ইসলামী শাসন ব্যাবস্থার স্বরূপ বনাম অন্যান্য শাসন ব্যাবস্থা ।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ শুক্রবার, মে ১৪, ২০১০ (৬:৩৬ অপরাহ্ণ)
আধুনিক রাস্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে বিশদ কোন একাডেমিক্যল লেখা পড়া আমার নেই , কিন্তু ক্যমুনিজম- সেক্যুলারিজম- ডেমোক্রাসি ইত্যাদি নিয়ে বলতে গেলে পৌরনীতি, রাস্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে যথেষ্ট পড়ালেখাও প্রয়োজন মনে করি। কোন বিষয়কে হারাম ফতোয়া দেয়ার আগে তার বাস্তবতা ও খুটিনাটি ঘেটে দেখতে হয়, তাই কোন ইজমকে আপাতত সরাসরিই হারাম বলতে আমি রাজী নই যদিও প্রতিটি সম্পর্কে আবছা ধারনা আছে ।
ইতিমধ্যে অনেকেই islamization of Democracy, গনতন্ত্র থেকে ইসলামী ফায়দা হাসিলের কথা বলেছেন, অনেক বাদানুবাদ ও কয়েকটি পোষ্টও এসেছে এসব ব্যাপারে, কেউ বলছেন গনতন্ত্রই ইসলাম, আবার কেউ বলছেন গনতন্ত্রের মাধ্যমেই ইসলাম কায়েম করবো, আবার কেউ বলছেন না খেলাফতই হলো একমাত্রা ইসলামী ব্যাবস্থা, গনতন্ত্র হারাম … আরো কতো কথা।
আমি মনে করি সব কথার আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিতর্কে জড়াই তার একটি সংঙ্গা নির্নয় করা যাতে সেই সংঙ্গার আলোকে বিষয়টির ব্যাপারে একটি হুকুম নির্ণয় করা যায়। আমি বল্লাম কলা একটি হিন্দুস্তানি ফল, আরেকজন বল্লেন না এটা বাংলাদেশী, আবার আরেকজন বল্লেন না এটা ফিলোপিনো তাইলে কলা নিয়ে জনে জনে কথাই বাড়বে কিন্তু তার বাস্তবতা আলোচনা করা যাবে না।,খামাখাই তর্ক হবে কিন্তু কলা কলাই থাকবে এটা কোন দেশের বিশেষ ফল হবে না। ।
গনতন্ত্র হারাম , স্যক্যুলরেজম হারাম, কম্যুনিজম হারাম এটা হারাম ওটা হারাম তা আমার বলার দরকার নেই, প্রথমে যা করতে হবে তা হলো – গনতন্ত্রের রচয়িতাদের ভাষায় গনতন্ত্রের ব্যাখা কি তা আলোচনা , রাজতন্ত্রের বাস্তবাতা কী তা রাজতন্ত্র নিয়ে বিশদ পরিচিতি ব্যাখা করাই যথেষ্ট। এবার ইসলামের প্রসিদ্ধ স্কলার, মৌলিক সোর্স এবং এজমা কিয়াস এসব ইজম গুলোর ধারা উপধারাকে জায়েজ রেখেছে কিনা তা শরয়ী আলোচনার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কোন দল বা রাষ্ঠ্র যদি “আলা সাবিলিল হেকমাহ” বা প্রয়োজনের খাতিরে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে হারাম কোন ইজম কে পালন করেন সেটা শরীয়তের দলিল নয় বরং الضرورة تبيح المحذورات বা পরিস্থিতির শিকার বলতে হবে।
এবার তাহলে বহুল প্রচলিত ডেমোক্রাসি বা গনতন্ত্র নিয়েই শুরু করা যাক । শুরুতেই একটা কথা বলি: আমার এই আলোচনা সমালোচনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত নয় বরং পৃথীবির বিভিন্ন রাজনৈতিক পলিসি ও শরয়ী হুকমের একটি সাধারণ পর্যালোচনা। এবং এই পর্যালোচনায় আমি শুরুতেই ঐসব লোকদের সহযগীতা কামনা করবো যাদের আধুনিক রাস্ট্র-বিজ্ঞান, সোসোলজি, জিওগ্রাফি, পলিটক্যল হিস্ট্রি এবং পাবলিক এডমিনিস্ট্রাশন নিয়ে পড়ালেখা আছে । আমার রচনার উপাত্ত যোগাড়ে যে কেউ গ্রহনযোগ্য সূত্র কোড করলে তাদেরকেও স্বাগতম জানাবো। (ধারাবাহিক)
আমার ভুল হয়েছে, একটা বানানই যে দু’ভাবে লিখেছেন তা খেয়াল করিনি – আসলে এক লাইনে ৫টি বানান ভুল রয়েছে:
কোন দল বা রাষ্ট্র যদি “আলা সাবিলিল হেকমাহ” বা প্রয়োজনের খাতিরে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে হারাম কোন ইজম কে পালন করেন সেটা শরীয়তের দলিল নয় বরং الضرورة تبيح المحذورات বা পরিস্থিতির শিকার বলতে হবে।
সহমত।
গনতন্ত্র হারাম , স্যক্যুলরেজম হারাম, কম্যুনিজম হারাম এটা হারাম ওটা হারাম তা আমার বলার দরকার নেই, প্রথমে যা করতে হবে তা হলো – গনতন্ত্রের রচয়িতাদের ভাষায় গনতন্ত্রের ব্যাখা কি তা আলোচনা , রাজতন্ত্রের বাস্তবাতা কী তা রাজতন্ত্র নিয়ে বিশদ পরিচিতি ব্যাখা করাই যথেষ্ট। এবার ইসলামের প্রসিদ্ধ স্কলার, মৌলিক সোর্স এবং এজমা কিয়াস এসব ইজম গুলোর ধারা উপধারাকে জায়েজ রেখেছে কিনা তা শরয়ী আলোচনার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সহমত ।
কোন দল বা রাষ্ঠ্র যদি “আলা সাবিলিল হেকমাহ” বা প্রয়োজনের খাতিরে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে হারাম কোন ইজম কে পালন করেন সেটা শরীয়তের দলিল নয় বরং الضرورة تبيح المحذورات বা পরিস্থিতির শিকার বলতে হবে।
সুন্দর বলেছেন ।
কোন দল বা রাষ্ট্র যদি “আলা সাবিলিল হেকমাহ” বা প্রয়োজনের খাতিরে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে হারাম কোন ইজম কে পালন করেন সেটা শরীয়তের দলিল নয় বরং الضرورة تبيح المحذورات বা পরিস্থিতির শিকার বলতে হবে।
হ্যা, হকপন্থী ইসলামী দলগুলোর উপরের সারির নেতাদের সাথে আলাপচারিতায় যা বুঝলাম- গণতন্ত্রকে তারা মানবরচিত কুফুরি মতবাদ হিসাবেই জানেন এবং বিশ্বাসও করেন যে এই পদ্ধতিতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আদৌ সম্ভব নয়। তবে তারা হিকমতের কারনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন-নির্বাচন করছেন পাশাপাশি তাদের মূল লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাচ্ছেন।