আমাদের আত্মসমালোচনার স্টাইল ।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ সোমবার, অগাষ্ট ৩০, ২০১০ (১:৩৫ পূর্বাহ্ণ)
অনেকদিন ব্লগে লেখা হয় না, নানা ব্যস্ততার জন্য আর মনমানসিকতার কারনে বিশেষ কিছু লেখার মজা হারিয়ে ফেলেছি। যারা লিখছেন তাদেরকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন। আজ মনটা খুবই খারাপ হয়ে আছে জনৈক আলেমের আলেম সমাজের সমালোচনা দেখে। লেখাটা আমারব্লগ.কমের ফিচার হওয়া তাজ্জবো হলাম বটে।
এখন মানুষের মধ্যে আলেমদেরকে অবমাননা করা একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়ছে, বিশেষ করে ধর্ম বিমুখ শিক্ষিত শ্রেনীর কাছে এটা রীতিমত একটা স্ট্যান্ডার্ড মুডো-ও বটে, তারমধ্যে আবার ক্ষতস্থানে লবনের ছিটার মতই হয়েছে লেখাটি। অংশ বিশেষ ও একটি মন্তব্য দেখা যাক:
হুযুরদের কথায় ছিলাম । হা আমিও তাদের একজন । কিন্তু তাদের মতো না । মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভাত খাওয়া আর পান চিবুনি ছাড়া যাদের করার কিছু নাই । ভুড়ি বড় করে ঘুম ছাড়া যাদের করার কিছু নাই তারা আবার পর্দা নিয়ে মিছিল করে । যারা নিজেদের মেয়েদেরকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়িয়ে মনে করে আর পড়ানো ঠিক নয় তাদের এই হাস্যকর কাজ আমাকে বড্ড কষ্ট দেয় । আবার অনেকে ইসলামী রাষ্ট্রের চিন্তা করেন । রাজনীতির মাঠে আলেমরা থাকবে এটা আমি চাই । মনে প্রাণে চাই । হুজুগে হলে চাইনা । যে রাজনীতি বুদ্ধিভিত্তিক হবে না । রাসূল সা. এর শান্তির কথায় হবে না । এমন রাজনীতি আমি সাপোর্ট করতে পারি না । মাহমুদুল হাসান দেওবন্দীও রাজনীতি করেছেন । এই আউল ফাউল রাজনীতি করেন নাই । তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন ইসলামী রাষ্ট্রের কারণ তার কাছে দেশ পরিচালনার মতো মেধাদের উপস্থিতি ছিলো। কিন্তু আজ ! ইসলামের নাম নিয়ে যারা নিজেদের পকেট পুরতে ব্যস্ত তাদের আবার ইসলামী রাষ্ট্রের মিছিল করতে দেখলে মিজাজ বিলা হওয়ারই কথা ।
এ অংশটুকু থেকে কতটা নীচু ও হীন মানসিকতা তৈরি হতে একজন সাধারণ মানুষের ?!! মন্তব্যে একজন বল্লেন: নিজেকে এই ব্লগিং আর ইন্টারনেট ইউজার ভেবে কি মনে করেন তা আপনার এই লাইনেই স্পষ্ট হয়ে গেল। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দাওয়াত খায় যে সব হুজুর তাদের দেখে এটা আপনার ইর্ষা হোক আর তাচ্ছিল্য হোক একটা চরম বাস্তবতা কিন্তু আমি নিজে উপলব্ধি করি, আর তা হলো
আমার পরিবারে সবাই মাদ্রাসা শিক্ষিত, প্রথম ভাই আপনার কথার মারজা বনে আছেন, খতীব মানুষ, মুসল্লীদের অনুরোধে অনেক জায়গায় না গিয়ে পারেন না। পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়ান আর বাচ্চাদের কোরান পড়ান, সব দাওয়াতেই যে টিফিন কেরিয়া নিয়ে হাজির হন তা নয়। বরং মানুষের অনুরোধের শেষ মেষই কিছু দাওয়াত তাকে ক্ষেত্র বিশেষ আমাকেও খেতে হয়। আমি মনে করি আপনি যদি কোথাও ইমামতি কিংবা মুয়াজ্জিনিও করতেন তবে এই লাইনটা লিখতে আপনার বিবেকে বাধঁ সাধতো। একজন ইমামের পার্থিব কোন ভাল বেতন নেই, আমি আমার বড় ভাইয়ের দৃষ্টিভংঙ্গি তার যোগ্যতার ব্যাপারে যথেষ্ঠ জানি, জামাতিদের স্ক্রীপ্ট লিখেও মাসে ২০-২৫হাজার টাকার বেতন ও ভাল সাইদীমার্কা মুফাস্সের হওয়া তার কোন ব্যাপার না, কিন্তু আমার কাছে তার এই ছোট শহরে পড়ে থাকার মুল্যায়ন আমি জানি, এ ধরনের হাজারো ইমাম দেশে আছে বলেই কিন্তু এখানে ফিলিপাইন কিংবা স্পেনের মত রাতারাতি খৃস্টান প্রধান ধর্ম হওয়া সম্ভব হয় নি।
আমার দ্বিতীয় ভাইয়ো আপনার আমার মতো মাদ্রাসায় পরা কিন্তু একটু আধুনিক হয়ে এখন দেশের দূত হিসেবে একটা মধ্যপ্রাচ্যের একদেশে কনস্যুলর হিসেবে খেদমত করেন । হয়তো ব্লগে এসে আমার এই কমেন্টও দেখতে পারেন তাই বেশি কিছু বলার সাহস নেই। শুধু এটুকুই বলবো এমন তার দ্বারা পরিবার ও রাস্ট্রের কিছু খেদমত হচ্ছে বৈ, কিন্তু এ ধরনের উচু বেতন আর পদমর্যাদার খেদমতগারদের দেশে অভাব নেই বলেই আমরা বাংলাদশের উন্নত জনগন।!!
অনেক কথাই আপনার লেখা দেখে মনে আসছে কিন্তু খুব দুখ ও ঘৃনার কারনে সব বলা যাচ্ছে না, কারন আমি অনেকটা আবেগপ্রবন, সব ব্যাথা ঝাড়তে গেলে সম্বিত হারিয়ে ফেলে কি লিখি তার ঠিক নেই। শুধু ছোট্ট একটু শুধাই থাকবে।
” ভালোর জন্য, আলেমদের জন্য নসীসহ করা ” আদ্বীনুন নসিহাহ” লি আইয়িম্মাতিহা…. কিন্তু الظلم هو وضع الشيئ في غير محلها এর স্থান এখানে নয়, কারণ আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন কোন মাদ্রাসার মোহতামীম বা কোন মুফতি বা ইমাম মোয়াজ্জিন এসে আপনার এই ব্লগ পড়বে না, যারা আমার মত এই ব্লগ পড়ুয়া আমি আপনি আছি আমরা মাদ্রাসায় পড়ুয়া হলেও আমাদের অবস্থান অনেকটা ما بين العرش و تحت الثري এর মতো । সুতারং উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর সুযোগটা ওরাই গ্রহণ করবে যারা আলেমদেরকে অপদস্থ করেন, হেয় করেন এবং তারাই ইতিমধ্যে আপনার এই ব্লগটাকে খুব ভাল হাতিয়ার মনে করে ফিচারপোস্ট করেছে।
তারপর আরো লিখছেন:
রাজনীতির মাঠে আলেমরা থাকবে এটা আমি চাই । মনে প্রাণে চাই । হুজুগে হলে চাইনা । যে রাজনীতি বুদ্ধিভিত্তিক হবে না । রাসূল সা. এর শান্তির কথায় হবে না । এমন রাজনীতি আমি সাপোর্ট করতে পারি না । মাহমুদুল হাসান দেওবন্দীও রাজনীতি করেছেন । এই আউল ফাউল রাজনীতি করেন নাই । তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন ইসলামী রাষ্ট্রের কারণ তার কাছে দেশ পরিচালনার মতো মেধাদের উপস্থিতি ছিলো। কিন্তু আজ ! ইসলামের নাম নিয়ে যারা নিজেদের পকেট পুরতে ব্যস্ত তাদের আবার ইসলামী রাষ্ট্রের মিছিল করতে দেখলে মিজাজ বিলা হওয়ারই কথা ।
লাহাওল ওলা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, ওনি একচেটিয়া সকল আলেমদের রাজনীতিকে পকেট পরুনোর রাজনীতি ভাবতে পারলেন দেখে বিকার যায়। তাহলে সৈয়দ মাদানীরা তো ভারতের দেওবন্দ আর দেশের হাটাজারী বৈ কিছুই তৈরি করতে পারেনি। মোগলদের আলমগীরি রাস্ট্র তো কায়েম হয় নি, হয়েছে সাহরানপুর আর হাটাজারী লোখনৌতে তাদের উত্তসূরী এই পেটপালা আলেম! আত্ম সমালোচনা ভাল, এটা মুহাসাবা কিন্তু শয়তানদের হাসিতে শরীক হয়ে নয় বরং বুযুর্গের মোরাকাবায় দোস্ত!!
এ বিষয়ে আরো একটি প্রতিবাদ (লিংক)
খুব ভাল লিখেছেন,তবে বাংলা… নামটা পরিবতর্ন করলে ভাল হয়।
@masrur hasan, শুকরিয়া। আপনার নসীহতের জন্য ধন্যবাদ। বদল করে নিলাম।