লগইন রেজিস্ট্রেশন

শবে বরাত নিয়ে একটি গবেষণা । কোন ধরণের অতিরঞ্জনই প্রত্যাশিত নয়।

লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ মঙ্গলবার, জুলাই ৩, ২০১২ (১২:২৯ অপরাহ্ণ)

বিসমিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রসুলিল্লাহ
লেখাটির মূল কপি সোর্স
তবে এই ব্লগের কিছু বাড়াবাড়ি দেখে এখানে তুলে ধরার ইচ্ছা হল। এবং আবু তাসনীম ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই দোয়া করছি, যে আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত দান করুন। এবং অনুরোধ করবো যে, নীচের লেখাটা বানানো মনে হলে আপনাদের মতি হুজুর বা আলিম শ্রেনীর নিকট মৌলিক সোর্স ও আরবী ফতোয়া সহ দেখাবেন।
বিশেষত ইবনে তাইমিয়া। এবং আলবানীর সহিহ সংকলনের উদ্ধৃতি ও স্পস্ট সমর্থনের ব্যাখা চাইবেন। নিজের মন মত কপি পেস্ট করবেন না। আর যে লেখা কপি করে দিলাম তা কাপি আমার জন্য কপি রাইট বহির্ভূত কারন তা একান্ত আমার লেখা। আপনাদের জন্য এখানে এই ভূমিকা সহ কপি করে দিলাম:

” প্রথমত আমাদের দেশে প্রচলিত যে ধারণা আছে তা নিয়ে, দ্বিতয়ত এর বিপরীতে নুতন আহলে হদসদের ধারনা ও তাদের বাস্তবতা নিয়ে।

= আমাদের সাধারণ মুসল্লি সমাজ এ রাত্রের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা এবং কেবল এ দিনের রোজা রেখে থাকেন। বিষয়টি হুবহু এভাবে সমর্থন করা যাবে না। বরংচ সমগ্র শা‌‌‌বান মাসের রমজানের তুলনায় কিছুটা কম এবং অন্যান মাসের তুলনায় আরো বেশী রোজা নামাজের কথাটি সবার লক্ষ্য রাখা উচিত। এ দাবীটি আহলে হাদীসরাও হয়তো মেনে নিবেন।

= আহলে হাদিস (কথিত শ্রেনীর ধারণা) একেবারেই বিদা‌হ দাবীটি অবান্তর এর প্রমান সৌদি,কাতার, কুয়েত এবং মধ্যপ্রচ্য ভিত্তিক কয়েকটি নির্ভরযোগ্য এবং জনপ্রিয় মাধ্যম থেকে হুবহু অনুবাদ করে দেখাব।

ইবনে তাইমিয়া, আলবানি এবং সমসাময়িক হাদিস বিশারদ ও সালাফিজমের সোর্স থেকেও প্রমান করা হবে যে শাবান মাসের পনের তারিখ নিয়ে ফজিলত এর কথাও উনারাও স্বীকার করেছেন। যেহেতু এ সম্পর্কীয় স্পষ্টই ব্যাখা করেছেন ইবনে তাইমিয়া রহ: এবং আলবানী সাহেব তার সিলসিলাতুল আহাদীস আস সাহিহা বা সহিহ হাদিসের সংকলনেও হাদিসটি সহিহ হিসেবে বর্ননা করেছেন।

ফতোয়ায় আমার দাবীকৃত দুটি বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে, অতপর শেষ পর্যায়ে বলা হল: الخلاصة: أن ليلة نصف شعبان لها فضل؛ نظرا لتعدد ما جاء فيها من الأحاديث المرفوعة والآثار السلفية، وأن إحياءها بالصلاة والذكر لا بأس به للرجل في خاصة نفسه بدون اجتماع لذلك. أما ما أُحْدِثَ فيها سوى ذلك مما تقدم ذكره فبدعة، والله أعلم. যে শাবানের অর্ধরাত্রির অবশ্যই ফজিলত রয়েছে,যেহেতু এ ব্যাপারে অনেকগুলো রেওয়েত পাওয়া যায়। এবং আসার (তাবেয়ীদের আমল: শামের অনেক তাবেয়ি এ রাত্রে সুন্দর পোষাক পরিধান করা, আতর-সুরমা ব্যাবহার করা, ওয়াজ নসীহতের আয়োজন করা) পক্ষান্তরে কেবল এককভাবে এ রাত্রিতে জাগ্রত থাকা, নামাজ, কালাম পড়া, দিনে রোজা রাখা কোন অসুবিধের কিছু নেই। উত্তম হলো একক ভাবে করা, (এবং সাথে আরো কয়েকদিন রোজা রাখা। ) এ ছাড়া অন্যসব অতিরঞ্জন (যেমন লাইটিং করা, পটকা ফুটানো, দলে দলে মাজারে মাজারে ভ্রমন করা) বিদাত।

ইবনে তাইমিয়া রহ: তার কিতাব ‘ (একতেদাউস সিরাতিল মুসতাকিম ওয়া মুখালাফাতু আসহাবিল জাহিম ) এ লিখেন: ” وقال شيخ الإسلام ابن تيمية في (اقتضاء الصراط المستقيم مخالفة أصحاب الجحيم): وقد روي في فضلها -أي ليلة النصف من شعبان- من الأحاديث المرفوعة والآثار ما يقتضي أنها ليلة مفضلة.

قال: ومن العلماء من السلف من أهل المدينة وغيرهم مِن الخلف مَن أنكر فضلها، وطعن في الأحاديث الواردة فيها كحديث: “إن الله يغفر فيها لأكثر من عدد شعر غنم بني كلب”، وقال: لا فرق بينها وبين غيرها، لكن الذي عليه كثير من أهل العلم -أو أكثرهم من أصحابنا وغيرهم- على تفضيلها. وعليه يدل نص أحمد؛ لتعدد الأحاديث الواردة فيها، وما يُصَدِّقُ ذلك من الآثار السلفية. وقد روي بعض فضائلها في (المسانيد) و(السنن)، وإن كان قد وضع فيها أشياء أخرى.أ.هـ.

মদীনার অনেক আলেম এই রাত্রের ফজিলতকে অস্বীকার করেন, এবং এসম্পর্কে বর্নিত হাদিসগুলোতে অপবাদ প্রয়োগ করেন। যেমন “আল্লাহ বনী কালবের বকরীর পশম পরিমানের চাইতে বেশি লোককে এ রাত্রে ক্ষমা করে দেন। এ ব্যাপারে আমাদের ও তাদের অনেক আলেমদের ইখাতেলাফ রয়েছে,তবে আমাদের ও তাদের বেশির ভাগ আলেম এর ফজীলতের পক্ষে যেমন আহমদ শরীফে এর অনেকগুলো বর্ণনা রয়েছে এবং এগুলোকে সত্য বলতে হবে। এবং আসারো এর পক্ষে সমর্থন করে। মাসানিদ এবং সুনান ( হাদীস গ্রন্থ ভান্ডার) সমূহেও এ ব্যাপারে ফজীলত বর্ননা হয়েছে, যদিও কিছু রেওয়েত নিয়ে কথা রয়েছে (অপরদেকে অনেকগুলোকে সহীহ ধরে নিতে হবে) ”

সমসাময়িক হাদীস বিশারদ, নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ: যাকে দেওবন্দী আলেমগন কবুল না করলেও সৌদি সকল আলেমগন এক বাক্যে কবুল করে নেন। এবং হাদিস বর্ননার ক্ষেত্রে صححه ألباني আলবানী রহ: সহিহ বলেছেন বলে জোর গলায় দাবী করেন। তিনি তার সিলসিলাতুল আহাদিস আস সাহিহা বা সহিহ হাদিসের সংকলন এ ^ السلسلة الصحيحة، تأليف: الألباني، 3/135، وقال: حديث صحيح. তৃতীয় খন্ডের একশত পয়ত্রিশ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন: عن معاذ بن جبل قال: «قال رسول الله : “يطلع الله إلى جميع خلقه ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن”»মা‌‌‌’আজ বিন জাবাল রযি থেকে, তিনি বলেন, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ শাবানের অর্ধ রাত্রিতে সকল মাখলুকের দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) দেখেন অতপর মুশরিক ও হিংসুক ব্যাতিত সকলকে ক্ষমা করে দেন”

এ ছাড়াও নিম্মোক্ত সহিহ হাদিসগুলো এই রাত্রের ফজিলত সম্পর্কে বর্নিত হয়েছে: عن عبد الله بن عمرو أن الرسول صلى الله عليه وسلم قال: “يَطَّلِعُ اللهُ عز وجل إلى خلقه ليلةَ النصف من شعبان، فيغفر لعباده، إلا لأثْنَيْن: مشاحنٌ، وقاتِلُ نفسٍ” مسند الإمام احمد تحقيق العلامة احمد شاكر قال إسناده صحيح 10/166/167 …

* وعن أبي ثعلبة الخشني رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “إذا كان ليلة النصف من شعبان اطلع الله إلى خلقه، فيغفر للمؤمنين ويملي للكافرين، ويدع أهل الحقد لحقدهم حتى يدعوه” حسن رواه البيهقي في شعب الإيمان وحسنه الشيخ ناصر في صحيح الجامع الصغير وزيادته برقم 783 وانظر الأحاديث الصحيحة 1143 ورواه الطبراني وابن أبي عاصم …

* وعن أبي موسى رضي الله عنه قال: قال الرسول صلى الله عليه وسلم: “إن الله ليطلع في ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن” حسن رواه ابن ماجة برقم 1390 وللحديث شواهد يتقوى بها وهو بنفس اللفظ عن معاذ بن جبل رضي الله عنه …والحديث حسنه الشيخ ناصر في صحيح الجامع الكبير برقم 1815 وانظر المشكاة 1306 والأحاديث الصحيحة 1444 و 1651 وانظر تحفة الأحوذي 3/441 أ هـ

আল্লাহ তালা আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন।

ফতোয়ার সোর্স :http://ar.islamway.com/fatwa/24431?ref=search

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৩০৩ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৫.০০)

৭ টি মন্তব্য

  1. সহমত। ঠিক বলেছেন।

    ABU TASNEEM

    @ম্যালকম এক্স, এই ফতোয়াটি দেখুন

    I read in a book that fasting on the middle of Sha’baan is a kind of bid’ah, but in another book I read that one of the days on which it is mustahabb to fast is the middle of Sha’baan… what is the definitive ruling on this?

    Praise be to Allaah.

    There is no saheeh marfoo’ report that speaks of the virtue of the middle of Sha’baan that may be followed, not even in the chapters on al-Fadaa’il (chapters on virtues in books of hadeeth etc.). Some maqtoo’ reports (reports whose isnaads do not go back further than the Taabi’een) have been narrated from some of the Taabi’een, and there are some ahaadeeth, the best of which are mawdoo’ (fabricated) or da’eef jiddan (very weak). These reports became very well known in some countries which were overwhelmed by ignorance; these reports suggest that people’s lifespans are written on that day or that it is decided on that day who is to die in the coming year. On this basis, it is not prescribed to spend this night in prayer or to fast on this day, or to single it out for certain acts of worship. One should not be deceived by the large numbers of ignorant people who do these things. And Allaah knows best.

    Shaykh Ibn Jibreen.

    If a person wants to pray qiyaam on this night as he does on other nights – without doing anything extra or singling this night out for anything – then that is OK. The same applies if he fasts the day of the fifteenth of Sha’baan because it happens to be one of the ayyaam al-beed, along with the fourteenth and thirteenth of the month, or because it happens to be a Monday or Thursday. If the fifteenth (of Sha’baan) coincides with a Monday or Thursday, there is nothing wrong with that (fasting on that day), so long as he is not seeking extra reward that has not been proven (in the saheeh texts). And Allaah knows best.

    Sheikh Muhammed Salih Al-Munajjid

  2. এখানেও আপনি লেখার প্রথমে যে লিংকটি দিয়েছেন তাতে লেখার পাশে সব নোংরা ছবি দেখাচ্ছে । আপনি যদি ভাল কোন কিছু শেয়ার করতে চান তাহলে তা ভাল পরিবেশে ভাল জায়গায় শেয়ার করুন । তাহলে তা ভালভাবে গ্রহণ করা হবে । বেশ্যাখানায় ইসলাম প্রচার করে লাভ নেই । আপনি যদি তাদেরকে ইসলামের বাণী শোনাতে চান তাহলে আগে তাদেরকে বাহিরে একটি ভাল পরিবেশে নিয়ে আসুন , যেখানে পরিবেশও তার উপর প্রভাব ফেলবে । আর এই থিমই ব্যবহার করে আমাদের তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা । আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিন । আমীন !

    ১৯.) যারা চায় মু’মিনদের সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক তারা দুনিয়ায় ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে। আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না। – সুরা নুর

    আল মুরতাহিল

    @ABU TASNEEM,@ABU TASNEEM, সইটটি পর্নোগ্রাফীর নয়। ব্লগিংএর। তারপরো বলতে হয়। আপনি কম্পিউটারে ওয়েব প্রোটেকশন বা এড্যাল্ট গার্ড ব্যাবহার করেন কিনা জানা নেই। যদি করে থাকতেন তবে কোন ধরনের পর্ন ম্যাটার খোলার কথা নয়।
    অপরের ব্যাপারে গায়েবি সিদ্ধান্ত না নিয়া নিজের বিচার করা আমাদের জন্য সহজ। আপনি সূরা নূরের আয়াত কোথায় প্রয়োগ করতেছেন? যাহোক আলাদা করে আপনার জন্য পোস্ট দিয়েছি।

    শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া এবং আলবানীর বর্ননার ব্যাখা পেয়েছেন কিনা তা বলেন। কথাকে অন্যদিকে নিয়ে যাবেন না।
    বিদাত এর পরিনাম জাহান্নাম। বিদাত প্রমান করেন এবং আলবানী বা শইখ তাইমিয়ার সিদ্ধান্তকে ভূল প্রমান করেন।
    শবে বরাত পালন করতে যে সব বিদাত হয় সেগুলা নিয়া বলা আর শবে বরাতকেই অস্বীকার করা এক বিষয় নয়।

    আমাদের কোন মাওলানা কি বিদাত বলেন তা আপনার বলতে হবে না। সালাফী অনুবাদক কতজন আলেম দেওবন্দ ও বাংলাদেশী দেওবন্দী মাদ্রাসার ছাত্র তার হিসাব তো জানেন বোধয়। নতুবা সৌদিয়ার ইসলামিক সেন্টারগুলোর বাংঙ্গালী মাওলানাদেরকে প্রশ্ন করবেন আলিফ বা তা কোথায় পড়ছেন তারা।

    আমাদের দেওবন্দী আলেমরা যেটুকু বিদাত সেটুকু বলেন। আপনাদের মৌলিক দাবীকৃত আলেমরাও। কিন্তু সমস্যা হল নুতন মতিটাইপের “পোষা হুজুর।” সৌদি আরবে কয়েকশত পর্নো স্যাটালাইটের অনুমোদন আছে বলেন তো? না জানলে আমি হয়তো কখনো জানাতে পারি। অন্তত সংবাদের মাধ্যম বিবিসি সি এন নএর খবর তো দেখেন নাকি সৌদিরা?

    এমবিসি,র মোট ৫টি চ্যানেল আছে যার অর্থায়ন করেন তালাল। রাজকীয় পরেবারের ধনকুব। যেখানে নিয়মিত হলউডের ফিল্ম আরবী ডাবিং করে প্রচার করা হয়। কোথায় সালাফী আলেমরা তো কোনদিন এসব চ্যানেলের বিরুদ্ধে বলেন না। বেশী বলেতে ইচ্ছা হচ্ছে না ।

  3. এবারে আপনাদের ঘরানার আলেমের বক্তৃতা শুনুন । বক্তা জসীন উদ্দীন রহমানী । সাবেক মুহাদ্দীস জামেয়া রাহমানীয় আরাবীয় , মুহাম্মাদপুর , ঢাকা । বর্তমান মুহাদ্দীস মারকাজুল উলুম আল ইসলামীয়া ।

    শবে বরাত একটি কুসংস্কার , বিদআত এবং মুসলিমদের করণীয়

  4. আল মুরতাহিল, আপনি যে লিংক দিয়েছেন সেটা কোনোমতেই কাম্য নয়। এইধরণের লিংক দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

  5. শবে বরাত সম্পর্কে আমাদের সালাফী ভাইরা যা জানেন না অথবা গোপন করেন – শবে বরাত এর ব্যাপারে কিছু সহীহ হাদিস আছে

    http://www.peaceinislam.com/abdullah-al-mamun/12676/