দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে সশস্ত্র জিহাদের অনুমোদন ইসলামে আছে কী ? (৩)
লিখেছেন: ' বাগেরহাট' @ রবিবার, জানুয়ারি ২, ২০১১ (৯:২৫ অপরাহ্ণ)
” বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’
দ্বিতীয় কারনঃ
আল্লাহ চান কোন দৈব প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিক নিয়মের মাধ্যমে সমাজে দ্বীন ক্বায়েম হোক । সমাজ ও রাষ্ট্রে দ্বীন ক্বায়েম হলে যদিও এর দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্রাহর রুবুবিয়্যাত তথা তাঁর একত্ব ও আনুগত্য ক্বায়েম হবে, তবে এর দ্বারা মূল উপকারটা হবে সমাজে বসবাসকারী সকল জাতি -ধর্ম-বর্ণের মানুষের । সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির মানুষেরা যদি তাদের কল্যান না চায়, তা হলে আল্লাহ তাঁর অল্প সংখ্যক প্রিয় বান্দাদের জীবন কুরবানী করার মাধ্যমে তাঁর অবাধ্য সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির কল্যান এনে দিতে চান না ।
এ ক্ষেত্রে আল্লাহর কি বিধান আছে , সে সম্পর্কে তিনি বলেন ,
” নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা কোন জাতির ভাগ্য ততক্ষন পরিবর্তন করেন না, যতক্ষন তারা নিজেরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ করে না ।” সূরা রাদ -১১ ।
সে জন্যে আল্লাহ তা’য়ালা সমাজে দ্বীন ক্বায়েমের ক্ষেত্রে লাঠি রক্ষা করে সাপ মারার নীতি অবলম্বন করেন । সে জন্যে তিনি দ্বীন ক্বায়েমের অনুসারীদেরকে শান্তিপূর্ণ পন্থায় সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করতে বলেন । এতে সমাজের লোকেরা তাদের সাথে শত্রুতা পোষন করলে এর জবাবে কোনসশস্ত্র আন্দোলনে না যেয়ে তাদের জুলুম ও নির্যাতনের মুকাবেলায় ধৈর্য্য ধারনের উপদেশ দেন । এবং দ্বীন ক্বায়েমের জন্যে যে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতি প্রয়োজন তা যাতে তৈরী হয়, সেজন্যে তাঁর নিকট সাহায্য চাইতে বলেন । তা না করে তিনি যদি প্রারম্ভেই তাদেরকে সে জন্যে অস্ত্র হাতে নেবার নির্দেশ দেন, তা হলে স্বাভাবিকভাবেই দ্বীন ক্বায়েমের কর্মীদের প্রয়োজনীয় জনবল ,অস্ত্রবল ও অর্থবলের স্বল্পতার কারনে তারা শত্রুদের মোকাবেলায় পরাজিত হবে । এবং সাপ মারার পূর্বেই লাঠি ভেঙ্গে যেয়ে জগদ্ব্যাপি শয়তান ও তার অনুসারী মানবরুপী শয়তানদের প্রভূত্ব ক্বায়েম হবে । এতে আল্লাহর তাওহীদের স্বীকৃতি যৎসামান্য যা হতো , সেটুকুও দেয়ার মত কোন লোক পাওয়া যাবে না । যা কোনভাবেই আল্লাহর কাম্য নয় । সে জন্যে দেখা যায়, রসুল (সঃ) বদর যুদ্ধে কাফিরদের মোকাবেলায় তাঁর সাথীদের দাড় করিয়ে দিয়ে এই মর্মে দু’আ করেছিলেনঃ
” হে আল্লাহ ! তুমি যদি চাও এই ধারায় তোমার উপসনা করার মত লোক না থাকুক , তা হলে এই দলকে তুমি ধ্বংস করে দাও । ” বুখারী ,মুসলিম । আল্লাহ তা চান না বিধায় সে দিন মুসলমানরাই সংখ্যা ও অস্ত্রবলে কম হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর সাহায্যে তাঁরা জয়ী হয়েছিলেন । তা না হলে বদর প্রান্তে সেদিন তাঁরা সকলেই শহীদ হয়ে যেতেন । এবং কাফিররা মদীনায় এসে অবশিষ্ট সবাইকেও শহীদ করে যেত । তখন এককভাবে আল্লাহর উপাসনা করার মত কোন লোক থাকত না ।
ইক্বামতে দ্বীনের জন্যে সশস্ত্র জিহাদ অবৈধ
চলমান………।
ভাই, কোনো অবস্হায় জেহাদ ফরজ ?
অনেকদিন পর এই ব্লগে এসে আপনার লেখাটা দেখে ভালো লাগলো!
@মুসলিম৫৫, অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য দেখেও ভালো লাগল ।