রামাদান না রমজান নাকি রমযান !
লিখেছেন: ' সাদাত' @ শনিবার, অগাষ্ট ১৪, ২০১০ (১১:৪১ অপরাহ্ণ)
কিছু কিছু বিদেশি শব্দ আমাদের ভাষার সাথে এমনভাবে মিশে গেছে যে সেগুলোকে যদি মূল বিদেশি উচ্চারণে বলা হয় তবে সাধারণের জন্য বুঝাটাও অনেকটা বোঝা হয়ে উঠে। যেমন ধরুন table কে আমরা বাংলায় বলি টেবিল। এই টেবিল বলতে খাবার/পড়ার/এ ধরণের টেবিলকে বুঝি। এখন কেউ যদি বলেন টেবল্ বা আরো শুদ্ধ করে লেখেন টেইবল, কিংবা আরও এক ধাপ এগিয়ে লেখেন ঠেইবল, তখন অবস্থা কি দাঁড়াবে? শব্দের মারপ্যাচে আসল কথাটাই তো হারিয়ে যাবার উপক্রম হবে।
রাহমান বলার চাইতে রহমা-ন বলাটাই কিন্তু সহিহ।
আল্লাহ বলার চেয়ে আল ল-হ /আল্ল-হ বলাটাই কিন্তু সহিহ।
নবী বলার চেয়ে নাবি- বা নাবী বলাটাই কিন্তু সহিহ।
রাসূল বলার চেয়ে রসূল বলাটাই কিন্তু সহিহ।
সাল্লাল্লাহু বলার চেয়ে ছল্লাল্ল-হু বলাটাই কিন্তু সহিহ।
রামাদানের চেয়ে রমাদান/রমাজানই কিন্তু সহিহ।
এখন কথা হল
যদি “রমাজান” না লিখে “রমাদান” বলি, তাহলে “ফরজ”/”ফার্জ”কে কিন্তু “ফরদ”/”ফার্দ” লিখতে হবে। “কাজা” না লিখে “কাদা” লিখতে হবে। করজ/কার্জ কে লিখতে হবে করদ/কার্দ।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য এই না যে আমরা আরবির শুদ্ধ উচ্চারণ করব না, কিন্তু বাংলা ভাষায় লেখার সময় উচ্চারণের দিকে বেশি লক্ষ্য করতে গিয়ে যেন সাধারণ বিষয়গুলোকে দুর্বোধ্য করে না তুলি।
সাদাত ভাই, সুন্দর একটি POST এর জন্য ধন্যবাদ। আপনার কাছে একটি জিনিস জানতে চাচ্ছি, আরবিতে ث ও ذ বর্ন দুটির সহীহ উচ্চারন কিভাবে করতে হবে।এটা কি ছা ও ঝাল হবে নাকি থা ও ধাল হবে। জানালে উপকৃত হব।
@sadaag,
ث
এর উচ্চারণ ‘ছা’ হবে, তবে উচ্চারণ করার সময় জিহ্বার আগা ওপরের সামনের দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে করতে হবে।
তাতে যে উচ্চারণ আসবে সেটাই সহিহ।
ذ
এর উচ্চারণ ‘যাল’ হবে, তবে উচ্চারণ করার সময় জিহ্বার আগা ওপরের সামনের দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে করতে হবে।
তাতে যে উচ্চারণ আসবে সেটাই সহিহ।
@sadaag,
আপনার নাম বা নিকটা বড় অদ্ভূত। এটাকে বাংলা করলে ভালো হয়।
সাদাত ভাই,
আমি আমার নামটা পরিবর্তন করেছি, বর্তমান নাম “কিবরিয়া”। আসলে আগের নামটা আমার নিক ছিলো।