সংযমের অভ্যাস
লিখেছেন: ' as.masrur' @ শুক্রবার, মে ১৩, ২০১১ (৯:১৯ অপরাহ্ণ)
যৌবনের সুচনা লগনের সময়টা বড়ই বিপদজনক। এ সময় রীতিমত সতর্কতা অবলম্বন না করলে, যৌনক্ষুধা জেগে উটে মানুষকে বিপদগামী করে দেয়। একেত ছেলেদের থাকেনা অভিগঙতা, দ্বীতিয়ত লজ্ঝার কারনে তাকে উপদেশ দেয়া বা শিক্ষা দেয়ারও কেউ থাকেনা। আর উপদেশ চাওয়ারও সাহস বা সুযোগও তার নিজের হয়না। অতচ যৌবনের যৌন উওেজনাকে সুসংযত ও সুসংহত করতে না পারলে, মানুষের জীবন সবদিক দিয়েই পংগু হয়ে যায়। পাপের বোঝা মাথায় চাপে, স্বভাব নষ্ট হয়, সাস্থ ধ্বংস হয়, সম্পদ নষ্ট হয়। কারন মানুষের শরীরের বীর্যই হল মানবদেহের মুল রাজা। এর দ্বরাই মানুষ সৃস্টি হয়। বৈগঞানিকগণ বিগঙানের সাহায্যে অনেক কিছুই করতে সক্ষম হয়েছেন। কিনতু মানুষ সৃষ্টি করতে সক্ষম হননি। এতদ্বারা বুঝা গেল যে, যে বস্তুকে সমস্ত বৈগঙানিকগণ একতিত হয়েও সৃষ্টি করতে সক্ষম হননি সে বস্তু যে বস্তু দ্বারা তৈরি হয় তা কত মুল্যবান এবং দামী। আর সে বস্তুকে অপথে কুপথে নষ্ট করা কতবড় গোনাহর কাজ।
হাদীস শরীফে আছে “যৌবনের ডেউ উন্মওতা স্বরূপ।” অতএব এ ঢেউকে সুসংযত ও সুসংহত রাখার জন্য ও এ ঢেউয়ের মধ্যে থেকে জীবনকে পার করে জন্য অত্যন্ত তীক্ষ্ণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রবীণ বয়স্ক কোন মুরব্বীকে দিয়ে যৌবনে পদার্পনকারী তরুনদের অত্যন্ত গাম্ভীর্যের সাথে উপদেশ দেয়া উচিত যে, এ বয়সে শরীরের মধ্যে চাঞ্যল্যের সৃস্টি হয়, সুন্দর মেয়ে বা সুন্দর বালক দেখতে ও তাদের সাহচর্য লাভ করতে আগ্রহ জন্মে। এমনকি নিজের শরীরের বিশেষ অংগকে দেখতে, স্পর্শ করতে ও হাত পা দিয়ে ঘর্ষন করতে মন চায়- মনের এ চাহিদাগুলো সব ই পাপ-মহা পাপ, এমন মহা পাপ যে, যার কোন ক্ষতিপুরণ হতে পারেনা। এ প্রকার পাপের দ্বারা ভবিষ্যতে জীবন এমনভাবে নষ্ট হয় যে, জীবনে তার কোন প্রতিকার নেই। অতএব, মনের এ ধরনের চাহিদার সময় মনকে এবং দেহকে সর্বপ্রকার মানসিক বল প্রয়োগ করে সংযত রাখতে হবে এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করে কুসংসর্গ ত্যাগ করতে হবে। সাপের সংসর্গ গ্রহণ করা যেতে পারে তবুও কুসংসর্গ গ্রহণ করা যেতে পারেনা। কারণ সাপের সংসর্গ দ্বারা হয়ত মানুষের ক্ষণস্হায়ী জীবন ধংস হতে পারে। কিন্তু কুসংসর্গ দ্বারা মানুষের চিরস্হায়ী জীবন ধংস হয়ে যায়। আর অভিভাবকদের এ দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে যে, এ ধরনের বালকদেরকে এক বিছানায় কক্ষনো শূতে দেয়া উচিত নয়। এমনকি নির্জন কক্ষেও তাদের এক সাথে থাকতে দেয়া উচিত নয়। ওপরকে নিজের গুপ্তাংগ দেখতে বা স্পর্শ করতে তো দিবেই না, এমনকি নিজেও নিজের গুপ্তাংগ বিনা প্রয়োজনে দেখবে না বা স্পর্শ করবে না।
অনেক সময় অনেক খারাপ লোকে নানা ধরনের অশ্লীল কথা আলোচনা করে, অশ্লীল ও উলংগ ছবি রাখে ও দেখে, অশ্লীল প্রেমের নভেল নাটক পড়ে এবং অশ্লীল ও ন্গ্ণ ছবি প্রচার করে। সাবধান! এ ধরনের অশ্লীল কাজ থেকে ছেলে মেয়েদেরকে অতি সতর্কতার সাথে দুরে রাখতে হবে। যুবক-যুবতীদের অবাধ মেলামেশা ও এক সাথে উঠা বসা বিষ দ্বারা হত্যা করার চেয়েও অধিক জীবন হন্তা মনে করতে হবে। প্রথম প্রথম হয়ত টের পাওয়া যায় না বা এতে কোন খারাপ উদ্দেশ্য ও থাকেনা। কিন্তু অপরিপক্ক বয়সে একবার এ ফাঁদে জড়িয়ে পড়লে, শেষে ছুটা বা ছুটান যাবেনা, জীবন ধংস হয়ে যাবে। মেয়েদেরকে দশ বছরের পর বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া উচিত নয়।
সাবধান! সাবধান! হিন্দুদের দেখাদেখি, বা ইংরেজদের দেখাদেখি বা দুনিয়ার কোন লোভের বশবর্তী হয়ে, ঈমান নষ্ট করবে না, ধর্ম নষ্ট করবে না এবং ছেলেমেয়েদের জীবন নষ্ট করবেনা।
ছোট বয়সে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেয়া তত ভাল নয়। মেয়ে ১৪ বছর বয়সে এবং ছেলে ২০/২৫ বছর বয়সের সময় বিয়ে দেয়া ভাল। কিন্তু এর পূর্বেও যদি যৌন তাড়না দেখা দেয়, তবে বিয়ে দিয়ে দেয়া উচিত। ঘটনাক্রমে যদি ছেলেমেয়ে উভয়ের মাঝে প্রমের ভাব উদয় হয়ে যায়, তবে তাদের দুজনের মাধ্যে যদি শরীয়ত অনুযায়ী বিয়ে শুদ্ধ হয়, তবে তাদের দুজনের মধ্যেই বিয়ে দিয়ে দেয়া উচিত। বিয়ের মাঝে কোন কপ্রথার অনুসরণ করবে না। সরল ও সাধাসিধে ভাবে পাত্র বা পাত্রীর দায়িত্বঞান, ঈমানী শক্তি, চরিত্রবান দেখে বিয়ে করান উচিত।
মাওলানা আশরাফ আলী থানভী(রহ:) লিখিত বেহেশতী জেওর-ষষ্ট খণ্ড থেকে সংগৃহীত।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখা দেয়ার জন্য।
সাপের সংসর্গ গ্রহণ করা যেতে পারে তবুও কুসংসর্গ গ্রহণ করা যেতে পারেনা। কারণ সাপের সংসর্গ দ্বারা হয়ত মানুষের ক্ষণস্হায়ী জীবন ধংস হতে পারে। কিন্তু কুসংসর্গ দ্বারা মানুষের চিরস্হায়ী জীবন ধংস হয়ে যায়।