আলকোরানের আলোকবর্তিকা (২) আল কোরান কেন আরবী ভাষায় নাজিল হল।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ শুক্রবার, অক্টোবর ২৩, ২০০৯ (১০:২৭ পূর্বাহ্ণ)
আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
Verily, We have sent it down as an Arabic Qur’ân in order that you may understand. (সূরা ইউসুফ, আয়াত নং-২)
আলকোরানের ইরশাদ ” আর যারা বিশ্বাস করে তোমার প্রতি যা অবতীর্ন হয়েছ এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ন হয়েছ এ সবের প্রতি, এবং পরকালের প্রতি তারা দৃঢ় ইয়াক্বীন করে” এটা ইমানদারদরে বৈশিষ্ট যে তারা আল কোরানসহ অন্যান সকল ধর্মগ্রন্থকে বিশ্বাস করবে।
সহস্র ভাষার মধ্যে কেন আরবীকে কোরানের ভাষা নির্বাচতি করা হল? ভাষাবিদগনের মতে পৃথীবিতে বর্তমানে দুইহাজারেরও বেশী ভাষা বিদ্যমান এবং আগামীতে তা পাচঁ হাজারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। আর এই সকলভাষায় মানুষ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে, কোন ভাষার ব্যবহার পরিবার -সমাজ ও গ্রাম বা গোস্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ যেমন আমাদের দেশের বিভিন্ন উপজাতির নিজস্ব ভাষা। আবার কোন কোন ভাষা একটি শহর -অঞ্চল এবং কোন বৃহৎ রাস্ট্রের বিশেষ প্রদেশের ভাষা যেমন বাংলা, তামিল, পাঞ্জাবী ইত্যাদি। কোনটি দিয়ে মানুষ তার লেখার কাজ চালায়, কোনটি দিয়ে সে তার দেশের অভন্তরীন কাজ চালায়, যেমন পৃথীবির প্রত্যেক দেশের রাস্ট্রীয় ভাষা, আবার দেখা যায় কোন দেশে একাধিক ভাষায়ও তাদের রাস্ট্রীয় কার্যক্রমে ব্যবহার করে। এসবই মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার অনুগ্রহ এবং এ সকল ভাষাই তার প্রদত্ত একটি নেয়ামত। তিনি ইরশাদ করেন ” তিনি মানুষকে সৃস্টি করেছেন এবং তাকে বর্ণনা করার কৌশল (ভাষা ) শিক্ষা দিয়েছেন, চাই তা লিখার হোক কিংবা বলার হোক কিংবা অন্য কোন মাধ্যম যথা ইশারা ইংগিতে বোবাদের বর্ণনা কার্য সমাধা হয় এমটি হোক, এসকল বর্ণনাশৈলী মহান আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত নেয়ামত । এবং এই পৃথীবিতে একই অবয়বের মানুষের হাজারো রকম ভাষার পার্থক্য এটাও মানুষের নিজের ইচ্ছাধীন কিছু নয় বরং ” তার নিদশর্নাবলীল মধ্যে তোমাদের বর্ণ এবং ভাষার বৈচিত্রও অন্যতম” (আলকোরান)
এবার প্রসংঙ্গে আসা যাক এত শত ভাষার মধ্যে কেন কেবল একটি ভাষাকে ইসলামী শরীয়তের মানদন্ড এবং কোরান শরীফকে কেন কেবল আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করাহল?
১ম কারণ: পৃথীবির এই ভাষা বৈচিত্রের মত মানুষের জীবন নির্দেশনা আলকোরানও যদি বিভিন্ন ভাষায় অবতরণ করা হয় তবে আলকোরানের সংখ্যাও কয়েক হাজারে উন্নীত হবে, এবং স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেক ভাষাতে নামাজ-কালাম পড়া জায়েজ হয়ে যাবে, মানুষ কোন একটি নির্দিষ্ট ভাষাতে তাদের সীমাবদ্ধ রাখবে না, বরং হাজার হাজার ভাষায় আসমানী কিতাব পড়তে থাকবে। একদেশের মানুষ আরেক দেশের কথা শিখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে না, যে হিন্দী কোরান পড়বে সে বাংলা কোরানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করবে না অনুরুপ পৃথীবির এক অঞ্চলের মানুষ অন্য অঞ্চলের ভাষাপ্রতি চাই তা তার প্রতিবেশী অঞ্চল হোক তা শিখতে তার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে না-অন্তত ধর্মীয় কিতাবের দিক থেকে- কেবল মাত্র একটি ভাষাতেই সর্বশেষ আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হওয়ায় মানুষ এখন একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলে একতাবদ্ধ হচ্ছে, বিশ্বের সকল দেশের মুসলমানরা কোরানের কারনে হলেও আরবী ভাষা শিখতে বাধ্য হচ্ছে, তাতে পার্থীব যে উপকারটি অন্তত হচ্ছে তা হল সকল মুসলমানের মধ্যে একটি ভ্রাতৃত্ববোধ-একতাবোধ এবং একটি পরিবারের মত একটি সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি হচ্ছে।
উদহারণ স্বরুপ বলতে হয় একজন জাপানী মুসলিম যখন কোরানের খাতিরে আরবী শিখে সে একজন আফ্রিকার মুসলিম যে কোরানের খাতিরে আরবী শিখছে তার সাথে অনায়াষে তাদের উভয়ের মনোভাব আদান-প্রদান করতে পারে, স্বাভাবিকভাবেই এই চেইন-বা বন্ধনের সুন্দর একটি শৃংখল কেবল একটি ভাষায় তাদের উভয়ের ধর্মগ্রন্ত হওয়ার কারনে তাদের শিখতে হচ্ছ, অথচ এই দুটি মানুষের মধ্যে ভৌগলিক দুরত্ব অনেক বেশী কিন্তু একটি পবিত্র বন্ধনে তাদের দুরত্ব খুবই সন্নিকটে হয়ে যায়। (চলবে)
আমি বিনয়ের সাথে একমত নই। কারন নবী ছিলেন আরবী তার দেশের লোকসকলও আরব আর দ্বিনের প্রচারের জন্য মাতৃ ভাষার প্রয়োজন ছিল। যদি অন্যভাষায় কোরান নাজিল হত তাহলে তার দেশ বাসী সেই কোরানকে গ্রহণ করতনা।
যে জাতির নিকটই নবী প্রেরন করা হয়েছে , তাদের সকলকেই মাতৃভাষায় প্রেরন করা হয়েছে । এটাই বাস্তবসম্মত ।
আর এটাও ঠিক , আরবী ভাষার কিছু আলাদা বৈশিষ্ট আছে । ভাষাবিদরা বলেন পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানের ভাষা হলো আরবী, অনেক কথা খুবই সংক্ষেপে আরবীর মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় , আমাদের নবীজির (সা:) ভাষা আরবী হেতু এটার মর্যাদা বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক, বেহেশতের ভাষাও আরবী ।
কিন্তু কোরান তো কেবল আরবী ভাষীদের কিংবা কোরাইশ এবং হেজাযের জন্য প্রেরিত হয় নি এটা সকল ভাষীলোকদের জন্য আরবীতেই নাজিল হয়েছ, অন্য কোন ভাষাতেও হতে পারতো, কিংবা অন্য কোন জাতি থেকেও নবী প্ররিত হত পারতেন, কিংবা সনাতন পদ্ধতি রহিত না হয়ে প্রত্যেক ভাষা, অঞ্চল এবং জাতির জন্য আলাদা নবী হতে পারতো; এসব না হয়ে সমস্ত দুনীয়ার তাবত জাতি-র্বণ ও ভাষার সকলের জন্যই আল্লাহ একটিমাত্র ভাষায় নাজিল করলেন। এটার কি ক রহস্য হত পার তা নিয়ে বলছিলাম।
বাকি আরবদের কাছে নাযিল হয়েছ বলে আরবীতে হবে তা স্বাভাবিক কথা, কিন্তু অনারবদের জন্য দুর্বোধ্য (আপতদৃষ্টে) আরবী ভাষায় নাযিল হবে এটার যৌক্তকতা আলোচনা সাপেক্ষ। এবার একমত কিনা বলবনে।
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ (7 এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে। And thus We have inspired unto you (O Muhammad SAW) a Qur’ân (in Arabic) that you may warn the Mother of the Towns (Makkah) and all around it. And warn of the Day of Assembling, of which there is no doubt, when a party will be in Paradise (those who believed in Allâh and followed what Allâh’s Messenger SAW brought them) and a party in the blazing Fire (Hell) (those who disbelieved in Allâh and followed not what Allâh’s Messenger SAW brought them)42-7
মৌলভী সাহেব উপরোক্ত আয়াতটির ব্যাখ্যা বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ।
মুহাম্মদ স: কোরাইশের মাঝে অবতীর্ন হয়েছেন, কোরাইশ আরবী বলে তাই কোরান আরবী, এই হল স্বাভাবিক বিষয়;কিন্তু কোরানের যেসব আয়াতে পুরাবিশ্ব জগতের জন্য বিশ্বনবী আখ্যাদেয়া হল সেখানে সকলভাষার মধ্যে আরবীকে প্রধান্য দেয়ো হল। যেমন বলা হয়েছ:ে আলমের সম্মান সাধরণের উপর ততটুকো যতটুকো আমার সম্মান (নবী স:)তোমাদের (সাহাবা)একজন সাধারণ ব্যক্তির উপর” এমনো বলা হয় আরবীর সম্মান অন্যভাষার উপর ততটুকো যতটুকো সম্মান চাদের অন্যান তারকারাজীল উপর।
কেন এই শ্রেস্ঠেত্ব? কেন কোরানের পরীবর্তে কোরানের অর্থ পড়ে দিলে নামাজ হবে না? কোরান বুঝতে আরবী কেন জানতে হব? বিষয়টি বলছিলাম। নতুবা কোরাইশের নবী ফারসী না হয়ে আরবী হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক কথা কিন্ত রোম-ফারেস আর হিন্দ সহ সকল বিশ্বজগতের জন্য আরবী নবী হওয়া … ?
ঐ উক্তিটা নবী করিমের বেলায় প্রযোজ্য আরবী ভাষার বেলায় নয়। আর যে জায়গায় বলা হয়েছে কে আরবী কে আজমী বড় কথা নয় বড় কথা হল কে মুত্তাকী। আর এই মুত্তাকি হবার জন্য আরবীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। যেহেতু রাসুল সাঃ আরবের বাসিন্দা এবং উনার দেশ বাসীও আরব ভাষা ভাষি ছিল তাই কোরাআন আরবীতে নাজিল হয়েছিল। শুধু এর জন্যই আরবী ভাষা সম্মানিত যেমন রাসুলকে ভালবাসার জন্য দাড়ি টুপি খেজুর খাওয়াকে প্রত্যেক মুসলমান ভালো বাসে। ভালবাসা আর শ্রেষ্ঠত্ব কিন্তু এক নয়।
আমার প্রশ্ন ছিল কোরানে রাসুলকে কেন বলা হল-আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এই টার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আপনি তা না দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলেন কেন?
আমি এখনো অপেক্ষায়। ধন্যবাদ।
বাক্কা ও তার চতুর্দিক ধরলে সারা বিশ্ব-জগতই নবী স: এর কর্মক্ষেত্র। ধন্যবাদ
[...] ১) (কলাম ২) এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে পৃথীবিতে যে [...]