সাহু সিজদার সঠিক পদ্ধতি : সুনান আত-তিরমিযী
লিখেছেন: ' ABU TASNEEM' @ মঙ্গলবার, মে ২৯, ২০১২ (৭:৫২ পূর্বাহ্ণ)
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ । আমার ধারাবাহিক সিজদায়ে সাহু সম্পর্কিত হাদীস সংকলনের আজ তৃতীয় পর্ব – সুনান আত-তিরমিযী । আগের দুটি পর্ব দেখার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন
১ -সাহু সিজদার সঠিক পদ্ধতি : সহীহুল বুখারী
২-সাহু সিজদার সঠিক পদ্ধতি : সহীহ মুসলিম
আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম সিজদায়ে সাহু সম্পর্কিত সুনান আত তিরমিযীর সবগুলো হাদীস । আমার দেয়া হাদীসগুলি চেক করতে চাইলে রাইট ক্লিক >সেভ এজ > সহীহ আত-তিরমিযী প্রথম খন্ড ডাউনলোড করে চেক করতে পারেন । অবশ্য হাদীসের অবনুবাদের ক্ষেত্রে আমি একটু চেঞ্জ করেছি তা হলো বইতে অনুবাদ করা হয়েছে নামায আমি সেগুলোকে করেছি সালাত ।
তাহলে চলুন হাদীসগুলো দেখা যাক । এখানেও আমাদের আমলের সাথে মিলাতে ভুলবেন না যে , যেভাবে আমরা সাহু সিজদা করি তার পক্ষে কোন একটি হাদীসও আছে কিনা । আর যদি না থাকে তাহলে আসুন আমরা অন্য সকল মতবাদ / সহীহ দলীল বিহীন মাযহাবী মতবাদ ছেড়ে সহীহ হাদীসকে আঁকড়ে ধরি ।
অনুচ্ছেদ : ১৭৬ ।। সালাম ফিরানোর পূর্বে সাহু সাজদা করা
হাদীস নং-৩৯১ : আব্দুল্লাহ ইবনু বুহায়না আল আসাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যুহরের সালাতে (দ্বিতীয় রাকাআতে) বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে গেলেন । সালাত শেষ করার পর সালাম ফিরানোর আগে তিনি বসা অবস্থায় তাকবীর সহকারে দুটি সিজদা করলেন । তাঁর সাথের লোকেরাও সিজদা করলো । ভুলে বর্জিত বসার পরিবর্তে এ সিজদা ।
- সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২০৬ , ১২০৭ । বুখারী । মুসলিম ।
এই অনুচ্ছেদে আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে । আবু হুরায়রা ও আব্দুল্লাহ ইবনু সায়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , তারা উভয়েই সালামের পূর্বে সাহু সিজদা করতেন । সনদ সহীহ । সায়িব তিনি ইবনু উমাইর । আবু ঈসা (রহঃ) বলেন : বুহায়নার হাদীসটি হাসান সহীহ ।
কিছু বিদ্যান এই হাদীসের উপর আমল করেন । ইমাম শাফেঈ এই মত পোষণ করেন । তার মতে সকল সাহু সিজদাই সালামের পূর্বে । তিনি আরও বলেন , এই হাদীস অন্যান্য হাদীসের নাসিখ । কেননা এটাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সর্বশেষ আমল । ইমাম আহমাদ ও ইসহাক্ব বলেন , কোন ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় রাকাআতের পর দাড়িয়ে যায় তাহলে ইবনু বুহায়নার হাদীস অনুযায়ী সালামের পূর্বেই সাহু সিজদা করবে । আব্দুল্লাহ ইবনু বুহাইনা তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মালিক । তার মাতার নাম বুহাইনা । ইসহাক্ব ইবনু মানসুর আলী ইবনু আব্দিল্লাহ আল মাদানী হতে এরূপই বর্ণনা করেছেন ।
আবু ঈসা (রহঃ) বলেন , সাহু সিজদা কথন করবে এ ব্যাপারে বিদ্যানদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে । কতক বিদ্যানের মতে সালামের পরে সাহু সিজদা করতে হবে । সুফইয়ান সাওরী ও কুফাবাসীর মত এটাই । কতক বিদ্যানের মতে সালামের পূর্বেই সাহু সিজদা করতে হবে । এটাই অধিকাংশ মদীনাবাসী ফুকাহাদের অভিমত । যেমন – ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ , রাবীয়া এবং অন্যান্য ইমামগণ । শাফেঈরও মত এটাই । আবার কেউ কেউ বলেন , সালাতে যদি অতিরিক্ত করে ফেলে তাহলে , সালামের পরে । আর যদি সালাতে স্বল্পতা থাকে তাহলে সালামের পূর্বে ।
অনুচ্ছেদ : ১৭৭ ।। সালাম ও কথাবার্তা বলার পর সাহু সিজদা করা
হাদীস নং-৩৯২ : আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , একদা নবী (সাঃ) যুহরের সালাত পাঁচ রাকাআত আদায় করলেন । তাকে বলা হলো , সালাত কি বৃদ্ধি করা হয়েছে ? ফলে সালাম ফিরানোর পর তিনি দুটি সিজদা করলেন ।
- সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২০৫ , ১২১১ , ১২১২ , ১২১৮ । বুখারী । মুসলিম ।
- আবু ঈসা (রহঃ) বলেন : হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদীস নং-৩৯৩ : আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , নবী (সাঃ) কথাবার্তা বলার পর সাহু সিজদা করেছেন ।
- সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২১২ ।
এ অনুচ্ছেদে মুআবিয়া , আব্দুল্লাহ ইবনু জাফর , আবু হুরায়রা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে ।
হাদীস নং-৩৯৪ : আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , নবী (সাঃ) ভুলের সিজদা দুটো সালাম ফিরানোর পর করেছেন ।
- সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২১৪ । বুখারী ও মুসলিমে বিস্তারিত ।
আবু ঈসা (রহঃ) বলেন : এ হাদীসটি হাসান সহীহ । এই হাদীসটি আইয়্যুব এবং আরও অনেকে ইবনু সিরীন হতে বর্ণনা করেছেন । ইবনু মাসউদের হাদীসটিও হাসান সহীহ ।
একদল বিদ্যান এই হাদীসের উপর আমল করেছেন । তারা বলেছেন , যদি কোন ব্যক্তি ভুলে যুহরে পাঁচ রাকাআত সালাত আদায় করে ফেলে তবে তার সালাত জায়েয হবে , সে যদি চতুর্থ রাকাতে নাও বসে থাকে , তবে দুটি ভুলের সিজদা করবে । ইমাম শাফেঈ , আহমাদ ও ইসহাক্ব এই কথা বলেছেন । সুফিয়ান সাওরী ও কিছু কুফাবাসী বলেছেন , যদি যুহরের সালাত পাঁচ রাকাআত আদায় করা হয় এবং চতুর্থ রাকাআতে তাশাহহুদের পরিমাণ সময় না বসা হয়ে থাকে তবে এ সালাত ফাসিদ বলে গন্য হবে ।
হাদীস নং-৩৯৫ : ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত : নবী (সাঃ) ইমামতি করলেন এবং সালাতে ভুল করলেন । অতঃপর দুটি সিজদা করলেন তারপর তাশাহুদ পড়লেন এবং সালাম ফিরালেন ।
- বর্ণনাটি শায বা যঈফ । বিস্তারিত দেখুন যঈফ তিরমিযী ।
- (এই হাদীসটিতে সাহু সিজদার পরে তাশাহুদ পড়ার প্রমাণ পাওয়া গেলেও প্রথমে তাশাহুদ পড়ে ডানে সালাম ফিরতে হবে এরকম কিছু নেই । তাই এই যঈফ হাদীসটি দিয়েও আমাদের সমাজে প্রচলিত সাহু সিজদার পদ্ধতির প্রমাণ পাওয়া যায় না ।
- তাছাড়াও হাদীসের সংখ্যার আনুগত্যের উপর যদি সওয়াবের হিসাব করা হয় যে , যদি একটি হাদীসের আনুগত্য করা হয় তবে একটি সওয়াব , দুটি হাদীসের আনুগত্য করা হলে দুটি সওয়াব । এই যুক্তিতেও এই হাদীসের উপর আমল করা যু্ক্তিসঙ্গত নয় । )
অনুচ্ছেদ : ১৭৯ ।। যে ব্যক্তি সালাতে কম অথবা বেশী আদায় করার সন্দেহে পড়ে যায়
হাদীস নং-৩৯৬ : ইয়ায ইবনু হিলাল (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে , তিনি বলেন , আমি আবু সাঈদ (রাঃ) কে প্রশ্ন করলাম , আমাদের কেউ সালাত আদায় করলো কিন্তু তার মনে নেই সে কত রাকাআত আদায় করলো ? তিনি বললেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করে , কিন্তু বলতে পারছে না সে কত রাকাআত আদায় করলো , সে বসা অবস্থায়ই দুটি সিজদা করবে ।
- সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২০৪ । মুসলিম অনুরূপ আরো পূর্ণভাবে ।
এ অনুচ্ছেদে উসমান , ইবনে মাসউদ , আয়েশা , আবু হুরায়রা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে ।আবু ঈসা (রহঃ) বলেন , আবু সাঈদের হাদীসটি হাসান । উল্লেখিত হাদীসটি আবু সাঈদের নিকট হতে অপরাপর সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে । নবী (সাঃ) হতে আরো বর্ণিত আছে , তিনি বলেছেন , যদি তোমাদের কেউ এক বা দুই রাকাআতের মধ্যে দ্বিধায় পড়ে যায় (এক রাকাআত আদায় করেছে না দুই রাকাআত আদায় করেছে) তবে সে এক রাকাআতই হিসেবে ধরবে । যদি সে দুই বা তিন রাকাআতের মধ্যে সন্দেহে পড়ে তবে দুই রাকাআতই হিসেবে ধরবে এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সিজদা করবে । আমাদের সঙ্গীরা এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন । একদল আলিম বলেছেন , কত রাকাআত আদায় করেছে তা ঠিক করতে পারছে না –এ ধরনের সন্দেহে পড়লে আবার সালাত আদায় করবে ।
হাদীস নং-৩৯৭ : আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : তোমাদের কারো সালাতের সময় শাইত্বান উপস্থিত হয়ে তার সালাতের মধ্যে গন্ডগোল সৃষ্টি করে । এমনকি সে (কোন কোন সময়) বলতে পারে না যে , সে কত রাকাআত আদায় করেছে । তোমাদের কেউ এরূপ অবস্থায় পরলে সে যেন বসা অবস্থায়ই দুটি সিজদা করে ।
- সহীহ । সহীহ আবু দাউদ ৯৪৩-৯৪৫ । বুখারী । মুসলিম ।
- আবু ঈসা (রহঃ) বলেন : এ হাদীসটি হাসান সহীহ ।
হাদীস নং-৩৯৮ : আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , তিনি বলেন , আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি : তোমাদের কেউ যখন তার সালাতে ভুল করে তারপর সে বলতে পারছে না সে কি এক রাকাআত আদায় করেছে না দুই রাকাআত আদায় করেছে , এমতাবস্থায় সে এক রাকাআতের উপরই ভিত্তি করবে । সে কি দুই রাকাআত আদায় করেছে নাকি তিন রাকাআত – তা ঠিক করতে না পারলে দুই রাকাআতকেই ভিত্তি ধরবে । সে কি তিন রাকাআত আদায় করেছে না চার রাকাআত – তা ঠিক করতে না পারলে তিন রাকাআতকেই ভিত্তি ধরবে এবং সালাম ফিরানোর আগে দুটি সিজদা করবে ।
- সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২০৯ ।
- আবু ঈসা (রহঃ) বলেন : এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ । আব্দুর রহমান (রাঃ) এর নিকট থেকে অপরাপর সূত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে । যুহরী তার সনদ পরম্পরায় আব্দুর রহমান ইবনে আওফের সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ।
অনুচ্ছেদ : ১৮০ ।। যে ব্যক্তি যুহর বা আসরের দুই রাকাআত আদায় করে সালাম ফিরায়
হাদীস নং-৩৯৯ : আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে , একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুই রাকাআত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন । যুলইয়াদাইন (রাঃ) তাকে বললেন , হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ! সালাত কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে না আপনি ভুলে গেছেন ? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) (লোকদের) প্রশ্ন করলেন : যুলইয়াদাইন কি ঠিক বলছে ? লোকেরা বলল , হ্যাঁ । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উঠে দাঁড়ালেন , বাঁকী দুই রাকাত আদায় করলেন , তারপর সালাম ফিরালেন , তারপর তাকবীর বললেন এবং আগের সিজদার সমান অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সময় সিজদায় থাকলেন , তারপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন । তিনি আবার সিজদায় গিয়ে আগের সিজদার সমান বা তার চেয়ে বেশী সময় সিজদায় কাটালেন ।
- সহীহ । ইবনু মাজাহ ১২১৪ । বুখারী । মুসলিম ।
এ অনুচ্ছেদে ইমরান ইবনু হুসাইন , ইবনু উমার ও যুলইয়াদাইন (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে । আবু ঈসা (রহঃ) বলেন : আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীসকে কেন্দ্র করে বিদ্ব্যানদের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে । কুফাবাসীদের একদল বলেছেন , যদি ভুলে অথবা অজ্ঞতাবশতঃ অথবা যে কোন প্রকারে সালাতের মধ্যে কথা বলা হয় তবে আবার সালাত আদায় করতে হবে । কেননা এ হাদীসটি সালাতের মধ্যে কথাবার্তা হারাম হওয়ার পূর্বেকার । ইমাম শাফেঈ (রঃ) এর মতে উল্লেখিত হাদীসটি সহীহ ।তিনি এ হাদীসের সমর্থক । তিনি বলেছেন , “রোযাদার যদি ভুলক্রমে পানাহার করে ফেলে তবে তাকে এ রোযা আর রাখতে হবে না (কাযা করতে হবে না) । কেননা আল্লাহ তায়ালাই তাকে এ রিযিক দিয়েছেন” রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর এ হাদীসটির তুলনায় পূর্বোল্লিখিত হাদীসটি বেশী সহীহ । তিনি আরও বলেছেন , ফাকীহগণ আবু হুরায়রার (রাঃ) হাদীস অনুযায়ী রোযা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করা এবং ভুলে পানাহার করার মধ্যে পার্থক্য করেছেন ।
আবু হুরায়রার (রাঃ) হাদীস প্রসঙ্গে ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন , সালাত পূর্ণ হয়েছে এই মনে করে যদি ইমাম সালাতের মধ্যে কথা বলে এবং পরে জানতে পারে যে , সালাত এখনও বাঁকী রয়েছে , এ অবস্থায় সে বাঁকী সালাত পূর্ণ করবে (কথা বলায় সালাত বাতিল হয়নি) । সালাত এখনও বাঁকী রয়েছে একথা জেনেও মুক্তাদী যদি কথা বলে তবে তাকে আবার সালাত আদায় করতে হবে । তিনি এ যু্ক্তি প্রদান করেন যে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট ফরজ সালাতে (ওহীর মাধ্যমে) কম বেশী করা হত । এজন্য যুলইয়াদাইনের বিশ্বাস ছিল হয়তো সালাত পূর্ণ হয়েছে । তাই তিনি কথা বলেছেন , কিন্তু আজকাল এরুপ করা চলবে না , কেননা এখন আর সালাতে কম বেশী হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।এজন্য আজকাল আর যুলইয়াদাইনের মত (সালাত কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে?) প্রশ্ন করা চলবে না । ইমাম ইসহাকও এ ব্যাপারে ইমাম আহমাদ (রহঃ) এর সাথে একমত ।
According to the sound view of Hanafis, the prostration of forgetfulness is wajib; according to other sects, it is sunnah. (Ibnul-Humam, Fathul-Qadir, Egypt 1316/1898, I, 355, 374; al-Kasani, Badayiu’s-Sanayi’, Beirut 1394/1974, I,163-179; al-Maydani, al-Lubab, Istanbul n.d., I, 95 et al.; az-Zuhayli, al-Fiqhul-Islami wa Adillatuh, Damascus 1405/1985, I, 87 et al.).
The evidence that Hanafis base their view on is this hadith reported by Abdullah b. Mas’ud (may Allah be pleased with him): ” If anyone of you is doubtful about his prayer, he should follow what he thinks to be correct and complete his prayer accordingly and finish it and do two prostrations of forgetfulness” (Bukhari, Salat, 31; Muslim, Masajid, 88, 89; Abu Dawud, Salat, 190, 191, 193; Nasai, Sahw, 24, 25; Ibn Majah, Iqama, 132, 133; Malik, Muwatta’, Nida, 61-63; Ahmad b. Hanbal, I, 190, 193, 204-206). Abu Said al-Khudri (may Allah be pleased with him) reports the Messenger of Allah saying: “When any one of you is in doubt about his prayer and he does not know how much he has prayed, three or four (rak’ats). He should cast aside his doubt and base his prayer on what he is sure of, then perform two prostrations before giving salutations. If he has prayed five rak’ats, they will make his prayer an even number for him, and if he has prayed exactly four, they will be humiliation for the devil ” (Bukhari, Sahw, 6, 7; Muslim, Salat, 19, 20; Ahmad b. Hanbal, III, 12, 37, 42).
@আহমাদ , আপনার হাদীস দুটো থেকে কি প্রমাণ হয় যে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে ডানে সালাম ফিরিয়ে দুটো সিজদা দিতে হবে । তার পর আবার তাশাহুদ , দরুদ , মাছুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে ।
পারলে এটার পক্ষে সহীহ দলীল দিন ?