লগইন রেজিস্ট্রেশন

ক্রুসেড থেকে শুরু হয়ে আরমাগ্যাডন পর্যন্ত, যে যুদ্ধ চলছে অবিরত।

লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ বুধবার, মে ২৬, ২০১০ (৪:২৫ পূর্বাহ্ণ)

সূত্র:
অনেক আগে আরমাগ্যাডন নিয় লিখেছিলাম, মূল আরবী বইটির অনুবাদ কপি লিখতে গিয়ে আর লেখা হলো না, যখন সার্চ করে বইটির কিছু কড়া সমালোচনা পেলাম । কিন্তু বিষয়টির রিলেটেড একটি ভালো বিষয় দেখলাম হাইলাইট করা হয়েছে ইসলামওয়ে.কমে লিংকে চারটি লেকচার আছে ড.আহমদ বিন ইউসুফ আদ দাইজ এর। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে ওনার পর্যাপ্ত গবেষনা আছে। ড. আমীন ইকবালের লেখা ” আরমাগ্যাডন ওয়ার” ও আহমদ বিন ইউসুফ দায়ীজ এর দৃষ্টিভংগী একই হলেও বর্নণার ভিন্নতা রয়েছে। ড. আমীনের ব্যাখায় কিছু অতিসাম্প্রাতিক বিষয় জড়িত থাকায় এবং অনেক প্রসিদ্ধ ইসলামী স্কলারদের কিছু ক্ষেত্র বিশেষ সমালোচনা থাকায় আমি আহমদ ইউসুফ দায়ীজ সাহেবের লেকচারগুলোকে ক্রুসেড ও আরমাগ্যাডন ওয়ারের বিশ্লেষণে বেছে নিলাম। আরমাগ্যাডন বা অবিসম্ভাবিত তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পটভূমি তৈরীর আগে ক্রুসেড এবং এর ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি। আরমাগ্যাডনকে অনেক সমরবিদরাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হিসেবে দেখছেন, যা মুলত বিগত দুটি বিশ্বযুদ্ধ থেকে একেবারেই ব্যতিক্রম । বিগত জোট বা এলিয়েন্সগুলো ছিল ইহুদী-খৃস্টানদের ইন্টারনাল, কিন্তু এখন পর্থীবির জঘন্যতম জোট ন্যাটোর এলিয়েন্স হলো মুসলিম বিদ্বেষের সূত্র থেকে।

উদ্দেশ্য:
জনৈক ফ্রান্স কুটনৈতিক বলছেন ” ক্যমুনিজম (রাশয়ায় উদ্ভুত) মুলত ইউরোপের অস্তিত্বের প্রধান হুমকী নয়, বরং ইউরোপের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গী ও চেতনার প্রধান শত্রু হলো ইসলাম, তাই আমরা যদি ইসলামকে এখানে ঠেকাতে না পারি তবে আমাদের লালিত সভ্যতা, ও আমাদের অস্তিত্ব ধ্বংষের মুখে পড়বে……”
আরো বলছেন ” আলজেরিয়ায় তারা ইসলাম কায়েম করতে পারলে স্পেনের দিকে দৃষ্টি দিবে যে স্পেন আমরা তাদের কাছথেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলাম।” স্প্যানিস জনৈক সামরীক নেতা।
” ইসলাম মক্কায় বিজয় লাভ করার পরে কাফের সম্প্রাদায় বুঝে গেল এটা এক অপ্রতিরোধ্য আলোক বর্তিকা যা যুলুম অত্যাচারের ঘনঘটাকে মিছমার করে উদ্ভাসিত করবে অন্ধাকারাচ্ছান্ন পৃথীবি, তারপরো নিজের কালেমা লেপন করে যতটুকু যায় কুলষিত করা এই পৃথীবি নামক গোলকে… তাই প্রতিরোধ করা হলো এই আলোক বর্তিকা ……….. প্রতিরোধ. . . ” এডিন বসর- ১৮৬০ আহমাদ দায়ীজের কোটেশন ======(())=======” আমরা অচিরেই কাবাঘরকে ধ্বংষ করবো, মুহাম্মদের লাশকে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করবো, ইসলাম ও মুসলিম বলতে কিছু অবশিষ্ট থাকবে না।” হেন্ডি জরো (সাহলাহউদ্দীন উসমানী আমলের ক্রসেড প্রধান)

এই দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে লড়াই চলছে বহু প্রাচীন আমল থেকে, আরব ও ইসলাম নিবঢ় গাথুঁনীতে নিবব্ধ, ইসলামের প্রচার যত বাড়বে আরব ও কোরাইশের প্রতিপত্তি ততই বিস্তার লাভ করবে, মুছতাশরিক অনেক আরব মুনাফিকের দাবীও এমন ছিল যে- ইসসলাম কোন আসমানী ধর্ম নয় বরং বানু হিশামের সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের একটি মোক্ষম অস্ত্রের নাম হলো ইসলাম। ইসলামের বিস্তৃতির সাথে আরবী ভাষা ও আরবী কালচারের বিস্তারে হিংসাকাতর ছিল আহলে কিতাবের বিশাল অংশ, ইহুদী ও নাসারাদের বিশাল একটি বিভ্রান্ত গোষ্ঠী যাদের প্ররোচনায় তদানিন্তান ইরানে ক্বা সদৃশ ঘর র্নিমিত হলো আর হস্তী বাহীনি নিয়ে ক্বাবা ধ্বংষ করতে এলো আসহাবুলফীল …… ধারাবাহিকতা অনেক দীর্ঘ এবং অসমাপ্ত ….. রং -ঢং- স্টাইল পাল্টে এই যুদ্ধ চলেছে, চলছে এবং চলবেঅবিরত।গত ৩০০বছর ধরে তারা ইহুদীদের যে পীড়ায় জর্জরিত ছিল তা গা সওয়া করে এবার সে পীড়ায় মুসলিম বিশ্বকে আক্রান্ত করতে প্রস্টিনেন্ট, ক্যাথলিক ও ব্যাটপিস্টের আলাদা কনসেপ্টগুলোও জলাঞ্জলি দিল, কেবল ইসলায়েল ও ইহুদীদের স্বার্থেই তারা বহুজাতিক ব্যাটল তৈরি করলো।
দেশ ও জাতি-বর্ন ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভংঙ্গীর ভিন্নতা স্বত্বেও ইউরুপের সকল ইহুদী খৃষ্টান মুসলিম বিদ্বেষে একাট্টা, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকেই তারা মুসলিম বিরোধী মিশনে এলিয়েন্স হতে শুরু করেছে, চরম ঘৃনিত ইহুদী জাতিটিকে নির্বাসন দিয়েছে মুসলিমদের কোলের ভিতর। একদিকে সংষ্কৃতি ও সভ্যতার যুদ্ধ অপরদিকে এর লেশ নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি সমর যুদ্ধ এসবের কিচুটা সংকলিত হয়েছে ড. আহমদ দায়ীজের গবেষনায়, আরবী পড়ুয়া বা আরব কেউ সরাসরি শুনে নিতে পারেন ড.এর লেকচারগুলো, আর সাধারণ পাঠকদের জন্য আমি বয়ানগুলোর আলোকে কয়েকটি কলাম লিখতে সচেষ্ঠ হবো এবং প্রেক্ষিতে আমাদের করনীয় পয়েন্টগুলো সেট করতে সচেষ্ট হবো । ইনশা আল্লাহ وما توفيقي إلا بالله

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৯৪০ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৩.২৫)

২ টি মন্তব্য

  1. সাহসী পোষ্ট।
    পরবর্তী পোষ্টগুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
    وما توفيقي إلا بالله