লগইন রেজিস্ট্রেশন

ব্লগের পরিবেশ এবং “ফারুক”

লিখেছেন: ' কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ]' @ বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৫, ২০০৯ (৯:৪৪ অপরাহ্ণ)

আস-সালামু আলাইকুম,

পিস-ইন-ইসলাম সাপোর্ট টিম সম্পুর্ন ভাবে “কোরান” এবং “সুন্নাহ” কে মানদন্ড হিসেবে বিশ্বাস করে ।

বাংলা ভাষা-ভাষি মুসলমানদের মধ্যে “কোরান” এবং “সুন্নাহ” এর আলোকে ইসলামি চেতনার বিকাশের মাধ্যমে কমিউনিটি বিল্ড আপ করাই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । পরবর্তিতে ইসলাম সম্বন্ধে যে সব মিসকনসেপশেন আছে সেগুলোর সমাধান পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে । সুতরাং আমাদের যে প্রাইম উদ্দেশ্য “কোরান” এবং “সুন্নাহ” এর আলোকে এই প্রজন্মকে নিয়ে একটা কমিউনিটি তৈরী করা সেটার পূর্বে বিভিন্ন অগ্রহনযোগ্য মতবাদ যেমন “কাদিয়ানী” , “কোরান অনলী” , “বাহাই” ইত্যাদি নিয়ে ব্লগের উদ্দেশ্য ডাইভার্ট করা কোনোমতেই কাম্য নয় । সংঘাতের চেয়ে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলাই এখন আমাদের প্রথম কাজ ।

কেউ জানার জন্য প্রশ্ন করলে তাকে আমরা উৎসাহ দিবো , কিন্তু কেউ একই প্রশ্ন বারবার করলে আমরা ধরেই নেবো তাকে বুঝানোর ক্ষমতা আমাদের নেই, কিংবা তার সত্য গ্রহন করার ইচ্ছে নেই ।

সাইটের জন্ম লগ্নেই বিভিন্ন সাংঘর্ষিক প্রসংগ এনে ব্লগের পরিবেশকে সংঘাতমুখর করে তুলতে আমরা আগ্রহি নই ।

এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সকল ব্লগার ভাইদের সুবিধার জন্য জানাচ্ছি যে “ফারুক” নিককে সাময়িকভাবে ব্যান করে দেয়া হয়েছে ।

সবাইকে ধৈর্যের সাথে ব্লগিং করার জন্য আবারো ধন্যবাদ ।

ওয়াস-সালাম

কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ]

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
২৫৬ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

১৫ টি মন্তব্য

  1. আমি আপনাদের এই রায়কে অভিনন্দন জানাতে পারলাম না বলে দুঃখিত। আমি এই মর্মে বিশ্বাস রাখি মুক্ত বুদ্ধির চর্চা জারী না রাখার জন্য আজ বিশ্ব ব্যাপি মুসলমানদের এই হীন দুরঅবস্থা। এই ব্লগে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখি নাই ফারুকের প্রশ্নে যথার্থ জবাব দিতে। দেখেছি যে যার মত পোষ্ট করতে কিন্তু টু দ্যা পয়েন্টে তার প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন নাই এমন কি আমি নিজেও যদিও আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। আপনি আমি যারা কোরআন ও সুন্নাহকে ইসলামের একমাত্র ভিত্তি বলে বিশ্বাস তারা বিশ্বাস আর যুক্তির মধ্য ব্যবধান নির্ণয় করতে পারিনা।তাই আমাদের কাছে সে বিপদগামী কিন্তু এমন এক ব্যক্তি যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে এবং মুহাম্মদ সাঃ রাসুল বলে স্বীকার করে কিন্তু আমাদের মতো হাদিস শাস্ত্র নির্ভেজাল তা বিশ্বাস করেনা বা সন্দেহ পোষণ করেছে বলে তাকে আরও সময় ও সুযোগ নাদিয়ে তাকে তার করা প্রশ্নের সরাসরী জবাব না দিয়ে ব্যান করে দিলেন। তা আমার বিবেক সম্মত হয়েছে বলে মনে হয় নাই।মনে রাখবেন আমাদের রাসুল সাঃ বহু কষ্টে ধীরে ধীরে দীর্ঘ ২৩ বছরে তদান্তন আরব ভুখন্ডে দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। উনার সাথেও ফারুকের মত লোকেরা ছিল কিন্তু তিনি তাদেরকেও ভালবাসা দিয়ে তাদের আপন বিশ্বাস থেকে ইসলামের দিকে ফিরিয়ে এনেছিলেন।

    এই বিষয় নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। ধন্যবাদ।

    তামীম

    আমিও এই বিষয়ে অনেকটাই একমত। আমিও যুক্তিদিয়ে ফারুক ভাইকে বোঝানোর চেষ্ঠা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেত। এত তাড়াতারি ব্যান করার পক্ষপাতি আমি ছিলাম না।

  2. প্রথমেই আমাদের বুঝতে হবে যে, বিদায় হজ্জ্বের মাঠে আল্লাহ্ আমাদের দ্বীনকে complete দিয়েছেন, ৫:৩ নাযিলের মাধ্যমে। এরপর রাসূল(সা.) ৮১/৮২ দিন বেঁচে ছিলেন এবং এ সময়ে তেমন কোন বিধি-বিধান যোগ/বিয়োগ হয়নি। রাসূলের(সা.)-এর মৃত্যুর পরে তো আর কোন কিছুই পরিবর্তীত হবার কোন অবকাশ রইলো না। আমরা কিছু না জানতে পারি – সেজন্য কিছু ভুল করতে পারি। কিন্তু যখনই জানবো যে, রাসূল (সা.) imperative ভাবে কিছু বলে গেছেন, তখনই আমাদের উচিত তা মাথা পেতে মেনে নেয়া।

    খলীফা উমর (রা.) একবার সিরিয়ায় যাচ্ছিলেন রাষ্ট্রীয় সফরে। সেখানে তখন মহামারী(প্লেগ) ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেলো। আব্দুর রহমান ইবন আউফ (রা.) এসে উমরকে(রা.) বললেন যে, তিনি কি শোনন নি যে, কোথাও মহামারী(প্লেগ) দেখা দিলে নবী(সা.) কাউকে সেখান থেকে বাইরে আসতে, বা বাইরে থেকে কাউকে সে জায়গায় যেতে নিষেধ করেছেন? উমর (রা.) হাদীসটা শোনেন নি। শুনে সাথে সাথে তার সফর বাতিল করলেন! মুসলিদের attitude ঠিক এটাই হোয়া উচিত! আর এখানে আজ ১৪০০+ বৎসর পরে আমরা কি করছি? রাসূল(সা.)-এঁর ভূমিকা, কর্তৃত্ব মর্যাদা নিয়ে তর্ক ও যুক্তি দেখাচ্ছি! তিনি কুর’আনের বাইরে আমাদের কোন আদেশ, নিষেধ বা অনুশাসন দিতে পারেন কি না তাই প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছি। As if তাঁর authority কতটুকু তা আমাদের সিদ্ধান্তের জন্য ১৪০০ বছর অপেক্ষা করে আছে – এটুকু নিয়ে তো ক্বাদীয়ানীরা বা শিয়ারাও তর্ক বা বাহাস করে না! আমরা কি সকল বিষয় বিতর্কের জন্য খুলে দিতে পারি? এর চেয়ে কত তুচ্ছ ব্যাপারও আছে যা নিয়ে যুক্তি-তর্ক চলে না – দলিল রয়েছে বলে মেনে নিতে হয়। উদাহরণ স্বরূপ, বায়ূ নির্গমণে যদি অজু চলে যায়, আপনি কি করেন? পুনরায় অজু করেন, বায়ূ নির্গমন স্থল ধৌত করা ছাড়াই। আপনার যুক্তি বলতে পারে যে, অপবিত্রতার কারণ কি, আর আপনি করলেন কি? তাতে কিছুই আসে যায় না। কারণ রাসূল(সা.) এটাই বলে গেছেন। সেখানে দ্বীন ইসলামের ক্ষেত্রে, আল্লাহর সাথে এই রক্ত-মাংসের জীবনের প্রধান যোগসূত্র – যিনি বলেছেন বলে আমরা জানি কোনটা/কতটুকু কুর’আন আর কোনটা/কতটুকু কু’রআন নয়, তাঁর আমাকে কি করণীয় আর কি করণীয় নয় তা বলার অধিকার আছে কিনা, তাই নিয়ে বিতর্ক করছি – যদিও খোদ কুর’আনে আল্লাহ্ বলেছেন যে, “যে রাসূলকে মানলো সে তো আল্লাহকেই মানলো” (৪:৮০) ! ধিক আমাদের “যুক্তিবাদী” মুসলিম জন্মে!! কে না জানে যে, সবচেয়ে প্রথম আল্লাহকে যুক্তি বোঝাতে চেয়েছিল শয়তান – এই বলে যে সে আগুনের তৈরী অথচ আদম মাটির তৈরী – তাই সে superior!!

    মর্দে মুমিন

    সালাম। আপনি স্থান কাল ও পাত্র বিবেচনা না করে উপরের কথা গুলি উল্লেখ করেছেন। উল্লেখিত হাদিসে স্থান ছিল আরব, কাল ছিল সবে মাত্র রাসুল সাঃ ইন্তেকালের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে, পাত্র ছিলেন স্বয়ং নবী করিমের অন্যতম সাহাবী ও মুসলিম জাহানের খলিফা ওমর রাঃ। এখন স্থান বাংলাদেশ যাদের মাতৃ ভাষা বাংলা, কাল রাসুল সাঃ এর তিরোধানের ১৪ শত বছর পর যখন একই ইসলামে হাজার হাজার উপদলে বিভক্ত সমস্ত মুসলিম উম্মাহ। পাত্র একজন বাংলাভাষী ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত বিভ্রান্ত যুবক।

    আমাদের ইসলাম কি বলে সব রোগীকে একই ঔষধ দেওয়া! না রোগের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া। নিশ্চয় ২য়টা কারণ ইসলামের মর্ম কথা সাম্য, শান্তি, ন্যায় বিচার আর এই তিনটি পেতে হলে দরকার প্রেম বোধ জাগ্রত করা।

    আল কোরান কি বলে দেখুন- এই যে সাহাবীদের নিয়ে আপনি হাদিস দেখালেন, প্রত্যেক যুগের মুসলমানরা এখনও রাসুল সাঃ সাহাবীদের মুসমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মুসলিম বলে বিবেচনা করেন। সেই সাহাবীদের সাথে স্বয়ং রাসুলকে আল্লাহ বলে দিয়েছেন কি ভাবে ব্যবহার করতে- ” আল্লাহর দয়ায় তুমি তাদের প্রতি
    কোমল হৃদয় হয়েছে, তুমি যদি রূঢ় ও কঠোর হৃদয় হতে তাহলে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে যেত।” ৩-১৫৯

    এবার দেখি PEACE IN ISLAM কর্তৃপক্ষ “আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে যে মনিষার নাম উল্লেখ করে উদাহরণ টেনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছন- তরুণ প্রজন্ম থেকে উঠে আসুক সেই ধরণের মনিষার মত ব্যক্তিত্ব। সেই ইমাম গাজ্জালী রঃ কি বলেছেন তার ” আমরু বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার” বইয়ে- ‘ যে ব্যক্তি ভাল কাজের আদেশ দেয় এবং নিষেধ করে খারাপ কাজের’ তার অবশ্য ধৈর্য, সহানুভূতি, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থাকতে হবে।

    আপনারা যারা নায়েবে নবী বলে মনে করেন বা যারা তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে বিরাট প্রত্যাশার আশাবাদ করেন তারা কোরানের এই আয়াত স্বরন করুন- যেখানে আল্লাহ ফেরাউনের মত আল্লাহর প্রকাশ্য দাবিদার ও জুলুমবাজ শাষকের কাছে মুসা আঃ ও হারুন আঃ কে প্রেরণ করার সময় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন-” তোমরা দু’জন ফেরাউনের কাছে যাও, সে সকল সীমা লংঘন করেছে, কিন্তু তার সাথে নম্রভাবে কথা বলো। হয়তোবা সে হুঁশিয়ারীর প্রতি কর্ণপাত করবে অথবা (আল্লাহকে ) ভয় করবে।

    অনুরূপ ভাবে হযরত ইব্রাহীম আঃ উদাহরণ দেখতে পারি পুতুল পুজারী ও নির্মাতা পিতার রূঢ়তা সত্ত্বেও তাকে বুঝানোর জন্য কোমলতার আশ্রয় নিয়েছিলেন।
    তাহলে যে মুসলমান বলে দাবি করে তার প্রতি আমরা কেমন আচরণ করতে পারি???????????????
    আমার বক্তব্য রাসুলের হাদিস দিয়ে শেষ করছি-” বর্ণনা কারী জুবায়ের ইবনে আব্দুল্লাহ। ” যে কোমলতা থেকে বঞ্চিত সে সকল ভাল থেকে বঞ্চিত।” (মুসলিম শরীফ)

  3. অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, সূরাহ্ বাক্বারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন যে, “ধর্মের ব্যাপারে কোন জোরাজোরি নেই” – অথচ, একজন মুসিলম যখন ধর্ম ত্যাগ করে এবং তার বিরুদ্ধে যখন “রিদ্দার” অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তখন তার শরীয়াহ্ ভিত্তিক শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড! এটা কিভাবে সম্ভব? “ধর্মের ব্যাপারে কোন জোরাজোরি নেই” – কথাটা অমুসলিমদের জোর করে মুসলিম বানানোর ব্যাপারে বলা হয়েছে বলে বেশীরভাগ তফসীরকার বুঝেছেন। কিন্তু একজন মুসলিম যখন তার community ত্যাগ করে কাফির হবে, তখন সেটাকে treason বা বিশ্বাসঘাতকতা বলে গণ্য করা হবে, যার পথ ধরে সমাজে বিভক্তি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এবং এধরনের ব্যাপারের বিস্তৃতি ঘটতে দিলে, গোটা দ্বীনই এক সময় বিপন্ন হবে – আর তাই সেটার শাস্তি মৃত্যুদন্ড! আমাদের নবী (সা.) গোটা সৃষ্টির জন্য রহমত স্বরূপ ছিলেন – yet, তাঁর অনুমোদনে বানু কুরায়যার ৭০০ লোককে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় – কেন? কারণ, তারা এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, যা ইসলামের অস্তিত্বই বিপন্ন করে তুলেছিল। সাহবাদের ভিতরও আমরা একই অবস্থান দেখি। কুর’আন তিলোয়াত করতে গেলে যাঁর চোখ প্রায় সব সময়ই অশ্রু-সজল হয়ে উঠতো, সেই কোমল প্রাণ আবু বক্বর (রা.) ক্ষমতা গ্রহণ করার পর যাকাত অস্বীকার করার দায়ে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তারা কিন্তু মুসলিমই ছিল। আপনি হয়তো “কুর’আন অনলি”দের মতবাদের ভয়াবহতা fathom করতে পারছেন না – তাই মনে হচ্ছে “এইতে আর কি হইয়েছে?”। আমি তো দেখতে পাচ্ছি এটা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে যুক্তিতর্কে যাওয়াটাই মুসলিমদের এক প্রবল দুবর্লতা। নাজারানের খৃষ্টানদের নবী (সা.) যুক্তি বা দলিল দিয়ে কিছু বুঝাতে পারেন নাই – কেন? কারণ তারা কিছুতেই বুঝবে না – এটাই তাদের preconceived notion ছিল। ফারুক গং-এর ব্যাপারও তাই।

    মর্দে মুমিন

    অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, সূরাহ্ বাক্বারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন যে, “ধর্মের ব্যাপারে কোন জোরাজোরি নেই” – অথচ, একজন মুসিলম যখন ধর্ম ত্যাগ করে এবং তার বিরুদ্ধে যখন “রিদ্দার” অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তখন তার শরীয়াহ্ ভিত্তিক শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড!

    সালাম। আপনি এই দন্ড বাংলাদেশে কায়েম করতে পারবেন? ঐ দন্ডটা কি এখনার আন্তর্জাতীক পরিমণ্ডলে গ্রহণ যোগ্য হবে? আমরা কি কোন ইসলামিক
    রাষ্ট্রের বাসিন্দা? আপনাকে আমি বুঝাতে পারবনা । আপনি হয়তো বুঝার চেষ্টা করছেন না এই সময়ের আওয়াজ ও বাস্তবতা। ইসলাম কোন স্থবির বদ্ধ জলাশয়ের পানি নয়। ইসলাম এমন একটি জীবন ব্যবস্থা যে কোন অবস্থার সাথে খাপ খেয়ে চলতে পারে। যতখন মৌলিক পাঁচ পিলার কেউ হস্তক্ষেপ না করে।

    আপনি হয়তো ভূলে যাচ্ছেন, রাসুল সাঃ সাহাবী হিসাবে রাসুলের অনেক হাদিসের ব্যাখ্যায় আব্বাস রাঃ ও ওমর রাঃ ব্যাখ্যা অনেক ফারাক ছিল। যেখানে
    ওমর রাঃ কঠোর ভাবে ব্যাখ্যা করতেন সেই হাদিসকে আব্বাস রাঃ নরম ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

    আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন সুরা নিসার সেই আয়াত (৪-৩৫)যা ছিল স্বামী স্ত্রীর মিমাংসার জন্য নাজিল হয়েছিল সেই আয়াত দিয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ আলী রাঃ ও মুয়াবিয়ারাঃ এর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করেছিলেন।

    আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন, হযরত হাসান রাঃ মুসলিম বৃহত্তর ঐক্যের জন্য মুয়াবিয়া রাঃ পক্ষে খেলাফত ত্যাগ করেছিলেন।

    আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন, হোদাবিয়ার সন্ধির কথা যেখানে সন্ধির কাগজে মুহাম্মদুর রাসুল আল্লাহ মিটিয়ে মুহাম্মদ এবনে আব্দুল্যা লিখতে বলে ছিলেন।

    আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন, ইসলামে চুরির অপরাধে হস্তকর্তনের আদেশ থাকা সত্ত্বেও ওমর রাঃ জনৈক চোরের হস্ত কর্তন করেন নাই। কারণ ঐ চোর পরিস্থিতির শিকার ছিল।

    আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন, যখন ওহুদের যুদ্ধে হামযা রাঃ ক্ষত বিক্ষত নিহত চেহারা দেখে বিক্ষুবদ্ধ হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কুরাইশ মুশরিকদের মধ্য থেকে উনিও ৩০ জনকে এই ভাবে ক্ষত বিক্ষত করার। সেই সময় সে বিষয়ে আল্লাহ নাজেল করেন এই আয়াত” যদি শাস্তি দাও………. সমপরিমাণ দাও। আর যদি সহিষ্ণুতার পরিচয় দাও তাহলে ধৈর্যশীলদের জন্য সেটাই উত্তম।………. তোমার ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা শুধু আল্লাহর জন্য হওয়া উচিত। (সাফিয়া রাঃ জন্য নয়)।

    সময় থাকলে ইসলামের অনুপম শান্তি ক্ষমার ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ দিতে পারি।

    আমাদের নবী (সা.) গোটা সৃষ্টির জন্য রহমত স্বরূপ ছিলেন – yet, তাঁর অনুমোদনে বানু কুরায়যার ৭০০ লোককে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় – কেন?

    একটা কথা অবশ্য মনে রাখবেন রাসুল সাঃ যখন যুদ্ধ করেন তখন একজন বিজ্ঞ সেনাপতির মত যুদ্ধ করেছেন। সেখানে উনার রাসুলত্ব থেকে প্রধান্য পেয়েছে সেনাপতির ভূমিকা। আর আপনি আমি, না সেনাপতি, না প্রত্যক্ষ যুদ্ধে নিয়োজিত। ঐ ষড়যন্ত্র ছিল একটি নব ঘটিত ইসলামী রাষ্ট্রের তৈরির সময়। আমরা তো কোন ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করছিনা, যে ভিন্ন মতাদর্শের জন্য ঐ উদাহরণ প্রয়োগ করতে পারি।

    কোমল প্রাণ আবু বক্বর (রা.) ক্ষমতা গ্রহণ করার পর যাকাত অস্বীকার করার দায়ে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তারা কিন্তু মুসলিমই ছিল।

    এখানেও আপনি স্থান কাল পাত্র ব্যবধান বিবেচণায় আনছেন না। ঐ সময় আবু বকর রাঃ ছিলেন, একটি ইসলামি হুকুমতের রাষ্ট্রের খলিফা ঐ রাষ্ট্রটি ইসলামী আইন দ্বারা পরিচালিত। যাকাত এটি ইসলামী রাষ্ট্রের সংবিধাণের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, পাঁচ পিলারের মধ্য একটি, এটার অস্বীকার করা মানে ইসলামকে অস্বীকার করা। আজকের দিনে বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্রে বাস করেন না কেন, সেই দেশের সংবিধানের বিরুদ্ধ কিছু করলে আপনাকে ঐ রাষ্ট্র তার আইন ভঙ্গ করার জন্য শাস্তি পেতে হবে। আবু বকর রাঃ যা করেছেন তা হলো একজন রাষ্ট্র নায়ক হিসাবে সেই রাষ্ট্রের সংবিধানকে অক্ষত রাখতে যা করার প্রয়োজন ছিল।

    আপনি হয়তো “কুর’আন অনলি”দের মতবাদের ভয়াবহতা fathom করতে পারছেন না – তাই মনে হচ্ছে “এইতে আর কি হইয়েছে?”।

    না। হুজুর আপনি শুধু মুদ্রার একপিঠ দেখছেন।আমি বিনীত ভাবে স্বীকার করছি আপনাদের মত আমার আমল নাই তথাপি, আমি মুদ্রার দুই পিঠ দেখেছিলাম বলেই এই আন্দোলনে peace in islam এর মত ব্লগে শরীক হয়েছি।

    আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করলে তিনি মাফ করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ যাকে ইচ্ছা করেন।
    ৪-৪৮

    মা আস সালামা।

  4. ফারুকের ব্যান করা নিয়ে আমার কিছু কথা আছে । কারো যদি জানার সত্যি আগ্রহ থাকে তাহলে কোনো কথা নেই, কিন্তু ফারুকের বৈশিষ্ট হলো শুধুই প্যাচানো । সে যদিও মুখে বলে সে শুধু হাদীস মানে না , আসলে সে কোরানও মানে না । এটা দেখলে যে কেউ বুঝবে সে মুসলমান কিনা । আর যদি এমন দেখা যায় তার মতবাদের কারনে সাধারন তরুন সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে , প্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দিয়ে শুধু অনর্থক আলোচনা , তর্ক তখন এমন একজনকে ব্যান করার আমি সম্পুর্ন পক্ষপাতী । আমরা মনে করছি তার সত্য জানার আগ্রহ , এটা সম্পুর্ন ভুল , সে সম্পুর্ন রাশেদ খলীফার মতবাদ প্রচার করে বেড়াচ্ছে । যে কোরান মানে সে কখনও বলতে পারে না বর্তমানে রসুলকে অনুসরন করতে হবে না , রসুল জীবিত থাকতে অনুসরন করার দরকার ছিল , সুন্নি, শিয়া সবাই মুশরিক । কোনো মুসলমান এটা বিশ্বাস করে ? । দেখুন এই ব্লগেই সে বলেছে ।

    সুতরাং তার জীবদ্দশায় তাকে অনুসরন করা , তার বিচারকে মেনে নেয়া , তার কন্ঠস্বরের উচুতে কন্ঠ না তোলা , তার আনুগত্য করা , তার আহ্বানে সাড়া দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

    তার মানে সে বুঝাতে চেয়েছে তখন বাধ্যতামুলক ছিল , এখন নয় । এটা মুসলমানের কথা ?

    নীচে তার বিশ্বাসের সারাংশ দেয়া হলো যেটা আমি আমারব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি ।

    ফারুক বলেন “কোরান ও বাইবেলের বাইরে আর সব কাহিনী আমার কাছে বানানো মনে হয়।”
    আমার মন্তব্য: ” তাহলে বলতে হয় তার এই লজিক অনুযায়ী হাদিস, ইতিহাস, দর্শন , বিজ্ঞান , আমারব্লগের পোস্ট সব ভুয়া ”

    ফারুক এর বক্তব্য “বাইবেল অনুসরন করলে দোষ নেই।
    হাদীসে আমার বিশ্বাস নেই।

    আমার বক্তব্য: ” ফারুকের লজিক অনুযায়ী বাইবেল অনুসরন করা যাবে কিন্তু হাদিস মানা যাবে না ।

    ফারুক এর বক্তব্য : “আজকের বেশিরভাগ মুসলমানেরা ভুলভাবে নামাজ পড়ছে“।

    আমার বক্তব্য: “তার মানে আমার আপনার কোনো নামাজ হয় না। ফারুক এর সাথে যোগাযোগ করুন , ডিজিটাল নামাজ শিখুন এবং ইহকাল পরকালের কামিয়াবী হাসিল করুন ।

    ফারুক এর বক্তব্য: “কিন্তু তাহার (রসুলের) নিজস্ব মত তাহার জন্য বা যাহারা তাহার নিজস্ব মতের অনুসারী, তাহাদের জন্য ক্ষতিকর হইতে পারে।
    আমার বক্তব্য: তার মানে বুঝুন ফারুকের কথা অনুযায়ী রসুলের (সা:) অনুসরন করলে আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে । পৃথিবীতে একটা মুসলমান আছে কি যে এটা বিশ্বাস করে ?

    ফারুক এর বক্তব্য: “পরকালে মুক্তির জন্য যে কোন ধর্মালম্বী হলেই হবে।
    আমার বক্তব্য: যে বিশ্বাস করে সব ধর্মের মানুষ নাজাত পাবে আবার অন্য জায়গায় বলে কোরান অনুসরন করুন .. কথাটা কি স্ববিরোধী হয়ে গেলো না ? আমার প্রশ্ন আপনি কোন ধর্মের ?

    ফারুক এর বক্তব্য: “সুন্নিদের ক্ষেত্রে শয়তান এমন একজনকে বেছে নিয়েছে , যার নাম সকলের হৃদয়ে আল্লাহর পরেই আসনগেড়ে বসেছে , তিনি হচ্ছেন মুহাম্মদ”।
    আমার বক্তব্য: “তাহলে ফারুকের কথা অনুযায়ী মুসলমানদের অন্তরে নবীজীর (সা:) যে আসন সেটা নাকি শয়তানের কাজ !!!!! ”

    ফারুক এর বক্তব্য: নবীকে ছালাম পাঠাতে হবে , যা শির্কের সমতুল্য।
    নবী আমাদের মতোই দোষে গুনে মানুষ।
    আমার বক্তব্য: তার মানে নবীর (সা:) প্রতি সালাম পাঠানো শিরক। আমরা যে দরূদ পড়ি নামাজে সেটাও শিরক । কত অস্পর্ধা দেখুন !!!”

    ফারুক এর বক্তব্য:
    “সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমরা , যারা নিজেদেরকে সুন্নি , শিয়া , আহলে হাদীস , কাদিয়ানী বলে দাবী করে ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করছি , আমরা প্রত্যেকেই মুশরিক । অর্থাৎ মূর্তিপূজারী।
    আমার বক্তব্য: “তার মানে আমরা যারা সুন্নি , শিয়া সবাই মুশরিক । একমাত্র ফারুক মুসলমান ??

    ফারুক এর বক্তব্য: আমি দরুদ পাঠ করিনা ।
    আমার বক্তব্য: তবে কি বিদ্বেষটা রসুলের প্রতি .. ? এবং আসলে ইসলাম বিদ্বেষের আরো একটি নমুনা । ঠিক তাই । মুসলমান হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ইসলামের নবীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্যই কি এইসব প্রচারনা ।

    মর্দে মুমিন

    আপনার রায়ের জন্য ধন্যবাদ। উপরের উল্লেখিত বিষয় গুলো আমাকে কিংবা তামিমকে ঐ গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার ছিল না । কারণ আমু ব্লগে ঐ যুদ্ধে আমরাও আপনার সাথে শরিক ছিলাম।

    এখানে ওকে ব্যান করে কি ওর মিশন বন্ধ করে দিতে পারবেন? পারবেন আমুর মত জনপ্রিয় ব্লগে ওর মুখ বন্ধ করতে? আমি মনে করি peace in islam এর যারা শরীক হয়েছেন তাদের কেউই মিঃ ফারুক বিভ্রান্ত করার মত দূর্বল ঈমানের অধিকারী নন।

    আমি চিন্তা করি যদি এই বাংলাদেশে জৌনপুরী রঃ আভির্ভাব না হত কিংবা স্যার সৈয়দ আহমেদ ও আল্লামা ইকবালের আভির্ভাব না হত এই উপমহাদেশে তাহলে কিযে হত আমাদের অবস্থা।

    শুধু পড়া ও শুনার মধ্যে প্রকৃত সমস্যা উপলব্দী করা যায় না বন্ধু! এ প্রসঙ্গে কোরআন কি বলে? “তারা কি দেশ ভ্রমণ করেনি? তাহলে তারা জ্ঞান বুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতিশক্তিসম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতে পারতো। আসলে চোখ তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্থিত হৃদয়। ২২-৪৬

    ইসলামী পুনর্জাগরণের আন্দোলন কারীদের অবশ্যই ইতিহাসকে সঠিক ভাবে অধ্যয়ন ও অনুধাবন করতে হবে। ইতিহাস পাঠের উদ্দেশ্য নয় সময় ও ঘটনাকে জেনে ঠিক তেমনি ভাবে ইম্প্লিমেন্ট করা বরং অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ওর মূল মর্ম উপলব্দী করা।

    ধন্যবাদ।

  5. আসসালামু আলাইকুম,

    ফারুক নিককে ব্যান করা হয়েছে, আমি এতে খুশি। যদিও এই ব্লগে আমি আজকে মাত্র যোগদান করলাম তবুও কারণ ফারুক নামী এই ব্লগারকে আমি অনেকদিন ধরেই দেখে আসছি। সে কুরআন বিভ্রান্তকারী ডঃ রাশাদ খলিফার অনুবাদের অনুসরন করে।

    এই বিষয়ে আমার দুইটি লেখা আছে, সময় হলে পড়ে দেখবেন।
    ***ইহুদী চক্রান্ত, হে মুসলিম ভাইয়েরা সাবধান!***
    হাদীস অর্থ কি? (উৎসর্গঃ ফারুক ৫৫)

    হাফিজ

    ধন্যবাদ, জি আমিও অনেকদিন থেকে ওন্যান্য ব্লগে দেখে আসছি । তারা সম্ভবত কোনো মিশন এর সাথে জড়িত। তবে আমার মত এগুলো এডমিনের ব্যাপার কাকে ব্যান করবে কাকে করবে না । আমাদের Quality লেখায় মনোযোগ দেয়া উচিত।

  6. একই লিংক আসায় নীচে লিংকদুটো পুনরায় দেয়া হলঃ
    ***ইহুদী চক্রান্ত, হে মুসলিম ভাইয়েরা সাবধান!***

    হাদীস অর্থ কি? (উৎসর্গঃ ফারুক ৫৫)

    মর্দে মুমিন

    সালাম এবং শুভেচ্ছা । আপনার লিংক সহ তত্সহ লিংক গুলো পড়লাম। আপনি ভালই লিখেন। চলুক (Y)

  7. দুটো লেখাই পড়লাম। এ কথা আমি মানি যে ফারুক ভাই বিভ্রান্তিতে আছে। কিন্তু তার এই বিভ্রান্তি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা এত সহজেই আপনি ১০০% শিওর হয়ে গেলেন?

    http://tahsinalom.amarblog.com//posts/89789/ এই পোষ্টে আমি জানতে পারি যে ফারুক ভাইয়ের বন্ধু মানুষ তাহসিন আলম আগে বাম দল, তথা কমুনিষ্ট ছিল। পরে ক্বোরআন ওনলি দলে নাম লেখায়। আমি তাদের যুক্তি দিয়ে যথাসম্ভব বুঝানোর চেষ্ঠা করছিলাম। হাফিজ ভাইও এই বিষয়ে অবগত আছেন। সুতরাং আর কিছু সময় অন্তত সবুর করা যেত। ব্যান হল শেষ উপায়। এত তাড়াতারি তাকে ব্যান করাটা ঠিক আমার কাছে ভাল লাগেনি।

    তামীম

    কথাটা @manwithamission কে বলা

  8. কর্তৃপক্ষ সাথে সহমত। যে কোন জিনিস নিয়ম থেকে এগিয়ে যাওয়া ঠিক নয়,