লগইন রেজিস্ট্রেশন

রূপকথার গল্প: বিবর্তনবাদ

লিখেছেন: ' আলোকময়ী' @ রবিবার, নভেম্বর ২১, ২০১০ (১০:১৭ পূর্বাহ্ণ)

ছোটবেলায় কতই না রূপকথার গল্প শোনতাম আম্মুর মুখে।কল্পনায় হারিয়ে যেতাম রূপকথার দেশে।গল্পকাররা বাস্তবতাকে মূল ধরে ও কল্পনাশক্তিকে ডালপালার মত ছড়িয়ে তৈরী করেন রূপকথার গল্প।কারন বাস্তবতা অনেক সমস্যা জর্জরিত,যেগুলোর সমাধান আমরা সবসময় খুজে পাইনা।কিন্ত কল্পনার আচ্ছাদনে সমস্যাগুলোর খুব সুন্দর সমাধান পাওয়া যায়।ডারউনবাদ তথা বিবর্তনবাদ হল ঠিক তেমনি একটি রূপকথার গল্প।

ডারউইন জ্ঞানপিপাসু ছিলেন।প্রকৃতি,গাছপালা,জীবজন্তু,ইত্যাদির প্রতি ছিল গভীর আগ্রহ।আর এই আগ্রহ থেকে অর্জিত জ্ঞানের সাথে কিছু কাল্পনিক যুক্তি মিশিয়ে ১৮৫৯ সালে প্রকাশ করেন “দ্য অরিজিন অব স্পেসিস” বইটি। তাই একে রূপকথার গল্প বৈ আর কিছুই বলার উপায় নেই।কারন এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।ডারউইনের বিবর্তনবাদ যখন ঊনবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তখন এই তত্ত্বটিকে বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য বা মিথ্যা প্রমান করার মত বৈজ্ঞানিক অবকাঠামো ছিল না।আর এটিই ছিল বস্তুবাদী তথা নাস্তিকদের জন্য চরম সুযোগ।সৃষ্টিতত্বের বিরুদ্ধে বিবর্তনবাদই ওদের মূল ভিত্তি।তাই বৈজ্ঞানিক প্রমানাদি ছাড়াই যুগের পর যুগ ধরে ওরা বিবর্তনবাদকে আকড়ে ধরে আছে এবং বিশ্বব্যাপী সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার হল একটি অসত্যকে,প্রমাণবিহীন তত্বকে স্কুল, কলেজের পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয়েছে প্রজন্মকে ভ্রান্তির মুখে ফেলে দিয়ে নাস্তিকতার দল ভারী করার জন্য। কিন্তু আজ আমরা একবিংশ শতাব্দীতে অবস্থান করছি।বিজ্ঞান এগিয়ে গেছে অনেক দূর পর্যন্ত।বিবর্তনবাদের প্রতিটি উক্তিকেই বৈজ্ঞানিকভাবে মিথ্যা প্রমানিত করা যায়।

বিবর্তনবাদে ধারনা করা হয় যে অজৈব বস্তু থেকে যুগপৎ সংঘটনের মাধ্যমে প্রানের উৎপত্তি হয়েছে।এবং আদিপ্রানী বলা হয় অ্যামিবাকে।আর এই এককোষী প্রানী অ্যামিবা থেকেই মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে সকল প্রজাতির উৎপত্তি হয়েছে।
প্রথমেই যদি আমরা বলি যে অজৈব বস্তু থেকে কিভাবে আদি প্রানের উৎপত্তি হল তার কোন সঠিক উত্তর বিবর্তনবাদ দিতে পারেনা।প্রথমে কিছু উদ্ভট ধারনা করা হত যেমন কিছু খাবার ফেলে রাখলে কিছুদিন পরে তা থেকে পোকামাকড় সৃষ্টি হয়,গম থেকে ইদুরের জন্ম হয় ইত্যাদি।অথচ কিছুদিন পরেই প্রমানিত হল যে পোকামাকড় গুলো খাবার থেকে সৃষ্টি হয়না বরং খালি চোখে দেখা যায়না এমন লার্ভাগুলোকে মাছি বহন করে নিয়ে আসে।

যাই হোক বিবর্তনবাদের অনুসারীরা তবুও থেমে থাকেনি।প্রানের উৎপত্তির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনেক গবেষনা চলতে থাকে কিন্তু সবগুলোই ব্যর্থ হয়।তার মধ্যে ১৯৫৩ সনে আমেরিকান রসায়নবিদ ষ্ট্যানলী মিলার এর গবেষনাটি উল্লেখযোগ্য। তার মতে পৃথিবীর আদি পরিবেশে কিছু গ্যাস ছিল যেগুলোকে তিনি তার তৈরী করা একটি সেটে একত্রে মেশালেন এবং মিশ্রণটিতে শক্তি সরবরাহ করলেন।অবশেষে সংশ্লেষনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জৈব অণু উৎপন্ন করলেন যেগুলো প্রোটিনের গঠন কাঠামোতে বিদ্যমান থাকে।কিন্ত কিছুদিন পরেই গবেষনাটি অগ্রহনযোগ্য বলে প্রকাশিত হল।কারন মিলার গবেষনায় যে পরিবেশ ব্যাবহার করেছিল তা পৃথিবীর প্রকৃত অবস্থা হতে অনেক ভিন্ন ছিল।

যাই হোক এভাবেই বিবর্তনবাদ প্রানের উৎপত্তি সম্পর্কে কোন সঠিক ধারণা দিতে পারেনা।
বিংশ শতাব্দীর কোষের আবিষ্কার ও মাইক্রো বায়োলোজি ক্ষেত্রগূলোর অভূতপূর্ব উন্নতি বিবর্তনবাদকে পূরোপুরিভাবেই নস্যাৎ করে দেয়।বিবর্তনবাদে যে সমস্ত জীবকোষ গুলোকে অত্যন্ত সরল মনে করা হয়েছিল সেগুলোর গঠনও অত্যন্ত জটিল।আজ এত উন্নত প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও অজৈব বস্তুগুলোকে একত্রিত করে একটি জীবকোষ তৈরী করা সম্ভব নয়।
এবার যদি আমরা কোষের গঠনগত দিক পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই কোষের ডিএনএ অণু যে genetic instructions বহন করে তা প্রতিটা জীবকোষের ক্ষেত্রেই অনন্য।অ্যামিবার ডিএনএ তে খুর,চুল,লেজ,চোখ তৈরীর তথ্য নেই যা ঘোড়ার ডিএনএ তে আছে।এলিগেটর এর ডিএনএ তে পালক,ফাপা হাড়, একমুখী ফুসফুস উৎপাদনের তথ্য নেই যা ঈগলের ডিএনএ তে আছে। তাহলে একটি প্রানী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে অসংখ্য প্রানীর উৎপত্তি কিভাবে হল?একটি কোষের ডিএনএ তে কিছু তথ্য যোগ হবে কিছু তথ্য বিলীন হয়ে যাবে এটা কি আদৌ সম্ভব?প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং মিউটেশন কোনটাই নতুন genetic information এর বৃদ্ধি উৎপাদনে সক্ষম নয় যেটা goo-to-you-via-the-zoo অর্থাৎ বিবর্তনবাদকে সমর্থন করে। আর প্রাকৃতিক নির্বাচন বিবেচনা করে যে সমস্ত জীব অধিকতর শক্তিশালী আর তার প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বেশী উপযোগী সেগুলোই ঐ পরিবেশে টিকে থাকবে।হ্যা, প্রত্যেকটি জীবের বেচে থাকার জন্যই অনুকূল পরিবেশের প্রয়জন।প্রতিকূল পরিবেশে কেউই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেনা।ব্যাপারটিকে দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যাক।

এক, কোন এলাকায় যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন দাবানল, জলোচ্ছ্বাস, আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যপাত, আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন ইত্যাদি সংগঠিত হয়, তবে শক্তিমান দুর্বল নির্বিশেষে সকল প্রানীই মারা যাবে অথবা আহত হবে।

দুই, কোন এলাকায় যদি বাঘের উপদ্রপ প্রবল হয়ে যায় সেখানকার হরিণদের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ।কিছুদিনের মধ্যেই হরিণ হয়তো বিলীন হয়ে যাবে।

উপরের কোন ক্ষেত্রেই কি নতুন প্রজাতি সৃষ্টি হতে পারে? একসময় ডাইনোসর খুব শক্তিশালী প্রানী ছিল কিন্তু সময়ের আবর্তনে পৃথিবী থেকে ওরা বিলীন হয়ে গেছে।তাই বলে যদি বলা হয় ডাইনোসর থেকে পাখির সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপারটা কি যুক্তিযুক্ত হল? অতএব, স্পষ্টভাবেই প্রমানিত হয় যে প্রাকৃতিক নির্বাচন কখনই প্রজাতির বিবর্তন ঘটাতে সক্ষম নয়।

ডারউনের ভক্তরা তাদের তত্বটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য ১৯৩০ সালের শেষের দিকে এর সাথে যোগ করেন মিউটেশন প্রক্রিয়া।এই প্রক্রিয়াটির মতে পরিবেশের বাহ্যিক কিছু কারন যেমন radiation কিংবা replication error এর কারনে জীবদেহের জটিল অংগসমূহে জীনগত পরিবর্তন সাধিত হয়।ফলে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে রূপান্তর সম্ভব হয়।
অথচ জীবকোষের গঠন অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া।প্রতিটি জীবকোষে ডিএনএ এবং প্রোটিন পরষ্পরের এমনভাবে নির্ভরশীল যে একটি ছাড়া আরেকটির অস্তিত্ব কল্পনা ও করা যায়না।তাই প্রোটিন ও অ্যামাইনো এসিড একই সাথে একই জায়গা হতে উৎপন্ন হওয়া কখনোই সম্ভব না ফলে প্রাণ যেমন কখনোই নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারেনা তেমনি ভাবে এই প্রক্রিয়ায় সামন্যতম পরিবর্তন কোষের গঠনই বিনষ্ট করে দিবে।

তাই মিউটেশন দ্বারা কখনোই বিবর্তন হয়না কেবল জীনের কেবল ক্ষতি সাধন হয়।মানবদেহে মিউটেশনের সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব হল ক্যান্সার। আমেরিকার জীনতত্ববিদ বি.জি. রাঞানাথান বলেনঃ “মিউটেশন হল ক্ষুদ্র, এলোপাতাড়ি আর ক্ষতিকর প্রক্রিয়া।এগুলো কদাচিত ঘটে আর ঘটলেও ভালো লক্ষন যে,এরা কার্যকরী হবে না।মিউটেশনের ৪ টি বৈশিষ্ট্য এটাই সূচিত করে যে,প্রক্রিয়াটি কখনো বিবর্তনজনিত বিকাশ ঘটায় না।অত্যন্ত জটিল জীবদেহে এলোপাতাড়ি পরিবর্তনগুলো হয় ব্যর্থ নয় ক্ষতিকর।একটি ঘড়িতে এলোপাতাড়ি পরিবর্তন একে কোন উন্নতর ঘড়িতে রূপান্তরিত করতে পারে না।খুব সম্ভবত এতে ঘড়িটির ক্ষতি হবে অথবা বড়জোর তা ব্যর্থ হবে।ভূমিকম্প কখনো নগরীর সমৃদ্ধি ঘটায় না বরং এর ধ্বংসই ডেকে আনে।“

বিবর্তনবাদকে অসাড় করতে আরেকটি ক্ষেত্রের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।সেটি হল প্রত্নতত্ববিদ্যা।এ পর্যন্ত প্রাপ্ত জীবাশ্ম তথ্য ও গবেষণায় বিবর্তনের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিবর্তনবাদ অনুসারে প্রতিটি জীব তাদের পূর্বসুরী থেকে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থায় এসেছে।তাহলে তো অবশ্যই প্রতিটা প্রানীর মধ্যবর্তী অবস্থা থাকার কথা।
যেমন লেজওয়ালা বানর থেকে লেজ ছাড়া বানর, তা থেকে আবার অর্ধেক মানুষ অর্ধেক বানর ইত্যাদি ইত্যাদি।

ডারউইন নিজেই বলেছেন,
“আমার থিওরীটি যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে একই গ্রুপের সমস্ত প্রজাতির মাঝে ঘনিষ্ঠ সংযোগ স্থাপনকারী মধ্যবর্তী গঠনের এ ধরনের প্রানীর সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই অসংখ্য ফলসরুপ তাদের অতীতে বিদ্যমান থাকার প্রমান কেবলমাত্র তাদের ফসিলসমূহ থেকে পাওয়া যেতে পারে।“
কিন্তু ফসিল রেকর্ড এ এমন কোন প্রমান নেই।তা পুরুপুরিই ডারউইনের ধারণার বিপরীত।মধ্যবর্তী বা অপূর্ণ অবস্থার কোন জীবাশ্ম আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করার জন্য বিবর্তনবাদ ৪ টি পর্যায় দেখিয়েছে।
অষ্ট্রেলোপিথেকাস > হোমো হেবিলিস > হোমো ইরেকটাস > হোমো সেপিয়েনস এই চেইনটি থেকে দেখানো হয়েছে যে একটি আরেকটির আদি পুরুষ। অথচ এদের মধ্যে অষ্ট্রেলোপিথেকাস দক্ষিণ আফ্রিকার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক শ্রেনীর বানর।দুজন বিখ্যাত এনাটমিষ্ট, লর্ড সলী যুকারম্যান ও অধ্যাপক চার্লস অক্সনার্ড গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে এরা এক প্রকার গরিলা শ্রেনীর। মানুষের সাথে এদের কোন ধরনের মিল নেই।

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল সাম্প্রতিককালের প্রাপ্ত তথ্য হতে দেখা গিয়েছে যে অষ্ট্রেলোপিথেকাস,হোমো হেবিলিস,হোমো ইরেকটাস পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে একই সময়ে অবস্থান করছিল।আর হোমো ইরেকটাস শ্রেনীর একটি অংশ এখনও পৃথিবীতে বর্তমান।তাহলে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘটে আসা বিবর্তন আর কোথায় থাকল???

ডগলাস ফুতুইমা, একজন বিবর্তনবাদী ও জীববিজ্ঞানী অবশেষে স্বীকার করেছেন যেঃ
“সৃষ্টি আর বিবর্তন-এ দুইয়ের মধ্যে প্রানের উৎপত্তির ব্যাখ্যাগুলো শেষ হয়ে যায়।প্রানীগুলো পৃথিবীতে এসেছে পুর্ণাঙ্গরূপে নয়ত আসেনি।যদি তারা পুর্ণাঙ্গরূপে না এসে থাকে তবে অবশ্যই পূর্বে বিদ্যমান কোন প্রজাতি হতে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়েছে।আর যদি পুর্ণাঙ্গরূপে এসেই থাকে তবে অবশ্যই তারা কোন সর্বশক্তিমান মহাকৌশলী কতৃক সৃষ্টি হয়েছে।“ আর যেহেতু আজ পর্যন্ত অপুর্ণাঙ্গ কোন প্রানীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি তাই বিবর্তনবাদ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অক্ষম।

উপরের আলোচনা থেকে আমরা সহজেই অনুধাবন করতে পারি যে বিবর্তনবাদের পক্ষে সবগুলো যুক্তিই মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে এবং এটা নিছক ধারণা ও অনুমানের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই।

ডারউইন নিজেই তার অনুমানকৃত তত্বের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি তার বইটির ডিফিকালটিস অন থিওরী অধায়ে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে গেছেন আর সেই সময়ে তার লিখিত বিভিন্ন চিঠিগুলিই প্রমান করে যে তত্বটি নিয়ে তিনি কত সংশয়ে ছিলেন।
তিনি হার্ভাড ইউনিভার্সিটির বায়োলজির প্রফেসর অ্যসা গ্রে কে এক চিঠিতে লেখেন-আমি চিন্তিত যে আমার কাজ গুলো সত্যিকারের বিজ্ঞান থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে।
1861 সালে টমাস থর্টন স্কয়ারকে লিখিত এক পত্রে ডারউইন স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করেছেন যে তিনি বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যায় সত্যিই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এবং একথাও বলেছেন- “তবে, আমি ন্যাচারাল সিলেকশন তত্ত্বে বিশ্বাসী। যদিও এই তত্ত্ব অনুযায়ী কোন প্রজাতি এযাবত পরিবর্তিত হয়ে অন্য আরেকটি প্রজাতিতে পরিবর্তিত হয়েছে- এমন একটি প্রমানও আমি দেখাতে পারবো না, তথাপি আমি এ তত্ত্বে বিশ্বাস করি। আমার এই বিশ্বাসের কারন এই যে, এই তত্ত্ব দ্বারা সহজেই প্রাণী জগতের শ্রেণী বিভক্তি, ভ্রুনতত্ত, অংগসংস্থান, ভূতাত্তি্বক পরমপরা ও বন্টন ইত্যাদি নানা বিষয় ও ঘটনার চমৎকার ব্যাখ্যা সম্ভব।” – ডারউনের এই পত্রের মূল কপি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
(সূত্র- এম ভারনেটঃ ইভুলিউশান অব দি লিভিং ওয়ার্ল্ড)

তাই ডারউইনের মত তার শিষ্যরাও মিথ্যার উপর অটলভাবে দাঁড়িয়ে আছে।জেনে শুনে ডারউইনের পূজা করে যাচ্ছে দিব্যি।কারন এই তত্বটিকে মূলত ওরা ব্যবহার করছে আদর্শগত উদ্দেশ্য পূরনের জন্য।সৃষ্টিতত্বের বিরুদ্ধে এটাই ওদের একমাত্র হাতিয়ার।বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যর্থ প্রমানিত হওয়া সত্বেও একে আকড়ে পড়ে আছে জোকের মত।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৫৯০ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars (ভোট, গড়: ৪.৫০)

২ টি মন্তব্য

  1. সহজ-সরল ভাষায় ভাল লিখেছেন। আরো লিখুন। আপনি চাইলে এই ব্লগ আর এই ব্লগেও পোস্ট দিতে পারেন, যাতে করে আরো অনেকে এই ‘রূপকথার গল্প’ সম্পর্কে জানতে পারেন।

  2. (F) (Y) (Y)
    চমত্কার! খুব ভাল লাগল পড়ে। আপনি কি মুক্তমনা টাইপ কোন ব্লগে প্রকাশ করেছেন? আমার অন্যপক্ষের যুক্তিগুলি শোনার ইচ্ছা ছিল। যদি করে থাকেন লিংক দেবেন দয়া করে।