দ্বীন কায়েমের জন্যে সশস্ত্র জিহাদের অনুমোদন ইসলামে আছে কী ?
লিখেছেন: ' বাগেরহাট' @ রবিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০ (১১:০৭ অপরাহ্ণ)
“বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ”
[su]“[sb] দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে জিহাদঃ [/sb[/su]]”
কোন ক্জ তা যত ছোট হোক আর বড়ই হোক , সে জন্যে উপযুক্ত কর্ম ব্যতীত তা অর্জিত হয় না । সমাজ ও রাষ্ট্রে দ্বীন ক্বায়েম করা একটি বড় ও মহৎ কাজ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তাও উপযুক্ত কর্ম ব্যতীত ক্বায়েম হবে না । দ্বীন ক্বায়েম হোক এটা আল্লাহর কাম্য হলেও কোন অলৌকিক পন্থায় দৈবক্রমে তা ক্বায়েম করে দেয়া তাঁর অনুসৃত পন্থা নয় । দ্বীন ক্বায়েম হলে যেহেতু তার সুফল ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষেরাই তা ভোগ করবে , সে জন্য তিনি চান মানুষেরা স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে নিজেরাই তা ক্বায়েমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করুক ।
তাই এ সম্পর্কে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন ,
” [sb]তোমরা আল্লাহর পথে যথাযথভাবে জিহাদ কর, তিনি তোমাদেরকে (এ জন্যে ) মনোনীত করেছেন ।” সুরা হাজ্জ-৭৮ ।[/sb]
অপর স্থানে তিনি বলেছেন , [sb]” মু’মিনদের বৈশিষ্ট হচ্ছে তাঁরা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করতে তাঁরা পরনিন্দার কোন ভয় করবে না ।” সুরা -মা’য়েদা ৫৪ ।[/sb]
উপর্যুক্ত এ আয়াত দু’টি দ্বারা প্রমানিত হয় যে, আল্লাহ তা’য়ালা দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে প্রয়োজনীয় জিহাদ করার উদ্দেশ্যে মুসলমানদের চয়ন করেছেন । সে অনুযায়ী মু’মিনগণ তাদের সে দায়িত্ব পালন করবেন ।এ ক্ষেত্রে পাছে লোকে কিছু বলে এ জাতীয় কোন কিছুর চিন্তা না করে তারা নির্ভয়ে তাদের সে দায়িত্ব যথাসাধ্য পালন করবেন ।
[sb]জিহাদ শব্দের অর্থঃ[/sb]‘
জিহাদ’ শব্দটি “জাহিদা ইয়াজহাদু” ক্রিয়াপদের শব্দমূল । এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে – প্রচেষ্টা চালানো । কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এর উপযোগী যে কর্ম করা হয় , তকে বলা হয় প্রচেষ্টা বা জিহাদ ।
এ প্রচেষ্টা আবার দু’রকম হতে পারে —
[sb]এক) শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা ।
দুই ) সশস্ত্র প্রচেষ্টা, যাকে ইসলামী পরিভাষায় কিতাল বলা হয় ।[/sb]
মানব রচিত মতবাদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টার পাশাপাশি কারনে অকারনে বিশ্বে সশস্ত্র প্রচেষ্টারও প্রচলন রয়েছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমাজতান্ত্রিক মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে শক্তি প্রয়োগের ফলে কত বনী আদমের রক্তে যে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে , তার ইয়াত্তা নেই । পুজিঁবাদের ধারক ও বাহকরাও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একই কায়দায় পুজিঁবাদ প্রবর্তনের জন্যে শক্তি প্রয়োগ করে যাচ্ছে । কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত বিধান [sb]ইসলাম[/sb] সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্বায়েমের জন্যে কি এমন জিহাদ বা কিতালের পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে ?
[sb]দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে সশস্ত্র জিহাদের অনুমোদন ইসলামে আছে কী ?[/sb]
দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে আল্লাহর পছন্দনীয় পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে যাদের সম্যক জ্ঞান নেই , তারা হয়তো কুরআনে বর্ণিত জিহাদ তথা কিতালের ফযীলত সম্পর্কিত সাধারন আয়াতসমূহ পাঠ করে এটা বুঝে নিতে পারেন যে, ইসলাম বোধ হয় দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় উদ্যেগে সশস্ত্র জিহাদের পথ অনুমোদন করে । তবে যারা তা মনে করেন প্রকৃতপক্ষে তারা মারাত্বক ভুলের মধ্যে রয়েছেন । দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে ইসলাম কখনও সশস্ত্র যুদ্ধ বা কিতালের পথকে অনুমোদন করে না । কুরআনে জিহাদের জন্যে উৎসাহব্যঞ্জক এবং এর ফযীলত সম্পর্কে যতসব আয়াত বর্নিত হয়েছে, তা প্রকৃকপক্ষে দ্বীন ক্বায়েমের জন্য নয়, বরং শান্তিপূর্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে কোথাও দ্বীন ক্বায়েমের পর তা রক্ষার জন্যে জিহাদ বা কিতাল করার ক্ষেত্রে সে-সব আয়াত অবতীর্ন হয়েছে ।
[sb]দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে সশস্ত্র জিহাদের অনুমোদন না থাকার কারনঃ[/sb]
দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে জিহাদের কোন অনুমোদন ইসলামে না থাকার পিছনে দু’টি কারন রয়েছে—
চলমান—————————————।