নারী ও পুরুষের নামাজের পার্থক্য
লিখেছেন: ' কর্তৃপক্ষ [ পিস-ইন-ইসলাম ]' @ শনিবার, মার্চ ১০, ২০১২ (৪:০৬ অপরাহ্ণ)
সম্প্রতি একটি পোস্ট এসেছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে “পুরুষ ও নারীদের নামাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই”। পিস ইন ইসলামের প্রশ্ন-উত্তর বিভাগে এ বিষয়ে আমাদের একটি লেখা দিয়েছিলাম যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে “পুরুষ ও নারীদের নামাজের মধ্যে পার্থক্য আছে”। দুটো বিষয়ই উল্লেখ থাকল, পাঠকরা বিচার করবেন কোনটি সঠিক। উত্তরটি এখানে আমরা আবার পোস্ট আকারে দিলাম:–
মেয়েরা পুরুষদের মত সালাত আদায় করবে আহলে হাদীসের অনুসারীগন এই মতের পতিনিধিত্ব করেন। এখান থেকে একটি প্রশ্নের জন্ম নেয়
তাহলে কি এমতের অনুসারীগন ছাড়া বাকী সবাই যুগ যুগ ধরে ভূল করেছেন ?
সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈ, তাবে তাবেঈ,আইম্মায়ে কিরাম সহ কেউ কি এবিষয়টি অনুধাবন করেন নি ?
প্রকৃত কথা হচ্ছে হক্ব বাতিলের সংঘাত চিরন্তন -অন্যথায় রাসুল (সঃ) এর স্বর্ণ যুগে তারকারাজীর ন্যায় উজ্জ্বল আদর্শবান সাহাবায়ে-কিরাম, তাবেঈ,তাবে তাবেঈ থেকে শত শত বছরের গবেষক, বিচক্ষণ ইমামদের সর্ব স্বীকৃত কোরআন ও হাদীসের আলোকে নারীদের সালাত পদ্ধতিকে ইদানিং জন্ম নেয়া একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দল কিভাবে পশ্ন বিদ্ধ করতে পারে ? নিম্নে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হলো :
* —–মেয়েদের সালাত পদ্ধতি সম্পর্কে আহলে হক্ব উলামাদে মতামত ——*
সালাত পদ্ধতিতে মহিলাদের ক্ষেত্রে মৌলিক ভাবে দুটি পার্থক্য রয়েছে:
১। সতর কেন্দ্রিক, অর্থাৎ যতটুকু সম্ভব গোপনীয়তার মাধ্যমে মহিলারা সালাত আদায় করবে।
আল্লাহ তা’লা বলেন
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
“তোমরা গৃহাভন্তরে অবস্থান করবে-মুর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।” (সুরা আল আহযাব- আঃ নং ৩৩)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেন “মহিলাদের নিজকক্ষে নামায পড়া বাড়িতে নামায পড়ার তুলনায় উত্তম, আর নির্জন ও অভ্যান্তরিন স্থানে নামায পড়া ঘরে নামায পড়া থেকে উত্তম। ‘‘ [হাদীসটি সহীহ, আবু দাউদ ১/৩৮৩- , মুসতাদরাকে হাকেম ১/৩২৮]
হযরত আয়েশা (রাঃ) রাসুল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ- “ওরনা বা চাদর ব্যতিত মহিলাদের নামায কবুল হবেনা।” [আবু দাউদ ১/৪২১ তিরমিজী ২/২১৫-মুসতাদরাকে হাকিম ১/৫১]
হাকেম আবু আব্দিল্লাহ নিসাপুরী (রঃ) স্বীয় কিতাব মুসতাদরাক লিল হাকেমে (৯/২৫১) বলেন মুসলিম (রঃ) এর হাদীস গ্রহন করার শর্ত অনুযায়ী হাদীসটি সহীহ । হাকেম (রঃ) এর উক্ত মতকে ইমাম যাহাবী (রঃ) সমর্থন করেছেন।
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস এ কথার উপর সুস্পষ্ট প্রমান বহন করে মহিলাদের সব সময় পর্দার আড়ালেই থাকা প্রয়োজন । আর নামায ইসলামের অন্যতম একটি বিধান সুতরাং তাহা অধিক পর্দায় হবে ইহাই বিবেকের দাবী।
উপরে আমরা দেখলাম পর্দার ক্ষেত্রে নামাজ পড়ার সময় পুরুষ ও মহিলাদের কি পার্থক্য আছে , এখন আমরা দেখব নামাজ-এর রুকন বা পড়ার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পুরুষ মহিলাদের কি পার্থক্য আছে :
২। নামাজ-এর রুকন বা পড়ার পদ্ধতিতে মহিলার পুরুষদের পার্থক্য
চার ধরনের দলীলের আলোকে সংক্ষিপ্ত ভাবে পদ্ধতিগত এই পার্থক্য তুলে ধরা হলো
১। হাদীস শরীফের আলোকে।
২। সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য ও কর্মের আলোকে।
৩। তাবেয়ী ইমাম গনের ঐক্যমত্যের আলোকে।
৪। চার ইমামের ঐক্যমত্যের আলোকে।
১। হাদীস শরীফের আলোকেঃ
নামাজী মহিলার সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী ব্যক্তিকে বাধা দিবার লক্ষে করণীয় কি ? রসুল (সা:) এ প্রসংগে বলেন: পুরুষদের জন্য হলো তাসবীহ বলা আর মহিলাদের জন্য হাতে আওয়াজ করা। (সহীহ বুখারী ১/৪০৩)
ইয়াযীদ ইবনে আবী হাবীব (রঃ) বলেন, একবার রাসুল (সঃ) নামাযরত দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে ( সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন যখন সিজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে, কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়।
(কিতাবুল মারাসিল-ইমাম আবু দাউদ – পৃঃ১১৭)
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শায়েখ শুয়াইব আরনাউত (রঃ) হাদীসটির সুত্র সম্পর্কে বলেন, বণর্না কারী প্রত্যেক রাবী সর্ব্বোচ্চ গ্রহনযোগ্য রাবীদের অন্তর্ভুক্ত সুতরাং হাদীসটি “সহীহ”।
( তালীক আলা মারাসিলে আবী দাউদ পৃঃ ১১৭ )
আহলে হাদীসে স্বীকৃত শীর্ষস্থানীয় আলেম নবাব সিদ্দীক হাসান খান বুখারী শরীফের ব্যাখ্যগ্রন্থ ‘‘আওনুল বারী” (১/৫২০) তে লিখেছেন উল্লেখিত হাদীস সকল ইমামের উসুল অনুযায়ী দলীল হিসাবে পেশ করার যোগ্য।
আর এ হাদীসটির উপরই আহলে সুন্নত ও চার মাযহাবসহ অন্যন্যদের আমল চলে আসছে।
উল্লেখ্যঃ- এই সব হাদীসর সমর্থনে মহিলা ও পুরুষদের নামায আদায়ের পদ্ধতিগত পার্থক্য ও ভিন্নতাকে নির্দেশ করে । এমন আরো অনেক হাদীস রয়েছে । পক্ষান্তরে এগুলোর সাথে বিরোধ পুর্ন একটি হাদীস ও কোথাও পাওয়া যাবে না, যাতে বলা রয়েছে যে, পুরুষ ও মহিলার নামাযের পদ্ধতিতে কোন পার্থক্য নেই।
সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্যের আলোকেঃ-
হযরত নাফেয় (রহঃ) ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন ওনাকে রাসুল (সঃ) এর যামানায় মহিলদের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন : “প্রথমত তারা চার পা হয়ে বসত অত পর এক পক্ষ হয়ে বসার জন্য বলা হল।” আসারাট সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহীহ।
(জামেউল মাসানীদ-ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) খঃ ১/৪০০)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ওনাকে মহিলাদের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন “মহিলারা বৈঠকে আংগুল সমুহ মিলিয়ে ও সমবেত ভাবে বসবে। (এই হাদীসের সমস্ত রাবী সিকাহ- সুতারাং হাদীস সহীহ)
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-খঃ১/২৪২)
তাবেয়ী ইমাম গনের ঐক্যমতের আলোকেঃ-
হযরত হাসান বসরী ও হযরত কাতাদা (রহঃ) বলেন, মহিলারা যখন সিজদা করবে তখন তারা যথাস্ভব জরসড় হয়ে থাকবে। অঙ্গঁ প্রত্যঙ্গঁ ফাঁকা রেখে সিজদা দিবে না, যাতে কোমর উচু হয়ে না থাকে। (সহীহ) (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক খঃ৩/১৩৭-ইবনে আবী শাইবা ১/৪২)
* কুফাবসীদের ইমামঃ- ইবরাহীম নাখয়ী (রহঃ) বলেন মহিলারা বসা অবস্থায় এক পক্ষ হয়ে বসবে । (সহীহ) (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা খঃ১/৪৩)
* মক্কা বাসীদের ইমাম আতা ইবনে আবী রাবাহ (রহঃ) বর্ণনা করেন মহিলা যখন রুকুতে যাবে অত্যান্ত সংকোচিত ভাবে যাবে এবং হাতদ্বয় পেটের সাথে মিলিয়ে রাখবে। (সহীহ)
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৩/১৩৭)
খালেদ ইবনে লাজলাজ সিরিয়া বাসীদের ইমাম , তিনি বলেন মহিলাদের আদেশ করা হত, তারা যেন নামাযে দুই পা ডান দিক দিয়ে বের করে নিতম্বের উপর বসে। পুরুষদের মত না বসে । আবরনযোগ্য কোন কিছু প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশংকায় মহিলাদেরকে এমনটি করতে হয়। (হাসান)
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২/৫০৫)
মোট কথা তাবেয়ী-যুগে যারা ইমাম এবং ইসলামি বিধি বিধানের ক্ষেত্রে অনুসরনীয় তাদের মতামত থেকে প্রমানিত হল যে, মহিলা ও পুরুষদের নামাযের পদ্ধতি অভিন্ন মনে করা সম্পুর্ন ভুল । সাহাবী ও তাবেয়ীদের মতামতের সাথে এই ধারনার কোনই মিল নেই।
চার ইমামের ফিক্বহের আলোকেঃ-
ফিক্বহে হানাফীঃ- ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এর অন্যতম শাগরেদ ইমাম মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন আমাদের নিকট মহিলাদের নামাযে বসার পছন্দনীয় পদ্ধতি হল উভয় পা এক পাশে মিলিয়ে রাখবে, পুরুষের মত এক পা দাঁড় করিয়ে রখবে না। (কিতাবুরল আসার ১/৬০৯)
(আরো দ্রষ্টব্যঃ- হিদায়াঃ ১/১০০-১১০-১১১- ফাতওয়ায়ে শামী ১/৫০৪- ফাতওয়ায়ে আলমগীরি-১/৭৩-)।
ফিক্বহে শাফেয়ীঃ ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন ’’ আল্লাহ পাক মহিলাদের কে পুরো পুরি পর্দায় থাকার শিক্ষা দিয়েছেন । এবং রাসুল (সঃ) ও অনুরুপ শিক্ষা দিয়েছেন। তাই আমার নিকট পছন্দনীয় হল, সিজদা অবস্থায় মহিলারা এক অঙ্গেঁর সাথে অপর অঙ্গঁকে মিলিয়ে রাখবে, পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে এবং সিজদা এমন ভাবে করবে যাতে সতরের অধিক হেফাযত হয়।
(যাখীরা, ইমাম কারাফী ২/১৯৩)
ফিক্বহে হাম্বলীঃ- তাকবীরে মহিলাদের হাত উঠানোর সম্পর্কে ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন হাত তুলনামুলক কম উঠাবে। ( আল মুগনী -২/১৩৯)
এ পর্যন্ত হাদীস আসারে সাহাবা, আসারে তাবেয়ীন ও চার ইমামের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট হল যে, পুরুষ ও মহিলার নামাযের অভিন্ন পদ্ধতির পক্ষে কথা বলা আল্লাহ তা’লার মনোনীত ধর্ম ইসলামের মাঝে নিজেকে সংস্কার পন্থী রুপে আবিস্কার করার অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
প্রশ্ন পত্রে উল্লেখিত দলীল সমুহের উত্তরঃ-
আপনার প্রথম প্রশ্ন:
১। আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসুল (সঃ) বলেছেন যখন তোমাদের কেউ সিজদা করবে তখন এমন ভাবে বসবে না যেভাবে উট বসে, বরং দু’হাতকে হাঁটুর পুর্বে রাখবে। (আবু দাউদ-১/৮৪০)
উত্তরঃ- বোন, মা, ফুপি- মাহরাম মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীয়তের নিষেধাজ্ঞা থাকায় যেমনি ভাবে সুন্দরী হলেই বিবাহ করা যায় না, ঠিক তেমনি – কোরআন ও হাদীসের ব্যাপারে নাসেখ- মানসুখের চিরন্তন বিধান থাকায় হাদীস সহীহ হলেই আমল যোগ্য হয় না। উপরের ভুমিকার দ্বারা আমার বলার উদ্দেশ্য , আপনার প্রথম হাদীস জমহুর উলামাদের দৃস্টিতে মানসুখ (রহিত) এর তালিকায় ।
(বজলুল মাজহুদ -৫/৮৯)
যেই হাদিস দ্বারা উপরের হাদিস মনসুখ হয়েছে, সেটা হলো:
সাদ ইবনে আবী ওককাস (রা:) ওনার পিতা হতে বর্ননা করেন , তিনি বলেন: “আমরা সিজদার সময় হাটুর পূর্বে হাত রাখতাম, পরবর্তিতে আমাদেরকে হাত রাখার পূর্বে হাটু রাখার নির্দেশ দেয়া হয় (সহীহ ইবনে খুজাইমা – ১/৩১৮)
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন:
২। একদা এক বেদুঈন মহিলা উম্মুল মুমিনীন আয়েশা(রা:) এর সাথে সাক্ষাত করতে এসে তাকে না পেয়ে ফেরার পথে উম্মুল মু’মিনীন হাফসা(রা:) এর কাছে গিয়ে মহিলাদের নামায সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বললেন “নামায আদায়ের নিয়ম পদ্ধতির ব্যাপারে মহিলাদের পৃথক কোনো নিয়মের কথা আমাদেরকে বলা হতো না, তবে রুকুতে , রুকু বাদ দাড়িয়ে, দু সিজদার মাঝে একটু সময় অবস্হান করতে বলা হতো ।
উত্তর: উল্লেখিত কথাগুলোকে যেহেতু আপনি হাদিস নামে উল্লেখ করেছেন, সুতরাং অস্বীকারের দু:সাহস না করে অনুসন্ধানের ত্রুটির উপর দোষ চাপিয়ে অনুরোধের সুরে বলছি , অনুগ্রহ করে কিতাবের নাম, পৃষ্ঠা ও হাদিস নাম্বার উল্লেখ করে দিলে ইনশাল্লাহ প্রমান ভিত্তিক সমুচিৎ জবাব দেয়া হবে ।
আপনার ৩য় প্রশ্ন:
৩। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রা:), হাফসা বিনতে উমার (রা:), মায়মুনা (রা:) দ্বীন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ উম্মু দারদা (রা:) বুখারী ভাষ্যনুযায়ী এরা পুরুষদের মতো নামায আদায় করতেন ।
উত্তরঃ- উল্লেখিত আপনাদের এই দাবী সম্পূর্ন মিথ্যা,এমন কথা ইমাম বুখারী (রহঃ) স্বীয় কিতাব বুখারী শরীফে বা অন্য কোন কিতাবে কখনই বলেননি বা উল্লেখ করেন নাই। ইহা ইতিহাস সীকৃত শ্রেষ্ট মুহাদ্দীস-ইমাম বুখারীকে মিথ্যার কলংকে কলংকিত করে ওনার লেখনিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার অপপ্রয়াশ মাত্র।
উম্মু দারদা (রাঃ) একজন তাবেয়ী, তিনি নামাযে পুরুষদের ন্যায় বসতেন । নামাযের পদ্ধতিতে একজন তাবেয়ীর আমল যদি দলীল হয়ে থাকে তাহলে ইতিপূর্বে আমরা চার শ্রেনীর দলীলের ভিত্তিতে মহিলাদের নামাযের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি , যার মাধ্যমে একথা প্রমান হয়েছে যে আয়িম্মায়ে তাবেয়ীন যথাঃ- হাসান বসরি , হযরত কাতাদাহ, ইব্রাহীম নাখয়ী, খালেদ ইবনে লাজলাজ ওনাদের তালীল ও শিক্ষা অনুযায়ী রুকু সিজদা সহ একাধিক আমলের মধ্যে মহিলাদের নামাযের পদ্ধতি পুরুষ থেকে ভিন্ন ছিল। এছাড়া হতে পারে উম্মু দারদা (রাঃ) এবিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। অন্যান্য ক্ষেত্রে তিনি মহিলাদের মত ভিন্ন ভাবেই আমল করতেন । সুতরাং শুধু একজন তাবেয়ী মহিলার ব্যক্তিগত আমলকে অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারটি যুক্তি যুক্ত ও গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।
৩। আপনাদের বক্তব্যের দারাই নামাযে পুরুষ ও মহিলার পদ্ধতি ভিন্ন হওয়া প্রমানিত হয়। কেননা উভয়ের নামাযের পদ্ধতি এক হলে ‘‘পুরুষদের মত নামায, কথাটির কোন অর্থ থাকেনা। সুতরাং একথা স্পষ্ট হয়ে গেল সেই যামানায় পুরুষ ও মহিলার নামাযের পদ্ধতি এক ছিল না।
৪। হযরত আবু হুমাইদ সায়েদী (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর একদল সাহাবীর মধ্যে বলিলেন আমি আপনাদের অপেক্ষা রাসুল (সাঃ) এর নামায অধিক স্বরন রাখিয়াছি। আমি তাহাকে দিখিয়াছি-তিনি যখন•••••••আর বসতেন নিতম্বের উপরে।
আপনাদের দাবীঃ এই হাদীস বলছে শেষ বৈঠকে নিতম্বের উপর বসার কথা। এখানে পুরুষ মহিলা উল্লেখ করা নাই সুতরাং ইহা সকলেরই আমল যোগ্য।
উত্তরঃ- উল্লেখিত হাদীসের মাঝে সাহাবী আবু হুমাইদ সায়েদী (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর নামাযের পদ্ধতি আলোচনা করেছেন। আর রাসুল (সাঃ) পুরুষ ছিলেন । অতপর এখানে পুরুষ মহিলা উল্লেখ করা নাই সুতরাং ইহা সকলেরই আমল যোগ্য এমন হাস্যকর দাবী করা অযোক্তিক নয় কি?
২য় ও ৩য় প্রশ্নের উত্তরঃ
উপরের উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা একথা সূর্যের আলোর মত সুস্পষ্ট, হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদুল মিল্লাত আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) এর বেহেশতী জেওর এবং যুগের শ্রেষ্ঠ ফক্বীহ হাসান বিন আম্মার হানাফী (রহঃ) কতৃক লিখিত মারাকীর মত ফেক্বহ শাস্ত্রের অন্যতম গ্রহনযোগ্য কিতাবের ব্যপারে এমন অভিযোগ বা মন্তব্য, পরক্ষভাবে স্বয়ং আল্লাহ তাআলার প্রজ্বলিত দ্বীনের প্রদীপকে মুখের ফুৎকারে নিভিয়ে দেয়ার জন্য ব্যার্থ চেষ্টা মাত্র ।
তথ্যসূত্র:
১। আবু দাউদ ১/৩৮৩- ,
২। মুসতাদরাকে হাকেম ১/৩২৮
৩। তিরমিজী ২/২১৫
৪। বুখারী শরীফ ।
৫। তালীক আলা মারাসিলে আবী দাউদ পৃঃ ১১৭
৬। আওনুল বারী (১/৫২০)
৭। জামেউল মাসানীদ-ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) খঃ ১/৪০০
৮। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-খঃ১/২৪২
৯। মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক
১০। হিদায়াঃ ১/১০০-১১০-১১১-
১১। ফাতওয়ায়ে শামী ১/৫০৪-
১২। ফাতওয়ায়ে আলমগীরি-১/৭৩
১৩। যাখীরা
১৪। ইমাম কারাফী ২/১৯৩
১৫। আল মুগনী -২/১৩৯
১৬। বজলুল মাজহুদ -৫/৮৯
১৭। সহীহ ইবনে খুজাইমা – ১/৩১৮
উত্তর দাতা
মোঃ ফরিদুল ইসলাম
উচ্চতর হাদীস গবেষনা বিবাগ
বসুন্ধরা ঢাকা-
পরীক্ষিত এবং অনুমোদিত
মুফতী রফিকুল ইসলাম
হাদিস এবং তফসীর বিভাগের প্রধান
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার
বসুন্ধরা , ঢাকা – ১২১২
বাংলাদেশ ।
আমার দেয়া ভিডিও লেকচারটিও দেখবেন আশা করি । ভিডিওটির লিংক হচ্ছে : বাংলা ওয়াজ নারী-পুরুষের সালাতের পার্থক্য>
বক্তা মতিউর রহমান মাদানী । লিসান্স (হাদীস) মদীনা ইউনিভার্সিটি ।
@ABU TASNEEM, হাহ হা! সৌদীর এই বেতনভূক্ত ফিতনাবাজ দায়ীর লেকচার শুনতে কচ্ছেন? টাকার জোরে যারা দ্বীন প্রচার করে ওদের মুখ থেকে দ্বীনের সহীহ কথা হয় শুনেছেন?
@লুৎফর ফরাজী, বেতন নেয়াই যদি ফেতনাবাজ হওয়ার আলামত হয় তাহলে আমাদের দেশের আলেম-ওলামা সবাই ফেতনা বাজ । আসলে ইসলামের উৎসভুমি সৌদি । মক্কা-মদীনা আপনাদের প্রধান সমস্যা । কারন সেখানে নারী পুরুষের সালাতে পার্থক্য করা হয় না । রাফে ইয়াদাঈন , জোড়ে আমীন বলা , ৮ রাকাত তারাবীহ পড়া ইত্যাদি আমল করা হয় এই জন্য ।
আপনাকে দুটি হাদীস শুনাই …..
১। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , নিশ্চয় ঈমান তথা ইসলাম মদীনায় ফিরে আসবে, যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায় । – বুখারী , মুসলিম ।
২। আমর বিন আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , নিশ্চয় দ্বীন তথা ইসলাম হেজাজে অর্থাৎ মক্কা – মদীনায় ফিরে আসবে , যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায় ।
এই হাদীস দুটি অনুযায়ী পুরো পৃথিবীতে ইসলামের বিকৃতি আসার পর সঠিক ইসলাম একমাত্র ইসলামের উৎসভুমি মক্কা-মদীনাতেই থাকবে । যেমন সাপ তার গর্ত থেকে বের হয়ে সবখানে ঘুরেফিরে আবার তার গর্তে ফিরে আসে ।
আপনি কি মক্কা – মদীনার ইসলামের সাথে আপনার ইসলামকে মিলিয়ে দেখেছেন । যদি না দেখে থাকেন তাহলে একটু মিলিয়ে দেখুন –আপনার ইসলাম ঠিক আছে কি না ।
নাকি এই হাদীসেরও তাহরীফ করবেন ? যে এখন সেখানে সঠিক ইসলাম নেই , সঠিক ইসলামের সাপটি আরও পরে সেখানে ফিরে যাবে ?
অবশ্যই অবশ্যই সেখানে সঠিক ইসলাম ছিল , আছে এবং থাকবে ইনশা-আল্লাহ ।
@ABU TASNEEM,
৮ রাকাত তারাবীহ পড়া
রোজার মাসে হেরেম শরীফ ও মসজিদুন নববীতে ২০ রাকাআত নামাজ পড়ানো হয়, যেটা টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। ৮ রাকাআত পড়া হয় সেটা কোথায় পেলেন?
@ম্যালকম এক্স, রোজার মাসে হেরেম শরীফ ও মসজিদুন নববীতে ২০ রাকাআত নামাজ পড়ানো হয়, ঠিক কথা কিনতু তা ১জন ইমাম ১০রাকাত পড়ার পর আরএকজন ইমাম ১০রাকাত পড়ান।যারা ২০রাকাত পড়তে আগ্রহী তাদের জন্য পরপর ১০ রাকাত পড়ানো হয়। অন্য সব মসজিদে ৮ রাকাত পড়ানো হয়।
@Mujibur Rahman, তার মানে আপনিও স্বীকার করছেন অনেকে সেখানে ২০ রাকাআত পড়েন?
@ABU TASNEEM,
১। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , নিশ্চয় ঈমান তথা ইসলাম মদীনায় ফিরে আসবে, যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায় । – বুখারী , মুসলিম ।
রসুলুল্লাহ (সা:) বলেননি সেটা কবে ফিরে আসবে? তাহলে আপনি বুঝলেন কিভাবে সেটা এখনই?
সৌদী আরবে হাজার হাজার আলেম আছেন যারা মাজহাব মানে, আপনি কিভাবে মনে করলেন সবাই আপনার মতো লা মাজহাবী?
@ম্যালকম এক্স, সৌদীতে হাজার হাজার আলেম মাযহাব মানে না । তারা নিজেদেরকে পরিচয় দেয় সালাফী হিসেবে । আর সালাফীরাও সহীহ হাদীসের অনুসারী ।
আর হাদীসটির ব্যাখ্যা হাদীসটির সাথেই একটু করেছি । হাদীসের অর্থ এটা নয় যে সাপের মত সঠিক ইসলাম মক্কা মদীনা থেকে বের হয়ে অন্য কোথাও চলে যাবে । মক্কা-মদীনায় তখন সঠিক ইসলাম থাকবে না । আবার যখন ইসলামের সাপটি ফিরে আসবে তখন অন্য কোথাও সঠিক ইসলাম থাকবে না শুধু মক্কা-মদীনায় থাকবে – হাদীসের অর্থ এরকম নয় । হাদীসের অর্থ হল: ইসলাম প্রসারিত হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে । আবার সেটা সংকুচিত হয়ে সঠিক ইসলাম মক্কা-মদীনাতেই থাকবে । ইসলামের উৎসভুমি মক্কা-মদীনা সব সময় সঠিক ঈমান আক্কীদার উপরেই থাকবে ।
@ABU TASNEEM,
ইসলামের উৎসভুমি মক্কা-মদীনা সব সময় সঠিক ঈমান আক্কীদার উপরেই থাকবে ।
তাহলে একসময় যে সম্পূর্ণ মক্কা মদীনায় শুধু মাজহাব অনুসারী ছিল, তাহলে তখন সেটাই ঠিক ছিল?
@ম্যালকম এক্স, সম্পুর্ণ মক্কা মদীনায় শুধু মাযহাব অনুসারী কখনেই ছিল না । আপনার মত মাযহাবীরাই শুধু এই দিবা স্বপ্ন দেখে ।
@ABU TASNEEM, দলীল ছাড়া কথা বার্তা কেন বলেন? আর “আপনার মত মাযহাবীরাই শুধু এই দিবা স্বপ্ন দেখে ।” এটা একটা ফালতু কথা। বাস্তবে আপনিও মাযহাবী। আপনি আলবানী টাইপের কিছু অযোগ্য লোকের অন্ধ মুকাল্লিদ। আপনি সহীহ হাদীসের বিপরীতে আলবানীর মাযহাব অন্ধ ভাবে follow করেন।
@ABU TASNEEM,
আপনি অন্য পোস্টে বলেছেন “কোরান” , “হাদিস” দলীল। এখন বললেন “কোরান” , “হাদিস” ও “সৌদী আরব” দলীল। কোনটা ঠিক?
@ম্যালকম এক্স, অবশ্যই কুরআন এবং সহীহ হাদীসই দলীল । আর সৌদি আরবের কথা বলেছি এজন্য যে তারা কুরআন এবং সহীহ হাদীসের অনুসারী ।
@ABU TASNEEM, হাহ হা! আপনাকে যথেষ্ঠ বিনোদনী পাবলিক মনে হচ্ছে। খুব মজা পাচ্ছি আপনার ধরা খাওয়া দেখে। ম্যালকম এক্সের জবাব কিন্তু দেননি হযরত।
মক্কা-মদীনার অধিবাসীরা গায়রে মুকাল্লিদ নয়
মক্কা মদীনার মূল শায়েখ ও ওলামায়ে কিরাম গায়রে মুকাল্লিদ নয়। মদীনাবাসী মালেকী মাযহাবী। আর মক্কীরা হাম্বলী মাযহাব অনুসরণ করেন। হাম্বলী ও মালেকী মাযহাবে আমীন জোরে পড়ার বিধান, তাই তারাও আমীন জোরে বলেন। হাম্বলী ও মালেকী মাযহাবে বুকের উপর হাত রাখার বিধান, তাই মক্কা ও মদীনাবাসী বুকের উপর হাত বাঁধে। ইংরেজদের দালাল আহলে হাদীসদের মত গায়রে মুকাল্লিদ এজন্য নয়।
একথাটির সবচে’ বড় দলিল হল-মক্কা ও মদীনায় রমযান মাসে ২০ রাকাত তারাবীহ হয়, কিন্তু ইংরেজদের দালাল কথিত আহলে হাদীসরা পড়ে ৮ রাকাত। মক্কা ও মদীনার আলেমরা গায়রে মুকাল্লিদ হলে তারাও গায়রে মুকাল্লিদদের মত ৮ রাকাত তারাবীহ পড়ত। কিন্তু মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবে তারাবীহ ২০ রাকাত হবার কারণে মক্কা মদীনার বাসিন্দারা তারাবীহ ২০ রাকাত পড়ে , গায়রে মুকাল্লিদদের মত ৮ রাকাত নয়। এটাই প্রমাণ করে যে, মক্কা মদীনার লোকেরা ইংরেজদের দালাল কথিত আহলে হাদীস গ্রুপ তথা গায়রে মুকাল্লিদ নয়।
বড়ই আশ্চর্যের বিষয় যে, রমযান এলে বেনামাযী নামাযী হয়ে যায়। ফরজ যারা পড়তেন তারা নফল পড়া শুরু করেন। সকল আমলকে বাড়িয়ে দেন। যে কুরআন পড়েনা, সেও কুরআন পড়তে শুরু করে। যে নফল দুই রাকাত পড়ত সেও ৪ রাকাত বা বেশি পড়তে থাকে। কিন্তু এই নাফরমান গায়রে মুকাল্লিদ গ্রুপ আমলকে ২০ রাকাত তারাবীহকে কমিয়ে ৮ রাকাত বানিয়ে দেয়।
@লুৎফর ফরাজী, যারা হক্ব মানতে চায় না , হক্বের কথা গায়ের জোরে , ফুৎকার মেরে উড়িয়ে দিতে চায় তারাই তাতে বিনোদন পায় । যেমন এখানে গায়ের জোড়ে কিছু দাবী করেছেন ।
মক্কা-মদীনার লোক মালেকী হাম্বলী নয় , সালাফী । বুকের উপর হাত বাঁধা , আমীন জোড়ে বলা এগুলি দিয়েই প্রমাণ হয় না যে তারা মালেকী হাম্বলী । আর আপনি উদহরণ দিতেও ভুল করেছেন । মালেকী মাযহাবে বুকের উপর হাত বাধার বিধান নয় তাদের বিধান হল হাত সোজা ছেড়ে দিয়ে নামায পড়া ।
আপনাদের স্বভাব হচ্ছে গায়ের জোড়ে সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করা । মক্কা-মদীদার মূল শায়েখরা কেউ মুকাল্লিদ ছিলেন না , ইবনে বায মুকাল্লিদ ছিলেন না , শায়খ উছায়মিন মুকাল্লিদ ছিলেন না ……………. স্যরি নাম ধরে ধরে বললে বলবেন , এরা না অন্যরা মুকাল্লিদ ছিলেন তাহলে আপনিই কয়েক জনের নাম বলুন না দেখি ?
আপনার দেয়া সবচেয়ে বড় দলীল , বিশ রাকাত তারাবীহ , কখনই নয় । মক্কা মদীনায় বিশ রাকাত তারাবীহ হয় না । তারাবীহ হয় দশ রাকাত , দশ রাকাত – দু’জন ইমামের ইমামতিতে পর পর দুটি জামাত হয় । এক ইমাম ইমামতি করার পর সে আর পরের ইমামের পিছনে মুক্তাদি হয় না । পরের ইমামও প্রথম ইমামের পিছনে মুক্তাদি হয় না । পর পর দুটি জামাত এইভাবে করা হয় যাতে আপনাদের মত অন্ধ মুকাল্লিদরা যারা বিশ রাকাত পড়ে তারাও জামাতের সাথে নামায পড়তে পারে । আগে ভাল করে জানুন , মক্কা মদীনায় কেউ থাকলে তাদের সাথে কথা বলুন , অথবা আমাদের দেশে অনেক মাদানী আলেম আছেন তাদের সাথে কথা বলে দেখুন । না জেনে গায়ের জোরে কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন ।
আর বিশ রাকাত তারাবীর দলীল আপনারা কখনও সহীহ হাদীস থেকে দিতে পেরেছেন , আলবানীর কথা না হয় বাদই দিলাম । যাকে শায়খুল ইসলাম বলা হয় সেই ইমাম ইবনে তাইমিয়া , হাফেয ইবন্যুল কাইয়্যেম , ইবনে হাজার আসকালানী , ইমাম যাহাবী কেউ কি বিশ রাকাত তারাবীর ফতোয়া দিয়েছে ?
জানি এত কিছু লিখার পরেও বলবেন উত্তর পেলাম না । কারণ আপনাদের স্বভাব হচ্ছে “বিচার মানি কিন্তু , তাল গাছ আমার” । সুতরাং আপনাদের পছন্দনীয় উত্তর কখনই পাবেন না ।
@ABU TASNEEM, যাকে শায়খুল ইসলাম বলা হয় সেই ইমাম ইবনে তাইমিয়া , হাফেয ইবন্যুল কাইয়্যেম , ইবনে হাজার আসকালানী , ইমাম যাহাবী কেউ কি বিশ রাকাত তারাবীর ফতোয়া দিয়েছে ?
বিশ রাকাত তারাবী সুন্নাতুল খুলাফা দ্বারা প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে, প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর খেলাফত-আমলে এবং ওমর রা.-এর খেলাফতের প্রথম দিকে তারাবীর নামায ছোট ছোট জামাতে হত। ফরয নামাযের মতো এক ইমামের পিছনে তারাবীর নামায আদায়ের ইহতিমাম ছিল না।
রমযানের এক রাতে মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট তারাবীর জামাত দেখে হযরত ওমর রা.-এর মনে হল, সকল নামাযীকে এক ইমামের পিছনে একত্র করে দেওয়া উচিত। তখন তিনি এই আদেশ জারি করেন এবং উবাই ইবনে কাবকে ইমাম বানিয়ে দেন।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ২০১০
এই রেওয়ায়েতটি সনদের দিক থেকে ‘সহীহ’ ও বিষয়বস্ত্তর দিক থেকে ‘মুতাওয়াতির’।
বলাবাহুল্য, উবাই ইবনে কাব রা. বিশ রাকাত পড়াতেন। (দেখুন : মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২/২৮৫)
এ বিষয়ে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন-
إنه قد ثبت أن أبي بن كعب كان يقوم بالناس عشرين ركعة في قيام رمضان ويوتر بثلاث.
এটা প্রমাণিত যে, উবাই ইবনে কা’ব রা. লোকদের নিয়ে রমযানের রাতে বিশ রাকাত পড়তেন এবং তিন রাকাত বিতর আদায় করতেন।-মাজমুউল ফাতাওয়া ২৩/১১২
২০ রাকাত সম্পর্কে তিনি বলেছেন-
ثبت من سنة الخلفاء الراشدين وعمل المسلمين.
এটি খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ ও মুসলিম উম্মাহর কর্মধারা দ্বারা প্রমাণিত।
@Anonymou , আপনার দেয়া প্রথম হাদীসটি ঠিক আছে । কিন্তু পরের হাদীসটি ঠিক নেই । মুওয়াত্তা ইমাম মালিক এবং মিশকাত খুলে দেখুন সেখানে পরিস্কার লিখা আছে ওমর রাঃ উবাই ইবনে কাব রাঃ কে বিতর সহ ১১ রাকায়াত তারাবীহ পড়ানো হুকুম দিয়েছিলেন । ওমর (রাঃ) বিশ রাকাত তারাবিহ চালু করে যাননি । তিনি শুধু জামাআতে তারাবীহ চালু করেছিলেন । কোন হাদীস সহীহ হাদীসের বিপরীত বক্তব্য পেশ করলে সে হাদীস বাতিল বলে গন্য । বিশ রাকাত সংশ্লিস্ট বর্ণনা মুহাদ্দিসদের নিকট অগ্রহনযোগ্য , আমলের অযোগ্য এবং যঈফ হিসেবে গন্য । আশা করি সত্য যাচাই করে সত্যের অনুসারী হবেন ।
@ABU TASNEEM,এখানে প্রসংগটা ছিল মহিলা ও পুরুষদের নামাযের পার্থ্যকের ব্যপারে। কিন্তু আপনি কৌশলে প্রসংগ ঘুরিয়ে তারাবীহতে নিয়ে আসলেন। এখানেও প্রসংগ ছিল শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ থেকে ২০ রাকায়াত তারাবীহয়ের কোন ফাতওয়া আছে কিনা। এজন্য উল্লেখ করলাম। আপনি প্রসংগ ওভারলুক করে গেলেন। বুঝতেছিনা এই অপকৌশলের মানে কি?
দ্বিতীয় রেওয়ায়েত কেন ঠিক নেই তাও কোন ব্যাখ্যাও করলেন না। দ্বিতীয় রেওয়ায়েতের ব্যপারে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ এর দুটি সাক্ষ্য উল্লেখ করলাম তাও কোন ব্যাখ্যা করলেন না।
মুওয়াত্তা ইমাম মালিক এবং মিশকাত এর কোথায় উল্লেখ আছে এবং কি উল্লেখ আছে তাও বললেন না।
এভাবে কোন দলীল, হাদিস বা যুক্তি বা মুহাদ্দিসদের উদ্ধৃতি ছাড়া কিছু নীতিবাক্য শুনিয়ে দিলেন?
আপনার ভাষ্যমতে “কোন হাদীস সহীহ হাদীসের বিপরীত বক্তব্য পেশ করলে সে হাদীস বাতিল বলে গন্য । বিশ রাকাত সংশ্লিস্ট বর্ণনা মুহাদ্দিসদের নিকট অগ্রহনযোগ্য , আমলের অযোগ্য এবং যঈফ হিসেবে গন্য । ” আমার প্রশ্ন ঈদের নামাযে বার তাকবীরের সকল দলীল জঈফ হওয়া সত্ত্বে তার উপর কেন আমাল করেন।
উপরের মূল প্রবন্ধ এখান থেকে পড়া যাবে।
@ABU TASNEEM, “মক্কা-মদীনার লোক মালেকী হাম্বলী নয় , সালাফী” সালাফের সংগা অনুসারে আমরাও সালাফী। হানাফী, সাফেয়ী, মালেকী, হানবালী সবাই সালাফী। মাওলানা আবদুল মালেক দামাত বারাকাতুহুমও নিজেকে সালাফের অনুসারী বলে থাকেন। ইবনে বায বা শায়খ উছায়মিন উনারাও সালাফী ছিলেন, তবে আপনাদের মত নন। বরং সালাফের অনুসারী ছিলেন। মাদীনার লোকেরা আপনাদের মত সালাফী এমন কিছু প্রমাণ করতে পারবেন? আসল কথা হল মক্কা-মদীনার লোক মালেকী হাম্বলী এবং সালাফী। আপনাদের মত নফসপূজারী নন। তারা উম্মতের মধ্যে বিভেদ করার জন্য উলামাদের গালাগালি করেন না।
মক্কা-মদীদার মূল শায়েখরা মূল শায়েখ মানে কি? আপনি যাদের পছন্দ করেন তারাই কি মূল শায়েখ, নাকি সৌদি সরকার মূল শায়েখ নামে কোন পদ সৃষ্টি করেছে? নাকি বুখারী শরীফের কোথাও পেয়েছেন?
@ABU TASNEEM, আপনার প্রসংগ এড়িয়ে গালাগালিতে অবাক হলাম। সে যাই হোক, মক্কা মাদীনার সবাই নিজেকে সালাফী বলে থাকেন। অধুনা আমাদের দেশেও আলেমগন নিজেদের সালাফী বলে থাকেন। এই সালাফীর অর্থ হল সালাফের অনুসারী। এই দাবী পুরাপুরি সহিহ, কেননা আমাদের দেশে শুধু দেওবান্দী উলামাকেরামই সালাফের অনুসারী। উনারা কুরআন, সহিহ হাদিস এবং উলামা কেরামদের ইজমা ও কিয়াস অনুসরণ করে থাকেন। যখন কোন ইজমা বা কিয়াসে বিপরীতে কোন সহিহ হাদিস পেলে তাই গ্রহণ করেন। যেকোন দেওবান্দী মাদ্রাসায় কিছু কয়েক বছর পড়াশুনা করলেই বুঝবেন। যাই হোক ও প্রসংগে যাচ্ছি না।
আমার প্রশ্ন ছিল শেখ বিন বায বা বা শেখ উছাইমিন রহিমাহুমুল্লহ উনারা সালাফী ছিলেন এটা সত্য (আমি নিজেও সালাফী, তবে নফস পূজারী নই) কিন্তু উনারা গায়ের মুকাল্লিদ এটা কি আপনাদের দাবী নাকি উনারা কখনও দাবী করেছেন কোথাও একটু জানাবেন। আমি আপনাদের কাছ থেকে এযাবত এই দুইজনের নামই শুনেছি। এর বাইরে আরও দুই এক জনের নাম জানালে খুশি হতাম। আবশ্যই পরিচয়সহ দিবেন। এবং প্রমাণসহ। উদ্ভট কিছু নাম দিয়ে বলবেন উনারা আপনাদের মত আকীদা রাখেন তাহলে গ্রহণযোগ্য হবে না।
@Anonymous, আপনার দাবীর কোনো উত্তর কি পেয়েছেন?
@ম্যালকম এক্স,না, শেখ বিন বায বা বা শেখ উছাইমিন রহিমাহুমুল্লহ উনারা কখনও নিজেদের গায়ের মুকাল্লিদ দাবী করেছেন কিনা আমি অনেক স্বঘোষিত আহলে হাদিস ভাইয়ের কাছে এই প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তর পাইনি। উনারা দুজন ছাড়া হারামাইন শারীফের অন্য কোন ইমামের নাম জিজ্ঞসা করেও পাই নি।
@ABU TASNEEM, সৌদি সাধারন মানুষের এক আবেগের স্থান। সাধারণ মানুষের এই আবেগকে পুজি করে ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেইলিং করে মানুষের দ্বীন হরনের এক অপচেষ্টা। অন্য কোন যুক্তির দরকার নেই, আমাকে বলুন ইমাম বুখারী রহ যাকে আমরা সবাই মুহাব্বাত করি ও আস্থা রাখি। এই মুহাব্বাত ও আস্থাকে পুজি করে আপনারা বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেন (যেমন খ্রীষ্টানরা ঈসা আ’লাহিস সালামের প্রতি আমাদের মুহাব্বাত কে পুজি করে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাহি ওয়া সাল্লাম কে গালি দেয়, কিন্তু আমরা এর বিপরীতে ঈসা আ’লাহিস সালামকে গালি দিতে পারি না) উনার বাড়ী কোথায়? ইমাম আবু হানিফা রহ কে কেন্দ্র করে আপনারা বলেন আমরা উনাকে অনুসরণ করি না, উনার বাড়ী কোথায়, আপনাদের গুরু আলবানীর বাড়ী কোথায়, জাকির নায়েক বা মতিউর রহমান?, শাহ ওয়ালীউল্লহ মুহাদ্দেসে দেহলভী রহ?
একই ভাবে মিথ্যাচারও করবেন না। মক্কা মাদীনায় সাবাই রফে ইয়াদাইনও করে না, জোরে আমীনও বলে না। তবে অধিকাংশই করেন, তাও তাদের মাযহাবের কারণে, আপনাদের মত মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নয়।
@ABU TASNEEM,উপরের দলীলগুলোর প্রমাণ ভিত্তিক জবাব দিন। ভিডিওতে চর্বিত চর্বন আলবানীর কথাগুলোই আছে। পোস্টে পরিষ্কার বলা আছে আলবানীর কথাগুলো কেন ভুল। এর বিপরীতে ঐ কথাগুলোই আবার শুনাবেন? হিটলারের গোয়েন্দা প্রধান গোয়েবলস এই কাজই করত। একই কথা বিভিন্ন জায়গা, থেকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন লোকদের মুখ থেকে বলাত। কেউ খন্ডন করলে আবার বলত। ধরে নিতে পারি গোয়েবলসের মিশন আর আপনাদের মিশন একই। আপনারাও কখনও সৌদি থেকে কখনও ভারত থেকে, কখনও বইয়ে, কখনও লেকচারে, কখনও ব্লগে, কখনও টিভিতে একি কথা বারবার বলেন, বিভিন্ন জায়গায় দলীল দিতে না পেরেও আবার বলেন, কেউ খন্ডন করলে আবার বলেন।
গোয়েবলস জানত কথাটা মিথ্যা কিন্তু মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য এই কাজ করত। আপনারাও জানেন আপনাদের দাবী মিথ্যা। কিন্তু সরলমতি জনসাধারণকে ধোকা দিয়ে তাদের দ্বীন হরণের এক মিশনে নেমেছেন। না হলে হাদিসের বিপরীতে মতিউর রহমানের ভিডিও কেন? মতিউরের মতামত কি হাদিসের উপরে স্থান পাবার যোগ্য? এতা কি শিরক নয়? এমন শিরকী আক্বিদাহ নিয়ে ইসলামের দাবী করেন?
মজার ব্যপার হল এই পোস্টের মূল বিষয় থেকে কিন্তু দৃষ্টি সরিয়ে অন্য দিকে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে, যা আহলে নফসদের চিরাচরিত স্বভাব!
নফস পূজারীদের মিথ্যাচারের নমুনা দেখুন
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন:
২। একদা এক বেদুঈন মহিলা উম্মুল মুমিনীন আয়েশা(রা:) এর সাথে সাক্ষাত করতে এসে তাকে না পেয়ে ফেরার পথে উম্মুল মু’মিনীন হাফসা(রা:) এর কাছে গিয়ে মহিলাদের নামায সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বললেন “নামায আদায়ের নিয়ম পদ্ধতির ব্যাপারে মহিলাদের পৃথক কোনো নিয়মের কথা আমাদেরকে বলা হতো না, তবে রুকুতে , রুকু বাদ দাড়িয়ে, দু সিজদার মাঝে একটু সময় অবস্হান করতে বলা হতো ।
উত্তর: উল্লেখিত কথাগুলোকে যেহেতু আপনি হাদিস নামে উল্লেখ করেছেন, সুতরাং অস্বীকারের দু:সাহস না করে অনুসন্ধানের ত্রুটির উপর দোষ চাপিয়ে অনুরোধের সুরে বলছি , অনুগ্রহ করে কিতাবের নাম, পৃষ্ঠা ও হাদিস নাম্বার উল্লেখ করে দিলে ইনশাল্লাহ প্রমান ভিত্তিক সমুচিৎ জবাব দেয়া হবে ।
আপনার ৩য় প্রশ্ন:
৩। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রা:), হাফসা বিনতে উমার (রা:), মায়মুনা (রা:) দ্বীন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ উম্মু দারদা (রা:) বুখারী ভাষ্যনুযায়ী এরা পুরুষদের মতো নামায আদায় করতেন ।
উত্তরঃ- উল্লেখিত আপনাদের এই দাবী সম্পূর্ন মিথ্যা,এমন কথা ইমাম বুখারী (রহঃ) স্বীয় কিতাব বুখারী শরীফে বা অন্য কোন কিতাবে কখনই বলেননি বা উল্লেখ করেন নাই। ইহা ইতিহাস সীকৃত শ্রেষ্ট মুহাদ্দীস-ইমাম বুখারীকে মিথ্যার কলংকে কলংকিত করে ওনার লেখনিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার অপপ্রয়াশ মাত্র।
উম্মু দারদা (রাঃ) একজন তাবেয়ী, তিনি নামাযে পুরুষদের ন্যায় বসতেন । নামাযের পদ্ধতিতে একজন তাবেয়ীর আমল যদি দলীল হয়ে থাকে তাহলে ইতিপূর্বে আমরা চার শ্রেনীর দলীলের ভিত্তিতে মহিলাদের নামাযের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি , যার মাধ্যমে একথা প্রমান হয়েছে যে আয়িম্মায়ে তাবেয়ীন যথাঃ- হাসান বসরি , হযরত কাতাদাহ, ইব্রাহীম নাখয়ী, খালেদ ইবনে লাজলাজ ওনাদের তালীল ও শিক্ষা অনুযায়ী রুকু সিজদা সহ একাধিক আমলের মধ্যে মহিলাদের নামাযের পদ্ধতি পুরুষ থেকে ভিন্ন ছিল। এছাড়া হতে পারে উম্মু দারদা (রাঃ) এবিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। অন্যান্য ক্ষেত্রে তিনি মহিলাদের মত ভিন্ন ভাবেই আমল করতেন । সুতরাং শুধু একজন তাবেয়ী মহিলার ব্যক্তিগত আমলকে অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারটি যুক্তি যুক্ত ও গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।
এই মিথ্যাচার উনাদের মহাসম্মানিত গুরু আলবানী থেকে।
আবু তাসনীম ভাই একটা প্রশ্ন করেছিলেন, ২০ রাকাত তারাবীর পক্ষে ইমাম তাইমিয়া রহ’মাতুল্লহ আ’লাইহির পক্ষ থেকে কোন ফতওয়া আছে কিনা। আমি উনার ফতওয়ার একটা দলীল দিয়েছিলাম। এরপর আপনার আর ব্যাখ্যা পেলাম না। তাহলে কি আমরা আশা করতে পারি আপনি আগামী রমজান থেকে ২০ রাকাত তারাবীহ পড়ছেন?
এরপর আমি আপনার কাছে প্রশ্ন করেছিলাম বিন বায ও উছাইমিন রহি’মাহুমাল্লহ উনারা মুকাল্লিদ ছিলেন না, এরপক্ষে আপনার কাছে কোন দলীল আছে কিনা। আপনি কিন্তু এখনও দেন নি। এখানে লিংক দুটো দেখুন উছাইমিন এবং বিন বায দুজনকেই কিন্তু হাম্বালী হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়েছে। তবে উনারা মাযহাব সরাসরি অনুসরন না করে গবেষণা করাটা পছন্দ করতেন ইমাম তাইমিয়া ও ইবনুল কাই্য়্যেমর (রহি’মাহুমাল্লহ) মত। এটাতো প্রসংশনীয়। পক্ষান্তরে আলবানীকে কিন্তু হানাফী হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়নি।
যে কোন তথ্য দেয়ার আগে একটু যাচাই করে নেয়া ভালো। মানুষ আর আগের মত অজ্ঞ নেই যে একটা কিছু বলে ধোঁকা দেয়া যাবে।