ভারতের ঋণ আর কত রক্ত দিয়ে শোধ করতে হবে?
লিখেছেন: ' বেদুইন' @ শনিবার, জানুয়ারি ২৯, ২০১১ (৮:০৫ অপরাহ্ণ)
ঢাকা: ভারত আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছিল। এটা ঐতিহাসিক সত্য। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তার ঋণ কি রক্ত দিয়ে শোধ করতে হবে? তবে কি পরিমাণ রক্ত ওরা ঝরাবে। যদি তা না হয় তবে কেন এভাবে হত্যা করা হবে? নির্যাতন করা হবে?
কথাগুলো ক্ষোভ আর দুঃখ নিয়ে বাংলানিউজকে বলছিলেন কুড়িগ্রামের ফুলপুর থানার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এন্তাজ আলী সরকার। শুক্রবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর তিনি বাংলানিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভের কথা জানান।
সম্প্রতি বিএসএফের গুলিতে নিহত ১৫ বছরের কিশোরী ফেনালী তার ইউনিয়নেরই বাসিন্দা।
ফেলানীর কথা উল্লেখ করে এন্তাজ আলী বলেন, বিএসএফ ফেলানীর লাশটি দিতেও টালবাহানা করছিলো। তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার আজও আমরা পাইনি।
এন্তাজ আলী বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী দিন দিন যেন বেশি মারমুখি হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় তাদের অত্যাচার নির্যাতন বাড়ছেই। ইদানিং মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। আবার ডেকে নিয়েও অত্যাচার করছে।
সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি কেমন যানতে চাইলে বলেন, যে মুহূর্তে কথা বলছি এই মুহূর্তেও হয়তো বিএসএফ কাউকে আটক রেখেছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসার আগেও বিএসএফ এর হাত থেকে একজনকে ছাড়িয়ে রেখে এসেছি। তাকে ওরা এমনভাবে মেরেছে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
এন্তাজ আলী অভিযোগের সূরে বলেন, গুলি করে হত্যার খরব পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও বিভিন্ন রকম নির্যাতনের খরব তো আর ছাপা হয় না।
তিনি বলেন, ধর্ষণের সঙ্গেও জড়িত বিএসএফ। ভারতে যাওয়ার সময় ধরা পড়া সুন্দরী নারীকে ধর্ষণের পাশাপাশি ওরা অনেক সময় সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে যাওয়া নারীদের ডেকে নিয়েও ধর্ষণ করে।
এন্তাজ আলী সরকার বলেন, স্বামীকে নির্মম ভাবে মেরে স্ত্রীকেও ওরা ধর্ষণ করেছে। পরে ওই ব্যক্তি মারা গেছে। তিনি বলেন, বিএসএফ এর নির্যাতনে যারা আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে মারা যান তাদের হিসাব কেউ রাখে না।
বিডিআর (বিজিবি) এসব ব্যাপারে কি ভূমিকা পালন করে প্রশ্নে তিনি বলেন, গুলি করে হত্যা করলে লাশ এনে দেয়। এর বেশি কিছু নয়। আর বলে, মেরে ফেলেছে এখন আর কী করা যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা নীবরই থাকে বলব। হত্যার কোনো বিচার এযাবৎ দেখিনি।
চোরাকারবারির সঙ্গে বিএসএফ জড়িত উল্লেখ করে এন্তাজ আলী বলেন, বিএসএফ-বিডিআর যোগসাজশেও অনেক সময় চোরাচালান হয়। আর এসব ভাগ বাটোয়ারায় সমস্যা হলে বিএসএফ পরে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে ক্ষোভ মেটাতে চেষ্টা করে।
বাংলাদেশিদের সীমান্তের ওপারে বেশি যাবার কারণ উল্লেখ করে এই জনপ্রতিনিধি বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে যেতে হয়। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। যেতে হবেই। মানুষ যাবেই। তাছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় চাষবাস করতে, গরু চড়াতে, মাছ ধরতে মানুষ যায়। অনেক সময় জেলেদের ধরা মাছও ওরা নিয়ে যায়। মারধর করে।
‘ওপারে পার করে দিতে যে ঘাটগুলো রয়েছে সেগুলো কারা নিয়ন্ত্রণ করে?’– এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এসব চালায়। ওদের কিছু বলা যায় না।’
‘স্বাধীনভাবে চলাফেরায় সমস্যা হয় কি-না? উত্তরে এন্তাজ আলী, ‘সন্ধ্যার পর আর বিডিআর সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে দিতে চায় না। বলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা। ’
তিনি জানান, ‘আমাদের দিকে যেন তাকানোর কেউ নেই। সরকারের উদ্যোগও চোখে পড়ার মত নয়। এভাবে আর কতদিন ওরা আমাদের হত্যা করবে জানি না।’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১১
Link – সাইদ আরমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট – বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ভারতের সমস্ত আগ্রাসনের রিরুদ্ধে এখনই সবাইকে সচেতন হতে হবে। না হলে তার পরিণতি হবে খুব ভয়াবহ।
ধন্যবাদ, সুন্দর পরার্মশের জন্য ।
ভারত কখন ও বাংলাদেশের বন্দ্বু হতে পারেনা ,ইহা বার বার প্রমানিত হয়েছে। ফেলানি নয় ভারতের কাটাতারে বাংলাদেশ ঝুলছে। ভারত কে অবশ্যই সমুচিত জবাব দিতে হবে ।
@M M NOUR HOSSAIN, সহমত।
@M M NOUR HOSSAIN, সহমত।
Varot, jujtorastra jodi manush hotta kory ate manobodhikar longgon hoy na. Are jodi a vaby Bangladesh manush marto taholy amar mone hoy Varot amader shathy juddho ghushona korto. tobo amra chup
@hafes_alamin, ঠিক বলেছেন
“ভারত আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছিল। এটা ঐতিহাসিক সত্য। ” এই সহায়তার পিছনে ভারতের স্বার্থ ছিল- তার চির শত্রু পাকিস্থানকে ভেঙ্গে ফেলা- এবং by product হিসেবে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন ভারতকে eastern command এর জন্য সৈন্য মোতায়েন করতে হয় না। ১৬ই ডিসম্বর ভারতীয়রা বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালন করে না-তারা করে পাকিস্থানকে ভেঙ্গে ফেলার উল্লাস দিবস। মোশরেকরা কখনও মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না।এর ফল আমরা দেখছি আমাদের দেশে ইসলামের কি দশা !
@Mujibur Rahman, সহমত।
@Mujibur Rahman,সত্যিই আপনি দারুন লিখেছেন । ধন্যবাদ