বিষয় : মাযহাব…
লিখেছেন: ' আবদুস সবুর' @ সোমবার, মার্চ ১৯, ২০১২ (১০:২১ পূর্বাহ্ণ)
আজকাল অনেক ভাইকে দেখা যায় মাযহাব শব্দটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভুগে থাকেন।
আবার অনেকে এই শব্দটির সঠিক অর্থ জানা সত্ত্বেও এই শব্দটি নিয়ে সাধারন মুসলমানদের ভিতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন।
যারা জেনে শুনে মাঝহাব নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন তাদের জন্য এই পোষ্ট নয়।
কারন ঘুমন্ত মানুষকে জাগানো আমার সম্ভব কিন্তু জাগ্রত ব্যক্তিকে সম্ভব নয়।
যারা সত্যিকার অর্থেই মাযহাব নিয়ে জানতে চান তাদের জন্য আমার এই পোষ্ট।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
মাযহাব কাকে বলে ?
মাজহাব মানে মতামত, বিশ্বাস, ধর্ম, আদর্শ, পন্থা, মতবাদ, উৎস।
মিসবাহুল লুগাত (থানবী লাইব্রেরী-২৬২ পৃষ্ঠা)
মাজহাব শব্দের অনেক অর্থ আছে। তার ভিতরে একটি হল মতামত।
আসুন এবার মাজহাব শব্দের উৎস কোথায় দেখি…..
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর ও আবু হুরায়রা রা. হুজুরের হাদীস বর্ণনা করেছেন, যখন কোন হাকীম (বিচারক ও মুফতী) কোন বিষয়ে ইজতিহাদ করে এবং তা সঠিক হয়, তবে সে দ্বিগুন সওয়াব পাবে। আর ইজতিহাদে যদি ভুল করে, তবুও সে একগুন সওয়াব পাবে। – বুখারী 2/109, মুসলিম 2/72, তিরমিজী 193
ইজতিহাদের শাব্দিক অর্থ, উদ্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাসাধ্য পরিশ্রম করা। ইসলামী ফেকাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় ইজতিহাদ অর্থ, কোরআন ও সুন্নায় যে সকল আহকাম ও বিধান প্রচ্ছন্ন রয়েছে সেগুলো চিন্তা-গবেষণার মাধ্যেমে আহরণ করা। যিনি এটা করেন তিনি হলেন মুজতাহিদ। মুজতাহিদ কুরআন ও সুন্নাহ থেকে যে সকল আহকাম ও বিধান আহরণ করেন সেগুলোই হলো মাযহাব। অথাৎ কুরআন ও সুন্নাহ থেকে যে সকল আহকাম ও বিধান আহরণ করে মুজতাহিদগণ যে সকল মতামত পেশ করেছেন তাকে মাযহাব বলে। যাদের কোরআন ও সুন্নাহ থেকে চিন্তা গবেষণার মাধ্যমে আহকাম ও বিধান আহরণের যোগ্যতা নেই তাদের কাজ হল মুজতাহিদদের আহরিত আহকাম অনুসরনের মাধ্যমে শরীয়তের উপর আমল করা।
কুরআন ও সুন্নাহ থেকে যে সকল আহকাম ও বিধান আহরণ করার জন্য কি কি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে ?
১. কোরআনের কোন আয়াত কখন নাজিল হয়, কোন আয়াত নাছেখ (রহিতকারী), কোন আয়াত মানছুখ (রহিত), কোন আয়াত মুজমাল (সংক্ষিপ্ত), কোন আয়াত মুতাশাবেহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সবিস্তারে জানার সাথে সাথে কোরআনের নিগুঢ় তথ্যগুলোর সঠিক মর্মগুলি বুঝার পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।
২. হুজুর স. কর্তৃক ত্রিশ পারা কোরআনের ব্যাখ্যায় রেখে যাওয়া দশ লক্ষ হাদীস সনদের ভিন্নতাসহ জানা আবশ্যক। আর হাদীসের এ বিশাল ভান্ডার থেকে কমপক্ষে যেসব হাদীস দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধান সাব্যস্ত হয়, সেসব হাদীস সনদ (বর্ণনাকরী), মতন (মূল বিষয়) এবং উক্ত হাদীস সমূহের বর্ণনাকারীদের জীবন ইতিহাস (সাহাবা ও তাবেয়ীনদের জীবনাচার)সহ কন্ঠস্থ থাকতে হবে। তারই সাথে হাদীসের নিগুড় তথ্যগুলি, সঠিক মর্মগুলি বুঝার পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। যাতে করে মতবিরোধ বিশিষ্ট মাসআলাসমূহে কোরআন, হাদীস, সাহাবা ও তাবেয়ীনদের নির্দেশিত সীমা অতিক্রম না করা হয়।
৩. মুজতাদি আরবী ভাষা সম্পর্কে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে। কেননা কোরআন ও হাদীস উভয়টি আরবী। তাই আরবী ভাষা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা ছাড়া ইজতিহাদ তো দূরের কথা শুধু কোরআন-হাদীসের অর্থ বুঝাও সম্ভবপর নয়। আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য আরবী আভিধানিক অর্থ ও পারিভাষিক অর্থ, নাহু-ছরফ, উসূল, আলাগাতের পূর্ণ দক্ষতা অপরিহার্য।
৪. মুজতাহিদ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বুদ্ধিমত্তা ও অন্তদৃর্ষ্টি দ্বারা বিশেষভাবে ভূষিত হয়ে অত্যাধিক স্মরণশক্তি ও জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে। মুজতাহিদের জন্য কেবল সাধারণ বুদ্ধিমত্তাই যথেষ্ট নয়। সাধারণ বুদ্ধিমত্তাতো সকল আলেমেরই থাকে। এতে মুজতাদিরে বিশেষ গুরুত্ব আর রইল কোথায়? মুজতাদি তাক্ব ওয়া ও খোদাভীতি সম্পন্ন হতে হবে। তাকে কখনও মনপূজারী হওয়া চলবে না।
৫. ইজতিহাদ ও মাসআলা চয়নের প্রক্রিয়া সমূহের উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখতে হবে।
সূত্র :- তাফসীরে আহমদী, পৃষ্ঠা- ১০১
হযরত শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ. ইমাম বাগাবী রহ. সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইজতিহাদের জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে এ পাঁচটি হতে একটিও কম পাওয়া যাবে, তার জন্য তাক্বলীদ ছাড়া কোন পথ নেই।
- কাঞ্জুল উসূল ইলা মা’রিফাতিল উসূল- ২৭০, উসূলে ফিক্বাহ লি আবি হুরায়রা- ২৩৬, আল মালাল ওয়ান নাহাল- ১/২০০ মিশরী ছাপা।
হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. কে জিজ্ঞাসা করা হল, যার এক লক্ষ হাদীস স্মরণ থাকে, সে কি ফক্বীহ বা মুজতাহিদ হতে পারেবে, তদুত্তরে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বললেন, না। পুনারায় জিজ্ঞাসা করা হলো, যদি পাঁচ লক্ষ হাদীস স্মরণ থাকে, তদুত্তরে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বললেন, সে সময় তাকে ফক্বীহ হবে আশা করা যেতে পারে। – এমদাদুল ফতোয়া ৪/৮৭
হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর পর শুধুমাত্র হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী ও হাম্বলী উক্ত চার মাযহাবেই (কুরআন ও হাদীসের বিশ্লেষন) তাক্বলীদ (অনুসরন) সীমাবদ্ধ হয়েছে। কেননা, চার মাযহাব ছাড়া অন্যান্য মুজতাহিদদের মাযহাব তেমন সংরক্ষিত হয়নি। ফলে আস্তে আস্তে সেসব মাযহাব বিলুপ্ত হয়ে পড়ে।
- আহসানুল ফতোয়া ১/৪৪১, তাফসীরে আহমদী- ২৯৭, আল ইনসাফ- ৫২।
কেন একটি মাযহাবই মানতে হবে?
কুরআনে কারীম ৭টি কিরাতে নাজীল হয়েছে। কিন্তু একটি কিরাতে প্রচলন করেছেন হযরত উসমান রাঃ। যেটা ছিল আবু আসেম কুফী রহঃ এর কিরাত। এর কারণ ছিল বিশৃংখলা রোধ করা। যেন দ্বীনকে কেউ ছেলেখেলা বানিয়ে না ফেলে। আর সবার জন্য এটা সহজলভ্য হয়।
তেমনি একটি মাযহাবকে আবশ্যক বলা হয় এই জন্য যে, একাধিক মাযহাব অনুসরণের অনুমোদন থাকলে সবাই নিজের রিপু পূজারী হয়ে যেত। যেই বিধান যখন ইচ্ছে পালন করত, যেই বিধান যখন ইচেছ ছেড়ে দিত। এর মাধ্যমে মূলত দ্বীন পালন হতনা, বরং নিজের প্রবৃত্তির পূজা হত। তাই ৪র্থ শতাব্দীর উলামায়ে কিরাম একটি মাযহাবের অনুসরণকে বাধ্যতামূলক বলে এই প্রবৃত্তি পূজার পথকে বন্ধ করে দিয়েছেন। যা সেই কালের ওলামায়ে কিরামের সর্বসম্মত সীদ্ধান্ত ছিল। আর একবার উম্মতের মাঝে ইজমা হয়ে গেলে তা পরবর্তীদের মানা আবশ্যক হয়ে যায়। ইমাম ইবনে তাইমিয়াও লাগামহীনভাবে যে মাযহাব মনে চায় সেটাকে মানা সুষ্পষ্ট হারাম ও অবৈধ ঘোষণা করেন। {ফাতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-২/২৪১}
মাযহাবের ব্যাপারে মুহাদ্দিসুল শিরোমনি,পাক-ভারতীয় উপমহাদেশের হযরত শাহ ওলীউল্লাহ দেহলভী (র) বলেনঃ
“আর তার মধ্যে অনেক উপকারিতা বিদ্যমান(অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট মাযহাব মেনে চলার মধ্যে ) যা সুস্পষ্ট ।বিশেষত বর্তমান যুগে ,যখন শক্তি-সামর্থ ( নিজে সরাসরি কুরআন-হাদিস বুঝে অনুসরণ করার ) হ্রাস পেয়ে গেছে।আর প্রত্যেক মতামত সম্পন্ন ব্যক্তি স্বীয় মতামতকেই বড় মনে করে চলেছে।“(হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহঃ ১ম খন্ড-মিশরী ;১৩২ পৃষ্টা)
“মাযাহাব চতুষ্টয়কে গ্রহণ করার মধ্যে অতি আবশ্যই বিরাট ফায়দা রয়েছে ।“(ইক্বদুলজীদঃ৩৬)
তিনি আর বলেন ঃ
“হারামাইন শরীফাইনে অবস্থান কালে প্রিয় নবীজির (সাঃ) কাছ থেকে আমি (ইলহাম বা স্বপ্নের মাধ্যমে) তিনটি জিনিস অর্জন করেছি ; যা আমার ধ্যান-ধারণা বিপরীত ছিল।তম্মেধ্যে দ্বিতীয়টি ছিল এই যে ,” যাতে আমি মুসলমানদের ওসীয়্যত করে যাই ;মাযহাব-চতুষ্টয়ের যে কোন একটিতে যেন তারা অন্তরভূক্ত হয় এবং আমি ও তা থেকে যেন বের না হই।“(ফুয়ূযুল-হারামাইন ঃ ৬৫ পৃষ্টা)
মাযহাব সম্পর্কে সৌদি আলেমদের ফতোয়া……
প্রশ্ন: চারি মাজাহাবের অনুসরনের হুকুম কি? এবং তাদের মতামতের অনকরণ করা সব অবস্থায় ও সব কালে তার হুকুম কি?
উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার এবং দরুদ বর্সিত হউক তার রসুল পরিবার এবং তার চাহাবাগণের উপর।
১।
চার মাজহাব নামকরণ করা হয়েছে চার ঈমামের নামে। যেমন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফি, ইমাম আহমদ। অতপর হানাফি মাজহাব ইমাম আবু হানিফার নামে, সেরকম অন্যগুলো।
২।
এই সমস্ত ইমামগণ ফেকার মাছালাসমূহ বের করেছেন কোরান হাদিস থেকে। উনারা এ ব্যাপারে মোজতাহিদ। আর মোজতাহিদ যদি সঠিক সিদ্ধান্ত দেয় তবে তার জন্য দুটি সাওয়াব। এক: এজতেহাদের জন্য, দুই: সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য। আর যদি ভুল করে তবে এক ছাওয়াব। ইজতেহাদের জন্য ছাওয়াব পাবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত না দিতে পারার কারণে ক্ষামা করা হবে।
৩।
যে ব্যাক্তি ইমামদের মত ইজতিহাদ করতে সক্ষম তিনি কোরান হাদিস থেকে মাছালা বের করে নিবেন, যেরকম পূর্বের ইমামগণ করেচেন। এবং উনার জন্য অন্য ইমামের তকলিদ করা জায়েজ নয়।
৪।
যে ব্যাক্তি ইজতিহাদ করতে সক্ষম নন। তিনি ঐ ইমামের তকলিদ করবেন যার উপর তার ক্বলব এতমিনান হয়। যাদি কোন ইমমের উপর এতমিনান করবে তা বুঝে না আসে অন্য কারে কাচ থেকে জিজ্ষাস করে এতমিনান হাসিল করে নিবে।
ফাতওয়া : আল্লাজনাত দায়েমা (সাউদিয়া) ফাতওয়া নং 28/5
সিহাহ সিত্তার লেখকরা কি কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন ?
ইমাম বুখারী রহ. শাফেয়ী মাঝহাবে অনুসারী ছিলেন।
(শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভী রহ., “আল-ইনসাফ”, পৃষ্ঠা : ৬৭
আল্লামা তাজউদ্দীন সুবকী, “তবক্বাতুশ শাফেয়ীয়ার”, পৃষ্ঠা : ২/২
গাইরে মুকাল্লিদ আলেম নবাব ছিদ্দিক্ব হাসান খান, “আবজাদুল উলুম”, পৃষ্ঠা : ৮১০)
ইমাম মুসলিম শাফেয়ী মাঝহাবে অনুসারী ছিলেন।
(গাইরে মুকাল্লিদ আলেম নবাব ছিদ্দিক্ব হাসান খান, “আল হিত্তার”, পৃষ্ঠা : ১৮৬)
ইমাম তিরমিযী সম্বন্ধে শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দেহে দেহলভী “আল-ইনসাফের” ৭৯ পৃষ্ঠায় মুজতাহিদ তবে হাম্বলী মাযহাবের প্রতি আকৃষ্ট এবং এক পর্যায়ে হানাফী বলেও উল্লেখ করেছেন।
ইমাম নাসাঈ
এবং ইমাম আবু দাউদ রহ. হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন।
(আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রহ. “ফয়জুল বারী”-এর ১/৫৮ পৃষ্ঠায় ইবনে তাইমিয়্যার উদ্বৃত্তি দিয়ে উল্লেখ করেছেন।
গাইরে মুকাল্লিদ আলেম নবাব ছিদ্দিক্ব হাসান খান, “আবজাদুল উলুম”, পৃষ্ঠা : ৮১০)
ইমাম ইবনে মাজাহকে আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী “ফয়জুল বারী”-এর ১/৫৮ পৃষ্ঠায় শাফেয়ী বলে উল্লেখ করেছেন।
ইমামরা যে বিভিন্ন কথা (যেমন-”সহীহ ও বিশুদ্ধ হাদীসি আমার মাযহাব” – আলফোলানী: ১০৭ পৃ:) বলেছেন তা কাদের জন্য…
এগুলো তারা তাদের জন্য বলেছেন তা দেখুন-
যারা এই বিষয়ে খুব বেশি প্রশ্ন করে থাকেন তাদের বলছি………….যদি বুঝার জন্য প্রশ্ন করে থাকেন তবে ধন্যবাদ।
আর যদি মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি অথবা আটকানোর জন্য প্রশ্ন করে থাকেন তবে আপনারা প্রশ্ন করতে থাকুন,
আল্লাহ তায়ালা যতক্ষন তৌফিক দেন উত্তর দিয়ে যাব।
তবে হিদায়াত তো আল্লাহ তা’য়ালার হাতে।
যতদিন মানুষ আকাবিরদের থেকে ইলম শিখবে ততদিন তারা সত্প৩থে পরিচালিত হবে আর যখন মানুষ আসাগির থেকে ইলম শিখবে তখন তারা গোমরা হয়ে যাবে ।
হাদিসটি হাফেজ ইবন আব্দুল বার ঈবন মাসউদ ও উমর রা থেকে বর্ণনা করেছেন দেখুন মুখ্তাসারু জামিউ বয়ানুল ইলম পৃ ৮৩ ।
যারা মুখে মুখে বলে যে তারা নির্দিষ্ট মাজহাব অনুসরণ করেন না, তারা কথায় কথায় “মতিউর রহমান” , “নাসিরুদ্দিন আলবানী” তাদের রেফারেন্স দিয়ে থাকেন, সেটাও কি মাজহাব অনুসরন করা হোলো না?
@ম্যালকম এক্স,
যারা মাযহাব নিয়ে চেচামেচি করে হয় তারা জানেই না মাযহাব কাকে বলে
অথবা, টাকা খেয়ে চেচামেচি করে।
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। Al Quran: 31-6
ইসলামে কোন অন্ধ অনুসরণ নেই
ইসলামে যে অন্ধ অনুসরণ নেই , তা সালাতের মাধ্যমে পরিস্কার বুঝা যায় । সালাতে ইমামের মর্যাদা সকলের জানা আছে । ইমামের আগে দাঁড়ালে সালাত নষ্ট হয় । ইমামের আগে রুকু সিজদা করলেও সালাত নষ্ট হয় । কিন্তু তাই বলে ইমাম যদি সালাতে ভুল করেন , তাহলে চুপ থেকে নিজেরাও ভুল করা চলবে না , লোকমার মাধ্যমে ইমামের ভুল ধরিয়ে দিতে হবে । এর অর্থ হল , মুক্তাদি ইমামকে জানিয়ে দিচ্ছে যে , যদিও এখন তাকে ইমাম করে সালাত আদায় করা হচ্ছে কিন্তু আসল ইমাম তিনি নন , আসল ইমাম নবী (সাঃ) । যতক্ষণ তিনি আসল ইমামের অনুসরণ করবেন ততক্ষণ তার ইমামতিতে সালাত হবে । কিন্তু তিনি যদি ভুল করেন , তবে লোকমা দ্বারা ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে । তিনি যদি নিজেকে সংশোধন করে নেন ঠিক আছে , কিন্তু যদি তা না করে তিনি নিজের ফর্মূলা মত সালাত চালু করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম তাকে অপসারণ করে অতঃপর নতুন ইমাম নিযুক্ত করবে । ইমাম নবী (সাঃ) এর অনুসারী হবেন । তার ইমামতিতে পূনরায় সালাত আদায় করতে হবে । অতএব অন্ধ অনুসরণ যেহেতু ইসলামে নেই সুতরাং অজ্ঞ থাকার সুযোগও ইসলামে নেই ।
আর মাযহাবীরা সবাই অন্ধ অনুসরণ করে থাকে । তারা তাদের ইমামের কোন ভুলকে ভুল মনে করে না । মনে হয় ইমামরা যেন মানুষ ছিলেন না । তাদের ভুল হতেই পারে না । তারা নবী-রাসূলেরও উর্ধে । মাযহাবীরা তাদের ইমামের মতামতের বিরুদ্ধে সহীহ হাদীস পেলেও তারা ইমামের কথাকে নয় হাদীসকেই প্রত্যাখ্যান করে । এভাবে তারা রিসালাতের সাথে শিরক করছে । মনে হয় মুহাম্মাদ (সাঃ) নয় ইমাম আবু হানীফাই তাদের রাসূল । মুহাম্মাদ সাঃ এর হাদীস প্রত্যাখ্যান করা যাবে , কিন্তু ইমাম আবু হানীফার কথার এদিক-ওদিক করা যাবে না । আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন । আমীন!
@ABU TASNEEM,বাস্তবিকই “ইসলামে কোন অন্ধ অনুসরণ নেই”। কিছু কিছু লোকের শয়তানের প্রচরনায় কখনও কখনও পদস্খলন ঘটে। এটা বিভিন্ন রকম হয়। কেউ কেউ কখনও কখনও অন্ধ অনুসরণ করেছে। এমন কিছু লোকের অস্তিত্ব এই জামানাতেও দেখা যায়। যেমন এই ব্লগেই দেখবেন কিছু লোক এমন আছে, যত হাদিসের রেফারেন্সই দেখান আলবানীর কথাই সঠিক। যতই প্রামাণ্য দলীল দেখান জাকির নায়েকের ভুল হতেই পারে না। অথচ এরা কিভাবে মিথ্যাচার করে দেখুন….
“আর মাযহাবীরা সবাই অন্ধ অনুসরণ করে থাকে।” সবাই শব্দটা খেয়াল করুন। উনি সবাইকে কিভাবে চিনলেন? পৃথিবীতে ১০০ কোটির উপরে মাযহাবের অনুসারী আছে? ” মনে হয় ইমামরা যেন মানুষ ছিলেন না । তাদের ভুল হতেই পারে না । তারা নবী-রাসূলেরও উর্ধে” এমন দাবী কেউ করেছে প্রমাণ করতে পারবেন?
গালাগালি কেন করেন বুঝি না। এটাই আপনাদের শেষ অস্ত্র নাকি? প্রমাণ করুন কোন ভুল, এবং প্রমাণ করুন কোন ভুল কে স্বীকার করা হয় নি। কোন ইমামের কোন মতের বিরূদ্ধে সহিহ হাদিস পেলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে একটা নজীর দেখান। বরং আপনারাই আলবানীকে মহাজ্ঞানী বিবেচনা প্রচুর হাদিস অস্বীকার করেছেন। এই ব্লগেই দেখানো হয়েছে কিভাবে শুধু আলবানীর কথার উপর ভিত্তি করে ঈদের নামাযের সকল হাদিসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন? কুরআনের আয়াতের বিপরীতে আপনিই মতিউর রহমান কে পেশ করেছেন।এখন আপনিই বিচার করুন শুধু রিসালাত নয় কুরআনের সাথেও শিরক কে করল?
যাই হোক আপনার বিচার আপনারই হবে। কিন্তু অন্তত একটা নজীর দেখান ইমাম আবু হানিফা রহ এর কোন কথা মুহা’ম্মাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস প্রত্যাখ্যান করেছে?
@ABU TASNEEM,এত সুন্দর প্রামাণ্য একটা পোস্টের বিপরীতে প্রামান্য দলীল ভিত্তিক কিছু আশা করেছিলাম। সেখানে পেলাম গালাগালি। শুনেছি অবলার মুখই বল। তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি উপরের প্রমাণ্য লেখায় আপনাদের আপনাদের মুখের বুলি শেষ হয়ে গেছে?
@Anonymous, ঠিক আছে আমি একটি দলীল দিলাম দেখুন কিভাবে সহীহ হাদীসকে লাল বাতি জ্বালিয়ে দুরে ঠেলে দেয়া হয়েছে :
হাদীস:১: আবু কাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত । তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , “যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে , তখন সে যেন দু’রাকাত সালাত আদায় করা ব্যতীত না বসে ।”
( বুখারী হা/৪৪৪ , ১১৬৭ ; মুসলিম হা/ ৭১৪ ; তিরমিযী হা/ ৩১৬ ; নাসাঈ হা/ ৭৩০ ; আবু দাউদ হা/ ৪৬৭ ; ইবনু মাজাহ হা/ ১১২৩ ; আহমাদ হা/ ২২০১৭ , ২২০৭২ , ২২০৮৮ , ২২১৪৬ ;
দারেমী হা/ ১৩৯৩ ; রিয়াদুস সালেহীন হা/ ১১৫১)
হাদীস:২: জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন , নবী করীম (সাঃ) এর খুৎবা দানকালে সেখানে এক ব্যক্তি আগমন করেন । তিনি তাকে বলেন , হে অমুক ! তুমি কি ( তাহিয়াতুল মাসজিদ ) সালাত পড়েছ ? ঐ ব্যক্তি বলেন , না । নবী ( সাঃ ) বলেন , তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর । অন্য হাদীসে বলা হয়েছে তুমি সংক্ষিপ্ত ভাবে দুই রাকাআত ( তাহিয়াতুল মাসজিদ ) সালাত আদায় কর ।
( বুখারী হা/৮৮৩ , ৮৮৪ ; মুসলিম হা/১৮৯৫ , ১৮৯৬ , ১৮৯৭ , ১৮৯৮ , ১৮৯৯ , ১৯০০ ; তিরমিযী ; ইবনে মাজাহ ; নাসাঈ হা/১৪০৩ ; আবু দাউদ হা/১১১৫ , ১১১৬ , ১১১৭)
প্রথম হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাহিয়াতুল মাসজিদ সালাতের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন এবং এই সালাত না আদায় করে বসতে নিষেধ করেছেন ।
দ্বিতীয় হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে খুৎবা চলাকালীন অবস্থায় আগত ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে দুই রাকাত তাহিয়াতুল মাসজিদ সালাত আদায় করিয়ে এই সালাতের গুরুত্বের প্রমাণ দিয়েছেন ।
আর আমাদের মসজিদ গুলিতে লাল বাতি জ্বালিয়ে নিষেধ করা হয় যে “লাল বাতি জ্বলা কালীন কোন নামায পড়া নিষেধ” । কারণ আপনাদের মাযহাবে তাহিয়াতুল মসজিদ নফল । আার খুৎবা ওয়াজিব । যে ওয়াজিব খুৎবা থামিয়ে তাহিয়াতুল মসজিদ নামায পড়ানো হল সেটা নফল হয় কি করে ?
একটু ভেবে দেখুন অন্ধ অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা সহীহ হাদীসের সাথে যে আচরণ করছি তার পরে নবী (সাঃ) এর সামনে দাঁড়াতে পারবো তো ?
@ABU TASNEEM,
উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।
@ABU TASNEEM, দুঃখিত ভাই তাহকীক করতে পারলাম না। আমার কাছে এই মুহুর্তে হামিদিয়া লাইব্রেরী থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফ রয়েছে। তার ৮৮৩ ও ৮৮৪ নং হাদিসের আপনার বর্ণিত হাদিস পেলাম না। ওখানে কুরবানীর উপর দুটি হাদিস আছে।
একই ভাবে বুখারী শরীফের ৪৪৪ নং হাদিসে সুরা মুরসালাতের দ্বারা মাগরিবের নামাযের কথা বলা আছে। আপনার বর্ণিত হাদিসটই নেই। একই ভাবে ১১৬৭ হাদীসটি মাতার না ফরমানী না করা সম্পর্কে।
আপনি কোন Edition থেকে দলীল দিলেন একটু জানাবেন। তাহকীক করে দেখব ইনশা আল্লহ।
জাযাকাল্লহ খইরন
@Anonymous, আমার সবগুলি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের । শুধু রিয়াদুস সালেহীন তাওহীদ পাবলিকেশন্স এর । প্রতিটি রেফারেন্স আমি নিজে বের করে দিয়েছি । ভাল করে খুজে দেখুন ।
@ABU TASNEEM, দুঃখিত বিশ্বাস করা গেল না। আপনি নিজে বের করে দিলে জবাব দিতে এত দেরি হত না। এবং পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করতে পারতেন। কিন্তু এখনও পারেন নি। বুখারী শরীফের যেহেতু হাদীস নম্বর আপনি দিয়েছেন তাহলে পৃষ্ঠা নম্বর খুঁজে পেতে ১৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত সময়। এরপরও অপেক্ষায় থাকলাম। সম্ভব হলে কোন authentic online reference দিয়েন।
@Anonymous, বুখারী ৪৪৪ নং হাদীসের জন্য এখান থেকে সহীহ বুখারী প্রথম খন্ড ডাউনলোড করুন । তারপর দেখুন পৃঃ নং ২৪৪ হাদীস নং ৪৩১ ।
বুখারী হা/ ৮৮৩-৮৮৪ নং হাদীসের জন্য এখান থেকে সহীহ বুখারী দ্বিতীয় খন্ড ডাউনলোড করুন । তারপর দেখুন পৃঃ নং ১৯০-১৯১ ।
এভাবে সকল হাদীসই পাওয়া যাবে । প্রকাশনী / সংস্করন ভিন্নতার কারনে হাদীস নং এদিক ওদিক হতে পারে । সময় স্বল্পতার করণে শুধু সহীহ বুখার থেকে রেফারেন্স দিলাম । আশা করি মুমিনের জন্য একটি একটি গ্রন্থের উদাহরণ যথেস্ট হবে ।
@ABU TASNEEM, ধন্যবাদ আপনাকে। লম্বা সময় নিয়ে ফেলেছেন। একটা রেফারেন্স দিয়ে এত সময় লাগার কথা নয়, যেহেতু আপনি দাবী করেছেন আপনি নিজে রেফারেন্সগুলো বাছাই করেছেন। এটা একটা সুন্দর অনলাইন এডিশন। তবে এখানে মাত্র কয়েকটি গ্রন্থ দেয়া আছে। এর বাইরে আরও অনেক সহীহ হাদীস গ্রন্থ আছে। আশা করি খুব শীঘ্রই আরও অনেক কিতাব মানুষের কাছে সহজ লভ্য হবে। তখন আপনাদেরও ভুল ভাংবে।
আপনার উত্তর নিচে দিয়েছি।
@ABU TASNEEM,
কেউ যদি একটি সহীহ হাদিস দেখে অন্য সহীহ হাদিস অস্বীকার করে তাহলে তাকে আপনি কি বলবেন?
@ম্যালকম এক্স, আপনি কোন উদাহরণ সহ দেখান । এটা কোন বিষয়ে কারা করে ? হাদীসের প্রমাণ সহ ।
@ABU TASNEEM, এখানে দেখুন আবার এখানেও কিছু নমুনা দেখান হয়েছে। এভাবে জোরে আমীন, বিতরের নামায, রফে ইয়াদাইন এমন অধিকাংশ ব্যপারেই আপনারা সহীহ হাদীস অস্বীকারকারী।
@ABU TASNEEM, ভাই কারা করে সেটা তো এখানে আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করছি না বা আপনি করছেন সেটাও বলছি না। আমি বলছি আপনার দৃষ্টিতে তারা কেমন যারা কোনো বিষয়ে কিছু কিছু সহীহ হাদিস মেনে চলে আবার অনেক সহীহ হাদিস অস্বীকার করে?
@ABU TASNEEM, কিছু পেলেন? আজ দুই দিন হয়ে গেল? একটা সত্য কথা স্বীকার করলে কি সমস্যা ছিল যে আপনি নিজে ঘেঁটে উপরের হাদিস বাছাই করেন নি? আপনি কারও কাছ থেকে কপি পেস্ট করেছেন? মিথ্যার বৈশিষ্ট্য এটাই। মিথ্যা আরও মিথ্যা ডেকে আনে। এক মিথ্যাকে ঢাকতে আরও ১০ মিথ্যা বলতে হয়। আপনি শুরু হয়ে ছিল মিথ্যা থেকে যে, আপনি সরাসরি হাদিস থেকে আ’মাল করেন। অথচ বাস্তব কথা হল আপনি আলবানী টাইপের কিছু অযোগ্য লোকের কথায় আ’মাল করেন যারা খুব বেশী হাদিস জানতেন না। আপনি তাদের কথাই কপি পেস্ট করে দেন। না হলে আপনি যেখানে হাদিসের নম্বর সহ দিয়েছেন, সেখানে পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করতে এতদিন লাগার কথা নয়। ২০ মিনিট ইন্টারনেটে ঘাটলেই পাওয়া যেত। এমন না যে আপনার সময় নেই। আপনি নতুন আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন। আবার কমেন্ট বন্ধ রেখেছেন। কেন? ভয় পেলেন নাকি? সহিহ হাদিসের রেফারেন্স এত ভয় পান কেন?
আমি ২০ মিনিট ঘাটার পরে ইন্টারনেটেই পেয়েছি এবং তা গতকালই। তবুও আপনার অপেক্ষায় ছিলাম। এখনও অপেক্ষায় রইলাম। দেখি শেষ পর্যন্ত পারেন কিনা।
এবার কিছু সহিহ হাদিস দেখুন। আমি শুধু কিতাবের নাম দিলাম। আপনার রেফারেন্সের পরে হাদিস নম্বরও দিব। কেননা আপনার যদি হাদিস নম্বর থেকে পৃষ্ঠা নম্বর খুঁজে বের করার যোগ্যতা না থাকে, তাহলে আপনাকে হাদিস নম্বর দেয়া বৃথা।
বুখারী থেকে
Narrated Abu Huraira: While ‘Umar (bin Al-Khattab) was delivering the khutba on a Friday, a man entered (the mosque). ‘Umar asked him, “What has detained you from the prayer?” The man said, “It was only that when I heard the Adhan I performed ablution (for the prayer).” On that ‘Umar said, “Did you not hear the Prophet saying: ‘Anyone of you going out for the Jumua prayer should take a bath’?”.
আপনি যেভাবে বললেন, খুতবা চলাকালীন সময়ে তাহিয়াতুল মাসজিদ পড়ার কথা। খুতবা চলাকালীন নামায পড়া যায় না বলেই উমার রদিয়াল্লহু আ’নহু জিজ্ঞাসা করেছেন, তোমাকে কোন জিনিস নামায পড়লে বাধা দিল। অন্যথায় বলতেন তুমি নামায পড়ে নাও।
Narrated Abu Huraira: The Prophet said, “When it is a Friday, the angels stand at the gate of the mosque and keep on writing the names of the persons coming to the mosque in succession according to their arrivals. The example of the one who enters the mosque in the earliest hour is that of one offering a camel (in sacrifice). The one coming next is like one offering a cow and then a ram and then a chicken and then an egg respectively. When the Imam comes out (for Jumua prayer) they (i.e. angels) fold their papers and listen to the khutba.”
দেখুন ইমাম সাহেব আসলে ফিরিশতারা তাঁদের নির্ধারিত কাজ বাদ দিয়ে খুতবায় মশগুল হয়ে যান।
Narrated Abu Huraira: Allah’s Apostle (p.b.u.h) said, “When the Imam is delivering the khutba, and you ask your companion to keep quiet and listen, then no doubt you have done an evil act.”
দ্বীনের মধ্যে নামাযের গুরুত্ব নিঃসন্দেহে খুবই বেশী। কিন্তু নসীহতের গুরুত্ব আরও বেশী কেননা নবী রসুলদের (আলাইহিমুস সালাম) পাঠানই হত নসীহতে জন্য। খুতবার মধ্যে নসীহত করাকেও গুনাহ বলা হয়েছে।
আরও দেখুন, মুসলিম শরীফ
EXCELLENCE OF ONE WHO LISTENS TO THE khutba (SERMON) WITH PERFECT SILENCE
খুতবার মধ্যে নামায পড়া PERFECT SILENCE নয়।
মুয়াত্তা মালিক
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Salim ibn Abdullah said, “One of the companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came into the mosque on the day of jumua and Umar ibn al Khattab was already giving the khutba. Umar said, ‘What (kind of) time is this (to arrive)?’ He said, Amir al-muminin, I returned from the market and heard the call to prayer, so I did no more than do wudu.’ Umar said, ‘You only did wudu as well? You know that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to tell people to do ghusl.’ ”
Yahya related to me from Malik from Abu’z Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, “Even saying to your companion ‘Listen’ while the imam is giving the khutba on the day of jumua, is to speak foolishly.”
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Thalaba ibn Abi Malik al Quradhi informed him that in the time of Umar ibn al Khattab they used to pray on the day of jumua until Umar came out, and when Umar came out and sat on the mimbar and the muadhdhins called the adhan, they would sit and talk, and then when the muadhdhins were silent and Umar stood to give the khutba, they would pay attention and no-one would speak . Ibn Shihab said, “The imam coming out stops prayer and his speaking stops conversation.”
Yahya related to me from Malik from Abu’n Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah, from Malik ibn Abi Amir that Uthman ibn Affan used to say in khutbas, and he would seldom omit it if he was giving the khutba, “When the imam stands delivering the khutba on the day of jumua, listen and pay attention, for there is the same portion for someone who pays attention but cannot hear as for someone who pays attention and hears. And when the iqama of the prayer is called, straighten your rows and make your shoulders adjacent to each other, because the straightening of the rows is part of the completion of the prayer.” Then he would not say the takbir until some men who had been entrusted with straightening the rows came and told him that they were straight. Then he would say the takbir.
খেয়াল করুন “When the imam stands delivering the khutba on the day of jumua, listen and pay attention যেখন ইমাম জুমার দিন খুতবার জন্য দাড়ান শোন ও মনোযোগ দাও।” এ কথাটা খুতবা শুনা ছাড়া অন্যান্য সকল কাজের নিষেধাজ্ঞার জন্য যথেষ্ট।
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar saw two men talking while the imam was giving the khutba on the day of jumua and he threw pebbles at them to tell them to be quiet.
Yahya related to me from Malik that he had heard that a man sneezed on the day of jumua while the imam was giving the khutba, and a man by his side asked Allah to bless him. Said ibn al Musayyab was asked about it and he forbade the man to do what he had done and said, “Don’t do it again.”
দেখুন দুআ’ একটি উত্তম আ’মাল। খুতবার সময় তাও নিধেষ করা হয়েছে।
এভাবে আরও অসংখ্য সহীহ হাদীস রয়েছে। কিন্তু আমাদের দুঃর্ভাগ্য সিহাহ সিত্তার বাইরে খুব কম কিতাবই বাংলায় অনুবাদ হয়েছে। এজন্য সাধারণ মানুষ আপনাদের মিথ্যাচারের শিকার হয়ে যায়। ইংরেজীতেও যা অনুবাদ হয়েছে তার পরিমাণ খুব বেশী নয়।
তাই খুতবা শুনা সন্দেহাতীত ভাবে ওয়াজিব। এভাবে আপনি একটি হাদীস দেখিয়ে অসংখ্য সহিহ হাদীস অস্বীকার করলেন।
তাহিয়াতুল মাসজিদ খুবই উত্তম আ’মাল। এই আ’মাল করতে হলে আপনি খুতবার আগে আসেন। কে নিষেধ করে? খুতবার সময় তাড়াহুড়া করে এসে তাহিয়াতুল মাসজিদ পড়ার নামে ফিৎনা সৃষ্টি করা কার স্বার্থে? আপনার চোখে এই হাদিস কখনও পৌঁছেনি
Narrated Abu Huraira: Allah’s Apostle (p.b.u.h) said, “Any person who takes a bath on Friday like the bath of Janaba and then goes for the prayer (in the first hour i.e. early), it is as if he had sacrificed a camel (in Allah’s cause); and whoever goes in the second hour it is as if he had sacrificed a cow; and whoever goes in the third hour, then it is as if he had sacrificed a horned ram; and if one goes in the fourth hour, then it is as if he had sacrificed a hen; and whoever goes in the fifth hour then it is as if he had offered an egg. When the Imam comes out (i.e. starts delivering the khutba), the angels present themselves to listen to the khutba.” বুখারী।
কেননা এখানে একটি উত্তম আ’মালের কথা বলা আছে। কিন্তু আ’মাল আপনাদের উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য উম্মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
@Anonymous, তিন সময় আছে যখন যেকোনো নামাজ পড়া নিষেধ, তখনও কি মসজিদে ঢুকে প্রথমে ২ রাকাআত নফল পড়তে হবে?
@ম্যালকম এক্স,পড়তে হবে না। তবে মাকরুহ ওয়াক্ত শেষ হলে পড়ে নেয়া উচিত। হাদীসে ব্যপক তাকীদের প্রক্ষিতে কোন কোন উলামা কেরাম (হানাফী আলেমরাও। [বাস্তবে সব আলেমই সালাফের অনুসারী, হানাফী নাম অজ্ঞ লোকদের দেয়া যেমন আহলে মুনকারে হাদীস। নতুবা কেউ নিজ কে গর্বভরে হানাফী, শাফেয়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, আমি কখনও শুনিনি। শুধু পরিচয় পেশ করার জন্য অনেকে বলে থাকেন উনি হানাফী আলেম, অর্থাৎ ইমাম আবু হানাফী রহমাতুল্লহ আ'লাইহির ছাত্রদের সিলসিলার একজন ছাত্র ছিলেন। কোন ফেরকাবাজীর জন্য নয়। যেমনটা আহলে নফসরা বলে থাকেন উনারা আলবানীর কিতাবে আস্থা রাখেন। উনাকে অনুসরণ করেন।]) দলীল জিজ্ঞাসা করবেন না দয়া করে। আমি একজন দুনিয়াদার মানুষ। আলেম নই। যে কোন বড় মাদ্রাসায় বা রিসার্চ সেন্টারে গিয়ে লিখিত আকারে পেশ করলেই পাবেন ইনশা আল্লহ।
@ম্যালকম এক্স, দুঃখিত, হাদীসে ব্যপক তাকীদের প্রেক্ষিতে কোন কোন উলামা কেরাম দিনে কমপক্ষে একবার তাহিয়াতুল মাসজিদ পড়া ওয়াজিব বলেছেন।
@ABU TASNEEM,
আপনার প্রশ্নের উত্তর পোষ্ট আকারে দেয়া হয়েছে…
http://www.peaceinislam.com/asksumon007/11956/
@ABU TASNEEM,
আপনার কথায় খুব মজা পেলাম।
আসলে যাদের জ্ঞান স্বল্প তাদের জন্যই বলা হয়েছে….
যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয়ই কান, চোখ ও হৃদয় প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা ইসরা : ৩৬)
অনেকেই বলে থাকে হানাফীরা শুধু ইমাম আবু হানিফাকে অন্ধ অনুকরন করে। কুরআন ও হাদীসে তার মতের বিপরীত কোন দলীল পেলে হানাফীরা মানে না…..
তাদের ধারনা ভুল। কোন ক্ষেত্রে যদি ইমাম আবু হানিফার মত থেকে কুরআন ও হাদীসের মত শক্তিশালী হয়ে থাকে তবে আমরা ক…ুরআন ও হাদীসের মতকে প্রধান্য দিয়ে থাকি।
হ্যা তবে প্রমান হতে হবে যে, ইমাম আবু হানিফা কুরআন ও হাদীসের যে দলীল দিয়েছেন তা দূর্বল ছিল….
http://jamiatulasad.com/?p=770
@আবদুস সবুর এটা তো আমার দেয়া দলীলের জবাব হল না । আমি অনেকগুলো হাদীসের রেফারেন্স দিয়েছি । এখন আনারা প্রমাণ করেন যে , আমার দেয়া রেফারেন্স ভুল । অথবা এর উপর আমল শুরু করুন ।
@ABU TASNEEM,রেফারেন্সটা আপনার দেয়া রেফারেন্স নয়। আপনি কোথাও থেকে কপি পেস্ট করে দিয়েছেন। এবং আপনি তাহকীকও করে দেখেন নি রেফারেন্সগুলো সহিহ না গলদ। শুধু আপনার ঘরানার কিছু লোক উল্লেখ করেছে বলেই আপনি অন্ধভাবে কপি পেস্ট করে দিয়েছেন একটু ভালোভাবে খুঁজে আবার রেফারেন্সগুলো দিন। পারলে কোন অনলাইন কপিও দিতে পারেন। আমি তাহকীক করে দেখব ইনশা-আল্লহ।
@Anonymous, অবশ্যই এগুলি আমার দেয়া রেফারেন্স । সবগুলো রেফারেন্স ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত হাদীস গ্রন্থগুলি থেকে নেয়া হয়েছে । ভাল করে খুঁজে দেখুন । এখন সময় থাকলে পৃঃ নং দিয়ে দিতাম । যদি না পান তাহলে শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । অযথা আবোল তাবোল বকবেন না ।
@ABU TASNEEM, দুঃখিত বিশ্বাস করা গেল না। আপনি নিজে বের করে দিলে জবাব দিতে এত দেরি হত না। এবং পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করতে পারতেন। কিন্তু এখনও পারেন নি। বুখারী শরীফের যেহেতু হাদীস নম্বর আপনি দিয়েছেন তাহলে পৃষ্ঠা নম্বর খুঁজে পেতে ১৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত সময়। এরপরও অপেক্ষায় থাকলাম। সম্ভব হলে কোন authentic online reference দিয়েন।
@আবদুস সবুর, ফিক্বহে হানাফিতে অন্য কারো মত আছে কি নেই সেটা আমার প্রশ্ন নয় । অন্য কারো মতামত থাকাটাই স্বাভাবিক । আমার প্রশ্ন ফিক্বহে হানাফি নামে আপনারা যা ফলো করছেন তাতে সহীহ হাদীসের বিপরীত , (যেমন আমি একটি উদাহরণ দেখালাম ) মতামত চালু আছে কেন ? আপনার কি হাদীস পড়েন না ? এই সব হাদীস কি আপনাদের চোখে পড়ে নি ?
নাকি হাদীসের চেয়ে ফেক্বাহ আপনাদের কাছে বড় ? আবারও বলছি আমার দেয়া দলীল গুলি কি ভুল ? হলে প্রমাণ করুন নতুবা সহীহ হাদীসের কাছে মাথা নত করুন । আপনাদের জন্য কুরআনের একটি আয়াত :
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের চেয়ে অগ্রগামী হয়ো না। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন। হে মু’মিনগণ! নিজেদের আওয়ায রসূলের আওয়াযের চেয়ে উঁচু করো না এবং উচ্চস্বরে নবীর সাথে কথা বলো না, যেমন তোমরা নিজেরা পরস্পর বলে থাকো। এমন যেন না হয় যে, তোমাদের অজান্তেই তোমাদের সব কাজ-কর্ম ধ্বংস হয়ে যায়। যারা আল্লাহর রসূলের সামনে তাদের কণ্ঠ নিচু রাখে তারাই সেসব লোক, আল্লাহ যাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় পুরস্কার। – সুরা হুজরাত ১-৩
@ABU TASNEEM, আপনার রেফারেন্সটা এখন পাইনি। আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত রেফারেন্সের অপেক্ষায় থাকলাম। এর আগে একটু উত্তর দিন ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের সকল হাদিস সহিহ এবং বার তাকবীরের সকল হাদিস জঈফ হওয়া স্বত্ত্বেও বার তাকবীরের উপর আ’মাল করেন কেন? আপনার কি হাদীস পড়েন না ? এই সব হাদীস কি আপনাদের চোখে পড়ে নি ?
নাকি হাদীসের চেয়ে আলবানী আপনাদের কাছে বড় ? আবারও বলছি আমার দেয়া দলীল গুলি কি ভুল ? হলে প্রমাণ করুন নতুবা সহীহ হাদীসের কাছে মাথা নত করুন । আপনাদের জন্য কুরআনের একটি আয়াত :
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের চেয়ে অগ্রগামী হয়ো না। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন। হে মু’মিনগণ! নিজেদের আওয়ায রসূলের আওয়াযের চেয়ে উঁচু করো না এবং উচ্চস্বরে নবীর সাথে কথা বলো না, যেমন তোমরা নিজেরা পরস্পর বলে থাকো। এমন যেন না হয় যে, তোমাদের অজান্তেই তোমাদের সব কাজ-কর্ম ধ্বংস হয়ে যায়। যারা আল্লাহর রসূলের সামনে তাদের কণ্ঠ নিচু রাখে তারাই সেসব লোক, আল্লাহ যাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় পুরস্কার। – সুরা হুজরাত ১-৩
@Anonymous, প্রসঙ্গ ঘুরাচ্ছেন কেন । আমি যে দলীল দিয়েছি তার ভিতরে থাকুন । ছয় তাকবীর বার তাকবীর নিয়ে কিছুদিন আগেই কথা হয়ে গেছে । সেখানে আমার মন্তব্য দেখে নিন ।
@ABU TASNEEM, দুঃখিত বিশ্বাস করা গেল না। আপনি নিজে বের করে দিলে জবাব দিতে এত দেরি হত না। এবং পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করতে পারতেন। কিন্তু এখনও পারেন নি। বুখারী শরীফের যেহেতু হাদীস নম্বর আপনি দিয়েছেন তাহলে পৃষ্ঠা নম্বর খুঁজে পেতে ১৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত সময়। এরপরও অপেক্ষায় থাকলাম। সম্ভব হলে কোন authentic online reference দিয়েন। প্রসংগ আমি ঘুরাইনি। আপনিই ঘুরিয়েছেন এই পোস্টে মাযহাব কি ও কেন তার প্রামাণ্য আলোচনা কোন জবাব না দিয়ে আপনি গালাগালি করেছেন। তাই আপনাকে ফেরত দিলাম। তবে আপনার গালাগালি অযৌক্তিক ছিল আমার অযৌক্তিক নয়। কেননা এই পোস্টে আপনি কোন জবাব দেননি। দিয়েছেন কিছু বইয়ের লিংক যাতে ঐ জঈফ হাদীসগুলোই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পোস্টে আপনার কাছে বেশ কিছু দলীল চাওয়া হয়েছিল আপনি কোনটারই দলীল দেন নি। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে ১২ তাকবীরের হাদীসগুলো সব সহীহ এবং অতিরিক্ত ছয় তাকবীরের গুলো সব জঈফ। অবশ্যই আলবানীর জবাবে নয় আপনাকে নিজে প্রমাণ করতে হবে। কেননা আপনি আহলে হাদীস আহলে আলবানী নন। অন্যথায় ধরে নিচ্ছি আপনার কাছে রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহিস সাল্লামের চেয়ে আলবানীই বড়।
@Anonymous, আমি উপরে সহীহ বুখারী থেকে লিংক সহ দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি । আর সময় লাগার কারণ হচ্ছে আমি সব সময় নেট নিয়ে বসে থাকি না । আমাকে আমার অন্যান্য কাজও করতে হয় । এছাড়াও আমার নেট এর সময় লিমিটেট । সকার ১০টা পর্যন্ত । এখনও সময় স্বল্পতার পরেও সহীহ বুখারীর লিংক সহ পৃঃ নং উল্লেখ করে দিলাম । আপনি যদি মুমিন হয়ে থাকেন , তাহলে আপনার জন্য একটি উদাহরণই যথেষ্ট হবে । আর বাকী রেফারেন্স গুলোও সব সঠিক ।
আর আগের পোস্টে দলীল না দেয়ার করণ হচ্ছে , রাফে ঈয়াদাইন বিষয়ে যে পোষ্ট করা হয়েছিল , তাকে আমার কমেন্ট প্রকাশ না করা । অবশ্য বার তাকবীর বিষয়ে পোস্টে আব্দুস সবুর ভায়ের কমেন্টের জবাবে অভিযোগ করলে পরে আমার কমেন্ট । আবার প্রকাশ করা হয় ।
তার প্রমাণ দেখুন এই লিংকে গিয়ে রাফে ঈয়াদাইন নিয়ে কিছু কথা
@ABU TASNEEM, আপনার কাছে অনেক প্রশ্নই করা হয়েছিল আপনি কোনটারই ঠিক মত উত্তর দেন নি। আপনি যদি মনে করেন আপনার কমেন্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না তাহলে আপনি ভিন্ন পোস্ট আকারে দিলেই পারেন।
রফে ইয়াদাইনের পোস্টে আপনি কোন উত্তর দেননি। দিয়েছেন একটা লিংক যেখানে আপনাদের কথাগুলোই আবার বলা হয়েছে। রফে ইয়াদান না করার পক্ষের হাদিসগুলোর কোন ব্যাখ্যা ওখানে নেই। আছে আলবানীর ফয়সালা। আলবানী একজন অযোগ্য মুহাদ্দিস। তার দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনার নতুন পোস্টটিতে কমেন্ট বন্ধ রেখেছেন কেন?
@Anonymous , আমার নতুন পোস্টে কমেন্ট অনিচ্ছাকৃত ভাবে টিকমার্ক উঠে গিয়েছিল । সেটা ঠিক করে দিয়েছি ।
আর আমি চেষ্টা করব আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে । ইনশাআল্লাহ ।
@ABU TASNEEM,ধন্যবাদ
@ABU TASNEEM, আলকাউসার নিয়মিত পড়বেন। মাওলানা আব্দুল মালেক দামাত বারাকাতুহুমের মারকাযুদ দাওয়াহ থেকে প্রকাশিত হয়। উনি একজন সালাফের অনুসারী। আপনার ভুল ধারণা দূর হবে আশা রাখি।
@ABU TASNEEM,
আপনি বলেছেন,
ইসলামে যে অন্ধ অনুসরণ নেই
আচ্ছা। তাহলে কি উমর রা. কি ইসলামের বাহিরে কাজ করেছেন ???
ওমর (রাঃ) একটি মাসআলায় আবু বকর (রাঃ)-এর তাক্বলীদ করেছিলেন।
ই‘লামুল মুয়াক্কিঈন ২/১৬৫-১৬৬; আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম, পৃঃ ৭৯৭; ইমাম শাওকানী, আল-কাওলিল মুফীদ ফী আদিল্লাতিল ইজতিহাদ ওয়াত তাক্বলীদ, পৃঃ ২২-২৪
সকল সাহাবারা কি ইসলামের বাহিরে কাজ করেছিলেন ???
যেমন একটি কিরাতে প্রচলন করেছেন হযরত উসমান রাঃ। যেটা ছিল আবু আসেম কুফী রহঃ এর কিরাত।
কুরআন ও হাদীসের আলোকে এর ব্যাপারে একটু দলীল দেবেন কি হযরত ???
@আবদুস সবুর,এটা অন্ধ অনুকরণ নয়। এটা জেনে শুনে অনুকরণ। এযুগে অন্ধ অনুকরণ শুধু আহলে নফসরাই (স্বঘোষিত আহলে হাদিস) করে। যে কোন দলীল দিবেন তা যতই সহীহ হোক, তাদের কথাই ঠিক।
@ABU TASNEEM,
মাযহাবীরা তাদের ইমামের মতামতের বিরুদ্ধে সহীহ হাদীস পেলেও তারা ইমামের কথাকে নয় হাদীসকেই প্রত্যাখ্যান করে । এভাবে তারা রিসালাতের সাথে শিরক করছে । মনে হয় মুহাম্মাদ (সাঃ) নয় ইমাম আবু হানীফাই তাদের রাসূল
আমি একটি উদাহরন দিচ্ছি। “শরাব” বিষয়ে ইমাম আবু হানিফার ফতোয়া গ্রহন না করে, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহম্মদের ফতোয়া গ্রহন করা হয়েছে, কেননা সেটার দলীল বেশী। এ বিষয় কি আপনি জানেন? তাহলে কিভাবে মুহম্মদ (সা:) নয়, ইমাম আবু হানিফা মাজহাবীদের রসুল হোলো?
[...] চলমান বিভ্রান্তির প্রেক্ষিতে এক বিশ্লেষণধর্মী ও প্রামান্য পোস্ট দিয়েছিলেন। ওই পোস্টে তিনি শুরুতেই [...]
✘✘✘ ইমামদের নামে মাযহাবীদের
মিত্থাচার ✘✘✘”এমন
কাহিনী হলিউড মুভিতেও বিরল”
একদল গোঁড়া মাযহাব
পন্থী (সাধারণ
মাযহাবী নয়) ভাইয়েরা প্রচার
করে বেড়ান আমাদের প্রসিদ্ধ
হাদীস
গ্রন্থের সংকলনকারীগন
মাযহাবের
মুকাল্লিদ (অন্ধ অনুসারী)
ছিলেন।
আসলে বিষয়টি বড়ই হাস্যকর কারণ
যদি তাদের এই দাবি সত্য প্রমাণ
করতে চায় তাহলে বলতে হয় হাদীস
সংকলনকারী ইমামগন মৃত্যুর
পরে মাযহাব অনুসারন করেছে।
আসুন এবার দেখি মাযহাব
সৃষ্টি হয়েছে কত
হিজরীতে এবং হাদীস
সংকলনকারী ইমামগনের জন্ম
মৃত্যু কত
হিজরীতে।
ভারত বর্ষের বিখ্যাত হাদীস
শাস্ত্রবিদ ও হানাফীদের
শিক্ষাগুরু
যাকে হানাফীরা ভারত বর্ষের
‘ইমাম বুখারী’ বলে থাকেন সেই
শাহ
আলিউল্লাহ মুহাদ্দিস
দেহেলভী (রহ)
বলেছেন –
তোমরা জেনে রাখো যে, ৪০০
হিজরীর আগে লোকেরা কোন
একটি বিশেষ মাযহাবের উপর
জমে ছিল না’
(হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ;
১৫২
পৃষ্ঠা)।
দেখতে পেলাম মাযহাব
সৃষ্টি হয়েছে ৪০০ হিজরীর পরে।
এবার
দেখুন প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থ
সমূহ
সংকলনকারী ইমামগনের জন্ম
মৃত্যু কত
হিজরীতে।
১. ইমাম বুখারী (র্:) : ১৯৪-২৫৫
হিজরী
২. ইমাম মুসলিম (র্:) : ২০৪-২৬১
হিজরী
৪. ইমাম ইবনে মাযাহ (:র্:) : ২০৩-২৭৯
হিজরী
৪. ইমাম আবু দাউদ (র্:) :২০৪-২৭৫
হিজরী
৫. ইমাম নাসাঈ (র:) : ২১৫-৩০৩ হিজরী
৬. ইমাম তিরমিযি (র:) ২৩২-২৭২
হিজরী
একটু হিসাব করে দেখুন। ইমাম
বুখারীর
(র্:) এর মৃত্যু ২৫৫ হিজরীতে আর
মাযহাব
সৃষ্টি ৪০০ হিজরীতে তার
মানে হলো ইমাম বুখারী (র্:) এর
মৃত্যুর
১৪৫ বছর পরে মাযহাবের সৃস্টি।
এটা বড়ই হাস্যকর যে, মৃত্যুর ১৪৫
বছর পর
সৃষ্ট জিনিসের অনুসরন করা যায়।
এমন
কাহিনী হলিউড সিনেমাতেও
দেখা যায় বলে মনে হয়না।
যদি এই ইমামগন মান হানীর
মামলা দায়ের করেন
তাহলে কিয়ামতের
মাঠে কি জবাব
দেবেন?