লগইন রেজিস্ট্রেশন

দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে সশস্ত্র জিহাদের অনুমোদন ইসলামে আছে কী ? (২)

লিখেছেন: ' বাগেরহাট' @ সোমবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০১০ (৮:৫৪ অপরাহ্ণ)

” বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম”

দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে সশস্ত্র জিহাদের অনুমোদন না থাকার কারনঃ-
দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে সশস্ত্র জিহাদের কোন অনুমোদন ইসলামে না থাকার পিছনে দু’টি কারন রয়েছে :-

প্রথম কারনঃ
মানুষের কল্যানের জন্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে দ্বীন ক্বায়েম হওয়া জরুরী, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । কিন্তু কোন দেশের মানুষেরা যদি ইসলাম সম্পর্কে না বুঝে, ইসলাম ক্বায়েম করে তাদের ইহ-পরকালীন কল্যান করতে না চায় , তা হলে আল্লাহ তা’য়ালাও শক্তি প্রয়োগ করে তাদের কল্যান করতে চান না । সে জন্যে পবিত্র কুরআনে তিনি বলেছেন,
” দ্বীন গ্রহনের ব্যাপারে শক্তি প্রয়োগের কোন বিধান ইসলামে নেই, বস্তুত সরল পথ বক্র পথ থেকে পরিষ্কার হয়ে গেছে ।” (*সূরা বাকারা-২৫৬ ) ।

একজন হিন্দু বা বৌদ্ধ অথবা খ্রিষ্টান অথবা ইহুদি ইসলাম গ্রহন করতে না চাইলে এ জন্যে তার উপর শারীরিক নির্যাতন বা মানসিক কোন চাপ প্রয়োগ করার বিধান ইসলামে নেই, এ কথাটি একটি স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার । কিন্তু ইসলাম মনে করে , কেউ যদি বলে আমি মুসলমান , তাহলে তাকে ইসলামের যাবতীয় বিধি বিধান পালন করার মাধ্যমে তাকে তার সে দাবীর সত্যতা প্রমান করে দেখাতে হবে । ইসলাম গ্রহন করার ক্ষেত্রে মানুষের এখতিয়ার থাকলেও তা গ্রহন করার পর এর বিধানসমূহ পালন করা বা না করার ব্যাপারে তাদেরকে কোন এখতিয়ার প্রদান করা হয়নি । এমন পথ অবলম্বন করা আল্লাহর আইনকে অস্বীকার তথা কুফরী করারই শামিল ।
এমন লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন , ” তবে কী তোমরা কিতাবের কিছু অংশ মানবে আর কিছু অস্বীকার করবে?” (সূরা বাকারা -৮৫) । কিতাবের কিছু অস্বীকার করার মানে হচ্ছে : এর কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান করা । আর কিতাবের কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান করার মানে হচ্ছে কুফরী করা ; যা কোন মুসলিমের ধর্ম হতে পারে না। ইসলাম গ্রহন করার ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগের কোন অবকাশ নেই । সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন ,” অতএব তুমি উপদেশ দিতে থাক কেননা; তুমি উপদেশ দানকারী বৈ আর কিছুই নও, তোমাকে তাদের উপর দারোগা করে প্রেরন করা হয়নি ।” (সূরা গ্বশিয়া ২১ও ২২ ) । এ আয়াত দ্বারা প্রমান হয় যে, রসুল (সঃ) এর কাজ হচ্ছে জনগণকে দ্বীনের ব্যাপারে উপদেশ দান করা ।
পুলিশ যেমন কোন কাজে শক্তি প্রয়োগ করে, সেভাবে শক্তি প্রয়োগ করে সমাজে ইসলাম ক্বায়েম করার জন্য তাঁকে প্রেরন করা হয়নি । দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে এই যদি হয় রসুল (সঃ) এর প্রতি আল্লাহ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব, তাহলে মুসলিমরা তাঁর অনুসারী হওয়ার কারনে দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে তাদের উপরও হুবহু এ দায়িত্ব বর্তাবে । তাদের উপর তাঁর অনুসরন ব্যতীত অন্য কোন পথ অবলম্বন করে দ্বীন ক্বায়েম করার কোন বৈধতা থাকবে না ।

ইসলামের অনুসারীদের দায়িত্বঃ-
বস্তুত ইসলামের অনুসারীদের দায়িত্ব হচ্ছে : জনগণকে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দান করা । তাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে এ সম্পর্কে উপদেশ দান করা । সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন ক্বায়েম হলে এর সুফল কী হবে এবং না হলে এর কুফল কী হবে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন করে তোলা । একজন ব্যক্তিকে যেমন বল প্রয়োগ করে ইসলামে প্রবেশ করানোর কোন বৈধতা নেই, তেমনি বল প্রয়োগের মাধ্যমে কোন সমাজ ও রাষ্ট্রে দ্বীন ক্বায়েমেরও কোন বৈধতা নেই । পৃথিবীর সকল মানুষেরা ইসলাম গ্রহন করুক , এটা আল্লাহর একান্ত কাম্য হওয়া সত্বেও তিনি যেমন তাদেরকে তাদের ইচ্ছার বাইরে জোরপূর্বক মুসলিম বানাচ্ছেন না , ঠিক তেমনি সকল সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম ক্বায়েম হোক এটা কাম্য হওয়া সত্ত্বেও তিনি জোর করে কোন সমাজে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম ক্বায়েম করতে চান না । যারা নিজেদের কল্যান চান না, তিনিও জোর করে তাদের কল্যান এনে দিতে চান না ।

দ্বিতীয় কারনঃ- চলমান ———————— ।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
১৪৬ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

১ টি মন্তব্য

  1. ধন্যবাদ, নিম্নোক্ত হাদীসটি লেখার মান আরো বৃদ্ধি করবে বলে আশা করি।
    রসুল পাক সা: বলেছেন: আমার পর এমন কিছু ইমাম ও বাদশাহর আভির্বাব ঘটবে,যারা আমার নির্দেশিত পথে চলবে না এবং আমার সুন্নত তরিকা অনুযায়ী আমল করবে না।আবার তাদএর মধ্যে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে যারা গায়ে গঠনে,চেহারা-অবয়বে মানুষই হবে,কিন্তু তাদের ক্বলব সমুহ হবে শয়তানের ক্বলবের ন্যায়।হুযায়ফা বলেন,আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ সা: যদি আমি সেই অবস্হায় পড়ি তাহলে আমি কি করবো ? জবাবে তিনি সা: বললেন তোমার আমির যা বলে তা মানবে এবং তার আনুগত্য করবে,যদিও তোমার পৃষ্ঠে আঘাত করা হয় এবং তোমার ধন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয় , তবুও তার নির্দেশ শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।(মুসলিম ও মিশকাত শরীফ)