বাকীউল গারক্বাদ
লিখেছেন: ' ABU TASNEEM' @ শনিবার, জুন ২, ২০১২ (৬:০২ পূর্বাহ্ণ)
একটা মাজারও চোখে পড়তেছে না এত বড় কবরস্থানে !! না একটা পাকা কবর !! না একটা কবরে চাদর চরানো!! রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীদের মধ্যে আনুমানিক ১০,৫০০ সাহাবী শুয়ে আছেন এই কবরস্থানে!!
খুব সহজ একটি সমীকরণ, দেশটা বাংলাদেশ নয়!! দেশটা সৌদি আরব !! শহরটি মদিনা মনোয়ারা !! বাকিউল গারকাদ!! জান্নাতুল বাকি নামে চিনে আমাদের দেশের মানুষ |
আমাদের দেশের কিছু মানুষ ইদানিং আরবদের থেকেও বেশি বড় মুসলমান হয়েছে !! তারা ভুলে আছে ইসলাম এর উত্পত্তি ঐখান থেকেই এবং ইসলাম ঐখানেই ফিরে যাবে !!
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , নিশ্চয় ঈমান তথা ইসলাম মদীনায় , যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায় । – বুখারী , মুসলিম ।
আমর বিন আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , নিশ্চয় দ্বীন তথা ইসলাম হেজাজে অর্থাৎ মক্কা – মদীনায় ফিরে আসবে , যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায় ।
তো ইসলাম যদি ঐখানেই ফিরে যায় তবে বাংলাদেশে থাকবে কি? কেউ চিন্তা করেছেন ?
সূত্র : ফেসবুক
নিচে ফেসবুক থেকে কিছু কমেন্ট আমি এখানে প্রকাশ করছি………..
দুক্ষিত তাদের জন্য যারা সৌদি আরবের ইসলামের এলার্জিতে আছেন!! সারা জীবন চিল্লায়লেও মক্কা ও মদিনার ইসলাম এর মর্যাদা এতটুকুও কমবেনা। আর তাদের সমতুল্য মর্যাদা হাসিল করাও সহজ হবে না!
সৌদি বাদশা কি করলো না করলো সেটা আমাদের দেখার আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি করলো তাও দেখার প্রয়োজন রয়েছে! আমাদের সৌদি কে গালি দেয়ার আগে নিজের দেশের অবস্থা চিন্তা করে উচিত!! একজন বললেন ফ্রেঞ্জ দাড়ির কথা!! আরে তাও তো তার দাড়ি আছে, আমাদের দেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীরও তো দাড়ি নাই !
ইসলাম পেরকাশিত হয়েছে মক্কা ও মদিনা থেকে আমাদের সেই ইসলাম এর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম যা- ই হবে ইসলাম এর নামে তা হবে বিদাত, যা প্রত্যাক্ষাত।
এখানে সাফাই গাওয়ার জন্য আমরা বসি নাই। ইসলাম এ সৌদির নাগরিক আর বাংলালী লাগরিক এর কোনো ভেদাভেদ নাই। অন্যায় সবার জন্যই সমান! আমাদের দাড়ি ছাড়া (মহিলা বেশী) রাষ্ট্রপতি সন্ত্রাসীর মৃত্যুদন্ড মাফ করে দেন কিন্তু কিন্তু সৌদি ফ্রেঞ্জ দাড়িওয়ালা তা করেন না !!
রাজতন্ত নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন আগে আপনার দেশের গণতন্ত্রের বিহিত করেন!
@ABU TASNEEM, দুক্ষিত তাদের জন্য যারা সৌদি আরবের ইসলামের এলার্জিতে আছেন!! সারা জীবন চিল্লায়লেও মক্কা ও মদিনার ইসলাম এর মর্যাদা এতটুকুও কমবেনা।
বলেলন সৌদির কথা, এরপর বললেন মক্কা মদীনার মর্যাদার কথা। সৌদির সাথে মক্কা-মদীনার সম্পর্ক বুঝলাম না। মক্কা-মদীনার সাথে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়াদা আছে, কিন্তু সৌদির সাথে কি ওয়াদা?
আর তাদের সমতুল্য মর্যাদা হাসিল করাও সহজ হবে না!
কাদের সমান?
খুব সহজ একটি সমীকরণ, দেশটা বাংলাদেশ নয়!! দেশটা সৌদি আরব !! শহরটি মদিনা মনোয়ারা !! বাকিউল গারকাদ!! জান্নাতুল বাকি নামে চিনে আমাদের দেশের মানুষ।
কারণটা মোটেই সৌদি নয়। সৌদি তো এই সেদিন হল। বৃটিশরা মুসলমানদের দেশ দখল করে টুকরা টুকরা করার সাথে সাথে মুসলমানের ঐক্যও ভেঙে টুকরা টুকরো করে। তখনই সৌদির উৎপত্তি। ইতিহাস বলে মক্কা মদীনার হুরমত ও পাকীজি ইসলামের শুরুর থেকেই ছিল। এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইলিং এর উদ্দেশ্য কি? এই সৌদিতে কিন্তু মহা বিদআতী শিয়ারাও আছে। উলামা কেরাম তাদের ব্যপারে একমত যে শিয়ারা কাফের। সৌদির সব মাসজিদ কিন্তু খুবই চাকচিক্যপূর্ণ বিলাশ বহুল। যা ইসলামের শিক্ষার খেলাপ। ইসলামর কি শুধু কবরের জন্য। মাসজিদ বা রাস্তাঘাট, প্রশাসন জীবনের অন্যান্য সেক্টর কি ইসলাম থেকে মুক্ত থাকলে কি সমস্যা নেই?
আমাদের দেশের কিছু মানুষ ইদানিং আরবদের থেকেও বেশি বড় মুসলমান হয়েছে !!
কেন আরবের লোকেরা কি সব সময়ে সব থেকে বড় মুসলমান হবে? সিহাহ সিত্তা নামে পরিচিত কিতাবসমুহের সংকলকদের মধ্যে কারা কারা সৌদির লোক ছিলেন? ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিযী এবং অন্যান্য উনারা (রহি’মাহুমুল্লহ) কোথার লোক? পক্ষান্তরে ইসলামের প্রাথমিক ফিৎনা গুলো যা সর্বপ্রথম মুসলমানদের ঐক্য টুকরা টুকরো করেছে যেমন, রাফেজী, খারেজী, শিয়া, মুতাজিলা, কাদরিয়া ইত্যাদি এই সব ফিৎনার জনকরা কোথার লোক ছিলেন? তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম প্রমুখ রহি’মুাহুমল্লহ উনাদের ইসলামের চেয়ে শিয়া, খারেজী দের ইসলাম ভাল?
ইতিহাস বলে অল্প কিছু সাহাবী (রদিয়াল্লহু আ’নহুম) বাদে প্রায় সব সাহাবীই দাওয়াতের তাকাদা নিয়ে সারা দুনিয়ার প্রান্তে প্রান্তে চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের যারা আওলাদ ছিলেন তারা কি অনারব? বা উনাদের ইমান, আ’মাল কি ঐসব আরবদের চেয়ে কম হবে যারা দ্বীনের তাকাদা বুঝতে না পেরে নিজেদের ঘর বাড়ীতে থেকে গিয়েছিলেন? (অবশ্য যারা মাশওয়ারা সাপেক্ষে থেকে গিয়েছিলেন তাঁদের আমি এই আরবদের বাইরে রাখছি।) আপনি কিভাবে এইসব আরবদের আরবভূমির বাইরের আরব (যারা কালক্রমে অনারব হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন) চেয়ে সব সময়ে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দাবি করলেন?
তারা ভুলে আছে ইসলাম এর উত্পত্তি ঐখান থেকেই এবং ইসলাম ঐখানেই ফিরে যাবে !!
এখানে ইসলাম উদ্দেশ্য, স্থান বা স্থানের মানুষ উদ্দেশ্য নয়। ইসলাম ওখানেই উৎপত্তি এবং ওখানেই ফিরে যাবে, এর অর্থ এই নয় যে এখন যারা আছে তারাই ইসলাম/মুসলিম বাকিরা কুফর/কাফের। আরেক হাদিসে কিন্তু যখন ব্যপক ফিৎনা দেখা দিবে তখন সব মুসলমানদের হারামাইনের হিজরত করার জন্য বলা হয়েছে। হতে পারে হারামাইনের বাইরে থেকে যারা আসবে তারাই ইসলাম সেখানে নিয়ে যাবে। যেমনটা হয়েছিল উৎপত্তির ক্ষত্রে। যাঁরা বাইরে থেকে গিয়েছিলেন তাঁরাই ইসলাম মদীনায় নিয়ে গিয়েছিলেন। হাদিসের শব্দগুলো খেয়াল করুন। ফিরে যাবে। ফিরে যাওয়া তখনই সম্ভব যখন থাকে না। যে থেকে যায় তার জন্য ফিরে আসার প্রশ্ন থাকে না।
তবে পাঠকরা আবার ভুল বুঝবেন না। আমি মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) এর অমর্যাদা করছি না। উলামা কেরাম বলেন মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) সব সময়ই ফিৎনা থেকে পাক থাকবে। এজন্যই দেখা যায় সৌদিতে ফাসেক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সেখানে তথাকথিত (নব্য) সালাফীদের দৌরাত্ম নেই। হারামাইন শরীফের সম্মানিত ইমাম সাহেবরা কেউই তথাকথিত (নব্য) সালাফী নন। ছিলেনও না। বরং তথাকথিত (নব্য) সালাফীদের দৌরাত্ম্য হিজাজ ভুমির বাইরে এবং সেযব আরব পরবর্তীতে দুনিয়ার অন্বেষণে আরব ভুমি ছেড়ে কাফির মূলক তথা ইউরোপ আমেরিকায় আছে এবং যেসব নফসপূজারী সারা দুনিয়ার মধ্যে ছড়ানো ছিটানো আছে তাদের মধ্যেই সীমিত।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , নিশ্চয় ঈমান তথা ইসলাম মদীনায় , যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায় । – বুখারী , মুসলিম ।
আমর বিন আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , নিশ্চয় দ্বীন তথা ইসলাম হেজাজে অর্থাৎ মক্কা – মদীনায় ফিরে আসবে , যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায় ।
আগের প্যারাতেই বলেছি। আবারও বলছি, ফিরে আসবে কথার অর্থই হল এখন নেই। আর এখানে মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) এর কথা বলা হয়েছে। একারণেই সৌদির ফাসেক সরকারের সমর্থনে এই হাদিস পেশ করার সুযোগ নেই।
তো ইসলাম যদি ঐখানেই ফিরে যায় তবে বাংলাদেশে থাকবে কি? কেউ চিন্তা করেছেন?
যখন সেখানে ইসলাম ফিরে যাবে তখন সবাইকে হারামাইনে হিযরত করতে হবে। বাংলাদেশে তখন আসলেই ইসলাম থাকবে না। তবে উলামাকেরাম বলেন এি হাদিস দ্বারা শুধুমাত্র মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) তেই তখন ইসলাম সীমিত হয়ে যাবে এবং তখন ইসলাম এর বাইরে আর কোথাও থাকবে না এই কথাই উদ্দেশ্য। এটা শুধু তখনকার কথা। কিন্তু এই কথা মোটেই উদ্দেশ্য নয় যে কিয়ামত পর্যন্ত সব মানুষে সব সময় সমকালীন মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) ফলো করবেন। অর্থাৎ এই কথা বলার সুযোগ নেই যে এখন হারামাইনের বাইরে যা হচ্ছে সব গায়ের ইসলাম।
হ্যাঁ এই পোস্টের দ্বারা যদি আপনার উদ্দেশ্য কবর পাকা করার বিরোধিতা হয় তাহলে আমি আপনাকে পুরাপুরি সমর্থন করছি। কবর পাকা করা, কবর চিহ্নিত রাখা অবশ্যই এক মারাত্মক বিদআত। আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের এই জঘন্য বিদআত থেকে হিফাযত করুন।
@Anonymous, সহমত।
@Anonymous,কষ্টকরে সুন্দর জ্ঞান গর্ভ জবাব দেয়ার ধন্যবাদ।আশা করি এ বিষয়ে সতন্ত্র কোন প্রবন্ধ লিখবেন ইনশাআল্লাহ।
@ABU TASNEEM,
সৌদি বাদশা কি করলো না করলো সেটা আমাদের দেখার আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি করলো তাও দেখার প্রয়োজন রয়েছে! আমাদের সৌদি কে গালি দেয়ার আগে নিজের দেশের অবস্থা চিন্তা করে উচিত!! একজন বললেন ফ্রেঞ্জ দাড়ির কথা!! আরে তাও তো তার দাড়ি আছে, আমাদের দেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীরও তো দাড়ি নাই !
হারামাইন শরীফের কারণে সৌদি মানুষে আবেগের এক স্থান। হারামাইন শরীফ না থাকলে হয়ত মানুষ সৌদি নিয়ে মাথা ঘামাতো না, এমন এখন ঘামায় না আরবের অন্যান্য দেশের ব্যপারে। যখন হারামাইন শরীফ তুর্কী সালতানাতের তত্ত্ববধায়নে ছিল তখন মানুষ তুর্কী সালতানাতের ব্যপারে খুব মাথা ঘামাত। প্রথম মহাযুদ্ধের পর যে খেলাফত আন্দোলন হয়েছে তখন মাযহাবী-লামাযহাবী সকল আলেম খেলাফত আন্দোলনে শরীক ছিলেন কারণ সেই হারামাইন। এখন হারামাইনের সাথে তুরস্কে সম্পর
@ABU TASNEEM,
সৌদি বাদশা কি করলো না করলো সেটা আমাদের দেখার আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি করলো তাও দেখার প্রয়োজন রয়েছে! আমাদের সৌদি কে গালি দেয়ার আগে নিজের দেশের অবস্থা চিন্তা করে উচিত!! একজন বললেন ফ্রেঞ্জ দাড়ির কথা!! আরে তাও তো তার দাড়ি আছে, আমাদের দেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীরও তো দাড়ি নাই !
হারামাইন শরীফের কারণে সৌদি মানুষে আবেগের এক স্থান। হারামাইন শরীফ না থাকলে হয়ত মানুষ সৌদি নিয়ে মাথা ঘামাতো না, এমন এখন ঘামায় না আরবের অন্যান্য দেশের ব্যপারে। যখন হারামাইন শরীফ তুর্কী সালতানাতের তত্ত্ববধায়নে ছিল তখন মানুষ তুর্কী সালতানাতের ব্যপারে খুব মাথা ঘামাত। প্রথম মহাযুদ্ধের পর যে খেলাফত আন্দোলন হয়েছে তখন মাযহাবী-লামাযহাবী সকল আলেম খেলাফত আন্দোলনে শরীক ছিলেন কারণ সেই হারামাইন। এখন হারামাইনের সাথে তুরস্কে সম্পর্ক নেই তাই মানুষ জানেও না তুরস্ক কোথায়। এজন্য মানুষ নিজের দেশের চেয়ে হারামাইনের তত্ত্ববধায়কদের নিয়ে বেশী কনসার্ন/উদ্বিগ্ন। সৌদি বাদশার ফ্রেঞ্জ দাড়ি নিয়ে মানুষ এইজন্য সংকিত যে তারা দ্বীনদার না হলে হারামাইনের বেহুরমতি/অমর্যাদা হতে পারে। আমাদের ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ধর্ম নিয়ে কারবার করেন। ইসলাম নিয়ে নয়। ইসলাম ধর্ম নয় বরং পরিপূর্ণ এক জীবন ব্যবস্থা। এবং আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়া’লার পক্ষ থেকে মনোনীত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।
আরে তাও তো তার দাড়ি আছে, আমাদের দেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীরও তো দাড়ি নাই !
ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি, দাড়ি নয় বরং দাড়ির অবমাননা এবং সুন্নতের সাথে তামাশা এবং ইসলামের বিকৃতি। যেমন সারা শরীর আপাদ মস্তক ঢেকে রেখে কোন একটি সেনসিটিভ জায়গা বের করে রাখা পর্দা নয়।
ইসলাম পেরকাশিত হয়েছে মক্কা ও মদিনা থেকে আমাদের সেই ইসলাম এর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম যা- ই হবে ইসলাম এর নামে তা হবে বিদাত, যা প্রত্যাক্ষাত।
আগের কমেন্টে দেখুন। ইসলাম হল আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার হুকুম এবং রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকা। মক্কা মদীনা ইসলাম নয়, বরং ইসলামের দুটি সম্মানিত জায়গা। ইসলামের ইতিহাসেও তাই দেখা যায়। সাহাবাহ কেরামদের জামানার পর এই দুই সম্মানিত নগরীর অদিবাসীদের ইসলামে অবদান সামান্যই। সিহাহ সিত্তার সংকলক প্রায় সবাই অনারব। কারণ খুব স্বাভাবিক। সাহাবাহ কেরাম মধ্য মাসওয়ারা সাপেক্ষে অল্প কিছু সাহাবী বাদে কেউই হারাইমাইনের হুরমত সামনে নিয়ে ঘরকুনো হয়ে পড়ে থাকেন নি বরং দ্বীনের তাকাদাকে সামনে নিজে পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ছিলেন। রদিয়াল্লহু আ’নহুম। আজও দেখা যায় তাদের আওলাদরাই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ইসলামের খিদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন। ভারতের বড় বড় আলীম যারা আছে বেশীর ভাগ আরব বংশধর। পক্ষান্তরে আপনদেরও অতিপ্রিয় আলবানী ও জাকির নায়েক কিন্তু আরব নন।
এখানে সাফাই গাওয়ার জন্য আমরা বসি নাই। ইসলাম এ সৌদির নাগরিক আর বাংলালী লাগরিক এর কোনো ভেদাভেদ নাই। অন্যায় সবার জন্যই সমান! আমাদের দাড়ি ছাড়া (মহিলা বেশী) রাষ্ট্রপতি সন্ত্রাসীর মৃত্যুদন্ড মাফ করে দেন কিন্তু কিন্তু সৌদি ফ্রেঞ্জ দাড়িওয়ালা তা করেন না !!
ভাই ইসলাম হল হল পরিপূর্ণ দ্বীন। দ্বীনের কোন অংশ ছাড়া কোন অংশ ধরা এটা ইসলামের বিকৃতি সৌদি ফ্রেঞ্জ দাড়িওয়ালা তা করেন না এজন্য ফেঞ্চকাট সমর্থন করার যুক্তি নেই। আমরা আপনাদের সব সময়ই দেখে আসছি কথা বললে খুব লম্ব চওড়া গলায় সহীহ হাদীসে কথা বলেন। কিন্তু আমালের সময় বাংলাদেশের প্রসিডেন্টের সাথে তুলনা করেন।
আমাদের দাড়ি ছাড়া (মহিলা বেশী) রাষ্ট্রপতি সন্ত্রাসীর মৃত্যুদন্ড মাফ করে দেন কিন্তু কিন্তু সৌদি ফ্রেঞ্জ দাড়িওয়ালা তা করেন না !!
যদি তাই হত তবে সত্যিই খুব গর্ববোধ করতাম যে ইসলামের অন্তত একটি হুকুম পালন হচ্ছে। কথাটা বিশ্বাস করতে পারি যদি আপনি একটা পরিসংখ্যান দেখাতে পারেন যে কত জন ইউরোপীয় ও আমেরিকয় এর শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে। বাস্তব কথা হল দুই একটি লোক দেখানো ঘটনা বাদে ইউরোপীয় ও আমেরিকয় দের শিরোচ্ছেদের নজীর নেই। সরকার নিজ উদ্যোগে অনেক টাকা পয়সা দিয়ে ভুক্তভোগী ফ্যমিলিকে রাজি করায়। যদি রাজি না হয় তাহলে গুম করে দেয়। গুগলে সার্চ দিন পাবেন।
রাজতন্ত নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন আগে আপনার দেশের গণতন্ত্রের বিহিত করেন!
গণতন্ত্র ইসলামের শিক্ষা ও বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আমি এর সাথে পুরাপুরি একমত। মাওলানা আনোয়ার সাহ কাশ্মিরী রহ’মাতুল্লহ আ’লাইহি এই ব্যপারে বিস্তরিত লিখেছেন। কিন্তু তাই বলে কাফেরদের আবিষ্কৃত ও চর্চিত রাজতন্ত্রের সমর্থনের যুক্তি নেই। আমি কি বূঝাতে চেয়েছেন যে নিজের ঘর ঠিক না করে বাইরের ডিকে নজর দেয়া যাবে না? আপনার কমেন্টের আগে কথাটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সৌদির সাথে জড়িত মানুষের আবেগের কথা আগেই বলেছিলাম। এখন আরেকটা কথা বলি। রসুল্লল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কিন্তু ঘর ঠিক হবার আগেই বাইরের খবর নিয়েছিলেন। তাঁর জন্মভুমির লোকদের খুব সামান্যই ইসলাম এনেছিলেন। কিন্তু এসত্ত্বেও তিনি বাইরের লোকজন ও মদীনার ব্যপারে উৎসাহিত হন। তাহলে কি আনপি আপনার এই কমেন্টে রসুল্লল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কেও তিরষ্কার করলেন?
আর এদেশে শাসকদের ব্যপারে যা বললেন এটাতো মোটেই এভাবে বুক ফুলিয়ে বলার কিছু নেই। বরং দুঃখিত হওয়া উচিত যে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত দ্বীন ছেড়ে দিচ্ছে। এজন্য তাদের কাছে দাওয়াত নিয়ে যাওয়া দরকার। মানুষ যাতে দ্বীনের বুঝ পায় এজন্য ঐক্যবদ্ধ মেহনত দরকার। এইসব ব্লগে গালাগালি দিয়ে আর বিভেদ সৃষ্টি করে কি আর এগুলো বদলানো যাব? মানুষ বুঝে না বলে মহিলাদের ভোট দেয়। এইসব পথহারা মনুষদের উপরে কি আমাদের কোন দায়িত্ব নেই? শুধু অন্ধভাবে সৌদির সমর্থন করলে ইসলাম সারা দুনিয়ায় চালু হয়ে যাবে?
@ABU TASNEEM,
ভাই যেখানে উম্মত ফরয ছেড়ে দিচ্ছে, সেখানে উপশাখাগত ইখিতলাফ নিয়ে আর কতদিন আমরা দলাদলি বিচ্ছন্নতা করতে থাকব? এখনও কি সময় আসে নি জিদ ছেড়ে দিয়ে উদার মানসিকতা নিয়ে আল্লাহর জন্য কালিমার বুনিয়াদের উপর এক হয়ে আমার ভাই-আমার বোন-আমাদের নিভু ঈমানকে জাগরণে সচেষ্ট হওয়া?
আরব, সৌদি আরব, আরবী মানুষ, আরবী ভাষা আর মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) এক নয়। মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) এর প্রতি মানুষের এক আবেগ/ইমোশন আছে। তাই বলে মাক্কাহ (مكة) মাদীনা (اَلْمَدِينَة) এর নামে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং গ্রহণযোগ্য নয়। স্পেশালি সৌদি আরবের ব্যাপারে আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কোন ওয়াদাও নেই। এই জন্যই সৌদিকে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা নিঃসন্দেহে অনৈতিক।
এতদিন জানতাম তথাকথিত সালাফীরা করবপূজা, কররের সম্মান দেখানো, কবর দলীল হিসেবে উপস্থান করার বিরোধী। এখন দেখছি তারা শুধু করব নয়, আস্ত করবস্থান দলীল হিসেবে পেশ করছে। সাহাবাদের করব শরীয়াতে কোন দলীল নয়।
@Anonymous, রসুলুল্লাহ (সা:) এর রওজা কি এমন যেটা ছবিতে উল্লেখ করা হয়েছে?
@হাফিজ, নবীদের কবর সেখানেই হয় যেখানে তাঁদের ইন্তেকাল হয়। রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় হুযরায় ইন্তেকাল করেন। একারণে উনার ঘরের মধ্যেই উনার কবর হয়। অন্য কথায় উনার কবর ঘরের মধ্যে ছিল। পরবর্তীতে উনার ঘর আর ভাঙা হয়নি। অর্থ্যাৎ উনার কবর খোলা বাতাসে উম্মুক্ত করা হয় নি। আরও পরবর্তীতে যখন ঐ ঘরের কোন মেরামত প্রয়োজন হয়েছে তখন ঘরখানা মেরামত করাও হয়েছে। পরবর্তীতে কোন এক শাসক বা প্রশাসক ঐ ঘর পাকাও করেন। আরও পরবর্তীতে অত্যুৎসাহী কোন প্রশাসক সোনা দিয়েও মোড়ান। বলাবাহুল্য এগুলো সবই অতিভক্তি বা সস্তা জনপ্রিয়তার মাধ্যম ছিল। অথচ রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের জীবন দশাতেই কখনও ঘর পাকা করা পছন্দ করেন নি। এভাবেই মানুষ রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়ে ইচ্ছামত জীবন যাপন শুরু করে। বর্তমান বিদআতী সৌদি সরকার কবরের ব্যপারে যদিও খুব কঠোর কিন্তু জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রসমূহ থেকে ইসলামকে বিদায় জানিয়েছে। কয়েক দিন আগে ইন্টারনেটে এক সমীক্ষায় দেখেছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাশী ও অপচয়ী জীবন যাপন করে সৌদীর লোকজন।
মোটকথা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কবর স্পেশাল কেস। উনার রওজা কখনও ছাদ ছাড়া ছিল না। অন্যান্য ক্ষত্রে কবর চিহ্নিত না করা এবং পাকা না করাই ইসলামের শিক্ষা।
@Anonymous, যদি এটাই হয়, সৌদী শাসকরা জনপ্রিয়তার জন্য কিছু কাজ করছে, তাহলে এই শাসকদের আমল দলীল হয় কিভাবে?
রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীদের মধ্যে আনুমানিক ১০,৫০০ সাহাবী শুয়ে আছেন এই কবরস্থানে!
অনুমানও শারীয়াতের দলীল নাকি? এত দিন না সহীহ হাদীসের ধোঁয়া তুলে উম্মতের সালাফদের এবং হাদীসের প্রকৃত আহলদের গালাগালি করলেন, এখন আবার অনুমানের আশ্রয় নিচ্ছেন!? নাকি গোয়েবলসের মত যখন যেখানে যা লাগে?!
@Anonymous, কবরপুঁজাকে যারা শরীয়ত মনে করে তারা কবরের সংখ্যা গুনতেপারে । আমি আলহামদু লিল্লাহ কবর পুঁজারী নই । আর এখানে কোন শরীয়াতও বর্ণনা করিনি যে কুরআন হাদীস থেকে সঠিক দলীল দিতে হবে । এটুকু বোঝার যোগ্যতা নিশ্চয়ই আপনার আছে ।