তাবলীগ জামাত সম্পর্কে কিছু নিয়মিত প্রশ্নের উত্তর (১)
লিখেছেন: ' আবদুস সবুর' @ সোমবার, ডিসেম্বর ৩, ২০১২ (৬:৪৯ অপরাহ্ণ)
(বি: দ্র: অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বা কমেন্ট করে নিজের অজ্ঞতার প্রকাশ ঘটনো থেকে বিরত থাকুন। সংশ্লিষ্ট বিষয় বাদ দিয়ে অপ্রসঙ্গিক কপি-পেষ্ট ডিলেট হতে পারে। কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। পরবতী নোটে বিস্তারিত জবাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ)
প্রশ্ন : ১
অনেকে বলে থাকেন,
তাবলীগ জামাত ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে?
জ্বি করে তবে ইলিয়াসী পদ্ধতিতে!
উত্তর :
ইলিয়াসী পদ্ধতি কি ???
“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
“ তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)
নবী মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
« مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلاَلَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا »
“যে হেদায়েতের প্রতি আহবান জানায়, তার জন্য তার অনুসারীদের সমপরিমাণ সওয়াব রয়েছে, তবে তা তাদের সওয়াব থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না। আর যে পথভ্রষ্টতার প্রতি আহবান জানায়, তার ওপর তার অনুসারীদের সমপরিমাণ পাপ আরোপিত, তবে তা তাদের পাপ থেকে কোন কিছু হ্রাস করবে না।” [মুসলিম(২৬৭৪)]
………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ২
কোথা থেকে আসল এই পদ্ধতি ???
স্বপ্ন থেকে … কিন্তু দলীল ???
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবুওয়তে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, বাকী আছে কেবল মুবাশশিরাত (সুসংবাদ)।
সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, মুবাশশিরাত কী? তিনি বললেন: ভাল স্বপ্ন।
…………………………………………………………………………………..
প্রশ্ন : ৩
আর কারো কি এই রকম স্বপ্ন ব্যপারে কোন ঘটনা আছে ???
আছে। যেমন …
ইমাম বুখারী রহ. বর্ণনা করেন, একদা আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি একটি হাতপাখা দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেহে মোবারকে বাতাস করছি এবং তাঁর দেহ মোবারক থেকে মাছি তাড়াচ্ছি। একজন অভিজ্ঞ স্বপ্ন ব্যাখ্যাকারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তদুত্তরে বললেন, তুমি এমন কোন কাজ করবে যার দ্বারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি মিথ্যা ও জাল কথা সম্পৃক্ত করার ঘৃণ্য প্রয়াস মূলোৎপাটিত হবে।” বস্তুত উক্ত স্বপ্নই সহীহ বুখারী লিখতে আমাকে অনুপ্রাণিত করে। (হাদিউস সারী ৯:৬৫)
……………………………………………………………………………………………………………………..
প্রশ্ন : ৪
ফাযায়েলে আমলে যে অনেক ঘটনা দেখা যায় সেগুলোর ব্যাপরে কি বলবেন ???
উত্তর :
হাদীসে আছে,
عن عبد الله بن عمرو : أن النبي صلى الله عليه و سلم قال بلغوا عني ولو آية وحدثوا عن بني إسرائيل ولا حرج (صحيح البخارى، كتاب الانبياء، باب ما ذكر عن بني إسرائيل، رقم الحديث-3274)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, “আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও পৌঁছে দাও। আর বনী ইসরাঈলের বিষয় বর্ণনা কর, কোন সমস্যা নাই”।
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬২৫৬, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৬৬৪, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫৮৪৮}
এখানে দ্বীন প্রচারের সুবিধার জন্য যদি বনী ইসরাঈলের বিষয়ে বর্ণনা করা দোষের না হয়, তবে দ্বীন প্রচারের সুবিধারন জন্য উম্মতে মোহাম্মদীর ভিতরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো প্রচারে সমস্যা কোথায় ???
শাইখুল হাদীস আল্লামা শায়েখ জাকারিয়া রহঃ এর লিখা “ফাযায়েলে আমাল” কিতাবটিতে তিনি ফাযায়েল সম্পর্কিত বেশ কিছু হাদীস বিভিন্ন হাদীসের কিতাব থেকে একত্র করেছেন। সেই সাথে বুযুর্গানে দ্বীনের জীবনে ঘটে যাওয়া ঈমান উদ্দীপক কিছু ঘটনা উদ্ধৃত করেছেন।
ঘটনা মূলত ঘটনাই। এর দ্বারা কোন বিধান সাব্যস্ত হয়না। আর বুযুর্গানে দ্বীন থেকে ঘটিত আশ্চর্য ঘটনাবলী কোন শরয়ী দলিল নয়, কিন্তু ঈমান উদ্দীপক। যার মাধ্যমে আমলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এগুলোতে অযথা শিরক খোঁজাটা বোকামীর শামিল। সেই সাথে শিরকের অর্থ সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক।
আশ্চর্য ঘটনাবলী বা বুযুর্গানে দ্বীনের কারামাত বুযুর্গানে দ্বীনের নিজের ইচ্ছাধীন নয়। বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। যদি কেউ মনে করে যে, কারামাত বা আশ্চর্য ঘটনাবলীর ঘটানোর মূল ক্ষমতা বুযুর্গের, তাহলে এটা শিরক হবে, এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু একথাতো ফাযায়েলে আমালের কোথাও লিপিবদ্ধ নাই যে, কারামাতগুলো ঘটানোর ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বুযুর্গের। তাহলে এসব ঘটনা শিরক হল কিভাবে?
বনী ইসরাঈল হল হযরত মুসা আঃ ও হযরত ঈসা আঃ এর উম্মত বা জাতি। যদি হযরত মুসা ও ঈসা আঃ এর জাতির ঘটনা বর্ণনা করাতে কোন সমস্যা না থাকে, তাহলে শ্রেষ্ঠ, সর্বোত্তম উম্মত, উম্মতে মুহাম্মদীর বুযুর্গানে দ্বীনের ঈমানদীপ্ত ঘটনা বর্ণনা করা শিরক বা দোষণীয় হয় কি করে?
তাহলে কি গায়রে মুকাল্লিদদের মতে উম্মতে মুহাম্মদীর চেয়ে বনী ইসরাঈলরা বেশি মর্যাদার অধিকারী? বা বেশি শ্রেষ্ঠ? বেশি বুযুর্গ?
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ৫
আপনাদের পাঠ্যক্রমে কুরআন ও প্রচলিত হাদীস গ্রন্থ যেমন বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ ইত্যাদি এমনকি রিয়াদূস সালেহীন এর মত কোন গ্রন্থের উল্লেখ নেই। আপনাদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ হল, আপনারা তাফসীরগ্রন্থ পড়তে নিষেধ করেন।
উত্তর :
এটা মাদ্রাসা নয় যে হাদীসগ্রন্থগুলো তালিম দেয়া হবে। এখানে কিছু কিতাব লিখা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের জন্য আসা মানুষগুলোর মাঝে দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করার আকাঙ্খা সৃষ্টি হয়।
আমাদের মধ্যে কুরআন এর তাফছীর পড়াতে কোন নিষেধ নেই। হাদীস পড়তে কোন নিষেধ নেই। ইসলামী গ্রন্থ পড়তে নিষেধ নেই। তবে যে লোকটি এখনো অ, আ, ক, খ পড়তে শিখেনি। তাকে যদি একটি সাহিত্য গ্রন্থ দেয়া হয় তাহলে সেতো পড়তে পারবে না বরং তাকে দিতে হবে একটি আদর্শলিপি। যাতে সে পড়া শিখতে পারে। তদ্রুপ আমাদের জামায়াতে যে সমস্ত ভাইয়েরা আসেন তারা যাতে দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের পড়া শিখতে পারে তার জন্য সে অনুযায়ী ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে সাদাকাত, মুন্তাখাব হাদীস, হায়াতুস সাহাবা ইত্যাদি গ্রন্থ পড়তে দেয়া হয়। ফাযায়েল অর্থ হলো লাভ। মানুষ যে জিনিসে লাভ দেখে তা পাওয়ার জন্য জীবনও দিয়ে দেয়। সে জন্য তাবলিগের ভাইদের দ্বীনের জ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই ধরনের গ্রন্থ গুলো আগে পড়তে উৎসাহিত করা হয়।
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ৬
আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আপনারা বলে থাকেন, সরাসরি কুরআনের অর্থ পড়লে নাকি আমরা বিভ্রান্ত হব।
উত্তর :
কথাটা ঠিক নয়। কুরআন অর্থ পড়লে আমরা বিভ্রান্ত হব না। তবে কুরআন ও হাদীস পড়ে মাসয়ালা বের করতে গেলে আমরা বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারন উক্ত কাজ করার আগে আমাকে মুজতাহিদ হওয়া প্রয়োজন। হাদীসে আছে.
من قال في القرآن برأيه فليتبوأمقعده من النار
অর্থঃ যে ব্যক্তি মনগড়া কুরআনের তাফসীর করল সে জাহান্নামে আপন স্থান বানিয়ে নিল, (তিরমিযি শরিফ-২৯৫১)
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ৭
আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আপনারা বলে থাকেন, কুরআনের তাফসির পড়লেও নাকি আমরা বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উত্তর :
এটাও ভুল কথা। তবে বর্তমানে এমন কিছু তাফসির বাজারে আছে যাদের উক্ত হাদীসটি সম্ভবত জানা নাই। বর্তমান সময়ের একজন বিখ্যাত তাফসীর লিখনেওলা বলেছেন,
“কোরআনের একটি আয়াত পাঠ করার পর যে অর্থ আমার বুঝে আসে এবং আমার অন্তরে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তা যথাসম্ভব বিশুদ্ধভাবে আমার নিজস্ব ভাষায় বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।”
(তাফহীমুল কোরআন, উর্দ্দু ভূমিকা, মুদ্রণে: মার্কেন্টাইল প্রেস, পৃষ্ঠা নং- ১০ লাহোর, সন ১৯৫১ইং)
আরো বলছেন,
“কোরআন বুঝার উত্তম পন্থা একমাত্র ইহাই হতে পারে যে, কোরআন বুঝার ইচ্ছাপোষণকারী সর্বপ্রথম ইহা জানবে যে, কোরআনের ইলহাম তার উপর নাজিল হচ্ছে (অর্থাৎ সে রাসূল!)। অতঃপর ইহা বুঝে কোরআন পাঠ করবে যে, সে নিজেই কোরআনকে নাজিল করেছে (অর্থাৎ সে স্বয়ং আল্লাহ!!)। আমি কোরআন বুঝার জন্য এই পন্থাকেই গ্রহণ করেছি।”
(তথ্য সূত্র : নাওয়ায়ে পাকিস্তান, লাহোর ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৫)
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ৮
আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আপনারা বলে থাকেন, কোন ওস্তাদের নিকট হাদীসগ্রন্থ না পড়ে সরাসরি পড়লে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উত্তর :
বুখারী শরীফের প্রথম হাদীস হল…
সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
এখন এক লোক এই নিয়তে জেনা করা শুরু করল যে, জেনা করার পর যে সন্তান হবে তাকে আমি ইসলামের বড় দ্বায়ী বা প্রচারক বানাব। তাহলে আমার জেনা করা জায়েজ হয়ে যাবে।
কারন হাদীসে আছে সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল !!!
এখন প্রশ্ন হল এই লোকটি কি আসলেই কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী আমল করল ???
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ৯
আপনার নাকি বলে থাকেন জিহাদের কোন প্রয়োজন নাই। দাওয়াত দিতে দিতেই নাকি ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে।
উত্তর :
এই রকম কথা শুধু জাহেল বলতে পারে কোন আলেম নয় এবং তাবলীগের কোন মুরুব্বিদের মুখে আমি এই কথা শুনিনি। তবে কোন কোন অতি উৎসাহী তাবলীগি ভাই যার কিনা কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান তারা এই ধারনা পোষন করে থাকেন এবং তাদের এই ধারনা অবশ্যই পরিত্যাগ করা উচিত।
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ১০
কাকরাইলের মুরুব্বিরা যা বলেন এর বাহিরে তাবলীগওয়ালারা কিছু বলবেন না কিছু করবেনও না। ওনারা যা পড়তে বলেন তাই পরবে।
উত্তর :
কাকরাঈলের মুরুব্বিরা হচ্ছেন আলেম। এখন কোন সাধারন মানুষ যদি ধর্মীয় ব্যাপারে কোন আলেমের কথা মত চলে তবে আমি দোষের কিছু দেখি না।
হাদীসে আছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِىِّ السُّؤَالُ ».
‘নিশ্চয় অজ্ঞতার চিকিৎসা হলো জিজ্ঞাসা’। [আবূ দাঊদ : ৩৩৬]
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ১১
আপনাদের ফাযায়েলে আমলের ভূমিকাতে লিখা আছে,
“এত বড় বুজুর্গের [মাঃ ইলিয়াস] সণ্তুষ্টি বিধান আমার পরকালের নাজাতের উছিলা হবে মনে করে আমি কিতাব লিখার কাজে সচেষ্ট হই “।
উত্তর :
আসলে ওখানে কি ুজুর্গের বলা হয়েছে নাকি বুজুর্গগণের বলা হয়েছে ???
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=373660195997421&set=a.373659252664182.108937.100000603328604&type=3&src=http%3A%2F%2Fsphotos-b.ak.fbcdn.net%2Fhphotos-ak-ash4%2F419416_373660195997421_1177330571_n.jpg&size=888%2C741
লিঙ্কটা কপি করে এড্রেসবারে পেষ্ট করে এন্টার দিন।
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ১২
আপনাদের ফাজায়েলের কিতাবে সূরা কামারের ১৭নং আয়াতের অর্থ লেখা আছে, “আমি কোরআনকে হেফজ করিবার জন্য সহজ করিয়া দিয়াছি কোন ব্যক্তি কি হেফজ করিতে প্রস্তুত আছে?”
কিন্তু আপনারা যদি এ আয়াতের অর্থ ভিন্ন কোন কুরআনে দেখতেন তাহলে দেখতে পেতেন সেখানে অর্থ লেখা রয়েছে, “এই কুরআনকে আমি সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহনের জন্য, অতএব উপদেশ গ্রহনকারী কেহ আছে কি?”
উত্তর :
(এটার জবাবটা কপি-পেষ্ট করে দিলাম)
মুরাদ বিন আমজাদ এই আয়াতের অর্থ বিকৃতির অভিযুগে সাইখ যাকারিয়া রাহ এর উপর কেমন আক্রমন চালিয়েছে । দেখুন ।
আমি এখানে আহলে হাদিস মুরাদ বিন আমজাদের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরছি । দেখুন হতবাগা কি বলছে ।-
“(তাবলীগি)নিসাবের গ্রন্থকার কোরআনের আরেকটি আয়াতের বিকৃত অনুবাদ করে চরম দৃষ্টতা প্রদর্শন করেছেন । তিনি সুরা কামারের ১৭ নং আয়াতের তরজমা করেছেন –
ولقديسرنا القران للذكر فهل من مد كر
‘আমি কোরআনকে হেফজ করিবার জন্য সহজ করিয়া দিয়াছি । কোন ব্যক্তি কি হেফজ করিতে প্রস্তুত আছে ?’
শায়খ সাহেব উক্ত আয়াতের যে তরজমা করেছেন পৃথিবীর কোন তাফসির কারক সে তরজমা গ্রহন করেনি । এটা তার উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট অনুবাদ।-সহিহ আকিদার মানদণ্ডে তাবলীগি নিসাব,৫৩-৫৬
দেখুন কেমন জাহেল আর বেয়াদব ! সে যদি তাফসিরের এক-দুটি কিতাবও দেখেনিত তাহলে এমন কথা বলার সাহস পেতনা । কারন সকল তাফসিরকারক এই অর্থ গ্রহন করেছেন । সাহাবা- তাবেয়ি থেকেও এই অর্থ প্রমানিত । তবে বিষয়টি কোন জটিল না হওয়ায় মনে হয় এটা আহলে হাদিসদের প্রতারনার একটি ফাদ । যাতে তারা মানুষকে ফেলার জন্য বর্তমানে আরও অনেক খেত্রেও করছে । আরও মারাত্তক কথা ও বকা-ঝকও করেছেন এখানে । আফসুস, নিজের অযুজ্ঞতার শাস্তি আরেকজনের উপর চাপান হচ্ছে ।
এবার দেখুন আয়াতের তাফসির –যেখানে সকল মুফাসসিরগন ذكر শব্দের অর্থ ‘হেফজ’ দারাও করেছেন । আমরা আমাদের হাতের কাছে (সুরা কামারের ১৭ নং আয়াতের তাফসির) বাংলা মাআরেফুল কুরআন ও দেখে নিতে পারি । আমি এখানে শুধু কিতাবের নাম ও এর আরবি পাঠগুলো উল্লেখ করব । অনুবাদের প্রয়জন নেই । কারন সকলে একই -‘‘আমি কোরআনকে হেফজ করিবার জন্য সহজ করিয়া দিয়াছি’ -অর্থ করছেন ।
আগে বর্তমান আরবের কয়েকজন আলেমের তাফসির দেখুন ।
১-ইবনে উসাইমিন । তিনি আয়াতের অর্থ হেফজ দ্বারা করেছেন –
فتاوى: لقاءات الباب المفتوح
لفضيلة الشيخ العلامة: محمد بن صالح العثيمين
إن المعنى: أن الله تعالى يسر القرآن، أي: يسر معانيه لمن تدبره، ويسر ألفاظه لمن حفظه، فإذا اتجهت اتجاهاً سليماً إلى القرآن للحفظ يسره الله عليك،
এই আয়াতের অর্থ হল আল্লাহ যারা কুরআনকে নিয়ে চিন্তা করবে তাদের জন্য এর মর্ম এবং যারা হেফজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এর শব্দগুলো শজ করে দিয়েছেন ।
২- বিন বায রাহ –
مجموع فتاوى ابن باز” (11/117
ليس هناك آيات أو صلوات مخصوصة لحفظ القرآن ، وإنما المسلم يجتهد ويحرص على حفظ القرآن الكريم ، وقد قال الله تعالى : سورة القمر الآية 17 وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ فمن اجتهد في حفظ القرآن أعانه الله ويسره عليه ، وأما تخصيص آيات أو صلوات من أجل ذلك فلا دليل على ذلك ، ولكن عليه أن يدعو الله كثيرا أن يعينه على حفظ القرآن ، والله قريب مجيب৩-
في تفسير بن كثير
( وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ ( أي: سهلنا لفظه، ويسرنا معناه لمن أراده، ليتذكر الناس.
كما قال: [كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الأَلْبَابِ [ ص : 29 ،
وقال تعالى: [فَإِنَّمَا يَسَّرْنَاهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الْمُتَّقِينَ وَتُنْذِرَ بِهِ قَوْمًا لُدًّا [ مريم : 97.
قال مجاهد: ( وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ ) يعني: هَوّنّا قراءته.
وقال السدي: يسرنا تلاوته على الألسن.
وقال الضحاك عن ابن عباس: لولا أن الله يسره على لسان الآدميين، ما استطاع أحد من الخلق أن يتكلم بكلام الله، عز وجل.
وقوله: ( فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ ) أي: فهل من متذكر بهذا القرآن الذي قد يَسَّر الله حفظه ومعناه؟
وقال ابن أبي حاتم: في قوله تعالى: ( فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ ) هل من طالب علم فَيُعَان عليه؟ اهـ
~*~*~*~*~*~*~*~
৪-
فى أيسر التفاسير لكلام العلي الكبير=
ولقد يسرنا القرآن للذكر :أي سهلناه للحفظ، وهيأناه للتذكير.
فهل من مدكر :أي فهل من متعظ به حافظ له نتذكر.
৫-
تفسير السعدي=
)وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ ( أي: ولقد يسرنا وسهلنا هذا القرآن الكريم، ألفاظه للحفظ والأداء، ومعانيه للفهم والعلم، لأنه أحسن الكلام لفظا، وأصدقه معنى، وأبينه تفسيرا، فكل من أقبل عليه يسر الله عليه مطلوبه غاية التيسير، وسهله عليه، والذكر شامل لكل ما يتذكر به العاملون من الحلال والحرام، وأحكام الأمر والنهي، وأحكام الجزاء والمواعظ والعبر، والعقائد النافعة والأخبار الصادقة، ولهذا كان علم القرآن حفظا وتفسيرا، أسهل العلوم، وأجلها على الإطلاق، وهو العلم النافع الذي إذا طلبه العبد أعين عليه، قال بعض السلف عند هذه الآية: هل من طالب علم فيعان [عليه]؟ ولهذا يدعو الله عباده إلى الإقبال عليه والتذكر بقوله: ( فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ ) .
৬-
فى البحر المديد في تفسير القرآن المجيد=
ابن عجيبة
وقيل: ولقد سهّلناه للحفظ، وأعنّا مَن أراد حفظه، فهل من طالب لحفظه ليُعان عليه؟ قال القشيري: { ولقد يَسَّرنا القرآنَ للذكر } يسَّر قراءته على ألسنة قوم، وعِلْمَه على قوم، وفهمه على قلوب قوم، وحِفْظه على قلوب قوم،
৭-তাফসিরে মুয়াসসার
فى التفسير الميسر=
ولقد سَهَّلْنا لفظ القرآن للتلاوة والحفظ، ومعانيه للفهم والتدبر، لمن أراد أن يتذكر ويعتبر، فهل من متعظ به؟
৮-
الكتاب : الجامع لأحكام القرآن=
المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671 هـ)
{وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ} أي سهلناه للحفظ وأعنا عليه من أراد حفظه ؛ فهل من طالب لحفظه فيعان عليه ؟
৯-
الكتاب : الكشف والبيان=
ولقد يسّرنا ( سهّلنا وهونّا ) القرآن للذكر ( اي ليتذكر ويُعتبر به ويتفكر فيه ، وقال سعيد ابن جبير : يسّرنا للحفظ ظاهراً ،
১০-
تفسير السمرقندي ( بحر العلوم )=
المؤلف : أبو الليث نصر بن محمد بن إبراهيم السمرقندي الفقيه الحنفي
ولقد يسرنا القرآن للذكر ” يعني سهلناه للحفظ لأن كتب الأولين يقرؤها أهلها نظرا ولا يكادون يحفظون من أولها إلى آخرها كما يحفظ القرآن ” فهل من مدكر ” يعني متعظ به
‘আমি কোরআনকে সহজ করেছি হেফজ করার জন্য ।‘ কেননা পূর্ববর্তী কিতাবসমুহ লোকেরা দেখে দেখে পড়ত । কোরআনের মত তারা তা মুখস্ত করতে পারতনা ।
১১-
تفسير البغوى =
{ وَلَقَدْ يَسَّرْنَا } سهلنا { الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ } ليتذكر ويعتبر به، وقال سعيد بن جبير: يسرناه للحفظ والقراءة، وليس شيء من كتب الله يقرأ كله ظاهرًا إلا القرآن “فهل من مدكر”، متعظ بمواعظه.
১২-তাফসিরে জালালাইন
تفسير الجلالين المحلي، السيوطي=
17 – { ولقد يسرنا القرآن للذكر } سهلناه للحفظ وهيأناه للتذكر { فهل من مدكر } متعظ به وحافظ له والإستفهام بمعنى الأمر أي احفظوه واتعظوا به وليس يحفظ من كتب الله عن ظهر القلب غيره
আমি কুরাআনকে হেফজ করার জন্য সহজ করেদিয়েছি ।এবং উপদেশ গ্রহন করার জন্য ও
আরও অনেক কিতাবের হাওয়ালা আনা সম্ভব , কিন্তু
সময়ের অভাবে এখানে থামলাম । আয়াত নং -১৭, খণ্ড ১ পঃ৭০৬
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ১৩
ফাযায়েলে আমালে দুর্বল হাদীস আছে, তাই এ কিতাবটি কেন পরিত্যাজ্য নয় …
উত্তর :
মুহাদ্দিসীনে কেরামের মূলনীতি হল দুর্বল হাদীস ফাযায়েলের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।
যেমন-
সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যাকার ইমাম নববী রহঃ বলেন-
قال العلماء من المحدثين والفقهاء وغيرهم يجوز ويستحب العمل فى الفضائل والترغيب والترهيب بالحديث الضعيف ما لم يكن موضوعا (الأذكار-৭-৮
মুহাদ্দিসীন ও ফুক্বাহায়ে কেরাম এবং অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম বলেন-দুর্বল হাদীসের উপর ফাযায়েল ও তারগীব তথা উৎসাহ প্রদান ও তারহীব তথা ভীতি প্রদর্শন এর ক্ষেত্রে আমল করা জায়েজ ও মুস্তাহাব। যখন উক্ত হাদীসটি জাল না হয়। {আল আজকার-৭-৮}
এ মূলনীতিটি নিম্ন বর্ণিত বিজ্ঞ ব্যক্তিগণও বলেছেন-
১- মোল্লা আলী কারী রহঃ-মওজুয়াতে কাবীর-৫, শরহুন নুকায়া-১/৯
২- ইমাম হাকেম আবু আব্দুল্লাহ নিশাপুরী রহঃ-মুস্তাদরাকে হাকেম-১/৪৯০
৩- আল্লামা সাখাবী রহঃ- আল কাওলুল বাদী’-১৯৬
৪- হাফেজ ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী রহঃ- মাজমুআ ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া-১/৩৯
আহলে হাদীস নামধারী গায়রে মুকাল্লিদগণও এ মূলনীতিতে একমত
১- শায়খুল কুল মিয়া নজীর হুসাইন সাহেব দেহলবী রহঃ- ফাতওয়া নজীরিয়া-১/২৬৫
২- নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান- দলীলুত তালেব আলাল মাতালিব-৮৮৯ {নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান সাহেবকে গায়রে মুকাল্লিদদের আকাবীরদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ধর্তব্য করা হয়। {আপকি মাসায়েল আওর উনকা হল কুরআন ওয়া সুন্নাত কি রওশনী মে, লেখক-মুবাশশির আহমাদ রাব্বানী-২/১৮১}
৩- মাওলানা সানাউল্লাহ ওমরতাসরী রহঃ- আখবারুল হাদীস-১৫ শাওয়াল ১৩৪৬ হিজরী।
৪- হাফেজ মুহাম্মদ লাখওয়ী রহঃ- আহওয়ালুল আখরাস-৬
৫- মাওলানা আব্দুল্লাহ রূপরী সাহেব রহঃ- ফাতওয়া আহলে হাদীস-২/৪৭৩
বিখ্যাত ফকিহ ইমাম ইবন হুমাম (র লিখেছেন ” জইফ হাদীস যা মউজু নয়, তা ফজিলত অর্জনের জন্য আমল করা যায়।(ফাতহুল কাদীর)
মোল্লা আলী কারী বলেন, “সকলেই একমত যে, জইফ হাদীস ফজীলত হাসিল করের জন্য আমল করা জায়ীজ আছে।”
যে ক্ষেত্রে জইফ হাদীস পাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই কিয়াস হালাল নয়। তাই ইমামগণ প্রত্যেকে বাক্তিগত রায়-এর উপর জইফ হাদীসকে প্রাধান্য দিয়েছেন।এমাম আবু হানিফা’র বাণী “হুজুরে পাক (সা হতে বর্ণিত হাদীস যদিও তা রাবীদের কারণে জইফ হয়, ওটা কিয়াস হতে উত্তম।যে ক্ষেত্রে জইফ হাদীস পাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই কিয়াস হালাল নয়” ( মুকাদদিমা এলাউস সুনান)
যয়ীফ সনদে বর্ণিত রেওয়ায়াত আমলযোগ্য হওয়ার মানদন্ড)
১।
ইমাম বদরুদ্দীন যারকাশী রহঃ তাঁর উসূলে হাদীসের কিতাব ‘আননুকাত’ এ লেখেন-
“যয়ীফ হাদীস যখন ব্যাপকভাবে উম্মাহর(মুহাদ্দিস ও ফকীহগণের) কাছে সমাদৃত হয় তখন তার উপর আমল করা হবে-এটাই বিশুদ্ধ কথা।এমনকি তখন তা হাদীসে মুতাওয়াতির(বিপুলসংখ্যক সূত্রে বর্ণিত) হাদীসের পর্যাযে পৌঁছে যায়।”-আননুকাত আলা মুকাদ্দিমাতি ইবনিস সালাহ ১/৩৯০
২।
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ লেখেন-
“হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়ার নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি হল,ইমামগণ তার বক্তব্যের উপর আমল করতে একমত হওয়া।এক্ষেত্রে হাদীসটি গ্রহণ করা হবে এবং এর উপর আমল অপরিহার্য হবে।উসূলের অনেক ইমাম এ বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন।”-আননুকাত আলা কিতাবি ইবনিস সালাহ ১/৪৯৪
৩।
মুরসাল বর্ণনার সমর্থনে উম্মাহর অবিচ্ছিন্ন কর্মধারা বিদ্যমান থাকলে তা গ্রহনযোগ্য হওয়ার ব্যপারে ইমামগন একমত।এখানে শুধু শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ এর বক্তব্যটিই উদ্ধৃতি করছি যাকে গায়েরে মুকাল্লিদরা ‘আপন মানুষ’ মনে করেন-
“যে মুরসালের অনুকূলে অন্য কিছু পাওয়া যায় কিংবা পূর্বসূরিগণ যার অনুসরণ করেছেন তা ফকীহগণের সর্বসম্মতিক্রমে দলীল হিসেবে গ্রহণীয়।”
-ইকামাতুদ দলীল আলা বুতলানিত তাহলীল,আলফাতাওয়াল কুবরা ৪/১৭৯।
আরো দেখুন তাঁরই কিতাব মাজমূউল ফাতাওয়া ২৩/২৭১;মিনহাজুস সুন্নাতিন নাবাবিয়্যা ৪/১১৭
সুতরাং গায়েরে মুকাল্লিদরা যদি হাদীসের ইমামগণের অনুসরণ করে ‘যয়ীফ বা মুরসাল’ বলে থাকেন তাহলে সেই ইমামদের নীতি অনুসারেই যয়ীফ রেওয়ায়াতকে(যা শুধু সনদের বিবেচনায় যয়ীফ) অবশ্যই আমলযোগ্য স্বীকার করে নিতে হবে;যদি তারা তা স্বীকার না করে তবে রেওয়ায়াতটিকে যয়ীফ বলার কোনো অধিকারই তাদের নাই।
অতএব এমন রেওয়াত যার সনদটা শুধুমাত্র যয়ীফ/মুরসাল,কিন্তু মান ও এর বক্তব্য সাহাবা যুগ থেকে নিয়ে গোটা উম্মাতের আমলের মাধ্যমে অনুসৃত;তার বিপরীতে কেবল যারা মারফু মারফু বলে চিল্লায় তারা মূলত হাদীস অস্বীকার করার মতলববাজি করা ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্যই নাই।
শায়েখ জাকারিয়া রহঃ ও এ মূলনীতির কথা বলেছেন-
“এ বিষয়ে সতর্ক করাও জরুরী যে, হযরত মুহাদ্দিসীন রাঃ গণের নিকট ফাযায়েলের বর্ণনায় অনেক সুযোগ আছে। আর মামুলী দুর্বলতা গ্রহণযোগ্য। তবে সুফীয়ায়ে কেরামের ঘটনাতো ঐতিহাসিক বিষয়। আর এটা জানা কথা যে, ঐতিহাসিক বিষয় হাদীসের মর্যাদার তুলনায় খুবই কম।
{ফাযায়েলে আমাল, উর্দু এডিশন-৩৮৪, রেসালায়ে ফাযায়েলে নামায, তৃতীয় অধ্যায়, ফাযায়েলে আমাল পর ইশকালাত আওর উনকা জাওয়াব নম্বর-৬৫, ফাযায়েলে দরূদ-৫৬}
যে প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসীনরা স্বীয় কিতাবে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীস এনেছেন
১- ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ স্বীয় কিতাব “আস সুন্নাহ” এর মাঝে ৩০৩টি।
২- ইমাম বায়হাকী রহঃ “কিতাবুল আসমাই ওয়াস সিফাত” গ্রন্থে ৩২৯টি।
৩- ইবনে তাইমিয়া রহঃ তার “আল মুনতাকা” গ্রন্থে ২৬২টি।
৪- হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ তার “বুলুগুল মারাম মিন আদিল্লাতিল আহকাম” গ্রন্থে ১১৭টি।
৫- ইমাম নববী রহঃ তার খুলাসাতুল আহকাম মিন মুহিম্মাতিস সুনান ওয়া কাওয়ায়িদিল ইসলাম” গ্রন্থে ৬৫৪টি।
৬- মুহাম্মদ ইবনে খুজাইমা রহঃ তার “কিতাবুস সিহাহ” গ্রন্থে যা সহীহ ইবনে খুজাইমা নামে প্রসিদ্ধ এনেছেন-৩৫২টি।
৭- মুহাম্মদ ইবনে হিব্বান রহঃ তার “কিতাবুস সিহাহ” যা সহীহ ইবনে হিব্বান নামে প্রসিদ্ধ, তাতে এনেছেন-২৯৪টি।
৮- ইমাম দারা কুতনী রহঃ তার “সুনানে দারা কুতনী” তে অনেক দুর্বল হাদীস এনেছেন বলে মুহাদ্দিসীনে কেরাম বলেন।
৯- গায়রে মুকাল্লিদদের ইমাম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খানও তার “কিতাবু নুজুলিল আবরার” নামক গ্রন্থে ১৩৩টি দুর্বল হাদীস এনেছেন।
………………………………………………………………………….
প্রশ্ন : ১৪
আপনারা বলেন নবীগণ কবরে জীবিত। এর কোন দলীল কি আপনাদের কাছে আছে ???
উত্তর :
নবীগণ কবরে জীবিত হওয়ার দলীল …
১-
وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ (سورة البقرة-154)
আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না। {সূরা বাকারা-১৫৪}
উক্ত আয়াতের স্পষ্ট ভাষ্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শহীদগণ কবরে জীবিত।
আর ইংগিতের সাথে একথাও বুঝাচ্ছে যে, নবীগণও কবরে জীবিত। কেননা নবীগণের মর্যাদা শহীদদের তুলনায় অনেক উর্দ্ধে। সুতরাং শহীদগণ যদি কবরে জীবিত থাকেন, তাহলে নবীগণ কেন হবেন মৃত? তারা অবশ্যই জীবিত।
২-
عَن أَنَس ؛ أَن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : الأنبياء أحياء في قبورهم يصلون (مسند البزار-مسند أبي حمزة أنس بن مالك رضي الله عنه، رقم الحديث-6888)
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নবীরা কবরে জীবিত। আর তারা সেখানে নামায পড়েন। {মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৬৮৮৮, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫, সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ, হাদীস নং-২২}
তবে সেটা বারযাখী জীবন, যা মানুষের জ্ঞানের বাইরে। ঐ ছালাত দুনিয়াবী ছালাতের সাথে তুলনীয় নয়।
৩-
عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليه و سلم، رقم الحديث-1637)
হযরত আবু দারদা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম-মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে তিনি বললেন-হ্যাঁ!, কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।
{ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৩৭, ১৬৩৬, সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯}
এ হাদীস সুষ্পষ্ট প্রমাণ করে যে, নবীগণ কবরে জীবিত।
হযরত আম্বিয়া কেরাম আলাইহিমুস সালাম এর কবরের জীবন হুবহু জিবীত থাকা সত্য ও হক্ব। ইমাম বাইহাকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এ বিষয় বস্তুর উপর একটি সহীহ হাদিস বর্ণনা করেছেন। হাফেজ ইবনে হাজার (রহ) ফতহুল বারী ৬:৩৫২ এবং হাফেজ সাখাবী আলাকওলুল বদী’-১১৬-এ উক্ত হাদিস্কে বিশুদ্ধ সনদ বিশিষ্ট বলেছেন । এছাড়া আল্লামা সাখাবী(রহ) লিখেন যে-
আমরা ঈমান রাখি সত্ত্যায়ন করি যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে জিবীত এবং তাঁকে রিযিক দেয়া হয় এবং তাঁর শরীর মোবারক কে মাটি খায়না অর্থাৎ নষ্ট করে না। আর এর উপর উম্মতের ইজমা এবং ইত্তেফাক। (আলকওলুল বদী’- ১২৫)
মুল্লা আলী ক্বারী (রহ) তাঁর কিতাব الدرة ِالمضٔية في ِالزيارة المصطفوية তে লিখেন-” নবিজীর কবর জিয়ারাতের ফায়েদা সমূহের মাঝে সবচেয়ে বড় ফায়েদা এই যে, যখন যিয়ারাতকারী হুজুরের কবরের নিকট দুরুদ ও সালাম পাঠ করে তখন তিনি তা যথাযথভাবে তা শুনেন ও তার জবাব দেন কোন প্রকার মাধ্যম(ফেরতেশতা ) ছাড়া, তার বিপরীতে যখন কোন ব্যাক্তি দূর হতে দুরূদ ও সালাম পাঁঠ করে ,তখন ফেরেশতার মাধ্যমে তা হুজুরের নিকট পৌঁছানো হয়। ( এ আকিদার কারণ ) এজন্য যে, মজবুত সনদে এসেছে (হুজুর বলেন) যে আমার কবরের নিকট দুরূদ পড়ে আমি তা সরাসরি শুনি, আর যে দূর হতে দুরূদ পড়ে ,তা আমার নিকট পৌঁছে দেয়া হয়।”
উপরের মুল্লা আলী ক্বারী (রহ) যে হাদিস বর্ণনা করেছেন যেখানে من صلّي عند قبرئ আছে তা আবুশ শায়খ -এর সনদে সহীহ। এই হাদিসে মুহাম্মাদ বিন মারওয়ান সুদ্দী নেই। এই প্রসঙ্গেই হাফেজ ইবনে হাজার আস্কালানী (রহ) বলেন যে,بسند جيِّد পোক্তা সনদে বর্ণিত (ফতহুল বারী ৬: ৩৫২) এবং উক্ত সনদকে আল্লামা সাখাবী (রহ) وسنده جيِّد -এর সনদ মজবুত লিখেছেন। (আল কওলুল বদী-১১৬) এবং আহলে হাদিস আলেম নওয়াব সিদ্দীক খান লিখেন اسناد جيِّد -বর্ণনা সূত্র উত্তম (আদদলীলুত ত্বালেব-৮৪৪)
এবং অধিক সম্ভাব্য যে, এর উপরই শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) এই মাসয়ালার বুনিয়াদ রেখে লিখেন যে,
فاخبرانّه ىسمع اصلوة واسّلام من القرىب وانّه ىبلغ ذالك من بعد (منا سك لججع ص ٨٤)
অর্থাৎ,হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি নিকটবর্তী থেকে নিজেই দুরূদ ও সালাম শুনতে পান। আর দূর থেকে হুজুরের নিকট দুরূদ ও সালাম পৌঁছানো হয়।
ইবনুল কায়্যিম(রহ) লিখেন যে- “যদিও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রূহ মোবারক হযরত আম্বীয়ায়ে কেরাম আলাইহিমুস সালাম-এর রূহের সাথে রফীকে আলায় এ রয়েছেন,কিন্তু এতদ্বসত্বেও তাঁর রূহ মোবারক তাঁর শরীর মোবারকের সাথে সম্পর্ক রয়েছে,যে কারণে তিনি সালাম দাতার উত্তর দিয়ে থাকেন
( যাদুল মা’আদ খঃ ২, পৃঃ ৪৯)
রুহুল আয়ানীর লেখক তার কিতাবের ২২ঃ৩৬ এবং আল্লামা সবকী (রহ) শিফাউস সিকাম-১৪৩ এ বর্ণনা করেন যে, এই কবরের জীবন সমস্ত আহকামের ক্ষেত্রে দুনিয়াবী জীবনের মত নয় এবং সব দুনায়াবী আহকাম তার উপর বিন্যস্ত হয় না যে, এরকম বলা- যেমন দুনায়াবী খাওয়া ও পান করার প্রয়োজন ছিল,কবরেও এরকম হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। বরং তিনি বলেন যে, ঐ জীবন ইলম তথা জানা ও শ্রবন করা ইত্যাদি অর্জনের ক্ষেত্রে দুনিয়াবী জীবনের মত এবং এ সম্পর্কেই আল্লাম সুবকী (রহ) ও অন্যান্যগণ বলেন-
فلا شكّ انّ ذلك ثابت(شفاء السقام ص:١٤٣)
যারা কবরের হযরত আম্বিয়া কেরাম আলাইহিমুস সালাম-এর জিবীত থাকার মত পোষণ করেন,তাদের উদ্দেশ্যও দুনিয়াবী জীবন থেকে শুধু এতটুকু জীবন যে, কবরের পাশে সালাত ও সালামম শুনতে পান এবং শরীর মোবারকের সাথে রূহ মোবারকের গভীর(শক্ত) সম্পর্ক বিদ্যমান,তাদের উদ্দেশ্য দুনিয়ার এই ধ্বংশশীল ও নিকৃষ্ট জীবন এবং পাবন্দী ও কষ্টের কখনই নয়। কোরানুল কারিমের কিছু কিছু আয়াত দ্বারা একথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ দুনিয়া থেকে ওফাত হয়েছে,কিন্তু এরপর উন্নত ও উত্তম জীবন কবরে আল্লাহ তা’আলা তাঁকে দিয়েছেন (যেমনটি নাকি তিনি স্তরভেদে শহীদ,সাধারণ মুমীন এবং কাফের ও গুনাহগারদেরকে স্থান দিয়ে থাকেন) তা সত্য ও প্রমাণিত। কোন সহীহ আকলী অথবা নকলী (যৌক্তিক কিংবা বর্ণিত) দলীল দ্বারা তার অস্বীকৃতি সাব্যস্ত নেই। এটাই আকাবেরে দেওবন্দ এর আক্বীদা। ( আল্মুহান্নিদ আলাল মুসান্নিফ-১৩)
JAJAKALLAH
প্রশ্ন : ১১ Click This Link eidit koren
@kawsartex,
বারাকাল্লাহ
আপনি এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য কুরআনের আয়াত এবং রাসূল (সাঃ) এর হাদীস উল্লেখ করেছেন । যেটা প্রেশ্নের সাথে কোন সম্পর্ক রাখে না । তাবলীগ করতে হবে , তাবলীগ করা ফরয এ সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই । কিন্তু মতভেদ আছে পদ্ধতি নিয়ে যেটার উত্তর আপনি এড়িয়ে গেছেন , কৌশলে । আমি বেশি পয়েন্ট জানতে চাইব না । শুধু একটি পয়েন্ট – তাবলীগের লোকেরা যখন গাস্তে বের হয় তখন তাদের লোকগুলিকে চর ভাগে ভাগ করে । রাহবার , মুতাকাল্লিম , মামুর , জিম্মাদার । আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যখন দাওয়াতে বের হতেন তখন কি এই চার ভাগে ভাগ করতেন ? সাহাবীরা ? তাবেঈরা ?
পারলে এর পক্ষে একটি দলীল হাজির করুন ।
@ABU TASNEEM,
আল বালাগ নামে দারুল বালাগের একটি বই আছে, বিস্তারিত পাবেন
স্বপ্ন থেকে … কিন্তু দলীল ???
এই প্রশ্নের উত্তরেও যে দলীল দিয়েছেন সেটা এর পরিপূর্ণ উত্তর নয় । স্বপ্ন ভাল কি মন্দ তা নির্ধারণ করার জন্য শারীআতের কষ্টিপাথরে যাচাই করা জরুরী । গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীও স্বপ্নের মাধ্রমে নবুওয়াতের দাবী করেছিল । মুজাদ্দিদে আলফে সানী তার মাকতুবাতে বলেন : স্বপ্ন , কাশফ , ইলহামকে কিতাব ও সুন্নাহর মানদন্ডের যাচাইয়ের পূর্ব পর্যন্ত অর্ধ যব তুল্য হওয়াও পছন্দ করি না । সুতরাং ইলিয়াস সাহেব স্বপ্নের মাধ্যমে যে পদ্ধতি আবিস্কার করলেন তা শরীআতের সঙ্গে নাবী (সাঃ) এর দাওয়াতের / তাবলীগের পদ্ধতির সাথে সম্পুরক হওয়ার আগে এর উপরে আমল করা যাবে না । আর বাস্তব কথা হলো ইলিয়াসি তাবলীগের পদ্ধতি নাবী (সাঃ) এর তাবলীগের পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্য রাখে না ।
@ABU TASNEEM,
স্বপ্ন ভাল কি মন্দ তা নির্ধারণ করার জন্য শারীআতের কষ্টিপাথরে যাচাই করা জরুরী ।
গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীও স্বপ্নের মাধ্রমে নবুওয়াতের দাবী করেছিল কিন্তু শারীআতের কষ্টিপাথরে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
আলেমগ কষ্টিপাথরে তাবলীগকে যাচাই করে দেখেছেন।
সালাফিদের এই তবলীগ জামাতের কার্যক্রম নিয়ে এত গাত্রদাহের অন্যতম কারন আরব বিশ্বের ধর্মপ্রান মুসলিমদের জাগরণ, যা সম্রাজ্যবাদিদের দোসর রাজবংশগুলোর জন্য চরম হুমকী। এই মিসরের কথাই বলি, যেখানে কদিন আগেও দাড়ি-হিজাব-নেকাব ছিল রাস্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু এমনো পরিবারকে চিনি যারা তাদের মেয়েদের পর্দা করার জন্য কলেজে পাঠায় নি, যারা সুন্নতি লেবাস সুরতের জন্য ডিফেন্সের চাকরী করেনি। কই তখন তো কোন ইসলামের কর্ণধাররা মিশরের এসব সরকারি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নাক গলায় নি, যেদিন মুবারক বিরোধী আন্দোলন শুরু হল সেদিন সৌদির সালাফি গোষ্ঠীর নুতন ফতোয়া শোনা গেল। শোনা গেল দেশে ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টিকারী এমন কোন নাশকতামুলক আন্দোলন হারাম!!! ধিক এসব রিয়াল আর দিনার দেরহামে কেনা আলেম গোষ্ঠীর।