বিদ্রোহ, অভ্যূত্থান ও গনতান্ত্রিক চর্চায় সৌদি ধর্মীয় ডকট্রিন কতটুকো কাজ করবে? আমাদের সালাফীরা কি বলেন দেখা যাক।
লিখেছেন: ' আল মাহমুদ' @ সোমবার, মার্চ ৭, ২০১১ (৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
সৌদিয়ার মামলাকাহ বা কিংডোমের পোষ্য আলেমগন গতকাল যে যৌথ ফতোয়াটি সরকারি নির্দেশে প্রকাশ করেছেন তার মূল ভাষ্য হলো রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ইসলাম সম্মত নয়, ইতিপূর্বে জামাতীদের ধুয়ে মুসে সাফ সাফ বাংলা লেকচারো দিয়েছিলেন পৌষ্য আলেমদের জনকরা। খুব মনে পড়ে শেখ আব্দুল মতীন সালাফীর লেকচারের কথা যেখানে সাঈদীকে খুব ধুযে মুছে দেয়া হয়েছিল রাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থাপনার সমালোচনা করায়। সে প্রসংঙ্গ থাক এবার কাজের কথায় আসি।
আরব বিশ্বের প্রায় সবকটি রাস্ট্রই রাজতান্ত্রিক, নামের প্রজাতান্ত্রিক দেশ যেমন মিশর-তিউনিস-আলজেরিয়া-ইরাক এগুলোও মুলত অঘোষিত রাজতান্ত্রিক নিয়মে চলে, চলুক তাতেও আপত্তি নেই দেশের মানুষকে মুলো না দিলে রাজা রাজার মতো চলবে প্রজা প্রজার মতো চলবে কারো সমস্যা নেই কিন্তু দেশের মানুষকে যখন খোদ রাজারাই মুলো দেয়, ঠকায়, সম্পত্তি সীজ করে তখন রাজার টনক নাড়াতে প্রজারা গনআন্দোলনের ডাক দিবে এটাই স্বাভাববিক। শরীয়াহ কখনো হালাল সম্পত্তি, নায্য অধিকার ও আমরে বিল মারুফ নেহি আনিল মুনকারের ক্ষেত্রে কেউকে পরোয়া করার কথা স্বীকার করে না, বরংচ প্রসিদ্ধ কথা হলো أفضل الجهاد كلمة الحق عند سلطان جائر স্বৈর শাষকের নিকট সত্য কথা বলাই সর্বোত্তম জিহাদ।
আসাযাক সালাফী ডকট্রিনের কেন্দ্রবিন্দু সৌদি আরব তখা হিজাযভূমের কথা নিয়ে, ডানে বায়ে বিদ্রোহের সয়লাব শুরু হতে দেখে এখানে সালাফী!!রা এখন মানুষকে রাজতান্ত্রিক ঐক্যের জামাতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাকে হারাম ফতোয়া দিলেন কিন্তু তারা কোথায় ঘুমিয়ে ছিলেন যখন লাদেন পরিবারের ট্রিলিয়ন ডলার সীজ করা হলো এমেরিকার নির্দেশে? তারা কোথায় ছিলেন যখন জিহাদীদের কুকুরের মতো মেরে ফেলা হলো আলকায়দা ও সন্ত্রাস বলে? ফতোয়া কি শুধু আমজনতার জন্য? রাজপরিবারের জন্য আর তাদের রব্বুল আরবাব এমেরিকার জন্য ফতোয়া নেই?
ফতোয়াটি আজ এমারত অনলাইনে পড়লাম। আরবীতে পড়ে নিতে পারেন।
শরীয়াহ কখনো হালাল সম্পত্তি, নায্য অধিকার ও আমরে বিল মারুফ নেহি আনিল মুনকারের ক্ষেত্রে কেউকে পরোয়া করার কথা স্বীকার করে না, বরংচ প্রসিদ্ধ কথা হলো أفضل الجهاد كلمة الحق عند سلطان جائر স্বৈর শাষকের নিকট সত্য কথা বলাই সর্বোত্তম জিহাদ।
ব্লগের উনো সালাফীদের মতামত আশা করছিলাম।
@আল মুরতাহিল,আপনি ওহাবি ও সালাফীদের কি এই মাত্র চিনলেন ? ধন্যবাদ লেখার জন্য। উনাদের সম্পর্কে আরো জানতে হলে একানে দেখুন – http://sunnibarta.wordpress.com/
@দেশী৪৩২, ওয়াহাবী বলেন সুন্নী বলেন শিয়া বলেন প্রত্যেকের দৃষ্টিভংঙ্গি আমি তৃতীয় পক্ষথেকে শুনার পক্ষপাতি নই। এতে অপবাদ ও অত্যুক্তির রিস্ক থাকে।
আপনার দেয়া লিঙ্কটির সকল বিশ্বাসে আমি একমত না। এমনকি পিস কর্তৃপক্ষ আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদী (রহ:) এর ব্যাপারে যে নির্দেশনামুলক পোস্ট দিয়েছিলেন তাতেও আমার অবজেকশন আছে কমেন্ট বন্ধ বলে সেখানে কিছু লিখিনি। কারো দৃস্টিভংঙ্গি নিয়ে কথা বলতে তার নিজস্ব স্বীকৃতিকেই আমি অবলম্বন মনে করি, তৃতিয় পক্ষের নয়। আক্বীদাগত দিকথেকে ওয়াহাবীদের সাথে আমার তেমন বিরোধ নেই, এখানে রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বিতর্ক তাতেই থাকতে দিন।