ইংরেজি নববর্ষে মুমিন পিতা-মাতার করণীয়
লিখেছেন: ' abu ammar asraf' @ সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২ (১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ)
কয়েকটা বছর ধরে দেখছি ইংরেজি নববর্ষে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের অবাধ অশ্লীলতার ছরাছরি!
সাধারণত যে ছেলেমেয়েগুলোর ছবি নেটে বা পত্রিকাগুলোতে দেখি প্রত্যেকেই বয়সে তরুণ, তরুনরা জীবনে অভিজ্ঞতার কারণেই হোক আর বয়সের প্রভাবেই হোক, অপেক্ষাকৃতভাবে যেকোনো অশ্লীল বিষয়কে সহজেই adopt করে।
কিন্তু আমার প্রশ্ন এই ছেলেমেয়েদের বাবা-মায়েদের কাছে, তারা কি কিছু জানেন না, নাকি জানতে চান না ?
তারা এই কাজগুলোকে খারাপ চোখে দেখতেন তাহলে এই বিশেষ রাতে তাদের সন্তানদেরকে বাইরে বের হতে দিতেন না !
আজ একটা আশংকা আর প্রশ্ন আমার মাথায় ঘুরপাক খায় আমাদের তরুণ প্রজন্মইকি শুধু বিপথগামী নাকি আমাদের বাবা-মায়েদের generation এর একটা অংশও বিপথগামী ?
যদি বাবা-মায়েদের generation এর মধ্যেই সমস্যা থাকে তাহলে নতুন generation এর পরিবর্তন কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে !
কারণ গোড়াতে যদি পানি না যায় তাহলে আগাতে যতই পানি ঢালি না কেন সেই গাছকে কখনো বাচানো যাবে না !
আমাদের পরিবারগুলো আজ যেন দায়ুস (যে তার নিজের পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতার প্রচার করে অথবা অশ্লীলতাকে পশ্রয় দেয়) বাবাদের দিয়ে ভরে গেছে !
আর এই বাবা-মায়েরা যদি সেই কাকের চোখ বন্ধকরে ঘরের টিনের চালের নিচে সাবান লুকানোর মত চোখ বন্ধ করে থাকতে চান,
তাহলে তাদের বলি,
“সেই দিন বেশি দুরে নয় যেদিন আপনার অবস্থা হবে সেই মৃত কাকটির মত যার মরদেহের দুর্গন্ধ সজ্জ করতে না পেরে তার সঙ্গী-সাথী কাকরা তাকে ডাস্টবিনে ফেলে আসে” !
এত গেল পৃথিবীতে সেইসব বাবাদের শাস্তির কথা, আসল শাস্তি ও কঠোর আজাবত রয়েছে দায়ুস বাবার মৃত্যর পর ।
নিজে কিছু বলতে চাই না, সরাসরি রাসুল (সাঃ) এর ভয়ানক শাস্তির একটি হাদিস kote করতে চাই –
“নিশ্চই দায়ুস জান্নাতে প্রবেশ করবে না”
(বুখারী ও মুসলিম)
সুতরাং এইসব দায়ুস বাবাদের প্রতি কিংবা পরিবারের অভিভাবকদের প্রতি একটি আবেদন, আল্লাহ রাসুল (সাঃ) এর উম্মতের গুনাহ-ভুলগুলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (অর্থাত মৃত্যুর ফেরেস্তা বা মালাকুল মৌতকে দেখার আগ পর্যন্ত) ক্ষমা করে দেবেন, তাই আমরা যারা বেচে আছি আমাদের ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ এখনো আছে………….
যদি মৃত্যুর ফেরেশতা একবার চলে আসে আর সময় পাবনা, যেমনটি আল্লাহ ফিরাউনের তাওবাকে কবুল করেন নি !