তাক্বলীদ হালাল , তাক্বলীদ হারাম
লিখেছেন: ' ABU TASNEEM' @ বৃহস্পতিবার, মে ১৭, ২০১২ (৭:২৪ পূর্বাহ্ণ)
আমার আগের পোস্টে এত বড় একটা সুখবর দিলাম ( আপনার জিজ্ঞাসা ??? আসছে ………………………….) তবুও কেউ কোন কমেন্ট করলো না । এমনকি পঠিতও হয়েছে মাত্র আটবার , এখন পর্যন্ত । ভাল হোক / খারাপ হোক কমেন্ট না করলে কোন ব্লগারই লেখায় উৎসাহ পায় না । এটি অবশ্য দ্বীন প্রচারের মঞ্চ । এখানে কমেন্ট বড় কথা নয় । বেশী বার পঠিত হওয়াই বড় কথা । ইসলামের বাণী প্রচারই বড় কথা । আমি মহান আল্লাহ পাকের কাছে আশ্রয় চাই রিয়া থেকে , যেন আমার অন্তরে এই ধারনা বাসা না বাঁধে যে আমি লোকদের থেকে বাহবা পাওয়ার জন্য ইসলাম প্রচার করি । হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী ! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের প্রতি অটল রাখো । আমীন !
যাই হোক , বই পড়তে পড়তে শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহঃ) এর কিছু লেখা আমার খুব ভাল লাগলো । তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বসলাম । বিষয়টি তাক্বলীদ সম্পর্কে – শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই তা অবগত হতে পেরেছেন । তো চলুন মূল আলোচনায় ।
শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) তার হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ গ্রন্থে বলেন , “যে ব্যক্তি কারো তাক্বলীদ করে এ মানসিকতা নিয়ে যে , সে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ব্যতীত অপর কারো কথা মানতে রাজী নয় এবং আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) যা হালাল বা হারাম করেছেন সে কেবল তাই হালাল বা হারাম বলে বিশ্বাস করে । কিন্তু , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কি বলেছেন , তা তার জানা নেই , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বক্তব্য সমূহের মাঝে মতবিরোধপূর্ণ কথাগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের বা তার কথা থেকে অনুসন্ধান করে মাসআলা বের করার পন্থা সম্পর্কেও তার কোন জ্ঞান নেই , এমতাবস্থায় সে যদি কোন হেদায়েতপ্রাপ্ত আলিমের অনুসরণ করে এ ধারণার ভিত্তিতে যে , তিনি যা বলেন তা সঠিক , তিনি রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর কথার বাহ্যিক অর্থ গ্রহণ করেই ফতোয়া দেন এবং তার সুন্নাতের অনুসরণ করেন , তবে তিনি (অনুসরণীয় ব্যক্তি) যদি কখনও তার উক্ত ধারণার বিপরীত কিছু করেন বলে তার নিকট প্রমাণিত হয় , তাহলে সে কোন প্রকার বিতর্ক অথবা যিদ না করে তাৎক্ষণিক ভাবেই সে আলিমের অনুসরণ করা পরিত্যাগ করবে । তাহলে এমন তাক্বলীদকে কেউ কিভাবে অস্বীকার করতে পারে ?
তিনি অতঃপর বলেন , যে নিষ্পাপ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুসরণ আল্লাহ তায়াল আমাদের উপর ফরয করে দিয়েছেন , সে রাসূলের (সাঃ) কোন হাদীস যদি বিশুদ্ধ সনদে আমাদের নিকট পৌঁছায় , আর তা যদি নিজ মাযহাবের ইমামের বিপরীত কিছু প্রমাণ করে , এমতাবস্থায় আমরা যদি তাঁর হাদীসকে পরিত্যাগ করে মুজতাহিদের হাদীস বিরোধী ইজতেহাদ গ্রহণ করি , তাহলে আমাদের চেয়ে অধিক জালিম আর কে হতে পারে ? কেয়ামতের দিন রাব্বুল আলামিনের নিকট আমাদের কি জবাব হবে ?
(সূত্র ঃ শিরক কি এবং কেন , পৃঃ ১৪০)
তাক্বলীদ করার সরল ও সঠিক পন্থা
আমরা যারা সাধারণভাবে কুরআন ও হাদীস অল্প বিস্তর জানি অথবা যারা জানি না , আমরা সকলে অবশ্যই কারো না কারো অনুসরণ বা তাক্বলীদ করবো । তবে যখনই কোন বিষয়ে আমরা অনুসরণীয় মাযহাব বা মনীষীর কোন মতামত কুরআন ও সহীহ হাদীসের বিপরীতে রয়েছে বলে নিজস্ব পড়াশুনা অথবা কারো মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে অবগত হতে পারবো , তখনই সে বিষয়ে সে মাযহাব বা সে মনীষীর মতামতের উপর আমল করা পরিত্যাগ করে কুরআন ও সহীহ হাদীসের দ্বারা যা করা সঠিক বলে প্রমাণিত হয় , তাই করবো । অনুরুপভাবে , যখনই আমাদের নিকট নিজ মাযহাবে প্রচলিত কোন আমলের বিপরীত অপর কোন মাযহাবের আমল এক বা একাধিক অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ হাদীস ও যুক্তির আলোকে আমলের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবার যোগ্য বলে প্রতীয়মান হবে , তখনই আমরা যাবতীয় ধরনের গোঁড়ামী পরিহার করে নিজ মাযহাবের আমল পরিত্যাগ করে সে মাযহাবের আমলকে গ্রহণ করবো ।
(সূত্র ঃ শিরক কি এবং কেন ? পৃঃ ১৩৯)
আশা করি এ লেখার দ্বারা অনেকে তাদের প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন । যাদের প্রশ্নের ধরন অনেকটা এরকম :
আপনারা আহলে হাদীস , সুতরাং আপনারা আলেমদের মানেন কেন ?
এই যে ফরয ওয়াজিব সুন্নাত ভাগ করা হয়েছে এগুলি ভাগের পক্ষে হাদীস থেকে দলীল দেখান ?
ইত্যাদি ………….. ইত্যাদি…………….
এই কথা কি শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ)-এর হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ গ্রন্থের ???
যদি হ্যা হয়, তাহলে কোন অংশে বিস্তারিত লিখবেন।
তিনি অতঃপর বলেন , যে নিষ্পাপ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুসরণ আল্লাহ তায়াল আমাদের উপর ফরয করে দিয়েছেন , সে রাসূলের (সাঃ) কোন হাদীস যদি বিশুদ্ধ সনদে আমাদের নিকট পৌঁছায় , আর তা যদি নিজ মাযহাবের ইমামের বিপরীত কিছু প্রমাণ করে , এমতাবস্থায় আমরা যদি তাঁর হাদীসকে পরিত্যাগ করে মুজতাহিদের হাদীস বিরোধী ইজতেহাদ গ্রহণ করি , তাহলে আমাদের চেয়ে অধিক জালিম আর কে হতে পারে ? কেয়ামতের দিন রাব্বুল আলামিনের নিকট আমাদের কি জবাব হবে ?
(সূত্র ঃ শিরক কি এবং কেন , পৃঃ ১৪০)
@আবদুস সবুর, শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ)-এর হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ গ্রন্থ আমি পড়িনি । আমি লেখাটি যেখান থেকে দিয়েছি তার সূত্র উল্লেখ করেছি ।
@ABU TASNEEM, আপনি বইটি সম্পুর্ণ পড়েননি। শুধু তাই না, যে বই এর থেকে রেফারেন্স দিয়েছেন সে বই এর অনুবাদক যে হয়ত তার নামও জানেন না। তার যোগ্যতা তো আরো পড়ের কথা। এবং সেই লেখক সত্য কি মিথ্যা বলেছে সেটাও কিন্তু আপনি যাচাই করে দেখেননি। আপনার দৃষ্টিতে এটা কি “হালাল তকলীদ, না হারাম তাকলীদ”?
@ম্যালকম এক্স, আমি শিরক কি এবং কেন বইটি সম্পূর্ণ পড়েছি । এবং বইটি সবার পড়া উচিত বলে মনে করি । বইটি শিরকের উপর একটি পি এইচ ডি গবেষণা গ্রন্থ । লেখক মূল আরবী ভাষায় লিখেছেন । এবং নিজেই এর বাংলা অনুবাদ করেছেন । আশা করি বইটি আপনি পড়বেন । আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর সেখানেই পেয়ে যাবেন ।
@ABU TASNEEM, বইটি কোথায় পাওয়া যাবে এবং লেখকের ও অনুবাদকের নাম কি?
তাক্বলীদ সম্পর্কে শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) কি বলেছেন তা রেফারেন্সসহ দেয়া আছে …
http://www.peaceinislam.com/asksumon007/11841/
এবং উলামারা তাক্বলীদ বা মাযহাব সম্পর্কে কি বলেছেন তা এখানে দেয়া আছে …
http://www.peaceinislam.com/asksumon007/12030/
তাক্বলীদ নিয়ে বাড়াবাড়ি যেমন ঠিক নয়, তেমনি কোন আলিমের তাক্বলিদ করা যাবে না, সেই কথাটাও ভুল।
সবাই কোন না কোন আলিম থেকে শিখেন। দেখুন আপনি হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ এর রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে “শিরক কি ও কেন” বই এর তাক্বলীদ করেছেন। অর্থাৎ মূল বই না দেখেই তা বিশ্বাস করেছেন।
এভাবে শরীয়াতের অসংখ্য মাসায়ালার ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহ মুজতাহিদ ইমামদেরকে বিশ্বাস করে। এটাই তাক্বলীদ।
কিন্তু এটাও ঠিক যে, সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হলে, প্রয়োজনে অন্য মুজতাহিদ ইমামের ফতোয়া অনুসরণ করা যাবে কিন্তু কোনভাবেই নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা করে যে কোন একটি হাদিস থেকে ফতোয়া বের করে আমল করা বোকামী হবে। কারণ আমরাতো সব হাদিস, উসুল জানি না।
সবচেয়ে বড় কথা হলোঃ এই মুহুর্তে ফিকহের এই সব মাসয়ালায় মুজতাহিদ ইমামদের যে মতভেদ রয়েছেঃ সেগিলি কি উম্মতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ???
যে কেউ জানে যে, না সেটা না। বরং আমরা ইসলাম থেকে দূরে গিয়ে শিরক, কুফরে লিপ্ত। দ্বীনকে আজ রাট্রীয় ক্ষেত্রে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ ও বড় বিষয়গুলি বাদ দিয়ে ছোট ছোট ইস্যু নিয়ে এখন মাথা ঘামানোর সময় নয়।
সালাম।
@abdullah al Mamun, আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পুর্ণ সহমত।
@abdullah al Mamun,
যাক তাহলে স্বীকার করেছেন যে সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হলে নিজের মাযহাবের ফতোয়া বাদ দিয়ে অন্য মাযহাবের ফতোয়া অনুসরণ করা যাবে । কারণ আমরা আসলে অনুসরণ করতে চাই রাসূল সাঃ এর । কিন্তু আমরা যেহেতু রাসূল সাঃ থেকে অনেক দুরে তাই আমাদের অন্য কারও মাধ্যমে রাসূল সাঃ কে জানতে হয় । ভাই কোন মানুষই ভুলের উর্দ্ধে নয় । এ ক্থা আমরা বিশ্বাস করি কিন্তু যখন আমাদের অনুসরণীয় ইমামের কোন ভুলের কথা আসে আমরা তা মানতে চাই না । আর তখনই তা শিরক এর দিকে চলে যায় । আপনি সুরা আত-তাওবা ৩০-৩৪ আয়াদের ব্যাখ্যা এবং এ ব্যাপারে আদী বিন হাতিম রাঃ কে দেয়া নবী সাঃ এর তাফসীর পড়ে দেখুন । সুতরাং বিষয়টি মোটেই ছোট ইস্যু নয় ।
আর আপনি বললেন “আপনি হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ এর রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে “শিরক কি ও কেন” বই এর তাক্বলীদ করেছেন। অর্থাৎ মূল বই না দেখেই তা বিশ্বাস করেছেন।” এটার নাম কি তাক্বলীদ ? এটার নাম যদি তাক্বলীদ হয় তাহলে আপনি কোন মাধ্যম থেকেই তো জ্ঞান হাসিল করতে পারবেন না । আপনাকে সরাসরি সাহাবী হতে হবে ?
আমি যার গ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দিয়েছি তিন একজন ভাল – আল্লাহভীরু আলিম , এবং তার লেখা দলীলভিত্তিকই পেয়েছি । অবশ্যই আপনি যদি তার কোন ভুল দলীল ভিত্তিক প্রমাণ দিতে পারেন আমি নিজেকে সংশোধন করে নিব – ইনশা-আল্লাহ ।
@ABU TASNEEM,
যাক তাহলে স্বীকার করেছেন যে সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হলে নিজের মাযহাবের ফতোয়া বাদ দিয়ে অন্য মাযহাবের ফতোয়া অনুসরণ করা যাবে ।
হ্যা, সেটা অনুসরন করা যায়, কিন্তু যাদের কোরআন হাদিসের গভীর জ্ঞান নেই, এমন যদু মধু যে কারো কথা অনুসরন করতে হবে সেটা কোথায় পেলেন? মাজহাবের কোনো ফতোয়া যদি পরিবর্তন হয় বা শক্তিশালী দলীল দ্বারা একটি আর একটিকে দুর্বল সাব্যস্হ করে, তাহলে একমাত্র বিজ্ঞ আলেম বা মুজতাহিদ ফিল মাজহাব যারা তারাই পারে এ বিষয়ে ফতোয়া দিতে। আহলে হাদিস, সালাফীর মতো যে কারো কথায় নিজের মাজহাব পরিবর্তন করতে হবে, এমন আশা আপনি করেন কিভাবে? যারা এখন পর্যন্ত অজু, গোসল,হজ্ব, যাকাত এগুলোর মাসআলা বের করতে পারেনি, তাদের এক কথায় মাজহাবের কোনো মাসআলা পরিবর্তন করার কোনো প্রশ্নই আসে না?
আপনার পোস্টের সাথে উপরেরে ছবিটির সামন্জস্য কোথায়? বুঝলাম না?
@ম্যালকম এক্স, পোস্টের বিষয়ের সাথে ছবির সম্পর্ক না থাকলেও ছবির মাধ্যমেও আমি একটি দাওয়াত পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি । যেমন প্রথম ছবিতে যা বলা হয়েছে তা একটা বড় শিকর । যা আমরা অনেকেই না বুঝে আল্লাহকে বাদ দিয়ে আব্দুল কাদের জিলানীকে গাউসুল আযম বলে থাকি । অথচ বুঝি না গাউসুল আযম অর্থ কি ? এরকম আরো অনেক কথাই আমরা বলে থাকি যা বলতে গেলে অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে । শুধু আর একটির কথা বলি । যেমন রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী (দেওবন্দী) কে বলা হয় কুতুবুল আলম । আপনি কি জানেন কুতুবুল আলম অর্থ কি?
দ্বিতীয় ছবিতে যা দেখানো হয়েছে তা আমরা অনেকেই গুরুত্বের সাথে নেই না । অথচ বিষয়টি ফরজ হওয়া আমাদের নামাজকেই বাতিল করে দিচ্ছে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
@ABU TASNEEM, কুতুবুল আলম অর্থ কি?
মনে করুন আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, হঠাৎ একটি ট্রাক এসে ধাক্কা দিবে, এই মুহুর্তে একজন ব্যক্তি আপনাকে সাবধান করাতে আপনি বেচে গেলেন। এখন আপনি যদি বলেন “লোকটির কারণে আমি এ যাত্রায় রক্ষা পেলাম” এবং আপনি এটাও বিশ্বাস করেন আসলে মুল রক্ষা করেছেন “আল্লাহ তাআলা” কিন্তু লোকটির মাধ্যমে। তাহলে কি সেটাও শীরক?
@ম্যালকম এক্স, মানুষ যা বিশ্বাস করে তার কথা এবং কাজের মাধ্যমে তাই প্রকাশ পায় । আর এ কারণেই রাসূল সাঃ অনেক ক্ষেত্রেই সাহাবীদেরকে শিখিয়েছেন এইরকম বোলো না – এরকম বলো । অন্তরে মূল আক্বীদা বিরাজ করলেও এই সমস্ত বিষয় থেকে দুরে থাকাই রাসূল সাঃ এর শিক্ষা । “লোকটির কারণে আমি এ যাত্রায় রক্ষা পেলাম” – এরকম বলা অবশ্যই শিরক হবে , তবে ছোট শিরক । আর ছোট শিরক থেকে সব সময় সতর্ক থাকা সম্ভব হয় না । তাই রাসূল সাঃ ছোট শিরক থেকে সব সময় আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে বলেছেন ।
@ABU TASNEEM,
“লোকটির কারণে আমি এ যাত্রায় রক্ষা পেলাম” – এরকম বলা অবশ্যই শিরক হবে , তবে ছোট শিরক
এর সমর্থনে আপনার কী দলীল আছে?
মেহমানদারীর সুন্নত দুআর অর্থ এরূপ:
“হে আল্লাহ! আপনি তাকে আহার করান যিনি আমাকে আহার করালেন, আপনি তাকে পান করান যিনি আমাকে পান করালেন।”
যিনি আমাকে আহার করালেন……………… এটা শিরক!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“এ ক্থা আমরা বিশ্বাস করি কিন্তু যখন আমাদের অনুসরণীয় ইমামের কোন ভুলের কথা আসে আমরা তা মানতে চাই না ।”
এই ভুল কে কবে বের করল???????????
সাহাবা কেরাম (রাঃ) যুগ হতেই উপশাখা গত মাসআলায় ইখেতলাফ ছিল এবং তা উম্মতের জন্য রহমতস্বরূপ ।
হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হানাফী ফিক্বহীর উৎস, হযরত ইবনে উমর (রাঃ)মালেকী ফিক্বহীর উৎস…….।
কোন মুজতাহিদ এর কাছে সহীহ হাদীস দূর্বল সনদে এসেছে— তিনি তা হতে সহীহ সনদে আগত হাদীসের উপর ফতওয়া দিয়েছেন।
কিন্তু পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আর সমস্ত উম্মত চার ইমামের ফতওয়ার উপর ঐক্যমত হয়েছে- এর প্রমান প্র।য় শ ফিসদ উলামায়ে উম্মত কোন না কোন ফিক্বহী (চার) স্কুলের তাকলীদ করতেন। ইবনে তাইমিয়া (রহ:), ইবনুল ক্বাইয়্যুম (রহ:), ইবনে রজব (রহ:) ও হাম্বলী ফিক্বহী র তাকলীদ করতেন।
১৪৫০ বছর পরে এসে জনাব আলবানী উমুক হাদীসকে যয়ীফ বলে ফতওয়া দিয়েছেন—— মূলত এটাই মুজতাহিদের কাজ। এখন
এটা আপনার স্বাধীনতা যে আপনি খায়রূল কুরূনের মুজতাহিদ এর ব্যাখ্যা তাকলীদ করবেন না হাল জামানার জনাব আলবানী এর ব্যাখ্যা তাকলীদ করবেন। উল্লেখ্য ইবনে তাইমিয়া (রহ:)তিন তালাকের ফতওয়া সকল ফিক্বহী (চার) স্কুলের ফতওয়ার সাথে প্রকারান্তরে কুরআন ও হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক এবং িবন বাজ(রহ:) ও তা স্বীকার করেছেন।
সুতরাং জনাব আলবানী র উসুলের আলোকে ফিক্বহী (চার) স্কুলের তাকলীদকে ভুল না বলে ইজমা ফিক্বহী (চার) স্কুলের তাকলীদ করাই কি আকলের কাজ না?
আর তাকফীরী ফিরকার মত কথায় কথায় শিরক বলা বিপদজনক-কেননা কেউ কাফির না এমন কাউকে কাফির বললে তা নিজের উপর অর্পিত হয়- হযরত উমর(রা:)
উম্মতের এ ক্রান্তিলগ্নে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ফিতনা ও বিচ্ছিন্নতা হতে রক্ষা করেন।
আমীন
@আহমাদ, ভাই এদের কথা আর বইলেন না। পাশের বাড়ীর বিড়াল গর্ভবতী হলেও সেটার মধ্যে এরা শিরকের গন্ধ পায়। কথায় মনে হবে বর্তমান জামানার নবী-রসুল এরাই।