যে ১০টি কারণে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় বা মুরতাদ হয়ে যায়-
লিখেছেন: ' ABU TASNEEM' @ বুধবার, মে ৯, ২০১২ (৭:১৯ পূর্বাহ্ণ)
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, যে সমস্ত কারণে একজন মুসলমান ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় বা মুরতাদ হয়ে যায় সেগুলো জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হল দশটি। নিন্মে সেগুলো তুলে ধরা হল:
যথাঃ ১) ইবাদতের ক্ষেত্রে শির্ক করা। যেমন: আল্লাহ ছাড়া অন্য ওলী-আওলিয়া, মাযার-দরবার ইত্যাদির কাছে বিপদাপদে সাহায্য চাওয়া বা তাদের ওসীলায় কোন কিছু প্রার্থনা করা, মাযারে মান্নত করা, জিনের উদ্দেশ্যে মুরগী, ছাগল ইত্যাদি জবেহ করা ইত্যাদি।
২) কাফের-মুশরিকদের কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা বা তাদেরকে কাফের-মুশরিক মনে না করা অথবা তাদেরকেও সঠিক পথের অনুসারী মনে করা।
৩) আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে কোন ‘মাধ্যম’ ধরে তার নিকট দু’আ করা বা তার নিকট সুপারিশ প্রার্থনা করা অথবা তার উপর পরকালে নাজাত পাওয়ার ভরসা করা। যেমন, উমুক ওলী একজন ‘কামেল পীর’ তার ওসীলায় চাইলে আল্লাহ আমাকে অবশ্যই দিবেন, অথবা তাঁকে খুশি করতে পারলে আল্লাহ তা’আলা আমার উপর খুশি হয়ে যাবেন ইত্যাদি।
৪) এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আদর্শের চেয়ে অন্য কোন ব্যক্তির মতাদর্শ উত্তম বা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনীত জীবন ব্যবস্থার চেয়ে অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ ভাল। যেমন, কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, ডারউইনের মতবাদ ইত্যাদি ইসলামের চেয়ে ভাল তবে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
৫) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশিত কোন বিষয়কে মনে মনে ঘৃণা করা যদিও সে তা পালন করে। যেমন, কেউ যদি দাঁড়ি, পর্দা ইত্যাদিকে মনে মনে অপছন্দ করে তবে সে মুসলমান থাকবেনা। কারণ, এগুলো ইসলামের আবশ্যপালণীয় নির্দেশ।
৬) ইসলামের কোন বিষয়কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বা হেয় মনে করা।
৭) যাদু করা অথবা যাদু-তাবিজ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মনের মিলন কিংবা বিচ্ছেদ ঘটানো।
৮) মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা।
৯) এ বিশ্বাস করা যে, বিশেষ কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শরীয়ত মেনে চলতে বাধ্য নন।
১০) ইসলামের বিধিবিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে চলা, ইসলাম শিক্ষা না করা এবং ইসলাম অনুযায়ী আমল না করা।
আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদেরকে ইসলাম বিধ্বংশী বিষয়গুলো থেকে হেফাযত করেন। আমীন।
এই বিষয়ে বিস্তারিত লেকচার শুনতে এই অডিও ফাইল তিনটি শুনুন :
১। ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় পার্ট-১
২। ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় পার্ট-২
৩। ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় পার্ট-৩
সুত্র দিলে ভালো হতো
@kawsartex, অডিও লেকচারটি শুনুন সেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টার অডিও লেকচারে দলীল-উদাহরণ সহ আলোচনা করা হয়েছে । অডিও ডাউনলোড করার জন্য > রাইট ক্লিক > সেভ এজ ।
অডিও ডাউনলোড হয় না , ৭ ও ১০ নং বিসতারিত লিখলে ভালো হয়
@kawsartex , আমার দেয়া লিঙ্ক ঠিক আছে । ডাউনলোড করা যাবে । ডাউনলোডের জন্য > রাইট ক্লিক > সেভ এজ । এই সিস্টেম অবলম্বন করুন । ধন্যবাদ ।
এই বিষয়ে ভিডিও লেকচার ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় প্রতিটি মুসলিমের এই বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরী ।
এই লিঙ্কটিও দেখতে পারেন ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় এটি একটি প্রবন্ধ ।
১০) ইসলামের বিধিবিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে চলা, ইসলাম শিক্ষা না করা এবং ইসলাম অনুযায়ী আমল না করা।
তার মানে আপনি বলছেন “ইসলাম অনুযায়ী আমল না করলে” সে মুরতাদ? এখন ধরুন এমন একজন ব্যক্তি যার সমস্ত আকীদা সহীহ কিন্তু সে নামাজ পড়ে না, তাহলে সে মুরতাদ?
যে হাদিস অস্বীকার করে সেও কি মুরতাদ?
৮) মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা।
এখানে মুসলমান বলতে কি বুঝাচ্ছেন? যে কোন মুসলমান? আর সাহায্য মানে কি? একজন মুসলিম উকিল যদি কোন অমুসলমানের মামলায় সাহায্য করে সে কি কাফের?
@Anonymous,ঠিকই বলেছেন। ‘৭১ এর যুদ্ধের সময় বংগবন্ধুসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা অনেক অমুসলমানের সাথে মুসলমান পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ করেন। দেশের ৯৮% মানুষ এই যুদ্ধে বংগবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন দেয়। সমর্থন দেয়নি বামপন্থী সর্বহারা পার্টি, চাকমা আর জামায়াতে ইসলামী। তাহলে কি দেশের ৯৮% মানুষ মুরতাদ অন্য বামপন্থী সর্বহারা পার্টি, চাকমা আর জামায়াতে ইসলামী (যারা পরিষ্কার কুফরী আকীদাগ্রস্থ) এরা মুসলমান?