আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন?
লিখেছেন: ' badru' @ সোমবার, এপ্রিল ২৩, ২০১২ (২:৪৯ অপরাহ্ণ)
আল্লাহ তাআলা আমাদের রর ও ইলাহ। একমাত্র তিনিই ইবাদত আরাধনার উপযোগী। সে হিসেবে তিনি কোথায় সে বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন আমাদের জন্য ওয়াজিব, যাতে আমরা তাঁর প্রতি একাগ্রচিত্তে ধাবিত হতে পারি, যথার্থরূপে ইবাদত-বন্দেগি পালনে সক্ষম হই।
আল্লাহ কোথায় আছেন? এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর হল তিনি আরশের উপরে আছেন। আরশের উপরে থাকা আল্লাহ তাআলার একটি অন্যন্য সিফাত, আল কোরআন ও সহিহ হাদীসে এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে, যেমন রয়েছে আল্লাহ তাআলার শ্রবন করা, দেখা, কথা বলা, অবতীর্ণ হওয়া এবং এ জাতীয় অন্যান্য সিফাতসমূহ। সালাফে সালেহীনদের আকিদা আর মুক্তিপ্রাপ্ত দল বা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত এ আকিদাই পোষণ করেন কোনোরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সৃষ্টির সাথে তুলনা ব্যতীত। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন:
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ ﴿الشوري11﴾
তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।(সূরা শুরা,৪২: ১১ আয়াত)
এ কারণে যখন ইমাম মালেক রহ. কে (আর-রহমান, যিনি আরশের উপরে উঠেছেন) এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেছিলেন: استواء তথা আরশের উপরে ওঠার বিষয়টি জানা, কিন্তু তার ধরণ অজানা, আর এ বিষয়ের উপর ঈমান আনা ওয়াজিব। হে মুসলিম ভাই, ইমাম মালেক রহ. এর বক্তব্যের প্রতি খেয়াল করুন। কারণ, তিনি আল্লাহ যে উপরে আছেন, তার উপর ঈমান আনাকে প্রতিটি মুসলিমের জন্য ওয়াজিব বলেছেন। কিন্তু কিভাবে আছেন, তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
এ জন্যই আল্লাহ তাআলার যেসমস্ত সিফাত কোরআন ও সহিহ হাদীসে আছে, তার কোনটাকে অস্বীকার করলে, (যেমন আল্লাহ যে আরশের উপরে আছেন) সে ঐ আয়াত বা হাদীসকে অস্বীকারকারী হল। কারণ, এ সিফাত হচ্ছে পূর্ণতার, সম্মানের ও সর্বশীর্ষতার। তা কোন ক্রমেই আল্লাহর ব্যাপারে অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু পরবর্তী জামানার কিছু ওলামা যারা দর্শনের (philosophy) দ্বারা প্রভাবিত, তারা কিছু কিছু আয়াত ও সিফাতকে তাবিল বা দূরব্যাখ্যা দিয়ে ভিন্ন অর্থে নিয়ে যান। এধরনের তাবিলের কারণে বহু লোকের আকিদা নষ্ট হয়ে যায়। তারা আল্লাহ তাআলার এই পূর্ণ সিফাতকে পর্যন্ত অস্বীকার করে বসে। তারা সালাফগণের পথের বিরোধিতা করে। কিন্তু মূলে সালাফগণের রাস্তাই হচ্ছে বিশ্বাসযোগ্য, জ্ঞাননির্ভর ও হিকমতপূর্ণ। ঐ ব্যক্তির কথা কতোই না উত্তম যিনি বলেন: প্রতিটি ভালোই রয়েছে সালাফগণের রাস্তা অনুসরনের মধ্যে, আর প্রতিটি খারাবীই রয়েছে পরবর্তীগণের বিদআতকে মূল কথা বলে মেনে নিয়ে তা অনুসরনের মধ্যে।
কোরআন ও সহিহ হাদীসে আল্লাহ তাআলার যেসমস্ত সিফাতের কথা বলা হয়েছে তার উপর ঈমান আনা ওয়াজিব। তাঁর সিফাতসমূহের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করা, অথবা তার কিছু সিফাতকে যেভাবে আছে সেভাবেই স্বীকার করা আর কিছুকে পরিবর্তন করে বিশ্বাস করা কিছুতেই জায়েয হবে না। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা শ্রবনকারী ও দর্শনকারী, তার মানে এই নয় যে, তার শ্রবন ও দর্শন যন্ত্র আমাদেরই মত।
তার জন্য এটাও বিশ্বাস করা দরকার যে, আল্লাহ আসমানের উপর আছেন, তার সম্মান অনুযায়ী, কোন সৃষ্টির সাদৃশ্য হয়ে নয়। কারণ এ সিফাতসমূহ আল্লাহ তাআলার পূর্ণতা প্রকাশ করে। তা আল্লাহ তাআলা স্বয়ং তাঁর কিতাবে স্পষ্ট করে ব্যক্ত করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাদীসেও তা বিদৃত করেছেন। আর সত্যিকারের ফিতরতও তা স্বীকার করে, আর সত্যিকারের বুদ্ধি বিবেচনাও তা মেন নেয়।
ইমাম বুখারীর রহ. এর উস্তাদ নাইম ইবনে হাম্মাদ রহ. বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহকে তাঁর সৃষ্টির সাথে তুলনা করল সে যেন কুফরী করল। আর আল্লাহ তাআলা নিজের সম্বন্ধে যা বলেছেন তা যে ব্যক্তি অস্বীকার করল সে যেন কুফরী করল। আর আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের সম্বন্ধে কিংবা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্বন্ধে যা বলেছেন তাতে কোন তুলনা নেই। (শরহে আকিদাহ্ তাহাবিয়া)।
আল্লাহ আরশের উপর আছেন
কোরআন, সহীহ হাদীস, সৎ বুদ্ধি, সহীহ অনুভূতি সমস্ত কিছুই উপরোক্ত কথাকে সমর্থন করে।
১। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা বলেন:
الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى ﴿طه5﴾
পরম করুণাময় আরশের উপর আছেন।(সূরা তাহা, ২০: ৫ আয়াত।)
২। অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَأَمِنْتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمُ الْأَرْض(الملك 16)
তোমরা তার থেকে নির্ভয় হয়ে গেলে যিনি আসমানে আছেন, আর তিনি তোমাদের সহকারে জমিনকে ধ্বসিয়ে দিবেন না?।(সূরা মূলক ৬৭: ১৬ আয়াত)।
ইবনে আব্বাস রা. এই আয়াতের তাফসীরে বলেন: তিনি হলেন আল্লাহ। (তাফসীরে ইবনুল জাওযি)।
৩। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:
يَخَافُونَ رَبَّهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ(النحل50)
তারা তাদের উপরস্থ রবকে ভয় করে। (সূরা নাহল,১৬: ৫০ আয়াত)।
৪। আল্লাহ তাআলা ইসা আ. সম্বন্ধে বলেন:
بَلْ رَفَعَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ(النساء 158)
বরং আল্লাহ তাকে তাঁর নিকটে উত্তলন করে নিয়েছেন। (সূরা নিসা, ৪: ১৫৮ আয়াত)।
৫। তিনি আরও বলেন:
وَهُوَ اللَّهُ فِي السَّمَاوَاتِ(الأنعام3)
আর তিনিই আল্লাহ যিনি আসমানে আছেন। (সূরা আনআম ৬: ৩ আয়াত)।
এ সমস্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে কাসীর রহ: বলেন: তাফসীরকারকগণ এ ব্যপারে একমত পোষণ করেন যে, তারা আল্লাহ সম্বন্ধে ঐভাবে বর্ণনা করবেন না যেভাবে জাহমীয়ারা (একটি ভ্রষ্ট দল) বলে যে, আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আল্লাহ তাআলা তাদের এ জাতীয় কথা হতে পাক পবিত্র ও অনেক ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ তাআলার বাণী:
وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ(الحديد 4)
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। (সূরা হাদীদ, ৫৭: ৪ আয়াত)।
অত্র আয়াতের ব্যখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা, যা বর্ণিত আছে তফসীরে জালালাইন ও ইবনে কাসীরে। এই আয়াতের পূর্বের ও শেষের অংশ এ কথারই ব্যখ্যা প্রদান করে।
৬। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সপ্তম আসমানের উপর উঠানো হয়েছিল, তাঁর রবের সাথে কথোপকথনের জন্য। আর সেখানেই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছিল। (বুখারী ও মুসলিম)।
৭। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
ألاَ تأمَنُونيِْْ وَأنا أمِينُ مَنْ فيِ السَّمَاء (وهو اللهُ) (ومعني في السَّماء: علي السَّمَاء) (متفق عليه)
তোমরা কি আমাকে আমিন (বিশ্বাসী) বলে স্বীকার কর না? আমি তো ঐ সত্ত্বার নিকট আমিন বলে পরিগণিত যিনি আসমানের উপর আছেন। (আর তিনি হলেন আল্লাহ)। (বুখারী ও মুসলিম)।
৮। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন:
ارْحَمُوا مَنْ فيِ الارضِ يَرْحَمكٌمْ مَنْ في السَّمَاء (أي هو الله) (الترمذي وقال حسن صحيح)
যারা জমিনে আছে তাদের প্রতি দয়া কর, তবেই যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। (তিরমিযী হাসান সহীহ)।
৯। অন্য হাদীসে এসেছে:
سأَلَ رَسُولُ الله صلي الله عليه وسلَّمَ جَارِيَةً فَقَالَ لَهَا: أيْنَ اللهَ؟ فَقَالَتْ في السَّماءِ قَالَ مَنْ أنا؟ قَالَتْ أنْتَ رَسٌولُ اللهِ قَالَ: أعْتِقْهَا فإنَّها مُؤْمِنَةً . (مسلم)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রীতদাসীকে জিজ্ঞেস করলেন: বলতো আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আসমানে। তারপর তিনি বললেন: বলতো আমি কে? সে বলল: আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একে মুক্ত করে দাও, কারণ সে মুমিনা। (মুসলিম)।
১০। অন্যত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
وَالْعَرْشُ فَوْقَ الْمَاء وَاللهُ فَوْقَ عَرْشِهِ وَهُوَ يَعْلَمُ مَا انتُمْ عَلَيْهِ. (حسن رواه أبو داود)
আরশ পানির উপর আর আল্লাহ আরশের উপর। তৎসত্তেও, তোমরা কি কর বা না কর তিনি তা জ্ঞাত আছেন। (আবু দাউদ হাসান)।
১১।আবু বকর রা. বলেছেন:
ومَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ فإنَّ اللهَ فيِ السماء حَيٌّ لا يمُوتُ (رواه الدارمي في الرد غلي الجهمية باسناد صحيح)
যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করে (সে জেনে রাখুক) নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আসমানের উপর জীবিত আছেন, কখনোই মৃত্যুমুখে পতিত হবেন না। (সুনানে দারেমী সহীহ সনদ) জাহমীয়াদের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
১২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ.-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমরা কিভাবে আমাদের রব সম্বন্ধে জানতে পারব? উত্তরে তিনি বলেছেন: তিনি আসমানে আরশের উপর আছেন, সৃষ্টি হতে আলাদা হয়ে। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের জাত আরশের উপর আছেন, সৃষ্টি থেকে আলাদা হয়ে। তার এই উপরে থাকা সৃষ্টির সাথে কোন সামঞ্জস্য নেই।
১৩। চার ইমামগণই এ ব্যাপারে একমত যে, তিনি আরশের উপর আছেন, তিনি তাঁর কোন সৃষ্টির সাথে তুলনীয় নন।
১৪। মুসল্লী সিজদায় বলেন: (আমরা মহান উঁচু রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। দোয়া করার সময় সে তার হস্তদয়কে আসমানের দিকে উত্তলন করে।
১৫। যখন বাচ্চাদের প্রশ্ন করা হয়, বলত আল্লাহ কেথায়? তখন তারা তাদের স্বভাবজাত প্রবৃত্তির বশে বলে: তিনি আসমানে।
১৬। সুস্থ বুদ্ধি, বিবেক, আল্লাহ যে আসমানে আছেন তা সমর্থন করে। যদি তিনি সর্বত্রই বিরাজমান হতেন তবে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জানতেন এবং সাহাবীদের শিক্ষা দিতেন। দুনিয়ার বুকে এমন অনেক নাপাক অপবিত্র জায়গা আছে যেখানে তাঁর থাকার প্রশ্নই উঠে না।
১৭। যদি বলা হয়, আল্লাহ তাআলা তার জাত সহকারে আমাদের সাথে সর্বস্থানে আছেন, তবে তার জাতকে বিভক্ত করতে হয়। কারণ, সর্বত্র বলতে বহু জায়গা বুঝায়। এটাই ঠিক যে আল্লাহ তাআলার পবিত্র জাত এক ও অভিন্ন। তাকে কোন অবস্থাতেই বিভক্ত করা যায় না। তাই ঐ কথার কোন মূল্য নেই, যে তিনি সর্বত্র বিরাজমান। আর এটা প্রমাণিত যে, তিনি আসমানে আরশের উপর আছেন। তবে তিনি তাঁর শ্রবেনর, দেখার ও জ্ঞানের দ্বারা সকল বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবহিত ।
এই পোষ্টগুলো আপনার উপকারে আসতে পারে…
http://jamiatulasad.com/?p=939
http://jamiatulasad.com/?p=946
@আবদুস সবুর, এ ক্ষেত্রে সালফে সালেহীনের আকীদা বা কিছু উক্তি:
৮) ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন : যে ব্যক্তি আল্লাহ্আরশে আছেন একথা বিশ্বাস করে, কিন্তু সন্দেহ করে যে আর্মস আসমানে আছে না জমিনে তবে সে কাফের বলে গণ্য হবে। (দ্র: আল্ ফিকহুল আবসাত)
৯) ইমাম আওযায়ী বলেন: আমরা তাবেয়ীগণের উপস্থিতে বলতাম, নিশ্চয় মহান আল্লাহ্ তাঁর আরশের উপর রয়েছেন। তাঁর গুণাগুণ সম্পর্কে যে বর্ণনা এসেছে আমরা সবই তা বিশ্বাস করি। (ইমাম যাহাবী প্রণীত মুখতাছার উলু দ্রষ্টব্য)
১০) ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন : ( الله في السماء وعلمه في كل مكان لا يخلو منه شيء ) ‘আল্লাহ্ রয়েছেন আসমানে এবং তাঁর ইলম সর্বাস্থানে পরিব্যপ্ত, তার জ্ঞান থেকেকোন স্থান খালি নেই।
১১) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন: আমি যে তরিকার উপর প্রতিষ্ঠিত ও যাদেরকে ঐ তরিকার উপর পেয়েছি যেমন সুফিয়ান সাওরী, মালিক প্রমখগণ তা হল- এ কথার স্বীকৃতদেয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন হক মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র রাসূল আর আল্লাহ্ তিনি আসমানে আরশের উপর রয়েছেন। তিনি তার বান্দার নিকটবর্তী হন যে ভাবে ইচ্ছা করেন এবং যে ভাবে চান ঠিক সেভাবেই দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন …।
১২) ইমাম আহমাদ (রাহ) কে জিজ্ঞেস করা হল: আল্লাহ্ সপ্তাকাশে আরশের উপর রয়েছেন। সৃষ্টিকুল থেকে পৃথক আছেন এবং তার কুদরত ও ইলম সকল স্থানে পরিব্যাপ্ত। উত্তরে তিনি বললেন: হ্যাঁ, তিনি স্বীয় আরশে রয়েছেন এবং কোন বস্তু তার ইলমের বাইরে নয়।
BY the allegorical ayahs in the Holy Quran we need to believe in what Allah(swt) wants to mean by that…..
“…………
And no one knows its [true] interpretation except Allah . But those firm in knowledge say, “We believe in it. All [of it] is from our Lord………”
(Sura Al-Imran: 7)
In fiqhul Akbar, Hazrat Imam Abu Hanifah(Rh) said such “His hand is His attribute with no modality (or description). And His anger and His satisfaction are two of His attributes with no modality (or description)…”
So the scholars of golden era of Islam believes that the hand,eyes,legs,face,ascending upon…….all are the sifaats of Allah(swt) as was depicted in Fiqhul akbar or Aqeedah-e-Tahawi.
আল্লাহ তাআলা বলেন:
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ ﴿الشوري
তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।(সূরা শুরা,৪২: ১১ আয়াত)
But later Greek philosophy attacked the beliefs of Islam by creating many stupid questions but those were enough to make imaan of common Muslims versatile, then in around 330 H Imam Maturidi(Rh) & Imam Ashari(Rh) tried to defend the Greek philosophy with some sort of taweel(explanation) of those allegorical sifaats of Allah(swt) ……..but with conveying that these explanations are not exact but such that.so no takeef(denying) of actual meaning, rather an effort to save the ummah in such a critical era.
As for example, “istawa alal arsh” ……..istawa is a sifaat but how it actually means…..is unknown to us……….
1. Surely the external liking with creations is a contradictory to Quran
2. Then they said it was like the sovereignty of Allah(swt)…….Look Brother.just like , not actual meaning.just an effort to save the ummah from liking with creations……….as the common Muslims had been rippled with the Greek philosophy……….
The conclusion is that we believe in what Allah(swt) wants to mean by it……..neither everywhere, beacause a substance is subject to be a place.but the Almighty(swt) is sacred from all dimensions (time, space.etc) , nor the salafi external emphasis meaning which closely turns the laymen to be anthropomorphous (who likens sifaats with creations) ……………
Brother we should not divide the ummah on such a critical aqeedah , especially it is an aqeedah-e-jonni………
N.B. Please see the salafi brothers coded it but it also contains a taweel (a little explanation)……Rediculous contradiction
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। (সূরা হাদীদ, ৫৭: ৪ আয়াত)।
অত্র আয়াতের ব্যখ্যা হল; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবনের দ্বারা, যা বর্ণিত আছে তফসীরে জালালাইন ও ইবনে কাসীরে। এই আয়াতের পূর্বের ও শেষের অংশ এ কথারই ব্যখ্যা প্রদান করে।
এইবার দেখি ইমাম আবু হানিফা রাহ কি বলেছেন।ইমাম আবু হানিফাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলে যে, ‘জানি না আমার প্রতিপালক আরশে আছেন নাকি পৃথিবীতে’ সে অবশ্যই কাফের হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ বলেন, “দয়াময় আল্লাহ আরশে আরোহণ করলেন।”[সূরা তা-হা,আয়াত৫] আর তাঁর আরশ সপ্তাকাশের উপরে। আবার সে যদি বলে, ‘তিনি আরশের উপরেই আছেন’, কিন্তু বলে, ‘জানি না যে, আরশ আকাশে আছে নাকি পৃথিবীতে’-তাহলেও সে কাফের। কারণ সে একথা অস্বীকার করে যে, তিনি আকাশে আছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তাঁর আরশে থাকার কথা অস্বীকার করে, সে অবশ্যই কাফের হয়ে যায়। যেহেতু আল্লাহ সকল সৃষ্টির ঊর্ধে আছেন এবং উপর দিকে মুখ করে তাঁকে ডাকা হয়(দু’আ করা হয়), নিচের দিকে মুখ করে নয়’। (শারহুল আক্বীদাতিত্ব ত্বাহাবিয়াহ ৩২২ পৃ, আল ফিকহুল আবসাত্ব ৪৬ পৃ, ইতিক্বাদু আইম্মাতিল আরবাআহ ১/৬)
আমাদের দেশে অধিকাংশ হানাফি এর এই মত না, অর্থাৎ তারা প্রকৃত পক্ষে হানাফি না , হানাফি মত অনুজায়ে তাদের অবসটান কোথায়ে ? আর চর মোনাই পীর বলেন , আল্লাহ মোমিন এর কলবে , তাহলে সে , কী ???? আমরা আবু হাণীফা এর টা গ্রহণ করবো না চর মোনাই এর তা গ্রহণ করবো ????(
@badru,
IS the sky is above us or beneath us???what is up………..this is a relative direction……….. All the space outside the world is the sky…………[this was not asked during imam tahawi or imam abu hanifa]
We dont deny above the sky…………..but the actual direction, state of arsh, state of ascending is not known to us.
So imam Maturidi or Ashari(Rh) tried to save the ummah from likening the attribute of Allah(swt) with those of creations……….
May Allah(swt) save us from creating fitnah
আমাদের কথা মানতে বলিনি।ইমাম আবু হানিফা রাহ’র কথা তো মানতে পারেন…
@badru,
ইমাম আবু হানিফা রাহ’র কথাই মাতুরিদী গ্রীকদের দশনের বিষ হতে পৄথক করে পেশ করেছেন
http://www.peaceinislam.com//anonymous/11826/
এখানে কিছু আলোচনা আছে। বুঝা চেষ্টা করুন। অযথা তর্ক করবেন না।
Saadu-deen Taftazani has explained the aspect of “Where is Allah” in the following words
“And he is not at any place.” (Sharh Aqaaid)
we believe in what Allah(swt) wants to mean by it……..neither in everywhere, beacause a substance is subject to be a place.but the Almighty(swt) is sacred from all dimensions (time, space.etc) , nor the salafi external emphasis meaning which closely turns the laymen to be anthropomorphous (who likens sifaats with creations) ……………
@anonymous
Please dont write something silly like everywhere……….. beacause a substance is subject to be a place & dont give weapons to the neo-salafis, a sect of creating caos
@Ahmed,ওখানে পরিষ্কার বলা আছে এই অস্তিত্ব কুদরতী অর্থে। আল্লহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সত্বা সম্পর্কে চিন্তা করতে মানা করা হয়েছে। অতীতে বহু জাতি এই জিনিসের উপর ধ্বংস হয়েছে। এটাই বলেছি পড়তে।
@Anonymous,
আপনি এর পক্ষে একজন খায়রুল কুরূনের আলেমে দ্বীনের ও দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন যিনি বলেছেন বিরাজমান সর্বত্র (বা কুদরতীভাবে)?
(আল ইমরানঃ ৭)
badru ভাইজান! আপনি খেয়াল করে লেখাটি লিখেন নি? নাকি শুধু কপিপেষ্ট করেছেন। নতুবা এত বিপরীতমুখী কথা এলো কিভাবে আপনার লিখায়?
এক নং ভুল-
আপনি লিখেছেন-
আল্লাহ তাআলার শ্রবন করা, দেখা, কথা বলা, অবতীর্ণ হওয়া এবং এ জাতীয় অন্যান্য সিফাতসমূহ। সালাফে সালেহীনদের আকিদা আর মুক্তিপ্রাপ্ত দল বা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত এ আকিদাই পোষণ করেন কোনোরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সৃষ্টির সাথে তুলনা ব্যতীত।
একথাটি লিখার পর কুরআনে বর্ণিত অসংখ্যা আয়াত, যাতে আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমানতার কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে সেসব আয়াতকে কোন সাহসে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করলেন নিজস্ব ঢংয়ে?
যেখানে স্পষ্ট আয়াতে এসেছে-
১-
ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ
অতঃপর তিনি আরশে সমাসিন হন {সূরা হাদীদ-৩}
২-
قوله تعالى {وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ}
আর যখন আমার বান্দা আমাকে ডাকে, তখন নিশ্চয় আমি তার পাশেই। আমি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেই যখন সে ডাকে। {সূরা বাকারা-১৮৬}
৩-
قوله تعالى {وَنَحنُ أَقرَبُ إِلَيهِ مِن حَبلِ الوَرِيدِ} [ق 16]
আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}
৪-
فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لا تُبْصِرُونَ (85)
অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা {সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫}
৫-
{ وَللَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّواْ فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ } [البقرة-115]
পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও, সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত {সূরা বাকারা-১১৫}
৬-
قوله تعالى { وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَمَا كُنتُمْ } [ الحديد - 4 ]
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}
৭-
وقال تعالى عن نبيه : ( إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا (التوبة من الآية40
যখন তিনি তার সাথীকে বললেন-ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন {সূরা হাদীদ-৪০}
৮-
قوله تعالى مَا يَكُونُ مِن نَّجْوَى ثَلاثَةٍ إِلاَّ هُوَ رَابِعُهُمْ وَلا خَمْسَةٍ إِلاَّ هُوَ سَادِسُهُمْ وَلا أَدْنَى مِن ذَلِكَ وَلا أَكْثَرَ إِلاَّ هُوَ مَعَهُمْ أَيْنَ مَا كَانُوا ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ ( المجادلة – 7 )
কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন {সূরা মুজাদালা-৭}
৯-
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ
আল্লাহ তায়ালার কুরসী আসমান জমিন ব্যাপৃত {সূরা বাকারা-২৫৫}
এসব আয়াতকে মূল অর্থ থেকে সরিয়ে এ ব্যাখ্যা করার দুঃসাহস আপনি দেখালেন কি করে? যেখানে আপনিই বলেছেন যে,
আল্লাহ তাআলার শ্রবন করা, দেখা, কথা বলা, অবতীর্ণ হওয়া এবং এ জাতীয় অন্যান্য সিফাতসমূহ। সালাফে সালেহীনদের আকিদা আর মুক্তিপ্রাপ্ত দল বা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত এ আকিদাই পোষণ করেন কোনোরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সৃষ্টির সাথে তুলনা ব্যতীত।
একথা বলার পর আপনি নিজেই কি সর্বত্র বিরাজমানতার প্রমাণবাহী সকল আয়াতের নিজস্ব ব্যাখ্যা উপস্থাপনি করেন নি? তাহলে আপনি নিজের কথায় নিজেই সালাফে সালেহীনের আক্বিদাকে অস্বিকার করেন নি?
২নং ভুল
যারা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান। তারা আল্লাহ তায়ালা আকাশে সমাসিন এ আয়াতকে অস্বিকার করে না। তাদের মতে আল্লাহ তায়ালা আরশেও আছেন, সৃষ্টির সর্বত্রই তার সদম্ভ উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু পক্ষান্তরে যারা বিশ্বাস করে আল্লাহ তায়ালা কেবল আরশেই আছেন, অন্যত্র নয়, তারাইতো সর্বত্র বিরাজমানতার সকল আয়াতকে অস্বিকার করে, বা নিষিদ্ধ অপব্যাখ্যা করে। আপনি দু’টি গোনাহে জড়ালেন আপনার বক্তব্য অনুযায়ী্ একটি হল আয়াতকে অস্বিকার। দুই নাম্বার হল-আয়াতকে অন্যায় ব্যাখ্যার।
৩নং ভুল-
শেষে এসে একটি হাস্যকর যুক্তি দিয়েছেন-[আকল আল্লাহ ছিনিয়ে নিলেই কেবল এমন বোকামী সুলভ কথা বলা যায়]
১৭। যদি বলা হয়, আল্লাহ তাআলা তার জাত সহকারে আমাদের সাথে সর্বস্থানে আছেন, তবে তার জাতকে বিভক্ত করতে হয়। কারণ, সর্বত্র বলতে বহু জায়গা বুঝায়। এটাই ঠিক যে আল্লাহ তাআলার পবিত্র জাত এক ও অভিন্ন। তাকে কোন অবস্থাতেই বিভক্ত করা যায় না।
আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র থাকলে তার জাত বিভক্ত হয়ে যাবে? আশ্চর্য। আল্লাহ তায়ালাকে আপনি নিজের ক্ষুদ্রতা দ্বারা ভাবেন নাকি? আল্লাহ তায়ালার এক সৃষ্টি আজরাইল আঃ এর এক পা যদি জমিনের নিচে আর মাথা সাত আসমানের উপর হতে পারে বিভক্ত হওয়া ছাড়া, তাহালে আল্লাহ স্রষ্টা আল্লাহর সর্বত্র বিরাজমানতার জন্য বিভক্ত হওয়ার কি প্রয়োজন? এত ছোট আল্লাহকে আপনি ভাবেন নাকি? আস্তাগফিরুল্লাহ!
আল্লাহ তায়ালাকে কেবল আরশেই সীমাবদ্ধ করে তার সম্মানকে ছোট করার মাধ্যমে বলার মাধ্যমেইতো মুলত আল্লাহ তায়ালাকে আপনি বিভক্ত হওয়ার আক্বিদায় বিশ্বাস করছেন। তিনি সেখানেই আছেন। অন্য কোথাও তার অবস্থান করার ক্ষমতা নেই নাউজুবিল্লাহ।
আপনাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি আরশে সমাসিন। আর কোথায় তার উপস্থিতি নেই। এ সংক্রান্ত সকল আয়াত বাদ? বাহ! চমৎকার আপনাদের আক্বিদা।
আরো অসংখ্য ভুল ও স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে ভরেছেন আপনার এই উদ্ভট লিখায়। ব্যস্ততার কারণে সবগুলো পয়েন্ট নিয়ে কথা বলা গেল না।
আল্লাহর ওয়াস্তে একটু খেয়াল করেনঃ
বরং এ ব্যাপারে জাফর ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্নিত আছে যে , এক ব্যক্তি ইমাম মালেক (রহ:) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন – “আল্লাহপাক আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন” এ কথাটির স্বরূপ বা তাৎপর্য কি ? ঐ ব্যক্তির এই প্রশ্ন শ্রবন মাত্র ইমাম মালেক (রহ:) ঘর্মাক্ত হলেন , ভীত সন্ত্রস্হ হলেন , এবং প্রায় সংজ্ঞাহারা হওয়ার অবস্হা হোলো , যখন হুশ ফিরে আসলো তখন তিনি বললেন “আল্লাহপাকের আরশের উপর অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বরূপ মানুষের বোধ শক্তির উর্ধে । আরশের উপর অধিষ্ঠিত হওয়ার তাৎপর্য মানুষের অজানা , তবে তার উপর ঈমান আনা ওয়াজিব । আর এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা বেদআত । ”
আমাদের প্রচলিত ভুলঃ
আরশ মাখলুক বা সীমাবদ্ধ তাই বিরাজমান সর্বত্র বলছি। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা স্থান কাল সময় – সব হতে পবিত্র। আপনি এর পক্ষে একজন খায়রুল কুরূনের আলেমে দ্বীনের ও দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবেন যিনি বলেছেন বিরাজমান সর্বত্র (বা কুদরতীভাবে) না বলেছেন হাকীকতে আসমানে?
তথাকথিত সালাফী ভাইদের ভুলঃ
আল্লাহপাকের আরশের উপর অধিষ্ঠিত হওয়াকে ধরে নিয়ে বলছে অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বরূপ মানুষের বোধ শক্তির উর্ধে ।
এটাও বিচ্যুতি….কারন তা সৃষ্টির সিফাতের সাদৃশ্যের নিকটবর্তী।
সহীহ আক্বীদাঃ
(আল ইমরানঃ ৭) না তিনি সর্বত্র বিরাজমান, না তিনি হাকীকতে বা বাহ্যিক অর্থে আসমানে? তিনি সবকিছু হতে পবিত্র। আল্লাহপাকের আরশের উপর অধিষ্ঠিত হওয়া ও অধিষ্ঠিত হওয়ার স্বরূপ উভয়ই মানুষের বোধ শক্তির উর্ধে ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের বিচ্ছিন্নতা ও বিচ্যুতি হতে হিফাযত করেন।
আমীন