ফুল ও মুক্তা (নারীদের নিয়ে একটি ছোট গল্প)
লিখেছেন: ' বেদুইন' @ মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১০ (৪:১৩ অপরাহ্ণ)
একদিন আকর্ষণীয় রং-এর আশ্চর্য রকম সুন্দর ও খুবই মিষ্টি খুশবুসমৃদ্ধ এক ফুলের সঙ্গে গহীন সাগরের তলাতে বসবাস করা এক মুক্তার সঙ্গে দেখা হল। উভয়ে একে অপর সঙ্গে পরিচিত হল।
ফুল বলল: ” আমাদের পরিবার অনেক বড়; গোলাপ এবং ডেইজি আমাদের পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য অনেক প্রজাতি আছে যে গুণে শেষ করা যাবে না; প্রত্যেকের এক একটি অনন্য সতন্ত্র সুগন্ধ ও চেহারা রয়েছে , ইত্যাদি”।
হঠাৎ করে, হতাশার একটি ছায়া ফুলে আবির্ভূত হল। মুক্তটি জিজ্ঞাসা করল, ” তোমার কথায়তো দুঃখের কিছুই পাইনি, কিন্তু তোমার মধ্যে হতাশা কেন। ”
ফুলটি বলল” অধিকাংশ মানুয আমদের অযত্নের সাথে রাখে, সযত্নে রাখেনা। তারা আমাদের মত আমাদের বাড়তে দেই না, তারা আমাদের সুন্দরর্য ও সুগন্ধ থেকে শুধু নিজের আনন্দ উপভোগ করে। যখন আমরা সুন্দরর্য প্রভা এবং সৌরভ ছাড়া মূল্যহীন হয়ে যাই, তখন তারা আমাদের রাস্তাই অথবা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেই।’
ফুলটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মুক্তটির দিকে চেয়ে বলল, ” তোমার জীবন সম্মন্ধে আমাকে বল! গহীন সমূদ্রের নীচে, তুমি কিভাবে বাস কর? তুমি কেমন অনুভব কর?”
মুক্তাটি উত্তর দিল: ” যদিও আমার, তোমার মত আকর্যনী্য় রং ও মিষ্টি গন্ধ নেই, মানুয আমাকে খুবই মুল্যবান মনে করে, তারা আমাকে পাবার জন্য অসম্ভবকে সম্ভব করে। তারা আমাকে খোঁজার জন্য দীর্ঘ সমুদ্র ভ্রমন করে, সমুদ্রে ঝাপ দিয়ে অনেক গভীরে পর্যন্ত যাই। তুমি আশ্চর্য হবা যেনে যে, সমূদ্রের যত গভীরে আমার জন্মিতে পাড়ি, আমাদের সন্দোর্য্য ও মুল্য তত অধিক হয়ে থাকে। ”
মুক্তাটি আরও বলল , আমি অন্ধকার সমুদ্রে একটি পুরু ঝিনুকে বসবাস করি। উপরন্তু, আমি সুখি ও গর্বিত যে আমি সর্বদা অপরাধী-মানুয ও দুষ্ট সমাজ থেকে দুরে একটি নিরাপদ পরিবেশে থাকি এবং মানুয সর্বদা মানে করে আমি মূল্যবান।
আপনি কি জানেন এখানে ফুল এবং মুক্তা দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে?
ভাবেন, ভাবেন, ভাবেন… আপনি খুঁজে পাবেন যে: ফুল বলতে পর্দাহীন নারী (যে তার আকর্ষণীয়তা ও সৌন্দর্য অন্যকে দেখাই) এবং মুক্তা বলতে পর্দাশীল নারী (যে তাকে আকর্ষণীয়তা ও সৌন্দর্য ঢেকে রাখে), বুঝানো হয়েছে।
উত্তম উদাহরণ দিয়েছেন। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ভাল লাগল।
সুন্দর গল্প। ভাল লাগলো। নারীরা পর্দাশীল হবে তবে যেন জ্ঞানের অন্ধকারে না থাকে। আলো-বাতাস থেকে যেন বঞ্চিত না হয়।
@নাজনীন, বোন, ইসলাম সত্যের পথ প্রদর্শক। অন্ধকার দূরীভূত করে সত্যের আলো প্রতিষ্ঠা করাই ইসলামের আদর্শ। সেহেতু পর্দা পালনের মধ্যে কোন জ্ঞানের অন্ধকার নাই। পর্দা পালন করা আলো-বাতাসের মালিকের আদেশ। তিনিই নারীদের জন্য পর্দার মাঝেই প্রকৃত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রেখে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের সত্য উপলব্ধির তাওফীক দান করুন। আমীন।