দিকে দিকে ইসলাম জাগবে
লিখেছেন: ' as.masrur' @ সোমবার, মে ১৬, ২০১১ (৩:০০ পূর্বাহ্ণ)
গাটলি মাথায়, পূটলি হাতে
ডেগ, পাতিল আর ডেগচি সাথে
কাতার ধরে পথের ধারে
যাচ্ছে ক’জন যিকির করে।
শহর কিবা গ্রামের মানুষ
গরীব, ধনী নেই কোন দোষ
শিক্ষিত বা মুর্খ সবে
এক কাতারেই চলতে হবে।
এই হলো ভাই তাদের নিয়ম
খাচ্ছেনা কেউ অধিক বা কম।
সবাই খাবে এক বাসনে
উদার মনে সরল প্রাণে।
মসজিদে মসজিদে হয় তারা মেহমান
থালা,বাটি, কম্বল লয়ে।
শীত কিবা গরমে, অসুবিধা চরমে
খুশি মনে নেবে তারা সয়ে।
পথে পথে হেটে যায়, সারাদিন কেটে যায়
মানুষের পিঠে হাত বুলিয়ে।
ঈমানের কথা বলে, মেহনতে কৌশলে
দুনিয়ার নেশা দেয় ভুলিয়ে।
সুমধুর বয়ানে, হ্রদয়ে বয়ে আনে
সততা, আদর্শের শিক্ষা ।
সত্যের পরিচয় হয় তাতে বিনিময়
প্রাণে প্রাণে ঈমানের দীক্ষা।
তুরাগ পারের ইজতেমায়
লক্ষ্য মানুষ হাত উঠায়।
চোখের পানি যায় ঝরে
মহান প্রভুর দরবারে।
সংগোপনে কাটতে শির
বদ দ্বীনী আর গোমরাহীর।
যায় ছড়িয়ে বিশ্বময়
লক্ষ তাদের বিশ্বজয়।
শহর নগর বন্দরে
ময়দানে আর অন্দরে ।
হক্বের দাওয়াত দেয় তারা
পথ খুঁজে পায় পথ হারা।
রাশিয়া, চীন,জাপান, ফ্রান্স, হিন্দুস্তান
আমেরিকা, বৃটেনের শিকড়ে।
চেয়ে দেখি হতবাক দ্বীন ঈমানের ডাক
চুপি চুপি ডুকে যায় কি করে?
এভাবেই একদিন বাতিল হবে বিলিন
হক্বের গাইবে গান সকলে।
যত হোক আধুনিক, আসবে দুনিয়া ঠিক
দাড়ি টুপি-ওয়ালাদের দখলে।
আইফেল টাওয়ারটা ভেংগে যাবে একদিন
হোয়াইট হাউসের ভিত কাঁপবে।
বাকিংহামের দ্বার হবে আল্লাহর
দিকে দিকে ইসলাম জাগবে।
কাব্যগ্রন্থ: লাল সাগরের ঢেউ-মুহিব খান
ধন্যবাদ আপনাকে। মুহিব খানের সঙ্গিত গুলি আমার খুব ভাল লাগে। যদি কোথাও সঙ্গিত অনুষ্টান হয় তাহলে একটু জানাবেন।
আপনাকে ও ধন্যবাদ। আপনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে নিম্নেন লিংকে একটা লাইক দিয়ে রাখুন। আমরা এখানে মুহিব খানের সব খবর শেয়ার করার চেষ্টা করি।
http://www.facebook.com/pages/Muhib-Khan/178205095535095
গাট্টি ওয়ালা পুটলি ওয়ালা !
গন্ড মূর্খ ছয় উছুল ওয়ালা !
কোরাআন হাদীসের
নাই কোন ধার,
আছে শুধু এক
“ফাজায়েলে আমল” তার ।
ঘর সংসার ফেলে
মসজিদে মসজিদে ঘুরে,
মনে করে এক বিশাল আমল
করেছে জীবন জুড়ে ।
গন্ড মূর্খ দেখাক এক দলীল
নবীজী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জীবনে
কবে উনি সংসার ফেলে ঘুরেছেন
এক মসজিদ থেকে আরএক মসজিদ প্রাঙ্গনে ?
বলে তারা তবলীগ করে
অথচ জানেনা তার অর্থ,
তবলীগ হল ভালোর নির্দেশ
খারাপ কাজের বিরুদ্ধ ।
বলে শুধু নামাজের কথা
দেখায় বড় বুজুর্গী,
রমনা পার্কের যত হারাম
তাতে তো নাই তাদের তবলীগ !
বেপর্দা-বেহায়ার এক
মিলন মেলার পার্ক,
কাকরাইল মদজিদে থেকেও বলেনা
উফ্ আল্লাহ্ পাক !!!
কখনও কি করেছে নিষেধ
ঐ সব হারাম কাজে ?
নাকি! হারামে বাঁধা! নিষেধ আছে
তাদের ছয় উসুলের মাঝে !!
সাহাবায়ে কিরাম (রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম)
উনাদেরকে মূর্খ বলে! কত বড় বেয়াদব তারা !!!
অথচ হাদীস শরীফে আছে,
সাহাবায়ে কিরাম (রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম)
উনাদের খারাপ বলে!
আল্লাহ পাক উনার লানতে আছে যারা।
তাদের নেতা ইলিয়াছ মিয়া
দিয়ে গেছে এক ফতওয়া,
তার ছয় উসুলী তবলীগ না করলে নাকি
ঈমান শুদ্ধ হবে না !
তাহলে তার (ইলিয়াছ) বাবার দাদার
ঈমান কি শুদ্ধ ছিলনা ?
নাকি বড়পীর সাহেব (রহমতুল্লাহী আলাইহি)
খাজা সাহেব (রহমতুল্লাহী আলাইহি)
উনারা শুদ্ধ ছিলেন না (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) !
ইলিয়াছ মিয়ার স্বপ্নে পাওয়া
এই ছয় উসুলী তবলীগি কাম,
মূর্খতার এক জাহিরী তরীকা
বাতিল ফিরকার কঠিন এক নাম ।
বেচেঁ থাকুন ভাই তাদের থেকে
তাকাবেন না ওদের দিক,
মূর্খতায় পড়বেননা আর
ঈমান আমল থাকবে ঠিক ।
গাট্টিওয়ালাদের সাথে থাকলে সবার
আমল হবে খাস্তা,
ওলী আল্লাহ উনাদের স্বাক্ষাতে থাকলে
পাবেন সঠিক রাস্তা ।
@muaallim, গাট্টি ওয়ালা পুটলি ওয়ালা ! গন্ড মূর্খ ছয় উছুল ওয়ালা ! কোন গন্ড মুর্খ ছাড়া অন্য লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে গন্ড মূর্খ বলতে পারেনা। নাকি আপনি তার চেয়েও নিচে।
কোরাআন হাদীসের নাই কোন ধার, আছে শুধু এক “ফাজায়েলে আমল” তার । ফাজায়েলে আমল কি আছে একটু পড়ে দেখবেন। ওঠাতে কোরআন হাদীসের কথাই আছে। আপনার মত গন্ড মূর্খের চেয়েও নিচে যারা তাদের কে সরাসরি কোরআন হাদীস দিয়ে দিলে বুঝবেনা। তাদেরকে প্রথমে নামায শিক্ষার বই দিয়ে নামায শেখাতে হয়। আর তাবলিগে যে ভাইয়েরা সাধারণত যান তারা অনেকেই ধর্মের প্রাথমিক জ্ঞানই রাখেন না। ধীরে ধীরে শিখেন, সুতরাং তাদেরকে কুরআনের তাফসীর আর বুখারী শরীফ পড়তে দিলে কাজ হবেনা। কুরআন হাদীসের আলোকে লেখা ফাজায়েলে আমল শুনালেই আমলের প্রতি ধীরে ধীরে অভ্যস্থ হবেন।
গন্ড মূর্খ দেখাক এক দলীল নবীজী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জীবনে কবে উনি সংসার ফেলে ঘুরেছেন এক মসজিদ থেকে আরএক মসজিদ প্রাঙ্গনে ? চক্ষু থাকতে ও যারা দেখেনা তাদের পক্ষেই এমন কথা বলা সম্ভব। রাসূল (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্বীনের দাওয়াত দিতে কি তায়েফ যান নি? ইসলামের প্রচার প্রসার আরবের বাহিরে কি ভাবে গেল।
বলে তারা তবলীগ করেঅথচ জানেনা তার অর্থ,……………… নাকি! হারামে বাঁধা! নিষেধ আছে তাদের ছয় উসুলের মাঝে !! আপনার কোন ভন্ড পীর রমনার খারাপ কাজে বা অন্য অশ্লিল কাজ সমুহে বাধা দেয় শুনি? ভন্ড পীরের ছেলারা ছাড়া তাবলিগের বিরুধিতা আর কেউ করেনা। (যেমন রাজার ভাগের ভন্ড, দেওয়ান ভাগের ভন্ড ইত্যাদি)।
সাহাবায়ে কিরাম (রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) উনাদেরকে মূর্খ বলে! কত বড় বেয়াদব তারা !!!……………তার ছয় উসুলী তবলীগ না করলে নাকি ঈমান শুদ্ধ হবে না !
এগুলি তো আপনার ভন্ড বাবার শেখানো মিথ্যা বুলি। আমি জীবনে কত তাবলিগী ভাইয়ের সাথে চলেছি কিন্ত কাহারো মুখে তো কোন দিন শুনিনি।
ওলী আল্লাহ উনাদের স্বাক্ষাতে থাকলে পাবেন সঠিক রাস্তা ।
ওলী আল্লাহ দের সাক্ষাতে সঠিক রাস্তা পাওয়া যায় একথা ঠিক (যা কোন তাবলিগি ও অস্বীকার করেন না) কিন্ত আপনার ভন্ড বাবাদের পাল্লায় পড়লে দুনিয়া আখেরাত নিশ্চিত ধ্বংস।
পরিশেষে সাধারণ মুসলমানদের লক্ষ্য করে বলছি আমাদের এলাকায় এমন অনেক ছেলেদেরকে দেখেছি যারা নামাজ পড়ত না রোযা রাখত না কিন্ত তাবলিগে যাওয়ার পর নামায রোজা নিয়মিত পালন করে।
অপর দিকে আমার এক বড় ভাই (চাচাত) মোটামোটি নামায রোজা ও শরিয়তের অন্যান্য বিষয় পালন করতেন কিন্ত এক ভন্ড পীরের কাছে মুরিদ হওয়ার পর নামায তো পড়েন ই না উল্টো বলেন: কুরআনে নাকি কোথাও নামাযের কথা নাই ই। তাই পীর বাছাই করতে হক্কানী পীর দেখে মুরিদ হোন। ভন্ডদের থেকে সাবধান থাকুন।
চরম সত্য আহ্বান। “ন্ডদের থেকে সাবধান থাকুন, হক্ব গ্রহন করুন।”
যারা নিজেদের বই ই ঠিক মত পড়ে না তাদেরকে গন্ড মূর্খ বলা কি ভুল!!! তাদের মুরুব্বির লেখা বই এর মধ্যেই পেয়েছি।
ভাত সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখতে হলে একটি-দুটি বাত টিপে দেখলেই চলে। সবগুলি ভাত টিপতে হয় না। তাই বিশেষকিছু হারাম/হালাল বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই আপনারা হক্ব বুঝতে পারবেন।
আর নামাজ পরলেই হবে না, ঈমান-আক্বিদাহ শুদ্ধ করে তারপর নামাজ-রোজার আমল। যাদের ইমান-আক্বিদাহ শুদ্ধ নাই তাদেরকে মুরুব্বি মেনে বা পীর মেনে যত আমলই করা হোক না কেন, তা গাছের শিকর কেটে রেখে মাথায় পানি ঢালার শামিল। তাই ইমান-আক্বিদাহ শুদ্ধ করতে হক্ব যাচাই করুন তারপর তাদের সাথে চলুন। আল্লাহপাক অবশ্যই সাহায্য করবেন।
@muaallim, ভাত সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখতে হলে একটি-দুটি বাত টিপে দেখলেই চলে। সবগুলি ভাত টিপতে হয় না। তাই বিশেষকিছু হারাম/হালাল বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই আপনারা হক্ব বুঝতে পারবেন। উনি কি বলেছেন যে অন্য হারাম গুলির প্রতি দৃষ্টি দিতে হবেনা। যেমন একটি কিতাবের মাঝে পেয়েছি উলামায়ে কিরাম গণ নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে একথা বলেন যে বিশেষ তিনটি সুন্নাত এমন রহিয়াছে যে গুলির উপর আমল করিতে পারিলে বাকি অন্যান্য সুন্নতের উপর আমল করা অতি সহজ হয়ে যায়। ১।অধিক হারে সালামের প্রচার ও প্রসার করা, ২।প্রত্যেক উত্তম কাজে ডানকে প্রধান্য দেয়া, এবং প্রত্যক নিম্ন কাজে বাম কে প্রধান্য দেয়া,৩।অধিক হারে জিকির করা। উনাদের কথার মর্ম এই নয় যে অন্যান্য সুন্নত এর উপর আমল করা লাগবেনা। ঠিক তেমনি ভাবে তাবলীগের মুরব্বির লেখা ঐ বইটি তে ও বিশেষকিছু হারাম/হালাল বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই আপনারা হক্ব বুঝতে পারবেন। একথার মাধ্যমে উদ্দেশ্য বুঝতে কঠিন নয় যে প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষ কিছু হারাম থেকে বেছে থাকুন তাহলে হক্ব বুঝতে পারবেন। পরে অন্যান্য গুলি জেনে আমল করা। কারণ উনি কি কোথাও বলেছেন যে অন্যান্য হারাম থেকে বেছে থাকা লাগবেনা, বা জানা লাগবেনা?
আর আপনি উনার গোটা বইখানা পড়ে এই একটু জায়গায় ই ভূল খুজে পেলেন!
আসলে আমাদের মুসলমানদের সম্পর্কে প্রজেটিভ ধারনাই করা প্রয়োজন। যতক্ষন না তাদের মাঝে দ্বীনের সরাসরি বিরুদ্ধাচারণ না দেখতে পাব।
ভাত সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখতে হলে একটি-দুটি বাত টিপে দেখলেই চলে। সবগুলি ভাত টিপতে হয় না। তাই বিশেষকিছু হারাম/হালাল বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই আপনারা হক্ব বুঝতে পারবেন। উনি কি বলেছেন যে অন্য হারাম গুলির প্রতি দৃষ্টি দিতে হবেনা। যেমন একটি কিতাবের মাঝে পেয়েছি উলামায়ে কিরাম গণ নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে একথা বলেন যে বিশেষ তিনটি সুন্নাত এমন রহিয়াছে যে গুলির উপর আমল করিতে পারিলে বাকি অন্যান্য সুন্নতের উপর আমল করা অতি সহজ হয়ে যায়। ১।অধিক হারে সালামের প্রচার ও প্রসার করা, ২।প্রত্যেক উত্তম কাজে ডানকে প্রধান্য দেয়া, এবং প্রত্যক নিম্ন কাজে বাম কে প্রধান্য দেয়া,৩।অধিক হারে জিকির করা। উনাদের কথার মর্ম এই নয় যে অন্যান্য সুন্নত এর উপর আমল করা লাগবেনা। ঠিক তেমনি ভাবে তাবলীগের মুরব্বির লেখা ঐ বইটি তে ও বিশেষকিছু হারাম/হালাল বিষয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই আপনারা হক্ব বুঝতে পারবেন। একথার মাধ্যমে উদ্দেশ্য বুঝতে কঠিন নয় যে প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষ কিছু হারাম থেকে বেছে থাকুন তাহলে হক্ব বুঝতে পারবেন। পরে অন্যান্য গুলি জেনে আমল করা। কারণ উনি কি কোথাও বলেছেন যে অন্যান্য হারাম থেকে বেছে থাকা লাগবেনা, বা জানা লাগবেনা?
আর আপনি উনার গোটা বইখানা পড়ে এই একটু জায়গায় ই ভূল খুজে পেলেন!
আসলে আমাদের মুসলমানদের সম্পর্কে প্রজেটিভ ধারনাই করা প্রয়োজন। যতক্ষন না তাদের মাঝে দ্বীনের সরাসরি বিরুদ্ধাচারণ না দেখতে পাব।
৭৩ দলের মধ্যে ৭২ দল ও কিন্তু মুসলমান। তারা সবাই এক আল্লাহপাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের কে মানে। তবুও তারা বাতিল ফিরক্বা। এই বাতিল ফিরকার মুসলমানদের প্রতি পজেটিভ ধারনা রাখলে কতটুকু লাভবান হওয়া যাবে তা কি বলার প্রয়োজন আছে? যাদের মূল আক্বীদায় গন্ডগোল তাদের হাজার ভালো আমলে আমার কি এসে যায়? একটা ইহুদী বা মোশরেক এর ও তো অনেক ভালো আমল থাকে, তাতে কি হয়েছে? মূল হচ্ছে আক্বিদা। এই আক্বীদার কারনের ৭৩ বিভক্তি। আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লালহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি, উনার সাহাবায়ে কিরাম রদিআল্লাহু আনহুম উনাদের প্রতি যার বিন্দু মাত্র ভুল আক্বিদা বা আদবের ত্রুটি যাদের রয়েছে তারা কক্ষনও অনুসরনীয় হতে পারে না। তারা যত জ্ঞানগর্ভ কথাই বলুক আর যত ভালো কাজ করুক না কেন।
আমার মত একজন সাধারন জ্ঞানের মানুষ তো আর অনেক হাদীছ-কোরআন জানে না। অনেক হাদীছ-কোরআন দিয়ে তো হক্ব যাচাই করার ক্ষমতা তার নাই। সে দেখবে প্রচলিত বা বহুল পরিচিত মাসলা-মাসায়েল, হালাল-হারাম গুলির বিত্তিতে। সে দেখবে হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, উনার সাহায়ে কিরাম রদিআল্লাহু আনহুম, পুর্ব্বর্তী নবী-রসূল আলাইহিমুসসালাম, আউলিয়ায়ে কিরাম হরমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্পর্কে ধারনার বিষয় গুলি।
হাদীছ শরীফে আছে, আল্লাহপাক উনার হাবীব হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনি ইরশাদ করেন, “তোমাদের সামনে কেউ যদি আমার সাহাবায়ে কিরাম রদিআল্লাহু আনহুম উনাদেরকে অসম্মান করে কথা বলে, উনাদের উপর মিথ্যারোপ করে তাহলে তোমরা বলবে, যে তোমাদের উপর আল্লাহপাক উনার লানত।” আরও অনেক হাদীছ শরীফ আছে এই ধরনের। অথচ তারা বলে সাহাবায়ে কিরাম রদিআল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অধিকাংশই মুর্খ ছিলেন। নাউজুবিল্লাহ।
আল্লাহপাক উনি কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন “নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম গন ওহী ব্যাতিত কোনো কথা বলেন না বা কিছু করেন না।” অথচ তারা বলে হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনি নাকি দাওয়াতের কাজে গাফিলতি করার কারনে উনি মাছের পেটে গিয়েছিলেন। নাউজুবিল্লাহ। একজন নবী আল্লাহপাক উনার আদেশে গাফিলতি করতে পারে এই ধারনা কিভাবে করা যায়! যেখানে উনারা ওহী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাহলেকি আল্লাহ পাক উনাকে ভুল ওহী দিয়েছিলেন। নাউজুবিল্লাহ। একজন মানুষ কি কখনও রিয়াজত-মশাক্বাত করে নবী বা রসূল হতে পারে? নাকি উনারা মনোনীত? উনারা মনোনীত। উনারা যা করেন সব আল্লাহ পাক উনার ওহী দ্বারা আদিষ্ট হয়ে করেন। যার সব বোঝা আমার মত অল্পজ্ঞান সম্পন্নের পক্ষে সম্ভব নয়। উনাদের কাজের ভুল ধরাতো স্পষ্ট কুফরী আচরন।
এ ছাড়াও অনেক ভুল আক্বীদা, ভুল বললে ভুল হবে, কুফরী আক্বীদা রয়েছে তাদের।
যেখানে আল্লাহপাক নির্দেষ দিলেন,”তোমরা ঐ ব্যক্তিকে অনুসরন করোনা যার কলব আমার (আল্লাহপাক উনার) যিকির থেকে গাফিল।” আর সেখানে যাদের মধ্যে কুফরী আক্বীদা তাদেরকে কিভাবে অনুসরন করা যেতে পারে! কিভাবে তাদের এত প্রশংশা করা যেতে পারে!
পূর্বের জবাবের প্রেক্ষিতে আর একটু বলি, যে এখানে রাজারবাগ, দেওয়ানবাগ বা কুতুববাগ এর বিষয় না এটা। তারা হয়তো লক্ষ লক্ষ লোককে নামাজের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি কিন্তু গোমরাহীতেও ডুবিয়ে দিচ্ছে। ভুল আক্বীদা দিয়ে বাতিল ফিরকায় শামিল করছে। আর একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, ইসলামের বিষটা সংখ্যাধিক্যের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। একজন লোক যদি হক্ব কথা বলে সেটাই হক্ব। সারা দুনিয়া যদি ভুল বলে সেটাতো হক্ব হয়ে যাবে না। সেটা ভুলই থাকবে। যখন ইসলাম শুরু হয়েছিলো তখন কম সংখ্যককে নিয়েই শুরু হয়েছিলো। আর যখন শেষ হবে এই কম সংখ্যককে নিয়েই শেষ হবে। এটা হাদীছ শরীফ-এর কথা। যখন ইসলাম শুরু হয়েছিলো তখনতো কাফিরের সংখ্যাই বেশি ছিলো, তাহলে কি বলা যাবে যে তখন মুসলমানেররা না হক্ব ছিলো (নাউজুবিল্লাহ)। ইসলামে সমর্থনের সংখ্যা গননা করে হক্ব যাচাই হয় না, এটা গনতন্ত্র না যা ইসলামে সম্পুর্ন হারাম।
@muaallim, অথচ তারা বলে সাহাবায়ে কিরাম রদিআল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অধিকাংশই মুর্খ ছিলেন। নাউজুবিল্লাহ। আপনার এ সমস্ত ধারনা প্রসুত বা ভন্ডদের শিখানো বুলি বাদ দিয়ে সত্য মেনে নিন। আমি তো জীবনে শত শত তাবলীগি ভাইয়ের সাথে চলেছি এবং তাদের বয়ান শুনেছি জীবনে তো কোন দিন এধরনের কথা শুনিনি।
তারা হয়তো লক্ষ লক্ষ লোককে নামাজের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, পাশাপাশি কিন্তু গোমরাহীতেও ডুবিয়ে দিচ্ছে। ভুল আক্বীদা দিয়ে বাতিল ফিরকায় শামিল করছে। আর একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, ইসলামের বিষটা সংখ্যাধিক্যের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। আপনি কি ঐ হাদীস শুনেন নি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন আমার উম্মতের বড় কোন দল এক সাথে গুমরাহ এর মাঝে একত্রিত হবেনা।
মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখিত “তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব” নামক কিতাবের ৯৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, লক্ষাধিক সাহাবা-ই-কিরাম (রাঃ)গণের মধ্যে অধিকাংশই মূর্খ ছিলেন। (অনুরূপ শরীয়তের দৃষ্টিতে তাবলীগী নেছাব, যার মূল হযরত জাকারিয়া (রঃ) প্রণীত- ১৩ পৃষ্ঠা, তাবলীগী জামায়াতের প্রধানের তর্ক ও ইচ্ছা নামক কিতাবের ৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে)
প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের সমর্থনপুষ্ট প্রায় কিতাবেই একথা লেখা আছে যে, নবী (আঃ)গণ কোন কোন ক্ষেত্রে ভুল করেছিলেন। যেমন- হযরত আদম (আঃ) গন্দম খেয়ে ভুল করেছিলেন ও হযরত ইউনুস (আঃ) দাওয়াত না দিয়ে ভুল করেছিলেন ইত্যাদি। (মালফুযাতে শায়খুল হাদীস পৃষ্ঠা ২৩১, তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব, লেখক- মাওলানা ইসমাইল হোসেন, দেওবন্দী পৃষ্ঠা ৬১)
আসলে মূর্খদের সাথে থাকলে যা হয় আপনার তাই হয়েছে। আপনার বড় বড় তবলীগ ভাইরা তাদের বড় ভাইদের লিখা বই ই পড়ে না।
আসলে যাদের আদব জ্ঞান নাই আর গন্ড মূর্খ তাদের সাথে কথা বলা সময় নষ্ট ছাড়া কিছু না।
যদি পরবর্তী আর কোনো পোষ্ট দেন দয়া করে আগে উল্লেখিত বই এর যে কুফরীমুলক বক্তব্য তার উত্তর দিবেন। তারপর অন্য কথা বলবেন।
@muaallim, বইখানা পড়ে নেই তার পর আপনার সাথে আলোচনা হবে। যাই হোক আপনি এত গুলি কাজের মধ্যে তাবলিগের দুইটি ভুল ধরতে পেরেছেন ধন্যবাদ । আচ্ছা আপনি কার বা কাদের অনুসরণ করেন একটু জানাবেন কি তাহলে তো আমরাও উপকৃত হতাম।