এই ইখতেলাফ – এর সমাধান কী ???
লিখেছেন: ' ABU TASNEEM' @ শনিবার, জুলাই ৭, ২০১২ (৭:১৬ পূর্বাহ্ণ)
ছবিতে যদি লেখা বুঝা না যায় তার জন্য আমি লেখাগুলি ক্লিয়ার করে দিচ্ছি ।
আশেক মাশুক : চরমোনাই পীর মাওলানা ইসহাক : পৃষ্ঠা নং ৩৫ – এ বলা হয়েছে : কামেল পীরের আদেশ পাইলে নাপাক শরাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া তাহাতে নামাজ পড় । অর্থাৎ শরীয়াতে কামেল পীর সাহেব যদি এমন কোন হুকুম দেন , যাহা প্রকাশ্য শরীয়তের খেলাফ হয় , তবুও তাহা তুমি নিরাপত্তিতে আদায় করিবে । কেননা , তিনি রাস্তা সব তৈরি করিয়াছেন । তিনি তাহার উঁচু নিচু অর্থাৎ ভাল-মন্দ সব চিনেন , কম বুঝেন দরুন জাহেরাভাবে যদিও তুমি উহা শরীয়াতের খেলাফ দেখ কিন্তু মুলে খেলাফ নহে ।
অন্য দিকে , বেহেস্তী জেওর : আশরাফ আলী থানভী : পৃষ্ঠা নং ২৮৩ – এ লিখেছেন : পীর যদি শরীয়তের খেলাফ বা সুন্নতের খেলাফ কোন কিছু বাতায় , তবে তাহার উপদেশ মত আমল করা জায়েজ নহে , আর পীর যদি ঐ খেলাফে শরা কাজ করার উপর (আলেমদের সতর্ক করা সত্ত্বেও) হঠ করিতে থাকে , তবে সে পীরের উপযুক্ত নয় ; তাহাকে মানিবে না ।
কামেল পীরের আদেশ পাইলে নাপাক শরাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া তাহাতে নামাজ পড় ।
মূলত এটি হাফেয শিরাজীর কবিতার ভাবানুবাদ-কোন ফকীহ এর মন্তব্য না।
মাওয়াযে আশরাফীয়াতে আশরাফ আলী থানভী (রহ:) এর ব্যাখ্যা করেছেন- প্রথমত কামেল পীর (দ্বীনী মুরব্বি/শিক্ষক) এর সংজ্ঞাই হচ্ছে ঐ যামানার উলামায়ে হক্কানী তার তাকওয়ার সাক্ষ্য দেন, শরীয়তের খেলাফ বা সুন্নতের খেলাফ কোন কিছু তার থেকে প্রকাশ না পাওয়াই তার আদত।
সুতরাং ‘নাপাক শরাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন’ দবারা মূলত শায়খের প্রতি ইতেকাদ বা দৃঢ় ভক্তিই উদ্দেশ্য, যদিও দূর্ভাগ্যজনক ভাবে ভন্ডরা এর বাহ্যিক অর্থকে ঢালরূপে ব্যবহার করে।
অপরদিকে বেহেস্তী জেওরে আশরাফ আলী থানভী (রহ:) কামেল ব্যবহার করেননি, দ্বিতীয়ত তিনি মাসআলা বর্ণনা করেছেন কবিতা বয়ান করেন নি।
পরিশেষে উম্মতের এ ক্রান্তিলগ্নে ইখতিলাফ নিয়ে ঝগড়া না করে ঐক্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়াই কাম্য।
সমাধান খুবই সহজ। যেহেতু আশরাফ আলী থানভী (রহ:) এর কথা শরীয়ত সম্মত তাই ওনারটাই অনুসরণ করতে হবে।
এখানে বোঝার বিষয় হল
১. কামেল পীর (দ্বীনী মুরব্বি/শিক্ষক)
২. প্রকাশ্য শরীয়তের খেলাফ হুকুম
দুটি বিপরীত মুখী পয়েন্ট,
যদি কামেল পীর (দ্বীনী মুরব্বি/শিক্ষক) পান তবে মানতে থাকুন ,
যদি মনে করেন আপনাকে তিনি শরীয়তের খেলাফ হুকুম পালনে প্রভাব খাটাচ্ছেন তবে ত্যগ করূন ।
আহমাদ ভাই এর মত বলতে চাই ”উম্মতের এ ক্রান্তিলগ্নে ইখতিলাফ নিয়ে ঝগড়া না করে ঐক্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়াই কাম্য।”
আমি যদিও গনতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে নই, তবে আমার মনে হয়না চরমোনাই পির সাহেবের মুরিদগন চরমোনাই পির সাহেবের থেকে ভ্রান্ত আকিদা শিখেছেন। আবু তাসনীম কি ছিদ্রান্বেষী ? নিজের ছিদ্রের দিকে নজর রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। দুনিয়ার জীবনে তো একবারই সুযোগ, তাই ছহি(আপনার দৃষ্টিতে) বিষয় তুলে ধরার পর নিজের টা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ী করার কোন দরকার আছেকি? আপনার টা ভুলও হতেপারে। রেললাইন দুরে গিয়ে মিশেগেছে মনে হলেও আসলে মিশে যায়নি। অর্থাৎ মানুষের জ্ঞান সিমীত। আমি ঠিকই বুঝি, অন্যরা ভুল করতে পারে , এরকম মানষিকতা বিপদজনক। আল্লাহ এরকম মানষিকতা সম্পন্নদেরকে বিপথগামী হওয়া থেকে(সাধারনভাবে) হিফাজত যদি না করেন তবে কার কি করার থাকবে।