‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ আগামী পৃথিবীর জন্য রচিত একটি আদর্শ সৌর ক্যালেন্ডার
লিখেছেন: ' antukhan' @ সোমবার, এপ্রিল ২৩, ২০১২ (২:৪৪ অপরাহ্ণ)
‘আত তাক্বউইমুশ শামসি’ সৌর ক্যালেন্ডার পৃথিবীর কোনো ক্যালেন্ডারের অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম, ইলকার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই সৌর ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হুজ্জাতুল ইসলাম, মুজাদ্দিদ আ’যমে ছানী, আওলাদে রসূল, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
রোমান ক্যালেন্ডারে ৪টি মাস ছিল ৩১ দিনে, ৭টি মাস ছিল ২৯ দিনে, ১টি মাস ছিল ২৮ দিনে। এভাবে বছর ছিল ৩৫৫ দিনে। পরে তারা ২২ অথবা ২৩ দিনের একটি নতুন মাস প্রত্যেক দ্বিতীয় বছর যোগ করতো। এই মাসটিকে বলা হতো মার্সিডোনিয়াস। কিন্তু জুলিয়াস সিজার (ঈসায়ী পূর্ব ৪৫ সাল) এই রোমান ক্যালেন্ডারকে কিছুটা সংশোধন করে, তখন ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা (৩৬৫.২৫) হিসেবে সৌর বৎসর গণনা করা হতো। মাস গণনা করা হতো ৩০
আমরা জানি ২০ অথবা ২১শে মার্চে দিন রাত্রি সমান হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার যেহেতু ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা হিসেবে ধরা হতো অর্থাৎ প্রকৃত সৌর বৎসর (৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট, ৪৬ সেকেন্ড) এর চেয়ে ১১ মিনিট বেশি ছিল। ফলে দেখা গেলো ১৫ শতকে এসে ২১শে মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চ দিন-রাত্রি সমান হচ্ছে। ফলে এই ১০ দিনের সংশোধন করে ৫ অক্টোবর, শুক্রবার ১৫৮২ সালের পরিবর্তে ১৫ অক্টোবর ১৫৮২ সাল হিসেবে
পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমান গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বাৎসরিক বিচ্যুতি প্রায় ২৭ সেকেন্ড কিংবা মায়ান ক্যালেন্ডারের বাৎসরিক বিচ্যুতি ৩৩ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি। অথচ আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডারের বাৎসরিক বিচ্যুতি ০.২ সেকেন্ডেরও কম।
পরিশেষে এই বলা যায় যে, আত-তাক্বউইমুশ শামসি ক্যালেন্ডারের পৃথিবীর মুসলমানদের নির্ভুল সৌর ক্যালেন্ডার আর এই ক্যালেন্ডারের প্রচারের মাধ্যমে এর ব্যবহার আমরা শুরু করতে পারি। আল্লাহ হাফেজ।