জাকির নায়েক প্রসংঙ্গ:১
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ সোমবার, অগাষ্ট ১২, ২০১৩ (৯:১২ পূর্বাহ্ণ)
জাকির নায়েক নিয়ে নুতন ক্যাচাল শুরু হয়েছে আমাদের সমাজে।
বিশেষত ঈদের নামাজ আদায় করার নিয়ম নিয়ে, মুলত ঐ মাজহাব-তাক্বলীদ-সুন্নাহ- ইত্যাদি প্রসংঙ্গেই বিতর্ক।
প্রথমেই বলা ভালো যে, ঈদ-কোরবানী-জানাযা ইত্যাদি নামাজে আল্লাহর রসুলের দুধরনের আমলই সুন্নাহে পাওয়া যাবে, চার তাকবীর, ছয় তাকবির, বা আরো বেশি এ সবই আছে। যেখানে মানুষরা আলেমদের থেকে যেভাবে শিখে আসছেন সেভাবেই পালন করা উত্তম, যাতে মানুষের সহজ হয়। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল একজনকে নিয়ে, যাকে আমরা এখন সবজান্তার আসনে বসাতে চাই, তিনি হলেন ডা. জাকের নায়েক, বিগত ১৫-দিন আগেও খুব কাছ থেকে ওনাকে দেখলাম। দুবাই ১৭তম কোরান প্রতিযোগিতায় ওনাকে এ বছরের বিশিষ্ট ইসলামী ব্যাক্তিত্বের সম্মাননা দেয়া হলো। ওনি ঐ অনুষ্ঠানে অকপটে স্বীকার করে নিলেন ওনি আরবী জানেন না। কোরানের আয়াত নং, পৃষ্ঠা নম্বরই নয় বরংচ বাইবেল গীতা সহ আরো অনেক ধর্মীয় রেফারেন্স ওনি যেভাবে দেন তাতে সাধারন মানুষের চাইতে আরো বেশি হতবাক হয়ে যান ফাদার, বাওন, আর ইহুদী রবাবরা। বিষয়টি নিশ্চয় প্রশংসার দাবী রাখে।
তবে ঠিক লোকেরা যখন ওনাকে সবজান্তার আসনে বসিয়ে সকল মাসলা মাসায়েল নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে।
একজন নাস্তিক আমাকে এই কমেন্ট করেছিল ” আরে তোমাদের জোকার নায়েক আর আলেম ওলামারা যে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছে আগে সেই ইসলামের রুপরেখা কি হবে তা ঠিক করে নাও তারপর আমাদেরকে সেই ইসলামের দিকে ডাকবে। ” কথাটি যুক্তিযত। করন আজীবন যারা কোরান সুন্নাহ অধ্যায়ন করেন তাদের সাথে যখন এই জাকের নায়েকদের মতপার্থক্য তৈরি হয়, তখন এমন প্রশ্ন যে কেউ করতেই পারেন।
সমস্যা টা জাকির নায়েকের আরবী জানা কিংবা না জানা নিয়ে নয়, বরং সমস্যাটা হলো জাকের নায়েককে যারা প্রমোট করেন “সালাফীজমের হোতা” তারা।
নিজেই স্বীকার করছেন তিনি আরবী জানেন না, তাহলে প্রশ্ন আসবে কোরান সুন্নাহ তো আরবীতে আপনি তাহলে কিসের দাওয়াত দিচ্ছেন, নিজেই তো বোঝেন না। আপনি যে অনুবাদ মুখস্ত করছেন তাওতো ত্বাকলীদ বা কারো মতামতের অনুসরন, এটাও মাজবাহ মানার নামন্তর। (চলবে)