লগইন রেজিস্ট্রেশন

লেখক আর্কাইভ

 

সাধারণ ভুল যেগুলো রমজানের সময় আমরা করে থাকি, পর্ব ০২

লিখেছেন: ' shahedups' @ রবিবার, অগাষ্ট ১৪, ২০১১ (২:২২ অপরাহ্ণ)

৮. ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরী বাদ দেওয়াঃ

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “সেহরী খাও, কারণ এটার মধ্যে বরকত রয়েছে।”(বুখারী, মুসলিম)
এবং তিনি (সাঃ) বলেছেনঃ “আমাদের সাওম আর আহলে কিতাবদের সাওম পালনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে সেহরী গ্রহণ।”(মুসলিম)

৯. ইমসাক এর সময় সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেওয়াঃ
কিছু লোক রয়েছে যারা ফজরের ওয়াক্তের ১০-১৫ মিনিট পূর্বে ইমসাক পালনের জন্য সেহরী খাওয়া বন্ধ করে দেয়। শেখ ইবনে উছাইমিন বলেছেনঃ “এটা বিদ’আত ছাড়া আর কিছু নয় যার কোন ভিত্তি সুন্নাহে নেই। বরং সুন্নাহ হল তার উল্টোটা করা। আল্লাহ .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

সাধারণ ভুল যেগুলো রমজানের সময় আমরা করে থাকি, পর্ব ০১

লিখেছেন: ' shahedups' @ বৃহস্পতিবার, অগাষ্ট ১১, ২০১১ (৬:২৩ অপরাহ্ণ)

১. রামাদানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করাঃ
আমাদের অনেকের কাছে রামাদান তাঁর আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে ইবাদাতের বদলে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘zombie’র মত উপোস থাকি শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের সবাই রোজা রাখে বলে। আমরা ভুলে যাই যে এই সময়টা আমাদের অন্তর ও আত্মাকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য…. আমরা দু’আ করতে ভুলে যাই, ভুলে যাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করতে। নিশ্চিতভাবে আমরা পানাহার থেকে বিরত .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

সিয়ামের সুন্নত আদব সমূহ…..শেষ পর্ব।

লিখেছেন: ' shahedups' @ মঙ্গলবার, অগাষ্ট ৯, ২০১১ (৪:১৯ অপরাহ্ণ)

[১১] অপচয় ও অযথা খরচ থেকে বিরত থাকা।
খাওয়া দাওয়া, পোষাক-পরিচ্ছদ ও আরাম আয়েশে অনেকেই অপচয় ও অপব্যয় করে থাকে। এটা এক গর্হিত কাজ। এ থেকে বিরত থাকা।

[১২] রুটিন করে সময়টাকে কাজে লাগানো।
অহেতুক কথাবার্তা, আড্ডা বাজি, গল্প-গুজব, বেহুদা তর্কবিতর্ক পরিহার করা। রুটিন করে পরিকল্পনা ভিত্তিক কাজ করা। এতে জীবন অধিকতর ফলপ্রসূ হবে।

[১৩] দুনিয়াবী ব্যস্ততা কমিয়ে দেয়া।
রমাযানের এ বরকতময় মাসে অর্থ উপার্জন ও ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়ে আখিরাতের মুনাফা অর্জনের জন্য অধিকতর বেশী সময় দেয়া আবশ্যক। দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

সিয়ামের সুন্নত আদব সমূহ……পর্ব ০২।

লিখেছেন: ' shahedups' @ সোমবার, অগাষ্ট ৮, ২০১১ (৩:৪৩ অপরাহ্ণ)

[৬] ইফতারের সময় দু‘আ করা
এ মুহূর্তটি জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়ার সময়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
(ক) ইফতারের সময় আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। আর এ মুক্তি দানের পালা রমাযানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে। সে সময় সিয়াম পালনকারী প্রত্যেক বান্দার দু‘আ কবূল হয়।” (আহমাদ)
(খ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন :
হে আল্লাহ! তোমার জন্য রোযা রেখেছি, আর তোমারই রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।
উল্লেখ্য যে, আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী উপরোক্ত হাদীসটিকে .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

সিয়ামের সুন্নত আদব সমূহ….পর্ব ০১

লিখেছেন: ' shahedups' @ রবিবার, অগাষ্ট ৭, ২০১১ (১:৪৫ অপরাহ্ণ)

সিয়াম পালনের কিছু মুস্তাহাব বা সুন্নাত আদব আছে যেগুলো পালন করলে সাওয়াব বেড়ে যাবে। আর তা ছেড়ে দিলে রোযা ভঙ্গ হবে না বা গোনাহও হবে না। তবে পুণ্যে ঘাটতি হবে। কিন্তু তা আদায় করলে সওয়াবের পরিপূর্ণতা আসে। নিম্নে এসব আদব উল্লেখ করা হল :
[১] সাহরী খাওয়া।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
(ক) তোমরা সাহরী খাও, কারণ সাহরীতে বরকত রয়েছে। (বুখারী-১৯২৩ ও মুসলিম-১০৯৫
(খ) আমাদের (মুসলিমদের) ও ইয়াহূদী-নাসারাদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য হল সাহরী খাওয়া। (মুসলিম-১০৯৬)
অর্থাৎ আমরা সিয়াম পালন করি .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

রমজানের নির্বাচিত ফতোয়া……….পর্ব ০১

লিখেছেন: ' shahedups' @ বৃহস্পতিবার, অগাষ্ট ৪, ২০১১ (৩:৩৩ অপরাহ্ণ)

প্রশ্ন: যে ব্যক্তি রমজান মাসে শরয়ী কোন ওযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃত রোজা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার কাফ্‌ফারা কী?

উত্তর: যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সহবাসের মাধ্যমে রোজা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর তওবাহ সহ কাযা ও কাফ্‌ফারা আবশ্যক।

আর কাফ্‌ফারা হচ্ছে:

১. কোন মুমিন গোলাম আজাদ করা।

২. যদি তা করতে না পারে তাহলে দুই মাস লাগাতার রোজা রাখা।

৩. আর যদি তা করতে না পারে তাহলে ষাটজন গরিব-মিসকিনকে খাদ্য দেয়া।

স্ত্রীর উপরও অনুরূপ আবশ্যক যদি তাকে বাধ্য করে জোরপূর্বক সহবাস করা না হয়।

.....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

নিজ দেশের লোকদের সাথে রোজা রাখবেন না চাঁদ দেখা যে কোনো দেশের সাথে?

লিখেছেন: ' shahedups' @ সোমবার, অগাষ্ট ১, ২০১১ (৩:০৪ অপরাহ্ণ)

প্রশ্ন: যদি ইসলমি রাষ্ট্রে চাঁদ দেখা যায়, আর আমি যে দেশে বসবাস করি, সেখানে শাবান ও রমজান মাস ত্রিশ দিনে পুরো করা হয়, তাহলে আমি কি করব? রমজান প্রসঙ্গে মানুষের মতপার্থক্যের কারন কি?
জবাব:
আল-হামদুলিল্লাহ
আপনার জন্য রোজা আপনার দেশের লোকদের সাথে থাকাই আবশ্যক। তারা যদি রোজা রাখে তাদের সাথে রোজা রাখবেন; আর তারা যদি ইফতার করে আপনি ও তাদের সাথে ইফতার করবেন। করাণ, রাসূল (সা:) বলেছেন: “তোমরা যেদিন রোজা রাখবে সেদিনই রোজা, যেদিন ইফতার করবে সেদিনই ইফতার, আর তোমরা .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

কবর, মাযার ও মৃত্যু সম্পর্কীত কতিপয় বিদ’আত। শেষ পর্ব।

লিখেছেন: ' shahedups' @ রবিবার, জুলাই ৩১, ২০১১ (৩:৩৮ অপরাহ্ণ)

৫) রূহের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে ফাতিহা পাঠের বিদ’আতঃ
নবী (সাল্লাল্ল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম) এবং খেলাফয়ে রাশেদীনের রূহের প্রতি ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে ফরয নামাযের পর এই বিশ্বাস সহকারে সূরা ফাতিহা পড়া বিদ’আত যে, এ সকল পবিত্র রূহসমূহের উদ্দেশ্যে সূরা ফাতিহা পড়লে তাঁরা মৃত্যুর পর গোসল দেয়ার সময় এবং কবরে সওয়াল-জওয়াবের সময় উপস্থিত থাকবেন। আফ্‌সোস! এটা কত বড় মূর্খতা এবং গোমরাহী! এসব কথার না আছে ভিত্তি; না আছে দলীল। এদের বিবেক দেখে বড় করুণা হয়।
অনুরূপভাবে, কোথাও কোথাও নামাযের শেষে দু’আ শেষ করে .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

কবর, মাযার ও মৃত্যু সম্পর্কীত কতিপয় বিদ’আত। পর্ব ০১

লিখেছেন: ' shahedups' @ শনিবার, জুলাই ৩০, ২০১১ (৩:৫৬ অপরাহ্ণ)

কবর, মাযার ও মৃত্যু সম্পর্কীত কতিপয়

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আকাশে ঘন কালো মেঘের আড়ালে অনেক সময় সূর্য্যের কিরণ ঢাকা পড়ে যায়। মনে হয় হয়ত আর সূর্য্যের মুখ দেখা যাবে না। কিন্তু সময়ের ব্যাবধানে নিকশ কালো মেঘের বুক চিরে আলো ঝলমল সূর্য্য বের হয়ে আসে। ঠিক তেমনি বর্তমানে আমাদের সমাজের দিকে তাকালে দেখা যাবে বিদ’আতের কালিমা ইসলামের স্বচ্ছ আসমানকে ঘিরে ফেলেছে। যার কারণে কোন কাজটা সুন্নাত আর কোন কাজটা বিদ’আত তা পার্থক্য করাটাই অনেক মানুষের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। যা .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>

একজন মুসলমানের কোন মাযহাব মানা উচিৎ ? শেষ পর্ব।

লিখেছেন: ' shahedups' @ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৮, ২০১১ (৪:১৪ অপরাহ্ণ)

৪. আল কোরআন নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দিতে বলে:
ক. কেউ যদি কোন মুসলমানকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কে? তখন উত্তরে তার বলা উচিৎ যে, ‘আমি একজন মুসলিম-হানাফী-ও নই শাফেয়ি ও নই।
আল্লাহ বলেন-“আর তার চেয়ে কার কথা অধিক উত্তম, যে মানুষকে আল্লাহর প্রতি আহবান করে এবং নিজে সৎকাজ করে। আর বলে আমিতো একজন মুসলিম ও আত্মসমর্পনকারী।” [আল-কোরআন ৪১:৩৩]
খ. নবী (সা: ) অমুসলিম রাজা-বাদশাহদের নিকট ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে চিঠি লিখিয়ে ছিলেন। সেসব চিঠিতে তিনি সূরা আলে-ইমরানের নিচের কথাগুলো উল্লেখ .....

টি মন্তব্য  |  বিস্তারিত >>