ধারাবাহিক ফিকহ অধ্যয়ন – ৩ : জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব – ২
লিখেছেন: ' Abu Ibrahim' @ বুধবার, এপ্রিল ২৮, ২০১০ (৩:৫২ অপরাহ্ণ)
بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان
নবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
« مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَطْلُبُ فِيهِ عِلْمًا سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا مِنْ طُرُقِ الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ وَإِنَّ الْعَالِمَ لَيَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِى السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِى الأَرْضِ وَالْحِيتَانُ فِى جَوْفِ الْمَاءِ وَإِنَّ فَضْلَ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ وَإِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الأَنْبِيَاءِ وَإِنَّ الأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا وَرَّثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ »
“যে জ্ঞানের অন্বেষণে কোন পথ চলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথগুলোর একটি পথে পরিচালিত করেন [অথবা, আল্লাহ তার এই জ্ঞানের দ্বারা তার জন্য জান্নাতের একটি পথকে সহজ করে দেন], আর নিশ্চয়ই ফেরেশতাগণ জ্ঞান অন্বেষণকারীর প্রতি সন্তুষ্টির কারণে তাঁদের ডানাগুলো অবনমিত করে দেন, আর নিশ্চয়ই আলেমের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে আসমানসমূহে অবস্থানকারীরা, যমীনে অবস্থানকারীরা এবং পানির অন্তস্থিত মাছেরা এবং নিশ্চয়ই [সাধারণ] ইবাদতকারীর তুলনায় আলেমের মর্যাদা সকল তারার তুলনায় পূর্ণিমার রাত্রিতে পূর্ণচন্দ্রের শ্রেষ্ঠত্বের ন্যায়, আর নিশ্চয়ই আলেমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী, এবং নিশ্চয়ই নবীগণ দীনার কিংবা দিরহামের উত্তরাধিকার দিয়ে যাননি, বরং জ্ঞানের উত্তরাধিকার দিয়ে গিয়েছেন, অতএব যে তা গ্রহণ করল, সে এক বিরাট সৌভাগ্যের অধিকারী হল।”
[আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী এবং অন্যান্য]
নবী মুহাম্মাদের(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) মুখ নিসৃত মর্মস্পর্শী এক চমৎকার হাদীস, নি:সন্দেহে এই হাদীস কিছুটা কালক্ষেপণের দাবী রাখে। এই হাদীস থেকে আমরা বেশ কিছু শিক্ষণীয় বিষয় লাভ করতে পারি, যেমন:
১. কেউ যদি জান্নাতের পথ পেতে চায়, তার উচিত জ্ঞানের পথ চলা।
২. ফেরেশতারা দ্বীনশিক্ষার্থীদের সাথে সংগ দেন এবং অংশগ্রহণ করেন। “আর নিশ্চয়ই ফেরেশতাগণ জ্ঞান অন্বেষণকারীর প্রতি সন্তুষ্টির কারণে তাঁদের ডানাগুলো অবনমিত করে দেন” এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে:
- ফেরেশতাগণ দ্বীনশিক্ষার্থীদের প্রতি বিনয়াবনত হন।
- তাঁরা উড্ডয়ন থামিয়ে দ্বীনশিক্ষার্থীদের আসরে যোগদান করেন।
- তাঁরা দ্বীন শিক্ষার্থীদেরকে সহযোগিতা করেন।
- তাঁরা তাঁদের ডানায় দ্বীনশিক্ষার্থীকে বহন করেন।
৩. সৃষ্টি আলেমের জন্য মাগফিরাতের দুআ করে।
৪. একজন সাধারণ ইবাদতকারীর তুলনায় আলেমের মর্যাদা তারার তুলনায় চাঁদের আলোর মত, কেননা নক্ষত্র উজ্জ্বল হলেও অন্যকে পথ দেখায় না, কিন্তু পূর্ণচন্দ্র নিজেও যেমন আলোকিত, তেমনি অন্যকেও পথ দেখায়।
৫. আলেমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী, অতএব যখন নবীরা থাকবেন না, তখন আলেমগণের নিকট নবীদের কাছে আগত জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া যাবে।
৬. দ্বীনের জ্ঞানের অধিকারী হতে পারা সৌভাগ্যের লক্ষণ।
চলবে ইনশা আল্লাহ…
والله أعلم وصلى الله وسلم على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين
আসসালামু আলাইকুম ভাই, জাজাকাল্লাহ, চমৎকার পোস্ট।
আচ্ছ আপনি আরবী কোন সফটওয়ার দিয়ে বা কিভাবে লিখেন? নাকি আপনার পিসিতেই আরবী অপারেটিং সিস্টেম? চমৎকার আরবী এসেছে দেখেই ভালো লাগল।
পোস্ট সুন্দর হয়েছে!