manwithmission এর ব্যান প্রসংগে
লিখেছেন: ' আবু আয়শা' @ বুধবার, এপ্রিল ২৮, ২০১০ (৩:১৪ অপরাহ্ণ)
আসসালামু আলাইকুম,
manwithmission কে কর্তৃপক্ষ তার পোষ্টের পক্ষে ফতোয়া দিতে বলেছেন। কিন্তু, তিনি যেহেতু এখন আর এই ব্লগে লিখার যোগ্যতা রাখেন না, তাই আমি কিছু ফতোয়ার লিন্ক এইখানে দিলাম। অবশ্য কর্তৃপক্ষ যেসব উৎস বলে দিয়েছেন ফতোয়ার জন্য, সেখানে তাবলীগ বা দেওবান্দের বিরুদ্ধে ফতোয়া খোঁজা বেশ বড় রকম অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। নিচে যেসব আলেমের ফতোয়া দেওয়া তাদের কথা অবশ্য কর্তৃপক্ষ বাদ ই দিয়েছেন। শেখ বিন বায (র:) এর ফতোয়া ও নিচের লিন্কগুলোতে আছে। এখন এই ফতোয়াগুলো যদি কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে manwithmission এর আবার লিখতে পারা উচিত এই ব্লগে। আর যদি না হয় তাহলে বোধ হয় আমার ব্যান ও বেশ নিশ্চিত মনে হচ্ছে। এইসব আলেমদের যদি আলেম না ধরা হয়, তবে আমার মনে হয় আপনাদের পছন্দের আলেমদের কে গিয়ে আপনাদের বলা উচিৎ। তারা যেন এই বলে ফতোয়া দেন যে, নিচে উল্লেখিত আলেমদের পিছনে যারা নামায আদায় করেছেন বা জ্ঞান আদায় করে লাভবান হয়েছেন তাদের সব বৃথা হয়ে গেছে। এই ফতোয়া ও দেওয়া উচিৎ যে এই উপমহাদেশের দেওবান্দ ছাড়া পৃথীবির আর কোথাও এই মুহুর্তে সত্যিকার ইসলাম নাই।যেসব আলেম এই উপমহাদেশের মাটিতে বসে দেওবান্দ বা তাবলীগের বিপক্ষে কথা বলেন, তারাও বাতিল। আর যদি তা না হয় তাহলে তাদের মতামত ও এই ব্লগে আসতে দেওয়া উচিত। নয়ত আমার মনে হয় এই সাইট কে www.peaceinislam.com এর পরিবর্তে www.peaceindeoband.com বা www.peaceintableegh.com বলা উচিৎ।
সবশেষে একটা সত্যিকার ঘটনা বলি। বুয়েটের একজন লেকচারার ভাই তাবলীগ জামাআতের সাথে জড়িত। তাকে আর এক মুসলিম ভাই জিজ্ঞেস করলেন,আচ্ছা এই যে প্রতিবছর ইজতেমার জন্য উত্তরাবাসী সহ মুসল্লীদের এত কষ্ট হয়,এতে ত কোন লাভ হচ্ছেনা,লোকজন ত আখেরী মোনাজাত ছাড়া বাকি সময় কোন কথা থেকেই উপকৃত হয়না। ” তখন সে মুসলিম ভাই (বুয়েটের লেকচারার) বললেন,” তাবলীগের উচ্চ পর্যায়ে অনেকবার সিদ্ধান্ত হয়েছে ইজতেমা বন্ধ করার, কিন্তু যখনি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখনি তারা স্বপ্ন দেখা শুরু করেন যে, নবীজি (সা:) ইজতেমার প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন” আমি আর এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাইনা। কেননা উত্তর কি আসবে তাও জানা আছে আমার। দেখতেই পারে স্বপ্ন। সেই হিসেবে গত বছর মঈন ইউ আহমেদের প্রকাশিত জীবনীতে তার নবীজি (সা:) কে দেখার দাবী ও ফেলে দেওয়া যায়না। দয়া করে ফতোয়া গুলো নিজেরা পড়বেন কষ্ট করে আর অন্যদের পড়ার সুযোগ দিবেন।
http://www.fatwa-online.com/fataawa/creed/deviants/0010326_1.htm
http://www.fatwa-online.com/fataawa/creed/deviants/0051111.htm
http://www.fatwa-online.com/fataawa/creed/deviants/0010326_5.htm
http://www.fatwa-online.com/fataawa/creed/deviants/0010326_7.htm
ফি আমানিল্লাহ।
একটা ব্যস্ত আছি। পরে বিস্তারিত ভাবে পড়ে বিস্তারিত জবাব দিব ইনশাআল্লাহ
১) শেখ বিন বায অভিযোগ করেছেন যে তাবলীগ জামাত অনেক শিরিকী ও বিদয়াতী আকীদা রাখে। এগুলোর কোন বর্ণনা উনি দেননি। মনে হয় আপনারা যে সব অভিযোগ বরাবর করে থাকেন ওগুলোই হবে। বহু বার, বহু জায়গায়, বহু জনে এর যথার্থ উত্তর দিয়েছেন। এরপরও আপনারা বার বার এনিয়ে পানি ঘোলা করছেন। শেখ বিন বায সম্পর্কে ভাল ধারণা রেখেই বলছি, আমার মনে হয় উনি তাবলীগ জামাত কে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি। হতে পারে কারও কাছথেকে শুনে শুনে উনার এই সব আইডিয়া হয়েছে অথবা তাবলীগের কোন সাথীর আচরণে উনার এই ধারণা হয়েছে। ব্যক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান কে দোষারোপ করা ঠিক নয়।
২) এটা উথাইমিন নামে এক আলেমের। আমি উনার নাম কিছু দিন হয় শুনেছি। অভিযোগটা করেছেন যে তাবলীগ যারা করেন তারা নাকি ইলম শেখা জরুরী মনে করে না, এবং বলে থাকে সাহাবাহরা নাকি ইলম শিখতেন না। অভিযোগটাই মিথ্যা। সারা পৃথিবীতে যত কওমী মাদ্রাসা আছে তার ৬০-৭০ ভাগ ছাত্র হল তাবলীগ অয়ালাদের সন্তান। যারা তাবলীগ করেন তারাও নিজেদের ব্যস্ততা মাঝে যথেষ্ট কিতাবাদী পড়ে থাকেন।
৩) এটা আলবানীর। চরম বিতর্কিত আলেম। মাওলানা আব্দুল মালেক হুযুর উনার হাদীস নিয়ে গবেষণার অসংগতির ব্যাপারে সিরিজ লিখেছিলেন। যার উত্তর এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। উনিও যেসব অভিযোগ করেছেন তা ঠিক নয়।
৪) এই আলেমকেও আমি চিনিনা। পুরাটা পড়তে পারিনি। ইংরেজি পড়তে খুব একটা সস্তি বোধ করিনা। খুব সম্ভব অভিযোগটা এই ছিল, কম ইলম নিয়ে বা ইলম না থাকলে দাওয়াত দেয়া বৈধ কিনা? এ ব্যাপারেও যথেষ্ট আলোচনা আছে। কুল হাজিহি সাবিলি আদঊ’ ইলাল্লহ এই আয়াতের ব্যাখ্যা পড়বেন দয়া করে।
সালাম
আরেকটা কথা না বলে পারছি না। আপনি যে বূয়েটের লেকচারারের স্বপ্নের কথা বললেন ওটা একদম বিশ্বাস করতে পারিনি। এই জাতীয় স্বপনের কথা আপনারা পান কোথায়? আমি কখনও এই জাতীয় স্বপ্নের কথা যারা তাবলীগ করেন তাদের কাউকে এখন পর্যন্ত বলতে শুনিনি। এই সব স্বপ্নের কথা আপনারা যারা অভিযোগ করেন তাদের মুখেই শুনা যায়। যদি শুনে থাকেনও (আমি নিশ্চিত নই আপনি সত্যিই কারও কাছে শুনেছেন নাকি কাল্পনিক কোন বুয়েট শিক্ষকের কাছে শুনেছেন) বিশ্বাস করতে গেলেন কেন? আমিতো বিশ্বাস করিনি। আমি নিশ্চিত যারা তাবলীগের কাজ কে হক জানেন তারা কোন দিনও এই সব স্বপ্ন বিশ্বাস করবে না।
আসসালামু আলাইকুম, ভাই ভালই বলেছেন। একজন গ্র্যান্ড মুফতি লোকমুখে শুনে শুনে এই ফতোয়া দিয়েছেন। আমি ত বলেছি, আপনাদের কে ফতোয়া নিয়ে আসতে যে এরা বাতিলপন্থী। মেরিনারের পোষ্ট (তবলীগ জামাতের আক্বীদাহ্ ও মানহাজ – ২)টাতে গিয়ে কিছু লিখে আসুন না একটু পড়ি। আর কূপের মধ্যে যে বসে আছেন তা শেখ উসাইমিন কে উথাইমিন বলা থেকেই টের পাওয়া যায়। আমি নিজেও যে খুব আরবী জানি তা নয়। কিন্তু হালকা আরবী নিয়ে পড়াশোনা করলেই অন্তত এদ্দুর জানার কথা যে উচ্চারণ টা উসাইমিন হবে । কথা শেষে একটা জায়গাতে এসেই দাড়ায়। কূপের মধ্যে বসে থেকে সারা জীবন এই উপমহাদেশকেই ইসলামের একমাত্র চর্চাস্থল ধরে নিয়েছেন। নামটা ভুল উচ্চারন করলেও অন্তত শেখ উসাইমিন কে চিনতেন। উর্দূ আর ফারসি থেকেই আপনাদের ইসলাম চর্চা। তাই পৃথীবির অন্যত্র যে অন্য আলেম থাকতে পারেন তা চিন্তাতেই আসেনা। Shaykh Saalih Ibn Fowzaan এর ব্যাপারেও একি কথা। আপনার অজ্ঞানতার জন্য তাদের জ্ঞান মূল্যহীন হয়ে যায়না। আর স্বপ্নের কথা বলছেন? পুরো ফাযায়েল সিরিজেই স্বপ্নের ছড়াছড়ি-আর আপনি বলেন স্বপ্ন পাই কোথায়? আপনি নিজেই কাকরাইল মসজিদে গিয়ে তাবলীগের মুরুব্বীদের জিজ্ঞেস করেন ইজতেমা নিয়ে।
আর এইব্যাপারে আমি আর কোন মন্তব্য করবনা। কেননা,মন্তব্য করলে এই বিতর্ক চলতেই থাকবে, আপনারা এক পর্যায়ে উপরে উল্লিখিত আলেমদের নিয়ে যা তা লিখবেন।এরপর আমি তার উপর লিখব।এক পর্যায়ে আমার লিখার স্বপক্ষে ফতোয়া চাওয়া হবে এবং কিছু লিখার আগেই আমি ব্যান্ড। আমার স্বপক্ষে আর একজন আসবে সেই ফতোয়া দিতে আর সেও এক দুইদিন পর ব্যান্ড।আর যদি মন্তব্য না করি, তাহলে আপনিই এইখানে লিখবেন, না পেরে সরে পড়েছি।সুতরাং কোন ফায়দা নেই এই খেলাতে।আমি কেবল কর্তৃপক্ষের কাছে ফতোয়াগুলো দিয়েছি।তাদের গ্রহনযোগ্য হলে বিবেচনা করবে,না হয় যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। manwithmission ব্যান্ড থাকবে। সময় খুব মূল্যবান।চলুন,এই কাজে সময় না দিয়ে আমরা দ্বীন শিখার কাজে সময় দেই।একবার এক ইমেইল গ্রুপে দীর্ঘ আলোচনা হচ্ছিল নাস্তিকদের নিয়ে।আলোচনা আর শেষ হয়না।তখন মডারেটর বললেন এই কাজে সময় না দিয়ে বরং রাসুল (সা:) এর কাছে toilet etiquette শিখা লাভজনক হবে। আর কথা বললে হয়ত ঠিকভাবে শেষ করতে পারবোনা।যা বলছি তা হল পছন্দ না হলে মন্তব্য করবেন কিন্তু বিশাল তর্কের অবতারণা করে কোন লাভ নাই।
@আবু আয়শা,আচ্ছা। পরে আলাপ করব ইনশাআল্লহ।
এই পোস্টে কমেন্ট করার কোন ইচ্ছা ছিল না। তারপরও করছি।
১.
কিন্তু, তিনি যেহেতু এখন আর এই ব্লগে লিখার যোগ্যতা রাখেন না, তাই আমি কিছু ফতোয়ার লিন্ক এইখানে দিলাম।
>>> কর্তৃপক্ষ কী উনার মেইল আইডি ও ব্লক/ব্যান করেছেন নাকি?(!!)
২.
Anonymous কে আপনি বলেছেন:
“আর কূপের মধ্যে যে বসে আছেন তা শেখ উসাইমিন কে উথাইমিন বলা থেকেই টের পাওয়া যায়।”
২.১
>>> অন্যদের কূপমন্ডুক ভাবার আগে নিজের খবর নেওয়া উচিত।
শাইখের নাম:
عثيمين
বাংলায় কোন অক্ষর দিয়ে তার নামের সঠিক উচ্চারণ লিখা কি সম্ভব? মোটেই না।
কাজেই ‘উথাইমিন’ ভুল হলে ‘উসাইমিন’ ও ভুল।
ইংরেজিতে লেখা হয় Uthaymeen. সেটাকে ভুল বলেন না কেন? যারা Uthaymeen লিখে তারাও কি কূপমন্ডুক?
২.২
>>> এবার আসুন একটু আপনার পোস্টের দিকে তাকাই:
————————————————————-
manwithmission এর ব্যান প্রসংগে
লিখেছেন: ‘ আবু আয়শা’ @ সোমবার, মে ৩, ২০১০ (৩:১৪ অপরাহ্ণ)
আসসালামু আলাইকুম,
manwithmission কে কর্তৃপক্ষ তার পোষ্টের পক্ষে ফতোয়া দিতে বলেছেন। কিন্তু, তিনি যেহেতু এখন আর এই ব্লগে লিখার যোগ্যতা রাখেন না, তাই আমি কিছু ফতোয়ার লিন্ক এইখানে দিলাম। অবশ্য কর্তৃপক্ষ যেসব উৎস বলে দিয়েছেন ফতোয়ার জন্য, সেখানে তাবলীগ বা দেওবান্দের বিরুদ্ধে ফতোয়া খোঁজা বেশ বড় রকম অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। নিচে যেসব আলেমের ফতোয়া দেওয়া তাদের কথা অবশ্য কর্তৃপক্ষ বাদ ই দিয়েছেন। শেখ বিন বায (র:) এর ফতোয়া ও নিচের লিন্কগুলোতে আছে। এখন এই ফতোয়াগুলো যদি কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে manwithmission এর আবার লিখতে পারা উচিত এই ব্লগে। আর যদি না হয় তাহলে বোধ হয় আমার ব্যান ও বেশ নিশ্চিত মনে হচ্ছে। এইসব আলেমদের যদি আলেম না ধরা হয়, তবে আমার মনে হয় আপনাদের পছন্দের আলেমদের কে গিয়ে আপনাদের বলা উচিৎ। তারা যেন এই বলে ফতোয়া দেন যে, নিচে উল্লেখিত আলেমদের পিছনে যারা নামায আদায় করেছেন বা জ্ঞান আদায় করে লাভবান হয়েছেন তাদের সব বৃথা হয়ে গেছে। এই ফতোয়া ও দেওয়া উচিৎ যে এই উপমহাদেশের দেওবান্দ ছাড়া পৃথীবির আর কোথাও এই মুহুর্তে সত্যিকার ইসলাম নাই।যেসব আলেম এই উপমহাদেশের মাটিতে বসে দেওবান্দ বা তাবলীগের বিপক্ষে কথা বলেন, তারাও বাতিল। আর যদি তা না হয় তাহলে তাদের মতামত ও এই ব্লগে আসতে দেওয়া উচিত। নয়ত আমার মনে হয় এই সাইট কে http://www.peaceinislam.com এর পরিবর্তে http://www.peaceindeoband.com বা http://www.peaceintableegh.com বলা উচিৎ।
————————————-
ভালো করে দেখুন আপনি যার সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছেন তার নাম(নিক)টাও আপনি সঠিকভাবে জানেন না।
আপনি ৩ বার লিখেছেন: manwithmission [man with mission ]
অথচ উনার নিক হচ্ছে: manwithamission [ man with a mission]
এখন আপনার নীতি অনুসারে আমি কি বলতে পারি:
“আবু আয়শা যে কূপের মধ্যে বসে আছেন তা manwithamission কে manwithmission বলা থেকেই টের পাওয়া যায়।”
[আশা করি এই ভুলটা সংশোধন করার সময় সবাইকে জানিয়ে করবেন, নাহলে আমার মন্তব্যটা পরে অবোধগম্য হয়ে যাবে।]
আসসালামু আলাইকুম,
যখন একটি বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় , তখন আর সবার উচিত ব্যাপারটা উপলব্ধি করা এবং মিমাংসার জন্য অগ্রসর হওয়া । আমরা ব্যান করার সময় বলেছি , তাকে সাময়িকভাবে ব্যান করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে ওনার সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করতে আগ্রহী । এর অর্থ যদি সম্ভব হয় ওনার সাথে আলোচনা করে আমরা সেটা সমাধান করে ফেলব।
আমাদের টার্মস ওফ ইউজে আছে আমাদের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কারো অভিযোগ থাকলে আমাদের সাথে সরাসরি ইমেইলে যোগাযোগ করতে হবে , তা না করে আপনি পোস্ট আকারে দিয়েছেন । এই রুল্স ভায়োলেট করার কারনে আপনার পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হোলো ।
ওয়াসসালাম।