ইসলামী ফাউন্ডেশন ইমামদের ইসলামী বেলে ড্যান্স শিখাচ্ছে! ধর্মীয় সর্বোচ্চ সরকারী সংস্থায় ধর্ম তামাশার কৈফিয়্যত কে দিবে?
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ সোমবার, নভেম্বর ২৯, ২০১০ (৩:০৭ অপরাহ্ণ)
খবরে প্রকাশ : বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইমাম প্রশিক্ষন ট্রেনিংয়ের সমাপ্তিতে ইসলামী কালচারাল শোর নামে পশ্চীমা নাসারা তরুণ- তরুণীদের দ্বারা বেলে ড্যান্সের আয়োজন হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির নির্দেশে। যথারীতি প্রায় দৈনিকগুলো আজ এই গর্হিত বিষয়টি নিয়ে দেশের আলেম ও ইসলাম প্রিয় ব্যক্তিদের প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে।
কোন ধরনের মনমানসিকতার ও ইসলামী মূল্যবোধের লোককে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি নিয়োগ করতে হয় সেই বেসিক জ্ঞানটুকো বহুদলীয় জোট সরকারের নেই বলেই প্রমান করলো এই অবমাননকর হাস্যকর ও ইসলামের সাথে খেলতামাশা তুল্য ঘটনা।
আরো বিব্রতকর বিষয় হলো সরকার যথারীতি এ নিয়ে এ পর্যন্ত কোনরুপ অনুশোচনা বা নিন্দনীয় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে, সাধারণ ধর্মপ্রান মুসলিমদের কাছে ক্ষমা না চেয়ে যথাতরীতি বধির হয়ে বসে আছে।
জাতীয় মসজিদের খতীব সাহেব ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকায় (মিডিয়া ও একাধিক ধর্মপ্রান সচেতন গর্ভনসের প্রতিবাদের পরেও ) এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অপারগ বলে জানিয়েছেন।!!
গান বাজনার হারাম হওয়ার ও এর ভয়াবহতার বিষয়টি কোরান সুন্নাহের আলোকে একেবারেই পরিষ্কার। অতি সাধারণ বিবেকবোধ থেকেও মানুষ মাত্রেই বুঝতে পারে এ ধরনের অশ্লীলতা কখনোই কোন ধর্মীয় পরিবেশে কাম্য নয়, বরং ধর্ম এসব বেহায়া – বেলেল্লাপনাকে কঠোর ভাবে নিরুৎসাহিত করে।
মহান আল্লাহর ইরশাদ :
إِنَّ اللّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالإِحْسَانِ وَإِيتَاء ذِي الْقُرْبَى يَنْهَى عن الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَالْبَغْيِ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
আল্লাহহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। সূরা নাহল, ৯০।
প্রতি জুমার নামাজে খতীবরা ইসলামের সকল আহকামের সার-সংক্ষেপতুল্য এ আয়াত মুসল্লিদেরকে শুনিয়ে থাকেন। নির্বোধ- ধর্মজ্ঞানশুন্য ডি,জি ও হয়তো সেই খুৎবা শুনে থাকে। কিন্তু তারপরেও খুব সম্ভবত ইউ-এস-এইডের পক্ষ থেকে আগত খৃস্টান তরূণ তরুনীদের নিকট ইসলামের উপস্থাপনার নাম করে, ইসলাম যে বিষয়ের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে এমন একটি কর্দয্যপূর্ন্য অশালীন নাচের অনুষ্ঠান তাও আবার ইসলামের জ্ঞানদানে!র উদ্দেশ্যে পরিবেশন করতে পারে!! ধিক বিবেক ।
এ ঘটনার মুল মোটিভ ভিন্ন: একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেই বুঝে আসবে যেই এমেরিকানরা জিরো পয়েন্টে ইসলামিক কালচারাল সেন্টার বাননোর প্রচন্ড বিরোধীতা করলো ওবমার সরকারকে মুসলমান আখ্যা দিয়ে মধ্যবর্তি নির্বাচন করলো, আল কোরান পুড়ে ফেলার ঘোষণা দিতে পারলো, হাজার হাজার আলেম-মাশায়েখ কে পাকিস্তান-আফগানিস্থান্ আর্ ইরাকে পশুর মতো হত্যা করলো সেই মার্কীনিরা বাংলাদেশে এসে ইসলালামিক ফাউন্ডেশনে আহবানে কি ধরনের ইসলাই বা জানতে চাইবে তা একটু ভাবলেই পরিষ্কার হবে। আর এই ইসলাম বিদ্বেষীদের ক্রীনকরা তাদের অংঙ্গুল নির্দেশে চলা মুনাফিকরা কোন ধরনের্ ইসলাম! ই বা তাদেরকে দেখাবে তা উক্ত ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পেল ।
ঢাকার শেরাটন বা কোন পাচতারকা হোটেলে শো-বীজের কোন ব্যান্ড পার্টির ব্যানারে এমন কোন অনুষ্ঠান হলে তাতে হয়তো আমাদের সাধরণ মানুষের কিছু বলার থাকে না। কিন্তু কল্পনাতীত বিস্ময় সৃষ্টি করলো এই ডিজিটাল সরকারে সরকারের ধর্মীয় পরিচিতি প্রস্তাবনার অনুষ্ঠানে, হাজার হাজার মুসলিম ও আলেম ওলামা ও ইমামদের প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে।
সচতেন বিবেকবোধ ও আপমার ধর্মপ্রান মুসলিমদের পক্ষ হয়ে অবিলম্বে এই ডিজি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রি ও এদের কুশীলব অর্থব মহলের ইসলামীক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মত পবিত্র ও গুরুত্বপনর্ন পদ থেকে বরখাস্তকরণ পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানাই ।
নতুবা অচিরেই এ দেশে ইসলামী মদ-গাজা আর হালাল যৌনকাজের সেন্টার দেখতে হতে পারে ডিজিটাল দেশের নাগরিকদের।তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই ।
আল্লাহ ও নবীর ইরশাদের আলোকে বলা যায়: পাপকাজ যখন চরমে পৌছবে তখন আল্লাহ আজাব ভাল মানুষদেরও তা থেকে দুনিয়তে রেহাই হবে না। তাই আসুন মানবিক ও ধর্মীয় দিক থকে এই ঘৃন্য কাজের প্রতিবাদ জানাই।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বর্তমান ডিজি “শামীম আফজাল” ( নাকি ডাবজল?) মাইজভান্ডারীর কট্টর সমর্থক , এদের থেকে কি আশা করা যায় ?
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বর্তমান ডিজি “শামীম আফজাল” এর এহেন কর্মে তাকে ইহুদী/মোশরেকদের এজেন্ট মনে করা যায় কি? এটা প্রকাশ্যে ইসলামকে নিয়ে তামাশা ছাড়া কিছুই হতে পারে না।তছলিমা নাসরিন ও মুসলমান নাম নিয়ে এরূপ জঘন্য কাজ করছে। বিধর্মীরা (ইসলামের শত্রুরা ) এমন কাজ করার সরাসরি সাহস পায় না বটে কিন্তু তারা এইধরনের নামধারী মুসলমানদের দ্বারা এরূপ জঘন্য কাজ করাচ্ছে। তারা গুন্ডা বদমাসদের ইমাম বানিয়ে তাদের দ্বারা রেপ বা আরও জঘন্য কাজ করিয়ে তাদেরই মেডিয়াতে ফলাও প্রচার করছে দেখলেন তো ‘শয়তান কারা?’
@Mujibur Rahman,
আপনি কি মুক্তমনার ভবঘুরের লেখাটি পড়েছেন ? লেখাট সম্পর্কে আপনার পুরো মত জানতে ইচ্ছা করছে ?