তারপরে উত্তম হচ্ছে যারা তাদের পরে আসবে। তারপর উত্তম হচ্ছে যারা তাদেরও পরে আসবে।” – বুখারী।

বিভিন্ন পর্বে আলোচিত পয়েন্ট থেকে বুঝতে পারলাম যে, আমাদের তাবলীগি তরীকা কোন নবী ওয়ালা তরীকা নয়, বরং তা বিভিন্ন ব্যাপারে কোরআন – হাদীস এর পরিপন্থী তাই আমাদের সবার উচিত সঠিক নবী ওয়ালা তরীকায় চলা এবং মানুষকে শুধু মাত্র সেই পথে দাওয়াত দেয়া। অন্য কোন মন গড়া, স্বপ্নে পাওয়া পথে নয়।

আর সঠিক পথ যে শুধুমাত্র একটি সেটা উপরের আয়াতগুলি থেকে পরিস্কার। আমাদের উচিত সেই একটি সঠিক পথ খুজে বের করে সে পথে চলা।

যখন কেউ আল-কোরআন ও হাদীসকে মান্য না করবে।

আল্লাহ বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং আনুগত্য করো রাসুলের এবং তোমাদের দায়িত্বশীলদের। আর কোন ব্যাপারে মতবিরোধ হলে তা আল্লাহ ও রাসুলের দিকে ফিরিয়ে দাও। যদি তোমরা আল্লাহ ও বিচার দিবসে বিশ্বাসী হয়ে থাকো।” – সূরা আন্ নিসাঃ ৫৯।

“এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আসো, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার দিকে এবং রাসুলের দিকে, আপনি দেখবেন মুনাফিকরা আপনার দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ” – সূরা আন্ নিসাঃ ৬১।

“কোন ঈমানদার পুরুষ ও নারী এটা করবেনা যে, যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেন, সে ব্যাপারে অন্য সিদ্ধান্ত নেয়া …” – সূরা আল আহ্‌যাবঃ ৩৬।

তাই আমরা কোন ধরনের অযুহাতে কোরআনের কোন আয়াত বা রাসুল (সাঃ) এর সহীহ হাদিস জানার পর তার বিরোধিতা করতে পারি না। কোরআন-হাদিসের অনুসরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়া হলো মুনাফিকদের নীতি। তাই আমাদেরকে জেনে / না জেনে কোরআন-হাদিসের বিরোধিতা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়াও আল্লাহ বলেছেন, “যখন ঈমানদারদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দিকে ডাকা হয়, তখন তাদের জবাব শুধু এটাই হয় যে, ‘আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম’। তারাই হলো কল্যাণপ্রাপ্ত। ” – সূরা আন্ নুরঃ ৫১।

“অতএব, না, আপনার রবের কসম, তারা কক্ষনো ঈমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত তাদের পারস্পরিক মতবিরোধের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক হিসাবে মেনে না নিবে। এবং আপনার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাদের
মনে কোন বিরোধিতা রাখবে না এবং আপনার সিদ্ধান্তে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করবে। ” -সূরা আন্ নিসাঃ ৬৫।

দেখা যাচ্ছে মতবিরোধের ব্যাপারে রাসুল (সা:)কে বিচারক হিসাবে মেনে না নিলে ঈমানদার থাকা যাবে না। এটা জানার পরও কিভাবে আমি মানুষকে তাবলীগে যাওয়ার কিংবা নতুনভাবে তাবলীগে শরীক হওয়ার জন্য দাওয়াত দিতে পারি। সেটা শুধুমাত্র আমার ধংশের কারণ হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন।

রসুল (সা:) বলেছেন, “আমি তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যদি তোমরা এ দুটোর অনুসরণ করো তবে পথভ্রস্ট হবে না, (তা হলো) আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসুলের সুন্নাহ।“ – মুয়াত্তা ইবনে মালিক; আল হাকিম; আল বায়হাকী।

“আমার সমস্ত উম্মতই জান্নাতে যাবে, শুধু যারা অস্বীকার করবে তারা ব্যতীত। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, কে অস্বীকার করবে ? তিনি বললেন, যে আমার আনুগত্য করেছে সে জান্নাতে যাবে, যে আমার আনুগত্য করলো না, সে অস্বীকার করলো।” - বুখারী।

তাই কোন ভাবে আল্লাহর রাসুল (সা:) এর বিরোধিতা করে সেটা ইবাদতেই হোক, দাওয়াতেই হোক, প্রাত্যহিক জীবনে হোক কিংবা মতাদর্শের ব্যাপারে হোক আমরা নিজেকে জাহান্নামী করতে পারি না। এছাড়াও যেহেতু তিনি কিতাব ও সুন্নাহ অনুসরণ করলে পথভ্রস্ট না হওয়ার গ্যারান্টী দিয়েছেন, কেন আমি নিজেকে মন গড়া পথে, স্বপ্নে পাওয়া পথে পরিচালিত করে নিজের অজান্তেই পথভ্রস্ট হ্ওয়ার সম্ভাবনা খুলে দিবো।

যে কোন মুসলিম ও তাবলীগি ভাইদের ব্যাপারে আমার মনোভাব।

আল্লাহ বলেন, “এবং তাদের পরে যারা আবির্ভুত হলো, তারা বললো, হে আমাদের রব, আমাদেরকে মাফ করো এবং আমাদের পূর্ববর্তী ঈমানদারগণকেও এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মনে কোন প্রকার ঘৃণা সৃষ্টি করো না। হে আমাদের রব, নিশ্চই তুমি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।” – সূরা হাশর, আয়াত: ১০।

আমি ঐ সকল তাবলীগি ভাইদের ব্যাপারে উপরের আয়াত অনুযায়ী মনোভাব পোষণ করি যারা অন্য কোন শিরক, কুফর কিংবা ইসলাম বিনস্টকারী কাজে নিয়োজিত নয়। যেহেতু তাদের অধিকাংশই সত্য-সঠিক পথ চিনেন না কিন্তু ইখলাস রাখেন, তাদের জন্য আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাদেরকে এবং আমাকে এবং সকল মুসলিমদেরকে সঠিক ইসলামের পথে, সত্যিকার ভাবে তার রাসুলের তরিকায় চলার তওফীক দান করেন।

এরপরও যারা সত্য গ্রহণ করবেন না তাদেরকে আমি বলবো, আমরা সবাইতো পরিশেষে আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো। সেখানে তিনি বান্দাদের সকল মতবিরোধের ব্যাপারে ফয়সালা করে দিবেন। আমাদেরকে সেদিন পর্যন্ত Wait করতে হবে। তখন কোন আফসুস কাজে আসবে না। কেউ পুনরায় সহীহ তরীকায় দাওয়াত দেয়া কিংবা আমল করার জন্য ফিরত আসতে পারবে না। আর কেউ কেউ বলবে,

“.. সেদিন তারা বলবে, হায়! যদি আমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুগত্য করে আসতাম। তারা (সেদিন আরো) বলবে, হে আমাদের মালিক (দুনিয়ার জীবনে) আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথাই মেনে চলেছি, তারাই আমাদেরকে তোমার পথ থেকে গুমরাহ করেছে।” – সূরা আহযাব, আয়াত: ৬৬ – ৬৭।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৭৭৮ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৩.০০)

১৫ টি মন্তব্য

  1. আলহামদোলিল্লাহ। শুকরিয়া, আপনার সঠিক আত্মপোলব্ধির কথা প্রকাশ করার জন্য ।মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলের
    পথে পরিচালিত করুন-আমিন।
    আমরা যত দলে ভাগ হব শয়তান তত পরিতৃপ্ত ও খুশী হবে। আজ কাদিয়ানীদেরকে শয়তানেরাই পৃস্টপোষকতা করছে।মুসলিম উম্মার মধ্যে ভাঙ্গন
    সৃস্টি করার ভাল উপায় পেয়েছে।
    আমি অন্ততঃ দুইজন ভাল তাবলীগ করেন -তাদের সংগে কথা হয়েছে যারা আলকুরআন পড়ার চেয়ে ফাজায়েল আমল পড়ার উপর জোর দেন।
    মসজিদের রেহেলে আলকুরআন এর জায়গায় ‘ফাজায়েল আমল’ শোভা পায়।আলকুরআন পড়ে থাকে তাকের উপর ধূলিবালি ময়লা জায়গায়।
    তাদের একজন বললেন আলকুরআন তো পড়বেন যখন ধর্মের উপর লেভেলে যাবেন তখন। মনে পড়ে, ডাঃ জাকির নায়েকের সংগে শ্রী রবিশংকর এর
    কথাপোকথন।এক পর্যায়ে শ্রী রবিশংকর বলেলন যারা ধর্মের উপর লেভেলে তারা মূর্তি পূজা করেন না, যারা নীচের স্থরে আছেন তারা
    মূর্তি পূজা করেন।এবং লক্ষনীয় অধিকাংশ হিন্দুরাও বেদ পড়েন না।
    তারা বিশ্বএস্তমার নামে প্রতি বছর একই সময়ে একই জায়গায় জমায়েত হন-অনেকে বলে এটা গরীবের হজ – নাউজুবিল্লাহ। এটা পবিত্র হজের সমকক্ষ কাজ
    – মারাত্বক বেদাত ।
    শয়তান এভাবেই মুমিনদেরকে ৭৩ দলে বিভক্ত করবে- কিন্তু আমরা বুঝিয়াও বুঝবো না। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে চিরশক্তু শয়তানের প্ররোচনা
    থেকে রক্ষা করুন -আমীন।

    বেদুইন

    @Mujibur Rahman,
    আমি অন্ততঃ দুইজন ভাল তাবলীগ করেন -তাদের সংগে কথা হয়েছে যারা আলকুরআন পড়ার চেয়ে ফাজায়েল আমল পড়ার উপর জোর দেন।
    মসজিদের রেহেলে আলকুরআন এর জায়গায় ‘ফাজায়েল আমল’ শোভা পায়।আলকুরআন পড়ে থাকে তাকের উপর ধূলিবালি ময়লা জায়গায়।
    তাদের একজন বললেন আলকুরআন তো পড়বেন যখন ধর্মের উপর লেভেলে যাবেন তখন।

    তারা বিশ্বএস্তমার নামে প্রতি বছর একই সময়ে একই জায়গায় জমায়েত হন-অনেকে বলে এটা গরীবের হজ – নাউজুবিল্লাহ। এটা পবিত্র হজের সমকক্ষ কাজ
    – মারাত্বক বেদাত ।

    Wrong statement. Completely base on individual belief not as a whole.

    আল মুরতাহিল

    @Mujibur Rahman, আপনার কথাটা বাল্যসুলভ মনে হচ্ছে। ফাজায়েলে আমালটা কি ? কোরানের ফাজায়েল এর একটি অংশ নয় কি? নামাজের ফজিলত, রোজার ফজিলত হজ্বের ফজিলত সাহাবাদের জীবনী ইত্যাদির সংকলনই তো ফাজায়েলে আমাল নাকি অন্য কিছু? আর তাবলীগিরা এগুলো পড়তে কেন বলেন? নামাজ না পড়ার জন্য? কোরান না পড়ার জন্য? হজ্ব-রোজা না করার জন্য? নাকি এগুলোতে উৎসাহিত করার জন্য?
    “ফাজায়েলের তালীমের দ্বারা দিলে দ্বীনি আমলের শওক ( আগ্রহ )পয়দা করা” তো আগ্রহ সৃষ্টি করে আমল ছেড়ে দেয়ার জন্য না তাকে মজবুত ভাবে আকড়ে ধরার জন্য?
    আমি ব্যক্তিগতভাবে তাবলীগের মেহনত যতদিন করেছি নামাজে কালামে আমার নিয়মনুবর্তিতা থাকতো, আবার যখন গা ঢাকা দেই তখন নামাজেও সুসতি বা গাফলতি পয়দা হয়। এখন আপনি কোন তাবলীগির কোন কথা দিয়ে সামগ্রিক ও মূল বিষয় থেকে আলাদা কিছু হাসিল করছেন তা আপিনই জানেন । আল্লাহ সকলকে হেদায়াত দিন এই কামনা রইলো।

    Mujibur Rahman

    @আল মুরতাহিল, ফাজায়েলে আমালটা কি ? এটা জানার আমার কোন আগ্রহ নাই। তবে তাবলীগিদেরকে (যারা আলকুরআনের তফসির করতে পছন্দ করেন না,সহীহ বোখারী ,মুসলিম শরীফ পড়ে শুনান না)মসজিদে হাতে নিয়ে গোল হয়ে বসে পড়তে দেখি। দু এক দিন কৌতল বশতঃ শুনেছি। এটাকে বিশেষ বিশেষ হাদিসের নোট বই বলে মনে করি।
    আমি,আলকুরআন ও সহীহ বোখারী ,মুসলিম শরীফ আমার জন্য যথেষ্ঠ বলে মনে করি।যারা শয়তানের ইচ্ছায় চলতে চায় তারাই সরাসরি আলকুরআন ও সহীহ হাদিস এর পরিবর্তে সপ্নে বা অন্য ভাবে পাওয়া নুতন নুতন সংকলন বের করে আওড়াবে। নুতন নুতন দল গঠন করবে।। কিনতু শয়তানের আচরের কথা ,আল্লাহ না চাইলে, বুঝতে পারবে না।শয়তানেরাই তাদের পৃষটপোষক। যেমন কাদিয়ানীরা, -ইহুদিরা যাদের পৃষটপোষক। হয়তো সেজন্যই ননমুসলিম দেশ গুলিতে ভিসা পেতে তাবলীগিদের কষ্ট করতে হয় না।অথচ ডাঃ জাকির নায়েক বৃটনে ঢুকার ভিসা পেলেন না-যেখানে আপনারা সহজে প্রবেশ করতে পারেন। ননমুসলিম কখনও মুসলিমদের বন্ধু হতে পারে না(আলকুরআন)।যারা ইসলামের নামে নুতন দল গঠন করবে- ৭৩ দল গঠনে প্রয়াস পাবে শয়তানই তাদের বন্ধু হবে।মুসলমানেরা যত দলে বিভক্ত হবে ননমুসলিমরা ততই শক্তিশালী হবে। এজন্য ভাবি ননমুসলিম দেশগুলো আপনাদের কেন পছন্দ করে- হয়তো যে কারণে কাদিয়ানীরা ওদের পছ্ন্দের। মহান আল্লাহ আমাদেরকে আলকুরআন ও সহীহ হাদিসের মাধ্যমে সঠিক পথে থাকার ও মুসলিম উম্মার একাত্ত্বতা বজায় রাখার তওফিক দিন- আমীন।

    বেদুইন

    @Mujibur Rahman, ভাই, আপনে এতো রেগে গেলেন কেনো? নেগেটিভ কিছু থাকলে ভাল ভাবে সেয়ার করুন। সরাসরি কোন মুসলমানকে বা কোন দলকে শয়তান বলা ঠিক না। এতে বিভক্তি আরো বাড়বে। মনে রাখবেন, আপনি যদি সত্যিই সত্য পথের আনুসারি হন তাহলে আপনার রেসপ্নসিবিলিটি বেশি। কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে আপনাকে সবকিছুরই জবাব দিতে হইবে। (F)

    Mujibur Rahman

    @বেদুইন, আমার কথার কোন ভূলে কেউ দুঃখ পেলে আমি ক্ষমা প্রার্থী। তবে আমার কথায় আপনি ভূল বুঝেছেন। আমি কোন মুসলমান দলকে শয়তান বলিনি- আর বলার এখতিয়ার রাখি না ।যারা আমাদের এই দলাদলিকে প্রশ্রয় দেয় বা উৎসাহিত তাদেরকে শয়তান বলেছি। তবে সরাসরি আলকুরআন ও সহীহ হাদিস এর পরিবর্তে অন্য যে কোনো ভাবে ইসলামকে উপস্থাপন কারী কে কেউ বরদাস্ত করলে আল্লাহতালা তা ক্ষমা করবেন না। মুসলমান নামধারীদের ইতিমধ্যে অনেক দল হয়ে গেছে। আমরা আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করে অনেকেই মহাজ্ঞানী হয়ে বসেছি। ফলে আলকুরআন ও সহীহ হাদিস এর বিভিন্ন রকম ব্যাখ্যা করে নিজেরাই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছি। যার জন্য মুসলমানদের মধ্যে দিন দিন সৃষ্টি হচ্ছে নানান দল। ননমুসলিমরা আমাদের দেখে মজা করছে। যারা নুতন দল তৈরী করে তাদেরকে ওরা বেশী করে উৎসাহিত করছে। আপনি হয়তো ডাঃ জাকির নায়েক ও শ্রী রবিশংকরের যুগ্ন বক্তব্য শুনে থাকবেন। সেখানে এক পর্যায়ে শ্রী রবিশংকর যখন বললেন, যে আপনাদের মুসলমানদের তো অনেক দল, শিয়া, সুন্নি, বাহাই, কাদিয়ানী আরও কত কি-তখন অবশ্যই এটা আমাদের ভাল লাগার কথা না। এই দলাদলিকে নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তালা পছন্দ করেন না।
    আপনারা যারা তবলীগ করেন- তারা, আমার বিশ্বাস মানুষকে সত্যের কথা-দ্বীনের কথাই বলেন। কিন্তু আপনি বা আমাদের নিজের মঙ্গল করার বা এমনকি ক্ষতি করার কোন ক্ষমতা মহান আল্লাহ তালা দেন নি(আলকুরআন)। কাজেই অন্যের উপকার করার তো প্রশ্নেই আসে না। আমরা দ্বীনের জন্য যাই করি- তা মহান আল্লাহ তালার ইচ্ছায় করি- এবং তারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করব, সেখানে কোন দলের নামে বা ইমামের তরফ থেকে তা প্রচার করলে আমাদের দলের সংখ্যাই বাড়বে। তাতে বিধর্মীরা খুশী হবে- শয়তান বাহবা দিবে। মানুষকে যা বলব তা হাতে সরাসরি আলকুরআন নিয়ে বলব বা মুল সহীয় হাদীস থেকে বক্তব্য দিব।
    আমি ধর্মজ্ঞানে নিতান্তই মূর্খ। সুযোগ পেলে এই ওয়েব সাইট থেকে কিছু জানার চেষ্টা করি। আপনি সম্ভবত এই ওয়েব সাইট সমপর্কে ধারনা রখেন। আশা করি এখান থেকে আমাদের অনেক অনেক জানার আছে। আমরা সবাই আহলে সুন্নাহ ‘আল জা’মায়াত’ হয়ে থাকতে চাই- মহান আল্লাহ তালা যেন সেই তওফিক দেন।-আমিন

    বেদুইন

    @Mujibur Rahman,

    উপকরন বনাম ইবাদত : বিভিন্ন ভূলভ্রান্তি

    প্রাচীন যুগ থেকেই মুসলিম উম্মাহর মধ্যে দাওয়াত বা দীন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি, দল ও মতের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কল্যাণকর ও প্রয়োজনীয়। প্রত্যেকেই কোরআন ও হাদিস থেকে নিজেদের কর্মের অনুপ্রেরণা গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি যুগ ও পরিবেশের চাহিদা মুতাবেক কিছু নতুন পদ্ধতি সংযোজন করেছেন। সাধারণভাবে এ সকল পদ্ধতি ইবাদত হিসেবে চালু করা হয়নি। ইবাদত পালনের সহায়ক উপকরণ হিসাবেই এগুলিকে চালু করা হয়েছে। কিন্তু কালের আবর্তনের সাথে সাথে এ সকল পদ্ধতির অনুসারীরা এসকল পদ্ধতিকে ইবাদতের অংশ বলে মনে করে বিভ্রান্তি ও দলাদলির মধ্যে নিপতিত হয়েছেন।
    এ সকল নব উদ্ভাবিত দল বা পদ্ধতির ক্ষেত্রে দুইটি বিষয় লক্ষণীয়:
    প্রথমত, মাসনূন উপকরণগুলি প্রয়োজন অনুসারে খেলাফে সুন্নতভাবে সীমিত করা বা নির্ধারিত করা। যেমন কোরআন. হাদিস, ওয়াজ ইত্যাদির মাধ্যমে দাওয়াত প্রদানের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো সিলেবাস-পাঠ্যক্রম, সময়, স্থান বা পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেননি। এ সকল উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে প্রয়োজন অনুসারে তা নির্ধারিত করা হয়েছে। নির্ধারিত গ্রন্থাবলী পড়ার বা নির্ধারিত দিন, মাস বা বছর ধরে বা নির্ধারিত সময়ে বা স্থানে দাওয়াতি কর্ম করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
    দ্বিতীয়ত, এগুলির মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে খলাফে সুন্নত বা সুন্নত বহির্ভূত নতুন কিছু উপকরণ বা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
    অনেক সময় এ প্রকারের সংযোজন বা নির্ধারণের জন্য কোরআন হাদিস থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়। যেমন আল্লাহ রমজানে একমাস রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, কাজেই আমরা আমাদের দাওয়াতের কোর্স একমাস নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে বিশেষ বরকত পাওয়া যাবে। অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ দিন ইতিকাফ করতেন, এজন্য আমরা আমাদের ওয়াজ মাহফিল দশদিন ব্যাপি করেছি। অথবা তিনি হিজরত করে চিরস্থায়ীভাবে মক্কা শরিফ ত্যাগ করে মদিনায় গমন করেছিলেন, এজন্য আমরা দাওয়াত, ওয়াজ বা দীন প্রতিষ্ঠার জন্য এক দেশের মানুষকে হিজরত করে অন্য দেশে স্থায়ী বসবাসের ব্যাবস্থা করি। অথবা তিনি হজ্জের সময় ইহরামের কাপড় পরিধান করতেন, এজন্য আমরা দায়ীদেরকে দাওয়াতের সময় ইহরামের কাপড় পরিধান করার ব্যবস্থা করেছি।
    এ প্রকারের অনুপ্রেরণার ভাল দিক থাকলেও অনেক সময় বিদআত ও সুন্নত বিরোধিতার জন্ম দেয়। যেমন, নামাজ আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন বা উৎসাহ দিয়েছেন। কিন্তু কোরআন তিলাওয়াতের জন্য তিনি এরূপ কোনো নির্দেশ বা উৎসাহ দেননি। তিলাওয়াতের ইবাদত তিনি উন্মুক্তভাবে পালন করেছেন। বসে বা দাঁড়িয়ে যে কোনো অবস্থায় তিলাওয়াত করলে সমান সাওয়াব পাওয়া যাবে। এখন যদি কেউ মনে করেন যে, নামাজের জন্য দাঁড়ানো ফরজ বা উত্তম অতএব তিলাওয়াতও দাঁড়িয়ে করা উত্তম বা দাঁড়িয়ে তিলাওয়াত করলে অতিরিক্ত সাওয়াব বা বরকত পাওয়া যাবে, তবে তিনি খেলাফে সুন্নত একটি কর্মকে ইবাদতের অংশ মনে করে বিদআত ও সুন্নাত বিরোধিতায় লিপ্ত হলেন।
    আমি এহইয়াউস সুনান গ্রন্থে সুন্নত থেকে বিদআতে উত্তরণের বিভিন্ন কারণ ও পদ্ধতির আলোচনা করেছি। গ্রন্থটির পঞ্চম অধ্যায়ের পঞ্চম পদ্ধতির আলোচনায় উপকরণকে ইবাদত মনে করার বিভিন্ন প্রবণতা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি পাঠককে আবারো সবিনয় অনুরোধ করছি বইটি পড়তে। এখানে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের প্রতি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্তমান সময়ে অনেক নেককার মুমিন দাওয়াতের কাজে রত রয়েছেন। সকলেরই উদ্দেশ্য আল্লাহর পথে দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজের সর্বত্র ইসলামকে প্রতিপালিত ও প্রতিষ্ঠিত করা। এ সকল কাজের মধ্যে পার্থক্য:
    প্রথমত, নাম ও পরিভাষা ব্যবহারে। তাজকিয়া, আন্দোলন, ইকামতে দীন, তাবলীগ, জিহাদ, মাদ্রাসা, ওয়াজ ইত্যাদি বিভিন্ন নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
    দ্বিতীয়ত, দাওয়াতের বিষয়বস্তু নির্ধারণে। ঈমান-আকিদা , শিক্ষা, আত্মশুদ্ধি, ব্যক্তিগত কর্ম, সমাজ সেবা, রাজনৈতিক পরিবর্তন ইত্যাদি একেক দল একেক বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
    তৃতীয়ত, পদ্ধতিতে। বিভিন্ন দল বিভিন্ন পদ্ধতিতে কাজ করছেন। পদ্ধতিগুলি কোনোটিই হুবহু মাসনূন পদ্ধতি নয়।
    এ সকল পদ্ধতিতে দাওয়াত ও দীন প্রতিষ্ঠায় রত অনেকেই এ সকল খেলাফে সুন্নাত বা সুন্নাত বহির্ভূত পদ্ধতি ও উপকরণকে মূল ইবাদত দাওয়াত এর অংশ মনে করছেন এবং বিভিন্ন বিভ্রান্তির মধ্যে নিপতিত হচ্ছন।
    প্রথমত, একে অন্যের দাওয়াতের ইবাদত পালিত হচ্ছে না বলে মনে করছেন। কেউ হয়ত ওয়াজ, গ্রন্থ রচনা, মাদ্রাসা ইত্যাদি মাধ্যমে দাওয়াতের দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু অন্য পদ্ধতির দায়ী ভাবছেন, যেহেতু তিনি আমার পদ্ধতিতে কাজ করছেন না, সেহেতু তার দাওয়াতের ইবাদত পালিত হচ্ছে না।
    দ্বিতীয়ত, অনেক সময় একে অন্যের কোনো ইবাদতই হচ্ছে না বলে মনে করছেন। যেহেতু ঐ ব্যক্তির দাওয়াত বা দীন প্রতিষ্ঠা নামক ইবাদত পালিত হচ্ছে না, সেহেতু তার অন্য কোনো ফরজ, সুন্নাত ও নফল ইবাদত কবুল হচ্ছে না। কাজেই আমার পদ্ধতির বাইরে যারা রয়েছেন তাদের নামাজ, রোজা, হ্জ্জ, জিকির, তিলাওয়াত, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি সবই মূল্যহীন বা অপূর্ণ।
    এ সকল বিভ্রান্তির অন্যতম কারণ হলো নব উদ্ভাবিত খেলাফে সুন্নত উপকরণ বা পদ্ধতিকে মূল ইবাদতের অংশ মনে করা। আমাদের উচিত পদ্ধতির চেয়ে মূল ইবাদতের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখা, নিজের ইবাদত কবুল হচ্ছে কিনা সেদিকে বেশি লক্ষ্য রাখা এবং সকল মুসলিম ও সকল দায়ীকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসা।
    সবচেয়ে দু:খজনক হলো এ সকল কারণে দলদলির জন্ম নেওয়া। কোরআন ও হাদিসে উম্মাহর মধ্যে ইফতিরাক বা দলাদলি কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কোরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামি আকিদা গ্রন্থে আমি এ বিষয়ক আয়াত ও হাদিস বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ইসলামে মতভেদ থাকতে পারে কিন্তু দলভেদ থাকতে পারে না। বস্তুত আমাদের একটিই দল আছে, তার নাম ইসলাম । সকল মুসলিম আল্লাহর দল এবং সকল কাফির শয়তানের দল। শয়তানের দলকে মুমিন অন্য দল বলে মনে করেন। কোনো মুসলিমকে অন্য মুসলিম অন্য দল বলে মনে করতে পারেন না। পদ্ধতিগত বা মতামতগত পার্থক্যের কারণে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে দলাদলি ও বিভক্তি নি:সন্দেহে অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয়।
    শেষ কথা
    সম্মানিত পাঠক, দাওয়াতের পূর্ণতা, কবুলিয়্যাত ও সফলতার জন্য দায়ী-মুবাল্লিগদের পারস্পরিক সম্প্রীতি, মহব্বত ও ঐক্য প্রয়োজন। মহান আল্লাহ আমাদেরকে দীন প্রতিষ্ঠা করতে এবং দলাদলি-মতভেদ না করতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু আমরা দলদলি মতভেদে লিপ্ত রয়েছি। আমরা সকলেই ঐক্যের কথা বলছি। কিন্তু ঐক্য হচ্ছে না কেন?
    অনেক কারণ থাকতে পারে। একটি কারণ হলো, আমরা প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্বের চেয়ে অন্যের দায়িত্বের কথা বেশি চিন্তা করছি। প্রত্যেকেই মনে করছি, এ বিভক্তি বা বিচ্ছিন্নতার জন্য আমি বা আমার দল দায়ী নয়, বরং অমুক বা তমুক দায়ী। তবে প্রকৃত কথা হলো আমরা সকলেই কমবেশি অপরাধী। আমাদের প্রয়োজন, নিজের দায়িত্বের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখা। অন্যেরা আমার বিরুদ্ধে যাই করুক, আমি সকল দায়ীকে ভালবাসব, সবাইকে আমার আন্দোলনের কর্মী ও আমার কাফেলার সাথী বলে মনে করব। সম্ভব হলে তাদের ভুলত্রুটি ভালবেসে সংশোধনের চেষ্টা করব। নইলে আল্লাহর কাছে তাদের সংশোধনের দোয়া করব। নিজের দায়িত্ব পালনে আমি সচেষ্ট থাকব।
    ঐক্য বলতে সকল দায়ী একই মাদ্রাসায় পড়াবেন বা একই পদ্ধতিতে দাওয়াত দিবেন বলে আমরা আশা করতে পারি না। একই শহরে কোরআন শিক্ষার বিভিন্ন কারিকুলাম ও পদ্ধতির অনেকগুলি মাদ্রাসা থকতে পারে। সবারই উদ্দেশ্য কোরআন শিক্ষা। তবে পদ্ধতির ত্রুটি ও শিক্ষকদের আমলের ত্রুটি থাকতে পারে। তা সত্বেও সকলের মধ্যে মহব্বত ও একই কাফেলার সহযাত্রী-র অনুভূতি থাকা প্রয়োজন। সম্ভব হলে পরস্পরে ভুলত্রুটি ভালবেসে সংশোধন করার চেষ্টা করতে হবে। না হলে কোরআনের খাদেম হিসাবে ত্রুটিসহই ভালবাসতে হবে। না হলে প্রত্যেকে নিজের মত কাজ করতে হবে। কিন্তু যদি সকল মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকগণ সর্বদা পরস্পরের পদ্ধতি ও কর্মের দোষত্রুটির সন্ধান, আবিস্কার ও প্রচারে ব্যস্ত থাকেন তাহলে কি কোরআনের খিদমত ভালভাবে হবে?
    মহান আল্লাহ দয়া করে দাওয়াতের ময়দানে কর্মরত সকলের ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন, তাঁদের প্রচেষ্টা কবুল করুন এবং সর্বোত্তম পুরুস্কার প্রদান করুন। দাওয়াত বিষয়ক এই ক্ষুদ্র আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। এর মধ্যে যদি কোনো কল্যাণকর কিছু থাকে তবে তা আমার করুণাময় প্রতিপালক আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর একান্ত দয়া। আর এর মধ্যে ভুলভ্রান্তি যা আছে তা সবই আমার নিজের দুর্বলতা ও শয়তানের প্রবঞ্চনার কারণে। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সকল প্রসংশাই তাঁর। সালাত ও সালাম তাঁর প্রিয়তম হাবিব ও খলিল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিজন, সহচর ও অনুসারীগণের উপর।

    লেখাটি নিম্মক্ত বই হইতে লওয়া:
    “সুন্নাতের আলোকে মুমিনের জীবন-১”
    -আল্লাহর পথে দা‌ওয়াত-
    ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
    পি-এইচ. ডি. (রিয়াদ). এম. এ. (রিয়াদ). এম. এম. (ঢাকা)
    সহযোগী অধ্যাপক, আল-হাদিস বিভাগ, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (F)

    Mujibur Rahman

    @বেদুইন,
    “এগুলির মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে খলাফে সুন্নত বা সুন্নত বহির্ভূত নতুন কিছু উপকরণ বা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
    অনেক সময় এ প্রকারের সংযোজন বা নির্ধারণের জন্য কোরআন হাদিস থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়। যেমন আল্লাহ রমজানে একমাস রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, কাজেই আমরা আমাদের দাওয়াতের কোর্স একমাস নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে বিশেষ বরকত পাওয়া যাবে। অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ দিন ইতিকাফ করতেন, এজন্য আমরা আমাদের ওয়াজ মাহফিল দশদিন ব্যাপি করেছি। অথবা তিনি হিজরত করে চিরস্থায়ীভাবে মক্কা শরিফ ত্যাগ করে মদিনায় গমন করেছিলেন, এজন্য আমরা দাওয়াত, ওয়াজ বা দীন প্রতিষ্ঠার জন্য এক দেশের মানুষকে হিজরত করে অন্য দেশে স্থায়ী বসবাসের ব্যাবস্থা করি। অথবা তিনি হজ্জের সময় ইহরামের কাপড় পরিধান করতেন, এজন্য আমরা দায়ীদেরকে দাওয়াতের সময় ইহরামের কাপড় পরিধান করার ব্যবস্থা করেছি।”
    বেদাত আল্লাহ তালা কখনও ক্ষমা করবেন। আমার মতে উপরের লাইন কয়েকটিতে বেদাত লক্ষনীয়। আপনারা স্বীকার নাও করতে পারেন। বেদাত সমপর্কে বিশেষ আলোচনা নীচের লিংকে ক্লিক করুন http://www.islamhouse.com/p/324730

    Mujibur Rahman

    @Mujibur Rahman, বেদাত আল্লাহ তালা কখনও ক্ষমা করবেন না’ হবে

    বেদুইন

    @Mujibur Rahman,

    দ্বীন প্রচারের সহজ পন্থা
    আরবী হবে———
    ‘আর হে নবী! আমি তোমাকে সহজ পন্থার সুবিধে দিচ্ছি। কাজেই তুমি উপদেশ দিয়ে যাও। যদি উপদেশ ফলপ্রসু হয়’।
    অর্থাৎ হে নবী! দ্বীন প্রচারের ব্যাপারে আমি তোমাকে কোনো অসুবিধেয় ফেলতে চাইনে। বধিরদেরকে শুনানো আর অন্ধদেরকে পথ দেখানোর দায়িত্ব তোমার নয়। তোমাকে একটা সহজ পন্থা দিয়ে দিচ্ছি। তা হচ্ছে, তুমি উপদেশ দান করতে থাকো যতক্ষণ তুমি অনুভব করতে থাকবে যে, কেউ না কেউ এর দ্বারা উপকৃত হতে প্রস্তুত নয়। বাকী থাকলো এ কথা যে, এর দ্বারা উপকৃত হতে কে প্রস্তুত আর কে প্রস্তুত নয়? বস্তুত সাধারণ দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমেই এ প্রশ্নের জবাব প্রকাশিত হয়ে যাবে। তাই সাধারণ তাবলীগ ও প্রচার কাজ অবশ্যই জারি রাখতে হবে। কিন্তু এর উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে ঐ সমস্ত লোকদেরকে খুঁজে বের করা যারা এ নসীহতের দ্বারা উপকৃত হয়ে সঠিক পথ অবলম্বন করবে। বস্তুত এ সমস্ত লোকেরাই তোমার আন্তরিক লক্ষ্যস্থল হবার অধিকারী, আর শুধুমাত্র এ লোকদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রতিই তোমার দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। এদের ছেড়ে ঐ সমস্ত লোকদের পিছে ব্যস্ত হবার কোনো প্রয়োজন নেই, অভিজ্ঞতার আলোকে যাদের সম্পর্কে জানতে পারবে যে, তারা এ নসীহত কবুল করতে ইচ্ছুক নয়।

    বেদুইন

    @Mujibur Rahman,

    ” তাবলীগ ” শব্দটি http://www.islamhouse.com/ সার্রচ করুন।

    অতপর নিম্নের ডক ফাইল দুটি ডাওনলোড করে পড়ুন।
    [DOC] আল্লাহর পথে দাওয়াতنوع الملف: Microsoft Word – إصدار HTML‏
    পরিচিতি: দাওয়াহ, আমর, নাহই, তাবলীগ, নসিহত, ওয়াজ. নিজের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তাঁর … আত-তাবলীগ অর্থ পৌঁছানো, প্রচার করা, খবর দেওয়া, ঘোষণা দেওয়া বা জানিয়ে দেওয়া। …
    http://www.islamhouse.com/document.php?f=data/bn/ih_books/single/bn...

    [DOC] আল্লাহর পথে আহ্বান : পথ ও পদ্ধতিنوع الملف: Microsoft Word – عرض سريع
    তাই সাধারণ তাবলীগ ও প্রচার কাজ অবশ্যই জারি রাখতে হবে। কিন্তু এর উদ্দেশ্য হবে আল্লাহর ….. এ আয়াত সমূহে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাওয়াত ও তাবলীগ এবং …
    http://www.islamhouse.com/document.php?f=data/bn/ih_books/single/bn...

    কোন সমস্যা হলে সরাসরি এই পেজে চলে যান।
    http://www.google.com/cse?cx=partner-pub-5561664178706359%3A92jprk787d8&ie=UTF-8&q=%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97&sa=Search&siteurl=www.islamhouse.com%2F

    ধন্যবাদ

    বেদুইন

    @Mujibur Rahman, কষ্ট করে একটু এই ফাইলটি ডাওনলোড করে শুনুন… http://www.peaceinislam.com/bedouin/8013/ (F)

    shahedups

    @আল মুরতাহিল,
    VHAI SOBI BOJLAM BUT APNI KI AMAKE BOLTE PAREN JE APNADER FAZAYELE AMOL ER KOTOGOLO HADIS ACHE JA HADIS THEKE GRIHITO? SOBCHAITE BORO BEPAR HOCCHE SETA SE BOITIR VHOMIKA PATAI JAKARIYA SAHEB JE KOTHATA BOLECHEN JE ETO BORO BOJORGER SONTOSTI AMAR POROKALER NAJATER OSILA MONE KORIYA AMI EI BOI KHANA LIKHILMA.

    R QURANE LEKHA ACHE JE ALLAHOR SONTOSI CHARA KEO JANNATE JETE PARBENA..

    TO VHAI JAKARIYA SAHEB KI SIRIK KORLEN NA? JODI SIRIK KORE THAKE TAHOLE EKJON SIRK KORA MANOSER ROCHITO BOI KONO MOSOLMANER KI PORA OCHIT?

  2. আমি অন্ততঃ দুইজন ভাল তাবলীগ করেন -তাদের সংগে কথা হয়েছে যারা আলকুরআন পড়ার চেয়ে ফাজায়েল আমল পড়ার উপর জোর দেন।
    মসজিদের রেহেলে আলকুরআন এর জায়গায় ‘ফাজায়েল আমল’ শোভা পায়।আলকুরআন পড়ে থাকে তাকের উপর ধূলিবালি ময়লা জায়গায়।
    তাদের একজন বললেন আলকুরআন তো পড়বেন যখন ধর্মের উপর লেভেলে যাবেন তখন।

    তারা বিশ্বএস্তমার নামে প্রতি বছর একই সময়ে একই জায়গায় জমায়েত হন-অনেকে বলে এটা গরীবের হজ – নাউজুবিল্লাহ। এটা পবিত্র হজের সমকক্ষ কাজ
    – মারাত্বক বেদাত ।

    Wrong statement. Completely base on individual belief not as a whole.

    Mujibur Rahman

    @বেদুইন,
    আচ্ছালামু আলায়কুম।’Wrong statement’- this type of comment also passed by another ‘tablique’ person, who seems to be somewhat liberal to me. I should details the fact, – one day after Magrib namaj we were walking, a senior doctor well known to me asked me about his son who just completed his SSC exam, that what should he do now. I was advising him that it is best time to teach him holy Quraan. At that time another renowned dentist (who is a great tablique and senior to me) interfered our conversation and advised to read ‘ ফাজায়েল আমল”. Then we left the place.
    In a masjid (local) where “ফাজায়েল আমল”. is read often after Jahur namaj and I observed that for long time that “ফাজায়েল আমল” was being placed in rehel(রেহেল) and the holy Quaan on the rack. I protested that and after that the holy Quaan was placed on the rehel (রেহেল) but I never found them to read that Quraan in that masjid.
    Also I never found any tabliqe people to read the Holy Quraan or Bukhari sharif in any masjid other ‘ ফাজায়েল আমল’ or like that.
    How will you evaluate this matter?
    The third comment also past by a doctor.
    The last comment(এটা গরীবের হজ), I heard from many people from low level. But I think in this way the people may be derived so that one day may come when people will like isthema instead of Haj.
    So, we should be aware of such bedath.
    You varily know that in “Biday Haj address” Prophet Muammad (S) said, if we follow two things, one is the Holy Quaan and another is Rasulullah’s(S) Hadiths, we will be not derived in wrong way anytime.
    Zazak Allah.