লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১০ (১০:০৯ অপরাহ্ণ)
ঈদের দিন আমাদের মুসলিম জীবনে অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ আনন্দের দিন। পুরো রমজানের প্রতিদান দিবস। এ দিনের আনন্দদ যেন বিরাজ করে সারাটি বছর এই কামনায় ঈদ সাঈদ।
আল্লাহ তালা বলেন: ” (وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ) (البقرة الآية: 185). “তোমরা গননা পূর্ণ করো, এবং আল্লাহর দেখানো হেদায়াত অনুযায়ী তার বড়ত্ব প্রকাশ করবে এবং তার শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে।” বাক্বারা ১৮৫।
এখানে আল্লাহু আকবার বা তাকবীর পড়ার কথা এসেছে।
ঈদের দিনের কিছু করনীয় ও বর্জনীয় আলোচনা করবো:
* করনীয়: ঈদের দিনে খুব ভোরে জাগ্রাত হওয়া।
* গোসল করা ।
* নুতন বা ভাল কাপড় পরা।
* মিস্টি খাওয়া।
আনাস রযি থেকে বর্ণিত তিনটি, পাচটি, সাতটি এভাবে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খাওয়া সুন্নত।
* সুগন্ধি ব্যাবহার করা।
* সাদকায়ে ফিত্বর (বাংলাদেশের জন্য ৫০টকা বা তারচাইতে বেশি যে কোন পরিমান) আদায় করা ওয়াজ্বিব।
* ঈদগাহে নামাজ পড়া।
*এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া অপর রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা।
* তাকবীর বলা ( আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
* আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করা।
বর্জনীয়:
* মেয়েদের সাথে কোলাকুলি করা।
* কেউকে অবজ্ঞা করা।
* গোমরা মুখে ঘরে অবস্থান করে কারো সাথে দেখা সাক্ষাত না করা।
* ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে কোন প্রকার হারামে লিপ্ত হওয়া।
* নামাজ ত্যাগ করা ।
________________________
কতিপয় হাদিসের আলোকে বিশেষ আনন্দময় দিনে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের জীবনপঞ্জী থেকে:
خبر عائشة رضي الله عنها قالت: “دخل علي رسول الله صلى الله عليه وسلم وعندي جاريتان تغنيان بدفين بغناء بُعاث، فاضطجع على الفراش، وتسجّى بثوبه، وحول وجهه إلى الجدار، وجاء أبوبكر فانتهرهما، وقال: مزمارة الشيطان عند النبي صلى الله عليه وسلم، فكشف النبي صلى الله عليه وسلم وجهه وأقبل على أبي بكر وقال: دعهما يا أبا بكر إن لكل قوم عيداً وهذا عيدنا”.
ومن مشاهد السرور بالعيد بين يدي النبي صلى الله عليه وسلم ما فعله الحبشة حين اجتمعوا في المسجد يرقصون بالدرق والحراب، واجتمع معهم الصبيان حتى علت أصواتهم، فسمعهم النبي صلى الله عليه وسلم فنظر إليهم، ثم قال لعائشة: “يا حميراء أتحبين أن تنظري إليهم، قالت: نعم، فأقامها صلى الله عليه وسلم وراءه خدها على خده يسترها، وهي نتظر إليهم، والرسول صلى الله عليه وسلم يغريهم ويشجعهم، ويقول: دونكم يا بني أرفدة، لتعلم يهود أن في ديننا فسحة، إني بعثت بالحنيفية السمحة”.
فهذه مشاهد الفرح بالعيد ومظاهر السرور والبهجة تقام بين يدي النبي صلى الله عليه وسلم فيقرها ويحتفي بها.
” আয়েশা রযি: বর্ণনা করেন: একবার ঈদের দিনে রসূল স: আমার কাছেই ছিলেন দুটি ছোট বালিকা “দাফ”-ঢোলের সাদৃশ্য বাজনা- নিয়ে বুয়াচ (একজাতিয় গান) গাইতেছিল । তিনি বিছানায় শয়ন করলেন এবং কাপঢ় দিয়ে মুখ আবৃত করলেন। এমন সময় আবু বকর (রযি:) এসে বাচ্চাদুটিকে ধমকে দিয়ে বল্লেন ” তোমরা আল্লাহর রসুলের ঘরে বসে শয়তানের বাশি বাজাচ্ছ! তখন রসূল (স:) তার চেহরা বের করে বল্লেন:” আবু বকর তাদেরকে সুযোগ দাও, প্রত্যেক জাতির জন্য ঈদ আছে, এটা আমাদের ঈদের দিন” সূত্র।
দ্বিতীয় বর্ণনার সারকথাও এমন যে একদল সাহাবারা মদীনার মসজিদ প্রাঙ্গনে একত্রিত হয়ে ঈদের দিনে শোরগোল আনন্দ ও খেলায় লিপ্ত হলেন, আর রসূল স: আয়েশা (রযি:) তা উপভোগ করতে সুযোগ করে দিলেন এবং বল্লেন: ” হে বানু আরফিদা! তোমরা আনন্দ করো, আর ঈহুদীরা বুঝে নেক আমাদের ধর্মে প্রশস্থতা রয়েছে।”
সুতরাং ঈদের দিনের জন্য কিছু আনন্দ সবার সাথে শেয়ার করুন। ।
ঈদ মোবারক।