ইরতেদাদের যৌক্তিক অগ্রহনযোগ্যতা ও বাকস্বাধীনতার বাস্তবতা।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ শুক্রবার, জানুয়ারি ১৪, ২০১১ (১২:৫১ পূর্বাহ্ণ)
ইসলামের প্রতি জঘন্যতম বিপত্তির অন্যতম হলো মুরতাদদের ফাসীঁ প্রদান বা কতল করন। যা কিনা রাস্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বাকস্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপের নামন্তর কিন্তু কিছুটা ভিতরে গিয়ে বিষয়টি দেখা উচিৎ মানবতাবাদীদের । ইতিপূর্বে এ ধরনের হত্যার যৌক্তিকতার ব্যাপারে কথা হয়েছে। এর বিপরীত দিক থেকে ইসলামের মূল লজিক এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে কিংবা পৃথীবির অন্যান সমাজে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার একটি তুলনামুলক আলোচনা করা যাক যাতে এই স্বাধীনতার অধিকার মানুষের পক্ষে অর্জিত হয়।
প্রথমত বাকস্বাধীনতার স্বরুপ বুঝে আসতে হবে:
মনে যা চায় তাই বলতে পারার নাম বাক স্বাধীনতা?
নাকি বাস্তবতার আলোকে যা বলা প্রয়োজন তা বলার নাম বাক স্বাধীনতা?
প্রথম অর্থে যদি কেউ বাকস্বাধীনতাকে ব্যাবহার করে তবে বলতে হবে পাগলের স্বাধীনতা সে চইছে, কিংবা পাগল-বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও স্বাভাবিক মানুষের পার্থক্য নির্নয়ে সে ব্যর্থ। কারন কেবলমাত্র পাগল ব্যক্তির পক্ষেই যা খুশী তা বলা ও করা সম্ভব,একজন সুস্থ মানসিকতার লোকের মনে যা চইবে তাই সে বলতে ও করতে পারে না।
আর এই সহজ সমীকরণের কারনেই ইসলাম কোন মানুষকে ইসলাম গ্রহনের পরে অমুসলিম হওয়াকে অনুমোদন করে না।
বাস্তবতা হলো গড গাইডেড সকল ধর্মগুলোই প্রতিকুল পরিবেশে বেড়ে উঠেছে, শুন্য বা জিরো লেভেল থেকে অগনিত মানুষে তার সংখ্যা পৌছে গেছে আর এই শতসহস্র মানুষের বিবেক-বোধ নিয়ে তাচ্ছিল্য ও হাস্যরস হয়ে দাড়ায় ঐ ধর্মকে ব্যাঙ্গ করার মাধ্যমে, কিংবা না বুঝেও সে নিজের বিশ্বাসের সাথে মিথ্যাচারণ করে নিজেই প্রথমে মুসলমান পরিচয়ে নিজের প্রতি অবিচার করেছে, সাথে বিদ্রুপ করেছে তার বিশ্বাসের যা প্রথমেই প্রকাশ করলে তাকে মুসলিম পরিচয় বহন করতে হতো না। ।
অনুরুপ সর্বশেষ ধর্ম ইসলামের যাত্রাও এক থেকে অগনিত মাত্রায়, একজন মুহম্মদ (স:) থেকে শুরু করে বিশ্বের কতলোকের কাছে এই বিশ্বাস ও আদর্শ গ্রহনযোগ্য হয়েছে তার ইয়াত্বা নেই। ইসলাম এখানে বিশ্বাস করে ও বাকস্বাধীনতার অধিকার, ভাবা ও বলার অধিকার বাস্তবায়ন করে বলেই ধর্মীয় স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে, কারো একত্ববাদ বুঝে না আসলেও তার সাধারণ ও ধর্মীয় নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে বলে। অতএব, ইসলাম বলে না যে “কালেমা না পড়লে কতল করে দাও” বরংচ ইসলাম তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের হুকুম দিয়েছে মুসলিমদের উপর।
দ্বিতীয় কথা হলো নাস্তিক বা মুরতাদ হয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ইসলাম গ্রহন করেছে এমন ব্যক্তির সংখ্যার বিষয় ….
(চলবে)ইনশাআল্লাহ
কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ে পুর্ণিমা চাঁদে মলিনতা আসে না, আর চামচিকার ভৎসনায় সূর্যের কোন ক্ষতি হয়না। যারা ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি করে তাদের হয়ত জ্ঞানের পরিধি অনেক কম নতুবা তাদের মস্তিস্ক বিকৃত। আল মুরতাহিল আপনাকে ধন্যবাদ, চালিয়ে যান।