জাকের নায়েক ও আহলে হাদিস প্রসংঙ্গ ২।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০১৩ (১১:১৬ পূর্বাহ্ণ)
সালাফীজম- পিস টিভি ও আহলে হাদীস প্রসংঙ্গ:
খুব বেশি আসক্তরা আশা করি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন।
১. সালাফিজমকে সালফে সালেহীন বা ইসলামের প্রথমযুগের অনুসারী বলা হয়ে থাকে, আধুনা যূগে এই ধারনাকে ইবনে তাইমিয়্যা- আব্দুল ওয়াহহাব নজদী- নাসেরুদ্দীন আলবানীর মত সমসাময়িক ব্যাক্তিদের মতমতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এখানে প্রশ্ন হলো ইবনে তাইমিয়া-ইবনুল কাউয়্যূম এবং নাসেরুদ্দীন আলবানীরা তো সালফ ( প্পথম যুগের ) স্কলার নন, তারা প্রত্যেকেই গত শতাব্দীর। এবং প্রত্যেকে বড় মাপের আলেম। তাদের মতামতের উপর ভিত্তি করাও তো তাকলীদ ই নাকি?! এটা যদি তাকলীদ ই না হয় তবে মাযহাবী আলেমগন ১০০-২৫০হি: শতাব্দীর আলেমদের গবেষণা কে অনুসরন করলে সেটা কেন তাকলীদ হবে?
২. ইমাম আবু হানিফা তাবেয়ি (সর্বসম্মতি ক্রমে অন্তত তাবে তাবেয়ী) যার নিকট ৩-৪ ব্যাক্তির সনদ পরম্পরায় হাদীস পৌছে, যা সিহাহ সিত্তা সহ অন্যান কিতাবে ৪-২০ পরম্পরায় হাদীস পৌছে, সিলসিলাতে ওনার নিকট যে ব্যাক্তিরা ছিলেন তা ওনার কাছে অবশ্যি ত্রুটিমুক্ত যা বিভিন্ন সুনানে এসে ত্রুটিযুক্ত হয়ে যয়ীফে রুপান্তরিত. ইমাম আযম রহ যদি ফিকাহ রচনা না করে হাদিস রচনা করতেন তবে অবশ্যই এ সনদগুলো আরো পরিষ্কার ভাবে আমরা পেতাম. তবে সে সময় হাদিসের চাইতে ফিকাহ রচনার গুরুত্ব বেশী ছিল। আর তা এ জন্যই যে, ক. রসূল স: এর একাধিক বক্তব্য-কার্য্যক্রম থেকে সর্বশেষ আমলকৃত বিষয়কে চিহ্বিত করার লক্ষে। খ. নুতন নুতন এলাকা বিজিত হওয়ার ফলে নুতন অবস্থা ও বিষয়াবলি হাযির হওয়ার ফলে যেসবের সমাধান সরাসরি হাদিসের মাধ্যমে চুড়ান্ত নয় বরং হাদিস নির্ভর কিয়াসের মাধ্যমে চুড়ান্ত।
৩. আজকের আহলে হাদিসগন কত লক্ষ-হাজার বা শত হাদিসের সনদ মতন সহ মুখস্ত রাখেন যার আলোকে আক্বীদা-ইবাদাত সহ সকল বিষয়ে সরাসরি হাদিসের আলোকে ব্যাক্তিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন?
এখানে সম্পুরক আরো কিছু লিংক :
http://www.peaceinislam.com/author/abdullahgali/ এবং: http://www.peaceinislam.com/jobaear/11736/ আরো http://www.peaceinislam.com/zakaria/14464/comment-page-1/#comment-11588