“ইক্বরা (বা) পড়” -আল কোরানের আলোকবর্তিকা (১)
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০০৯ (৬:৪৭ অপরাহ্ণ)
মহান আল্লাহর সর্বপ্রথম হুকুম যা হযরত জিব্রীল আঃ এর মাধ্যমে মানবজাতির কাছে অবতীর্ণ হল তা হল ইক্বরা إقرء
এটা এমন একটি হুকুম যা পালন করতে মানুষকে আক্ষরিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা নিতে হয়, নিরক্ষর ও কোন ব্যাবহারিক শিক্ষা, কোন প্রকার প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা যিনি নেন নি, কোরানের ভাষায় وما تخطه بيمينك তোমার হাতের ছোয়ায় লিখনী নয়, দما كنت تدري ما الكتاب و لا الإيمان তুমি জানতে না কিতাব কি বা ঈমান কি, এমনি এক নিরক্ষর লোকের কাছে অবতীর্ণ হল।
তিনি প্রত্যুত্তর করলেন ما أنا بقارئআমি তো পড়তে জানি না পড়ুয়া নই আমি।
(সূত্র আল কোরান সূরা আলাক্ব )
প্রশ্ন: কেন এমনি এক বেদুইনকে উম্মী এবং নিরক্ষর লোককে পড়তে বলা হচ্ছে যার পড়ার ক্ষমতা নেই?
উত্তর: যেহেতু আগে থেকে পড়ুয়া এমন শিক্ষিত লোক কে পড়তে বলা হলে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যেত যে কোরান আগেকার আহলে কিতাবদের শিক্ষকদের প্রনীত তাদের শিখিয়ে দেয়া কোন নুতন ধারণা যা তারা মুহাম্মদ সঃ এর মাধ্যমে রচণা করেছেন কিংবা প্রচার করেছেন। যেমনটি স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন যে, “হে মুহাম্মদ সঃ তুমি তো এর পূর্বে কখনো কিতাব বা ঈমান বলতে কিছু জানতে না” সূরা শুরা, আয়াত:৫২ সুতরাং কোরান আপাতত সকলের দৃষ্টিতেই এমন একখানা কিতাব যা না কোরাইশের বা আরবদের কাছে পরিচিত না পূবর্কার কোন কিতাবধারীদের কাছে পরিচিত, তদুপরি এটা এমন এক মানুষের মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে যিনি আক্ষরিক জ্ঞানে শিক্ষিত নন, লিখতেও জানেন না পড়তেও জানেন না, তাহলে প্রশ্ন এসে যায় কিভাবে এমন একজন লোক এত সাহিত্যপূর্ণ নিপুন ও মহান কিতাব প্রচার করতে পারেন? যার উত্তর স্বাভাবিক ভাবেই বুজা যাবে যে এটা অলৌকিক ঐশ্বী বিষয়এবং মানবীয় বিষয় নয়, যেহেতু সাধারণ ও অসাধারন সকল সাহিত্যিকরাও কোরানের শৈলী-ও সাহিত্যগত বাখ্যায় এটাই পেয়েছেন যে এটা মানবীয় সাহিত্য কর্মের উদ্ধে।
আরবী সাহিত্যের প্রাক ও বতর্মান সকল কবি সাহিত্যিকরা কোরানের অনুপম সাহিত্য নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন, যেমন প্রাচীন আরবী সাহিত্যের কিংবদন্তী ইমরুল কাইস যার কবিতা পবিত্র কা`বা শরীফের গিলাফে খোদাই করে ঝুলিয়ে রাখা হত, তার বোন ইসলামের প্রথমযূগে জীবিত ছিল, আর তখনো কাইসের প্রসিদ্ধ একটি মুআল্লাকা দীর্ঘ কবিতা কাবার গায়ে ঝুলানো, এবং কাইসের চ্যালেঞ্জ কোন কবি সাহিত্যিকরা তখনো গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি, নাযিল হল সূরা হুদ, ইমরুল কাইসের বোনের সম্মুখে কেউ তেলাওয়াত করল وَقِيلَ يَا أَرْضُ ابْلَعِي مَاءَكِ وَيَا سَمَاءُ أَقْلِعِي وَغِيضَ الْمَاءُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ وَاسْتَوَتْ عَلَى الْجُودِيِّ وَقِيلَ بُعْدًا لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ (44) وَنَادَى نُوحٌ رَبَّهُ فَقَالَ رَبِّ إِنَّ ابْنِي مِنْ أَهْلِي وَإِنَّ وَعْدَكَ الْحَقُّ وَأَنْتَ أَحْكَمُ الْحَاكِمِينَ (45)সে চিতকার দিয়ে বল্ল না, আমার ভাইয়ের কবিতা এর তুলনায় একেবারেই তুচ্ছ, সে নিজ হাতে কাবার গিলাফ ছিড়ে ফেলল, ছিন্ন করে ফেলল তার ভাইয়ের রচিত বিখ্যাত মোয়াল্লাকা । (চলবে)
like the story and also learned some new information. also would love if you could also give the meaning next to the Aya`, this way don’t have to cross check for the meaning. Waiting for the continued part.
Do you Trusting to meaning for Verse of Sura Hud ? if” আর বলা হল হে যমীন তোমার উগ্রীত জলরাশিকে গলাধকরণ কর (অভন্তরে প্রবেশ করিয়ে নাও) হে আকাশ! ক্ষ্যান্ত দাও ( বৃষ্টি বন্ধ কর) আর পানি শুকিয়ে ফেলা হল, আর ঘটনার সমাপ্তি করা হল, (এবং নুহ আ:এর নৌকা)জুদি পাহাড়ে অধিষ্ঠিত হল, আর বলা হল জালেম সম্প্রদায় দুর হোক (ধ্বংস হোক) সূরা হুদ, আয়াত: ৪৫।
thanks
এই ব্লগে স্বাগতম , ধন্যবাদ আপনার প্রথম পোস্টের জন্য
[...] -আল কোরানের আলোকবর্তিকা (১) [...]
[...] প্রথম দ্বিতীয় [...]
[...] (কলাম ১) (কলাম ২) এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে পৃথীবিতে যে সকল কিতাবের ব্যাপারে সবচাইতে বেশী গবেষণা, প্রচেষ্টা, বিশ্লেষণ, অধ্যাবসায় ও অনুশীলণ চলেছে তার সর্বশীর্ষ স্থানেই আল-কোরানের অবস্থান । যেহেতু এই কিতাব মানবজাতির প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করে। মানুষ ও তার পারিপারর্শ্বিক এমন কোন বিষয় নেই যার ব্যাপারে আলকোরান আলোকপাত করেনি। আর এ কারনেই অতীত ও বর্তমানের পন্ডিতগন এই কিতাবের আলোকে মানবজাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে অবিরত গবেষণা মুলক রচনা ও অনুশীলন চালিয়ে আসছেন। কোরানা নির্ভর গবেষণা কত বিস্তৃত তা এখানে ক্ষুদ্র পরিসরে বলে শেষ করার সুযোগ নেই। কোন ব্যক্তির পক্ষে সারাটি জীবন ব্যয় করলেও কোরান নির্ভর গবেষণাকৃত লিপিবদ্ধ তাফসীরগুলো পড়ে শেষ করার সামর্থ্যও হবে না । মহান আল্লাহ খুব সংক্ষেপে বিষয়টি এভাবেই ইংঙ্গিত করেছেন: وَلَوْ أَنَّمَا فِي الْأَرْضِ مِن شَجَرَةٍ أَقْلَامٌ وَالْبَحْرُ يَمُدُّهُ مِن بَعْدِهِ سَبْعَةُ أَبْحُرٍ مَّا نَفِدَتْ كَلِمَاتُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ 27পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে, সবই যদি কলম হয় এবং সমুদ্রের সাথেও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও তাঁর বাক্যাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [...]
ভাল লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।