লগইন রেজিস্ট্রেশন

আলকোরানের আলোকবর্তিকা (৩) হেদায়াত ও বিভ্রান্তির সোপান আলকোরান।

লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১২, ২০০৯ (২:৪০ পূর্বাহ্ণ)

প্রথম
দ্বিতীয়

الآية 26 ، يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلا الْفَاسِقِينَ
“আল্লাহ এই কোরানের মাধ্যমে অনেককে হেদায়াত করেন আবার অনেককে বিভ্রান্ত করেন, আর বিভ্রান্ত করেন কেবল ফাসেকদেরকে” সূরা বাকারা ২৩ নং আয়াত ।
কোরান মানুষের হেদায়াতের আলোকবর্তিকা তবে যারা কোরানের সাবলীল বানীকে সহজ সরলভাবে অকপটে বিশ্বাষ করে নিবে তাদের জন্য, আর যারা বিভ্রান্তিকর ব্যাখা-নিজস্ব খেয়াল ও মতের জন্য কোরান থেকে আয়াত তালাশ করে, কোরানের কোন কোন আয়াত সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয় তা খুজেঁ বের করে, কোরানের আয়াতে মোতাশাবেহ অস্পস্ট আয়াত এবং বিষয়াবলী নিয়ে বাড়াবাড়ি করে, তাদেরকে আল্লাহ হেদায়াতের পরিবর্তে কোরানের মাধ্যমেই বিভ্রান্ত করেন।
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এবং সর্বসাধারণ মুসলিম জনতা যেমন কোরানের মাধ্যমে সিরাতুল মুস্তাকীমের পথের দিশা পায় তেমনি বাতেল ফিরকা এবং মতবাদ সমূহ ও কোরানের মধ্যে কাকতালীয় ও বক্রপন্থায় তাদের নিজস্ব তাফসীর ও তাবীল মতে তাদের ভ্রান্ত আক্বীদা এবং খারপ কাজগুলোর আদর্শ ও দলীল খুজে পায়।
প্রসংঙ্গত বলতে হয় প্রত্যেকটি বাতিল ফিরকাহই তাদের আকীদার প্রমান স্বরুপ কোরানের যথেস্ঠ পরিমান আয়াতের অপব্যাখা চালায়, এবং সাধারন মানুষকে এ পথেই বিভ্রান্ত করে।
আবাক করার মত একটি বিষয় দেখলাম শিয়াদের “মুতা” লিভটুগেদার এবং অনপেমেন্ট খন্ডকালীন সেক্স এগ্রিমেন্টের একটি দলিল তাদের বিকৃত মনমানসিকতার একটি দলীল কায়েম করছে স্বয় আলকোরান প্রচারের একটি ওয়েব সাইটে। ঠিক এমনি দৃষ্টান্ত অনেক, বরং প্রত্যেকটি বাতিল ফিরকাহ কেই আমি পেয়েছি কোরান এবং হাদীস দ্বারাই তারা তাদের মতাদর্শ কায়েমের চেষ্টা করে, অথচ তাদের কার্যক্রম হল কাফের-মুশরিক এবং আদর্শহীন মানুষের। কেউ ব্যাভিচার করে কিন্তু তাকে হারাম মনে করে এবং লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হলে আল্লাহ অবশ্যই তা ক্ষমা করে দিবেন।
কিন্তু ব্যাভিচার না করেও তা করাকে হালাল মনে করা কতটা হীনমানসিকতার পরিচয়, তারপরে আবার আলকোরানের আয়াতকে ব্যাবহার করে সেই ব্যাভিচার হালাল ফতোয়া দেয়ার প্রয়াশ। অথচ কোরানের সকল হুকুমের মোদ্দাকথা হল “ইন্নাল্লাহা ইয়ামুরুকুম বিল আদলি ওয়াল ইহসান, ওয়া ইনহাকুম আনিল ফাহসায়ি ওয়াল মুনকার” আল্লাহ তোমাদের ন্যায় এবং ভালকাজের হুকুম করেন এবং কাদর্যপুর্ণ কুকর্ম এবং অবাঞ্ছিত কাজের ব্যাপারে নিষেধ করেন” মানুষের বিবেক থেকেই মানুষ বুঝে নিতে পারে কোনটা ভাল কোনটা খারাপ, কেউ কি তার মা, বোন, আত্নীয় স্বজনের ব্যাপারে খন্ডকালীন বিবাহের বিষয়টি মেনে নিতে পারবে?!! অথচ আলকোরানের আয়াত দিয়ে তারা প্রমান করতে চায় যে, নারী আর পুরুষ যদি নির্দিষ্ট অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমে সেক্স করে তবে তা হালাল!!
ঠিক এমনি ভাবে সকলপ্রকার বাতিল মাজহাব ইহাতক মুশরিক-কবরপুজারীরাও কোরানের আয়াত দিয়ে তাদের শিরকের বৈধতা প্রমানের চেষ্টা করে।
পরিশেষে একটা কথা না বলার নয় যে, আধুনা ব্লগিং জগতে অনেক ব্লগারদেরও দেখছি তাদের রাসুল বিরোধীতা, খামখেয়াল মত চলার বৈধতা, যেনা ব্যাভিচচার এ সকল কাজের সপক্ষে কোরানের আয়াত দিয়ে প্রমান উপস্থাপন করে এবং মানবিকতা ও বিবেক বর্জিত কাজের পয়গাম কোরানের মাধ্যমেই খুজেঁ বেড়ায়, যেমনটি আল্লাহ বলছেন ” আর তিনি কেবল তাদেরকেই এই কোরানের মাধ্যমে বিভ্রান্ত (গোমরাহ) করেন যারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা ভংঙ্গ করে তা কঠোরভাবে পালনকরার কথা থাকলেও এবং আল্লাহ যার সাথে সম্পর্ক বজিয়ে রাখতে হুকুম করেছেন তা তারা ছিন্ন করে।” বাক্বারা :২৭।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৪৯৫ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৫ টি মন্তব্য

  1. আপনি যদি আমুর মুসাফির ভাই হয়ে থাকেন, তবে কিছু কথা বলব আপনাকে, আর যদি না হয়ে থাকেন, তবে ক্ষমাপ্রার্থী, আমার পরবর্তি কথাগুলীকে ইগনোর করুন।

    ভাই বাংলা মৌলভী, দিলকে খুলে দিন, সবাইকে আপন করে নিন, আর আল্লাহর বাণী সর্বদা মুখে নিন। ধৈর্য ধরে থাকুন। আর সর্বদা ফিকির করুন। দেখবেন, ভিন্নমত পোষনকারীরাও ধীরে ধীরে সঠিক পথে চলে আসবে ইনশাল্লাহ। আপনি আপনার দিলকে নরম করুন, দেখবেন আপনার চারদিকের মানুষদেরও দিল ধীরে ধীরে নরম হবে। তবে সবর করার কোন বিকল্প নেই।

    আমি আপনাকে আমার ব্লগীয় যুদ্ধে সহযোদ্ধা হিসেবে দেখে থাকি বলেই সেই দাবী নিয়ে কথাগুলী বললাম। ভালবাসার দাবী নিয়ে। তাই প্লিজ অন্য কিছু মনে না করলে ভাল লাগবে।

    বাংলা মৌলভী

    ধন্যবাদ আমিই উক্ত নালায়েক।

    তামীম

    ভালবাসা রইল। (F)