ইসলাম বিনষ্টকারী ১০টি বিষয়–১
লিখেছেন: ' বাগেরহাট' @ মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২২, ২০০৯ (১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ)
“বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম”।
“ইসলাম মানে ইহকালে শান্তি এবং পরকালে মুক্তি”।ইসলামের
অনুসারী হিসাবে আমরা অন্ততঃ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু শান্তি কোথায়? কতভাবেই না আমরা শান্তির পেছনে ছুটছি।তাহলে ইসলামের
সংজ্ঞার মধ্যে কোন ভুল আছে? তা কিভাবে সম্ভব? সেক্ষেত্রে কি ভুলটা কি আমাদের মত কমজোর ঈমানীশক্তি বিশিষ্ট মুসলিমদের মধ্যে?
আসলেই কি আমরা প্রকৃত ইসলামের অনুসারী? আসুন দেখি কুরআন
এবং সহীহ সুন্নাহ কি বলে?
ইসলাম বিনষ্টকারী ১০টি বিষয়ঃ
(১) আল্লাহর সাথে শিরক (শিরকে আকবর) করা। যে ব্যক্তি শিরক করল সে কুফর করল এবং তার ইসলাম ভঙ্গ হয়ে গেল।ইরশাদ হচ্ছে–
“নিশ্চয় তুমি যদি শিরক কর তবে তোমার সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। এবং তুমি হয়ে যাবে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্ন্তভুক্ত।” সূরা যুমার -৬৫।
(২) আল্লাহ ও নিজের মধ্যে ভায়া বা মাধ্যম সাব্যস্ত করে তাদেরকে ডাকা,তাদের নিকট শাফায়াত কামনা করা, তাদের উপর তাওয়াক্কুল করা। যে ব্যক্তি এমন করবে সে সর্বসম্মতভাবে কাফের । যেমনঃ মক্কার কাফেররা নবী-রসুল ও ওলী-আওলিয়াগণকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের ভায়া বা মাধ্যম মনে করে তাদের মূর্তি বানিয়ে পুজা করত।তারা বলত-
“আমরা তাদের ইবাদত এ জন্যই করি যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।” সূরা -যুমার -৩।
রসুলগন আল্লাহ ও বান্দাদের মাধ্যম বটে কিন্তু এর অর্থ শুধু সংবাদ পৌছানোর মাধ্যম।পৌত্তলিক ধারনা সম্বলিত মাধ্যম তারা নন। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে কাউকে পৌছিয়ে দেয়া , কাউকে ওলী বানিয়ে দেয়া বা নিজ ক্ষমতা বলে কারো জন্য সুপারিশ করা, অথচ কারো ইহ-পারলৌকিক উন্নতি ও মুক্তি পাইয়ে দেয়া সম্পূর্ণভাবে তাদের ক্ষমতার বাইরে।
ইরশাদ হচ্ছে, “তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের আলেম- দরবেশ সম্প্রদায়কে রব হিসাবে গ্রহন করেছে।”সূরা আত-তওবা-৩১।
(৩)যে ব্যক্তি মুশকরকদেরকে কাফের মনে করেনা অথবা তাদের কাফের হওয়ার ব্যপারে সন্দেহ পোষন করে অথবা তাদের শিরকী ধ্যান-ধারনা ও মতবাদকে সঠিক বলে বিশ্বাস করে , তবে সে কুফর করল।
ইরশাদ হচ্ছে-”হে ঈমানদার সম্প্রদায় ! নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক।”সূরা আত-তওবা-২৭।
(৪) যে ব্যক্তি এরুপ বিশ্বাস করবে যে, রসুল (সঃ) এর হিদায়েতের চেয়ে অপর কারো হিদায়াত অধিক পূর্ণাঙ্গ অথবা রসুল (সঃ) এর দেওয়া বিধি-বিধানের চেয়ে অপর কারো বিধি বিধান অধিক সুন্দর । তবে সে ব্যক্তির ইসলাম ভঙ্গ হয়ে যাবে। আজকালকার লক্ষ লক্ষ মুসলিম নামধারী ব্যক্তি এ ধরনের বিশ্বাসে লিপ্ত। কেউবা রসুলের হিদায়েতের চেয়ে চিশতিয়া, নকশেবন্দী, কাদেরী ইত্যাদি তরীকার হেদায়াতরুপী বেদায়াতকে অধিক
পূর্ণাঙ্গ মনে করছে। আবার কেউ রসূল (সঃ) এর রেখে যাওয়া রাজনীতি , সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি ও আইন-বিধানের চেয়ে অন্যদের আবিস্কৃত এ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে অধিক সুন্দর মনে করছে।
(৫) যে ব্যক্তি রসুল (সঃ) এর আনীত কোন জিনিসকে ঘৃণা করবে, সে কাফের হয়ে যাবে। যদিও বাহ্যিকভাবে সে এর উপর আমল করে।
ইরশাদ হচ্ছে, “এটা এ জন্য যে এরা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তাকে
ঘৃণা করে, ফলে আল্লাহ তাদের আমলকে বাতিল করে দিয়েছেন।”
সূরা মুহাম্মদ-৯।
আজকাল অনেক মুসলমানকেই পর্দা, দাড়ি, ইসলামী রাজনীতি, ইসলামী শিক্ষা, আযান ইত্যাদি বিষয়কে ঘৃণা করতে দেখা যায়। তাহলে এ ধারাটি কি এদের জন্য প্রযোজ্য নয়?
আগামী পর্বে শেষ করার চেষ্টা করবো , ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
ধন্যবাদ। অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
Thanks a lot for this good information.
Thanks a lot for this great information.
ধন্যবাদ সত্য কথা প্রচার করার জন্য, অথচ আমরা সব জেনেও ভুল করি।
মানতে বড় কষ্ট হয়!! মাধ্যম হিসাবে আমরা যা করছি, তার পক্ষে অনেক অযুক্তিক যুক্তি দাড় করিয়ে তর্ক করে যাচ্ছি,
এটা ঠিক নয়।
আপনার পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। বাকী কারণ গুলোও জানতে আগ্রহী।