আলকোরানের আলোক বর্তিকা (৫) মুজিযার শাব্দিক ও পরিভাষাগত বিশ্লেষণ ।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ শুক্রবার, ডিসেম্বর ৩, ২০১০ (৯:৪১ অপরাহ্ণ)
মুজিয়ার আভিধানিক ও পারিভাষিক ব্যাখা:
মুজিযা শব্দটি عجز থেকে উদ্ভুদ ।
আভিধানিক ভাবে যার অর্থ :
: কোন বিষয় সম্পাদন করতে সময় ক্ষেপন করা ও তা পরিপূর্ণ করতে অপারগ হওয়া।
: ব্যার্থ হওয়া বা অপারগ হওয়া।
: সফলতা ও সম্পন্ন করনের বিপরীত অর্থ।
ওলামাগন কয়েকটি শর্তযুক্ত বিষয়কে মুজিযা বলে থাকেন: তা সাধারণ স্বভাব বিরুদ্ধ হয়ে থাকে। নবুয়্যতের দাবীকারী ব্যাক্তির নিকট থেকে এমন ঘটনা প্রকাশ পাওয়া যা সাধরণ মানুষ প্রকাশ করতে অক্ষম, ইত্যাদি। ( الراغب الأصفهاني ، المفردات في غريب القرآن ، مادة (عجز) .
মুজামুল ওয়াসীত্ব:
امر خارق للعادة ـ يظهره الله علي يد نبي تأئيدا لنبوته ” স্বভাব বিরুদ্ধ এমন বিষয় যা আল্লাহ নবীদেরকে তাদের দাবীর পক্ষে সহযোগী করে প্রকাশ করেন।”
মুজেযার প্রকারভেদ:
জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী (রহ:) বলেন: ومن المعلوم في التشريع أنّ كلّ رسول كان يحمل بين يديه آية معجزة إلى قومه ، يلقاهم بها متحدّياً ، لتكون هي دليله القطعيّ على أنّه مبعوث من الله سبحانه وتعالى . فالمعجزة هي البرهان الذي يؤيّد الله بها رسوله المبعوث لإثبات مصداقيّة المنهج الذي يحمله . وهي تكون إمّا حسيّة وإمّا عقلية
“জ্ঞাতব্য যে, প্রত্যেক রসূলগনই কোন না কোন মুজিযা বহন করতেন, যার মাধ্যমে তার বিরোধীদের মোকাবিলা করতেন, যাতে ঐ মুজিযাটি তার নিকট আল্লাহ প্রদত্ত রিসালাতের প্রমান বহন করে । অতএব, মুজিযাগুলো নব্যুয় ও রেসালাতের দাবীর সত্যায়ন করতো। এবং এই মুজিযাগুলো হয়তো حسيবা শারিরীকভাবে অনুভব্য হতো, কিংবা عقلية বা বিবেচনা বা বোধগত হতো । ” (لال الدين السيوطي ، الإتقان في علوم القرآن )
(পরবর্তি কলাম পড়তে ক্লিক করুন)
[...] পূর্ব কলাম [...]
[...] (পরবর্তি পোস্ট ) ! রিপোর্ট করুন ! Processing your request, Please wait…. [...]