ধর্ম বিষয়ক ব্লগিং নীতিমালা এবং আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ রবিবার, নভেম্বর ২৯, ২০০৯ (২:৫৫ অপরাহ্ণ)
১। ধর্ম : এখানে বিশ্বাসের পর যৌক্তিকতার এবং তর্ক বিতর্কের কোন অবস্থান নেই آمن الرسول بما انزل إليه … وقالوا سمعنا و أطعنا غفرانك ربنا ” আর ঈমানদারগন বলে আমরা শুনেছি এবং মান্য করেছি” সূরা বাক্বা. (রচনার দৈর্ঘ্য পরিহার করতে অন্য আয়াত- হাদীস ও রেফারেন্স উল্লেখ করা হল না)
ধর্মের কানুন- হকুম আহকাম স্পষ্ট হওয়ার পরে নকল বা ঐশী ফায়সালার চাইতে আকল ও বুদ্ধি বিবেকের অবস্থান থাকতে পারে না। বলা হচ্ছে” আল্লাহ তার রসূল কোন বিষয়ের ফায়সালা করে দেয়ার পর কোন মুমিন ব্যাক্তির জন্য দ্বীমত করার সুযোগ নেই” সূরা আহযাব ৩৬।
সুতরাং ধর্মীয় আদেশের ব্যাপারে যৌক্তিকতার অবস্থান পর্যালোচনা করার সুযোগ নেই । কেউ যদি হালাল- হারাম জায়েজ না জায়েজের ব্যাপারে প্রশ্ন করতে, তর্ক করতে চায় তাকে যুক্তির উত্তর সবসমায় দেয়া যায় না। যেমন ধরুন তাইমুম- অযু- মাসেহ ইত্যাদির মাসলা বায়ূ বা প্রসাব বের হলে অযু করতে হয় অথচ অযুর স্থান দিয়ে বায়ূ নির্গমন হয় না-অতএব এটি যুক্তিযত নয় যে আমরা মুখমন্ডল ধূয়ে বায়ূ নির্গমনস্থন পরবর্তি পবিত্রতা হাসিল করবো।
২। ব্লগিং : উম্মুক্ত বাকস্বাধীনতা, এখানে নিজের উপর দায়ভার গ্রহণ করে যা খুশী তাই প্রকাশ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে উম্মুক্ত মতামত প্রকাশের আধুনিক সর্বোত্তম ডিজিটাল হাতিয়ার। এটা খুবই সাধারণ বিষয় যে, ব্লগিং সাইটকে সকলের কাছে প্রিয় এবং তার গ্রহণযোগ্যতাকে সর্বস্তরে প্রসার ঘটাতে ব্লগিং নীতিমালাকে খুবই উদার- প্রশস্ত এবং সহনীয় করা জরুরী।
সমস্যা: Restriction Of Religion and Freedom of Internet Democracy
বিষয়দুটিকে এক করে ফেল্লে ইসলামিক ব্লগিং সাইটে অবারিত দ্বার উম্মুক্ত করা সম্ভব হয় না, কারন ধর্মকে মান্য করার ক্ষেত্রে কারো বিরতিহীন প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। আবার ব্লগিংকে অবারিত করতে কোন ইউজারকে তার মতপ্রকাশে ব্যাহত করাও নয় ।
।আর এই দ্বিমুখী সমস্যার কারনেই মুলত কেবল ধর্মভিত্তিক ব্লগিং সাইটগুলোতে “মতপ্রকাশের উম্মুক্ত মঞ্চের” অনুমোদন দেয়নি। এমনকি কোন কোন ফোরাম যা কোন ধর্ম বিষয়ক নয় তাতেও ধর্মকে ক্রিটিসাইজ- ধর্মীয় বেসিক কনসেপ্ট ইত্যাদির বিরুদ্ধাবস্থানকে সমীহ করা হয়নি।
. সমাধান:
দেখুন: ১ এই পপৃষ্ঠার তিন নং কলামবলা হচ্ছে:
التعدي على الدين الإسلامي الحنيف أو الإساءة للرسول صلى الله عليه وسلم وعلى علماء الدين .
ধর্ম নিয়ে কিংবা রসূলগনকে নিয়ে কিংবা কোন ধর্মীয় স্কালার আলমে ওলামকে নিয়ে কোন প্রকার অশোভনীয় লেখা অনুমদিত নয়। আরো দেখুন একটি জারনালিষ্ট ফোরাম এবং ট্রাভেল ব্লগার ফোরামের নিতীমালায় এখানে একটি টুরিস্ট ফোরামেও ধর্মীয় সমালোচনার সুযোগ ব্যাহ করছে। আরো দেখুন: عندما يكون موضوعها متضمنا دعوة أو نشر لمذاهب و عقائد ضالة تخالف منهج أهل السنة و الجماعة . বলা হচ্ছে: যখন এই কোন পোস্টে “আহলে সুন্নত ওয়াল জামাহ” তথা মুসলিমদের ঐক্যমত আছে এমন কোন প্রসিদ্ধ বিশ্বাস পরিপন্থী অথবা কোন হক্ব মাযহাব পরিপন্থী পোস্ট পাওয়া যাবে তা ডিলেট করা হবে। এবং কোন প্রকার বিভ্রান্তি মুলক পোস্টিংও গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে আরো বলা হচ্ছে: للعرب المسافرون ( إدارة ومشرفين ومراقبين ) الحق في إضافة أو تعديل أو رفض أو حذف كل أو جزء أي إضافة من قبل العضو وبدون إشعار مسبق যে সকল কারনে কর্তৃপক্ষ কোনরুপ ইনফরমিং করার ছাড়া পোস্ট মুছে দিতে পারবেন, এর মধ্যে একটি হল: ندما يكون كاتبها غير ملتزم بآداب الشريعة الإسلامية .যখন পোস্টে ধর্মীয় আদব এবং শিষ্টাচার বহির্ভুত কোন বিষয় থাকবে।
লক্ষ্য করুন: এটা ধর্মভিত্তিক কোন ফোরাম নয় এটা আরব ট্রাভেলর্স ফোরাম মাত্র যাতে ইহুদী কিংবা নাসারাও আরবীতে ভ্রমন সংক্রান্ত অবিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে। আমি কানুন ও রুলসগুলো প্রিন্ট করে রেখেছি, এখানে পোস্টিংয়ের পরিবর্তে সরাসরি আলোচনা করা শ্রেয় মনে করছি, তথাপি প্রাসাংঙ্কিক হিসেবে দু একটি বল্লাম। আমি আশা করবো আপনারা এ বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতি ব্লগিং রুলস ঘেটে দেখবেন।
।মাননীয় এ্যডমিন! আমি ইতিপূর্বে আমার একটি পোস্টে পিস ত্যাগ করার বিষয়টি আলোচনা করেছি, এবং বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান না হলে আমি মনে করি উম্মুক্ত ব্লগিং এর কারণে ধর্মের উপকারের চাইতে অপকারই বেশী এবং আমাদের সকল শ্রম জলে যাবে। সময় পেলে বৈঠকের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ। আমি আশা করবো পিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আর দশটি ইসলামী ব্লগের নীতিমালা অনুসরণ করবেন। নতুতবা “অবারিত দ্বার” উম্মুক্ত করে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে অনৈসলামিক ইজমই প্রকাশ পাবে। বিশেষত ইসলাম বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যাক্তিরা অনলাইনে ব্লগিং করেন না বিধায়। আর এটা আপনাদের দায়ত্ব বর্তায় কারন বিষয়টি আপনাদের সৃষ্ট এবং এর কন্ট্রলের দায়ত্বও আপনাদরে, নুতবা স্কালারগন তাদের ক্ষেত্র হিসাবে ঠিক ঠিক উত্তরগুলো দিয়ে যাচ্ছেন। এবং ব্লগিং জগতে সময়দেয়ার অবকাশ তাদের নেই। এটাই হল চরম বাস্তবতা যা আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক স্কালারকে দেখেই বলছি।
৯ টি মন্তব্য
আরো দেখুন: হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মুলক ব্লগিং কোড়, যারা আরবী বুঝবেন না অনুগ্রহ করে ট্রান্সলেটর ব্যাবহার করুন, কিংবা সার্চ করে লিংকটির ইংরেজী খুঁজে নিন।
http://toufik2081967.maktoobblog.com/1551561/دراسة-من-جامعة-هارفارد-حول-التدوين-الع/
জ্বি জনাব! এই কথাটাই আমি এতদিন ধরে সবাইকে বোঝাতে চেয়েছি। ইসলাম আপনার আমার “মতামতের” variable নয়!! সুন্নাহর মর্যাদা কি বা কতটুকু, তা আপনার আমার মত Tom, Dick and Harry-র মতামতের জন্য ১৪০০ বছর বসে নেই!!!
এখানে আরো কিছু ইনফরমেটিক সাইটের লিংক আছে। পৃষ্ঠার শেষে দেখুন
কিংবা http://arabicos.blogspot.com/
হে আল্লাহ ! উগ্র ও মতান্ধ প্রকৃতির, অসহিষ্ণু ও হামবড়া কিসিমের এবং মুসলিমদের মাঝে হতাশা সৃষ্টিকারীদের অনিষ্ট থেকে সবাইকে বাঁচাও।
হে আল্লাহ ! এই সাইট-টাকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের অন্ধ সমর্থকদের নিরাপদ মৃগয়াক্ষেত্র বানাতে দিওনা। এই সাইট থেকে মুসলিমরা যেন ভাল কিছু শিখতে পারে, অন্ধ দলবাজি কিংবা শেখবাজি (অর্থাত শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ঘরানার শেখদেরকেই একমাত্র নির্ভুল ভাবা)থেকে সবাইকে বিরত রাখ।
হে আল্লাহ ! সুরা লোকমানের এই আয়াতটা যেন আমরা সবাই মনে রাখতে পারি “..আর তোমার কন্ঠস্বর নিচু রেখ। নিঃসন্দেহে সকল আওয়াজের মধ্যে সর্বাপক্ষা কর্কশ হচ্ছে গাধার ডাক” (৩১:১৯)
Ameen.
@বাংলা মৌলভী ,
আস-সালামু আলাইকুম,
আপনার এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। আমরা ব্যান পলিছি তৈরী করছি যেটাতে বিস্তারিত নিয়ম কানুন উল্লেখ থাকবে এই সাইটে লেখা দেয়া সম্বন্ধে ।
আপনাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ রইল।
ওয়াস সালাম
কর্তৃপক্ষ [ পিস ইন ইসলাম ]