ওহাবি সালাফি সমাচার-৪
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ শনিবার, জুলাই ২৩, ২০১১ (৫:৫৩ অপরাহ্ণ)
আরবীদের তৈরী করা মসজিদের ইমামদের অবস্তা দেখে এ মসজিদ ও মসজিদ ঘুরে বহুদিন যাবৎ এক মসজিদে জুমার নামাজ পড়ছিলাম।ইমাম সাহেবের দাড়ির দৈর্ঘ্য দেখে নিজেই কয়েকবার অনুরোধ করেছিলাম দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করতে।এখনও কোন কাজ হয়নি।সবাই দোয়া করবেন যেন কাজ হয়।ইত্তবসরে গতকাল জুমার খুতবায় ওহাবিদের দ্বারা সর্বদা আওড়ানো বেদাতের সেই হাদিসটি তার মুখেও শুনে কেমন যেন খারাপ লাগলো,তার মধ্যে বহুদিন পর এই পত্রিকা্য় এসে ওহাবিদের চামচার লেখা পড়ে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেলো।মনে পড়ে গেলো বাংলা সেই বিখ্যাত প্রবাদ বাক্য ”মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী।” এর কথা। তাই সময়ের সল্পতা সত্ত্বেও তার ভাব সম্প্রসারন লিখতে বসলাম।
”মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী।” যেমন অসম্ভব ,তেমনি ওহাবিদেরও ইসলামের জন্য দরদ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের চেয়ে বেশী হতে পারে না।এ দেশে ইসলাম যাদের ওসিলায় আল্লাহ পাক প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং যুগ যুগ ধরে তা টিকিয়ে রেখেছেন সেই ওয়ালি আল্লাহ ও পির মুর্শিদদের যারা কটাক্ষ করে কথা বলে তারা অন্তত ইসলামের বন্ধু হতে পারে না।তার মানে এই নয় যে পির মুর্শিদ এর মধ্যেও কেউ ভন্ড নেই। যাইহোক যুগ যুগ ধরে প্রত্যন্ত অন্চল সমুহেও যারা ইসলামের আলো জালিয়ে রাখার ওসিলা হিসেবে কাজ করেছেন তাদের দোষ ত্রুটি ধরার জন্য এই ওহাবি সালাফিদের উদ্ভব হলো কিভাবে ?
একথা নিশ্চিত যে তাদের ধারক বাহক বর্তমান আরব রাজা বাদশাহরা,বিশেষ করে সৌদি বাদশাহ।আর এই বাদশাহদের কর্ম কান্ড সম্পর্কে মোটামোটি সবাই অবহিত ।তারা কখনো কি ভাল বা ইসলামের পক্ষে কাজ করবে এমন কেউকে কি শিক্ষা মন্ত্রির দায়িত্ব দিবেন ? আর যদি না দিয়ে থাকেন সেই সব মন্ত্রিরা কি কখনো স্কুল ,কলেজ,মাদ্রাসা বা ইউনিভারসিটিতে ইসলামের পক্ষে কাজ হবে, যাতে করে নাকি তাদের ক্ষমতা যেতে পারে এমন কোন ভাল সিলেভাস দিবেন ? বা এরকম ইসলামের পক্ষে কাজ করবে এমন ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য দিবেন ? কক্ষনই নয়।বর্তমান আওয়ামী লিগ সরকারের দিকে লক্ষ করলেই বেপারটা সোজা হয়ে যাবে ? এই সরকার কি কখনো ভালো আলেম কে শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িছ্ব দিবে ? বা এরকম ইসলামের পক্ষে কাজ করবে এমন ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য দিবেন ? এরা তাদেরকেই সাহায্য করে যারা তাদের মন মত কাজ করবে বা তাদের ‘খয়ের খা’ হবে। আর একজন নীতিবান লোক এসকল রাজা বাদশাহদের গুন গান তো দুরের কথা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াকেউ অনৈতিক মনে করবে। ইমাম আবু হানিফা রা: এদের চেয়েও অনেক ভাল বাদশাহর প্রস্তাবিত প্রধান বিচারকের দায়িত্বও গ্রহন করেন নি।বিনিময়ে তাকে জেল খাটতে হয়েছে।কিন্তু কোন সময়ই মীর জাফরদের অভাব হয়নি, তাই সৌদী বাদশাহদের মাদ্রাসায়ও ছাত্রের অভাব হয়না।বা তাদের অর্থ সাহায্য পাওয়ার জন্য মাদ্রাসার যে কোন সিলেবাস গ্রহন করতেও অসুবিধা হয় না।বিনিময়ে যা হবার তাই হচ্ছে।এরা ইসলামের পক্ষে কাজ না করে এই সব রাজা বাদশাহদের যারা চক্ষুশুল ও যাদের ওসিলায় আল্লাহ পাক দেশে দেশে ইসলামের পতাকা জিয়িয়ে রেখেছেন তাদের কে আঘাত করাই এই ওহাবি সালাফিদের মুল লক্ষ।তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডকে বেদাত বলা বা তাদের প্রচারিত বিভিন্ন হাদিসকে জাল বলতেও দিধা করে না।আর এই ওয়াবী সালাফিদের সাথে কাদিয়ানি,মোতাজিলা,শিয়া সহ বিভিন্ন বাতিল ফেরকার লোক তো আছেই।এদের কাছে মোসলমানদের নফল নামাজ,জিকির আসকার ,রসুল পাক সা: এর প্রতি মহব্বত ইত্যাদি বেদাত।কিন্তু খাট করে দাড়ি রাখা বা মসজিদে সুন্নত বা নফল নামাজ না পড়ে মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন দোকানে ঘুরে বেড়ান শ্রেয়।এরা নিজেরাতো আরাম আয়াসের বেঘাত না করে কোন এবাদত বন্দেগি করবেই না বরং অন্য কোন মোসলমান তা করতে গেলে বেদাত বলে উড়িয়ে দিবে। এরা নিজেদের জানা মতে রসুল পাক সা: ও সাহাবী রা; গন যাহা করেন নি তাকেই বেদাত বলবে। অথচ অন্য কেউ এ বিষয়ে জেনে কোন আমল করলেও বেদাত বলবে বা অস্বীকার করবে।
অথচ রসুল পাক সা: বলেছেন যে ব্যক্তি ইসলামে কোন সৎ পদ্ধতির প্রচলন ঘটাবে ,সে লাভ করবে তার অনুসারীদের
সমপরিমান সওয়াব ।অনুসারীদের সওয়াব এতে বিন্দু পরিমান কমবে না। আবার যে ব্যক্তি ইসলামে কোন অসৎ
পদ্ধতির প্রচলন ঘটাবে ,সে লাভ করবে তার অনুসারীদের সমপরিমান পাপ।কিন্তু এতে বিন্দু পরিমান কমবে না।(মুসলিম শরীফ)।
এরা সুন্নত সুণ্নত বলে অন্য কোন এবাদতই করবে না ,অথচ সু্ন্নত পালন এর বাইরেও যে দ্বিগুন সওয়াব হাসিল করা যায় তাও বিশ্বাস করতে চায় না।রসুল পাক সা: এর জীবনের এক ঘটনা থেকেই তার এক প্রমান দিচ্ছি।
আতা (রহ) থেকে আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা•)-র সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা দুই ব্যক্তি সফরে বের হয়। পথিমধ্যে নামাযের সময় উপনীত হওয়ায় তারা পানি না পাওয়ায় তায়াম্মুম করে নামায আদায় করে। অতঃপর উক্ত নামাযের সময়ের মধ্যে পানি প্রাপ্ত হওয়ায় তাদের একজন উযু করে পুনরায় নামায আদায় করল এবং অপর ব্যক্তি নামায আদায় করা হতে বিরত থাকে। অতঃপর উভয়েই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হয়ে এই ঘটনা বর্ণনা করল। (তিনি (সা•) বলেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তি নামায পুনরায় আদায় করেনি সে সুন্নাত মোতাবেক কাজ করেছে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি উযু করে পুনরায় নামায আদায় করেছে তার সম্পর্কে বলেনঃ তুমি দ্বিগুণ ছওয়াবের অধিকারী হয়েছ। (আবু দাউদ শরীফ। হাদীস নং-৩৩৮)
ওহাবি সালাফিদের ইসলামের প্রতি যে দরদ তার স্বরুপ উদঘাটিত হবে সবার জানা সেই এক শিশু চুরনির গল্পের মাধ্যমেই।এক শিশু চুরনী ও শিশুর মা যখন হাজির হলো বিচারকের সামনে ।তখন শুবিজ্ঞ বিচারক যখন বচ্চাটিকে দুখন্ড করে দুজনের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।তখন এ প্রস্তাবে শিশু চুরনিই উল্লসিত হয়েছিল।তদরুপ আমাদের দেশে অশিক্ষিত গ্রাম গন্জে মিলাদ মাহফিল ও জিকির আসকারের মাধ্যমেই বেচে ছিল ইসলামের শেষ নিশানা টুকু।ওহাবি সালাফিরা এটাকে বেদাত বেদাত বলে এলোক গুলোকেও উসকে দিয়েছে টাস খেলা বা তামাসার মাধ্যমে জীবন পাড়ি দেয়ার ।সাধারন মানুষ এখন বেদাতের ভয়ে কোন এবাদত বন্দেগীই করতে চাচ্ছে না।তার চেয়ে অনৈসলামিক কর্মকান্ডকেই শ্রেয় মনে করছে। ওহাবী সালাফিরা বিভিন্ন সময়ে এককভাবে ও দলবদ্ধভাবে যিকির আসকার করাকেও বেদাদ বলছে।
অথচ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- হযরত মূসা (আ) – এর প্রতি আল্লাহ প্রত্যাদেশ করলেন, “হে মূসা! তুমি কি এটা চাও যে, আমি তোমার ঘরে তোমার সাথে বসবাস করি? এই শুনে হযরত মূসা (আ) আল্লাহর উদ্দেশে সিজদায় রত হলেন অতঃপর নিবেদন করলেন- ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার সাথে আমার ঘরে কিভাবে বসবাস করবেন? ’ অনন্তর আল্লাহ্ বললেন, হে মুসা! তুমি কি জান না আমায় যে স্মরণ করে আমি তার সঙ্গী হই? আর আমার বান্দা আমাকে যেখানে খোজে, সেখানেই আমাকে পায়।“এ হাদীসটি ইবনু শাহীন হযরত জাবির (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- হযরত মূসা (আ) বললেন, “হে আমার প্রতিপালক! আপনি কি আমার খুব কাছাকাছি যে, আপনাকে আমি অনুচ্চরস্বরে ডাকব, না কি আমার থেকে অনেক দূরে যে, উচ্চৈস্বরে ডাকবো? কারণ আপনার সুরের মাধূরী তো আমি অবশ্যই অনুভব করি কিন্তু আপনাকে দেখতে পাই না, তা হলে আপনি কোথায় অবস্থান করেন?” আল্লাহ্ এরশাদ করলেন, “আমি তোমার পেছনে, তোমার সামনে, তোমার ডানে এবং তোমার বামে অবস্থান করি। ওহে মূসা! আমি আমার বান্দার সাথে বসে থাকি যখন সে আমায় স্মরণ করে। সে যখন আমাকে ডাকে আমি তখন তার সাথে থাকি।”দায়লামী এ হাদীসটি সাওবান (রা) সংগ্রহ করেছেন।
৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “আমি আমার বান্দার সাথে অবস্থান করি। যতক্ষণ সে আমার যিকির করে এবং আমার যিকিরে তার দু’ঠোট সঞ্চারিত হয়।”আহমদ এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন মহান ও পরাক্রমশালী প্রতিপালক বলবেন, “আজ শীঘ্রই হাশরের ময়দানে সমবেতগণ জানতে পারবে কে উচুমনা।” বলা হল, “হে আল্লাহ্র রাসূল! কে সে উচুমনা ব্যক্তি?” তিনি বললেন, “মসজিদ সমূহে আল্লাহর যিকিরের মজলিসে অংশগ্রহণকারীগণ।”এ হাদীসটি আহমদ ও আবূ ইয়ালা আবূ সাঈদ (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন মহান ও পরাক্রমশালী প্রতিপালক বলবেন, “আজ শীঘ্রই হাশরের ময়দানে সমবেতগণ জানতে পারবে কে উচুমনা।” বলা হল, “হে আল্লাহ্র রাসূল! কে সে উচুমনা ব্যক্তি?” তিনি বললেন, “মসজিদ সমূহে আল্লাহর যিকিরের মজলিসে অংশগ্রহণকারীগণ।”এ হাদীসটি আহমদ ও আবূ ইয়ালা আবূ সাঈদ (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
এই ব্লগে পবিত্র শবেবরাত এর পক্ষে বহু লেখক প্রচুর হাদিস উপস্হাপন করেছেন।তারপরও এখণও তারা পবিত্র শবেবরাতকে বেদাততো বলছেই বরং এই রাত্রে নফল নামাজপড়াকেও তারা বেদাত বলতে ছারছেন না।
পরিশেষে আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে হেদা্যেত দান করুন ।আমিন । ।
আপনার এই সুন্দর এবং উত্তম লিখার উসীলায় আল্লাহ পাক আপনাকে সর্বোত্তম জাযা দান করুন। আমি আপনার কথাগুলোর সাথে সম্পুর্নভাবে একমত পোষন করি।
@mehroma,আপনাকেও ধন্যবাদ।
ওয়াবী বলে আপনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন? পরিস্কার করে বললে উপকৃত হতাম।
@রাসেল আহমেদ, আপনি কি জেগে ঘুমাছ্ছেন নাকি ?এখনও ওহাবি সালাফি চিনেন না।তা না হলে লিখটি ভালভাবে পড়েন। বেশী কষ্ট হলে নিচের অংশটুকু পড়লেও কিছু বুঝবেন ইনশাআল্লাহ।আল্লহপাক আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন ও বাতিল সব মতাবলম্বিদের হাত থেকে হেফাযত রাখুন ।আমিন।
”যুগ যুগ ধরে প্রত্যন্ত অন্চল সমুহেও যারা ইসলামের আলো জালিয়ে রাখার ওসিলা হিসেবে কাজ করেছেন তাদের দোষ ত্রুটি ধরার জন্য এই ওহাবি সালাফিদের উদ্ভব হলো কিভাবে ?
একথা নিশ্চিত যে তাদের ধারক বাহক বর্তমান আরব রাজা বাদশাহরা,বিশেষ করে সৌদি বাদশাহ।আর এই বাদশাহদের কর্ম কান্ড সম্পর্কে মোটামোটি সবাই অবহিত ।তারা কখনো কি ভাল বা ইসলামের পক্ষে কাজ করবে এমন কেউকে কি শিক্ষা মন্ত্রির দায়িত্ব দিবেন ? আর যদি না দিয়ে থাকেন সেই সব মন্ত্রিরা কি কখনো স্কুল ,কলেজ,মাদ্রাসা বা ইউনিভারসিটিতে ইসলামের পক্ষে কাজ হবে, যাতে করে নাকি তাদের ক্ষমতা যেতে পারে এমন কোন ভাল সিলেভাস দিবেন ? বা এরকম ইসলামের পক্ষে কাজ করবে এমন ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য দিবেন ? কক্ষনই নয়।বর্তমান আওয়ামী লিগ সরকারের দিকে লক্ষ করলেই বেপারটা সোজা হয়ে যাবে ? এই সরকার কি কখনো ভালো আলেম কে শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িছ্ব দিবে ? বা এরকম ইসলামের পক্ষে কাজ করবে এমন ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য দিবেন ? এরা তাদেরকেই সাহায্য করে যারা তাদের মন মত কাজ করবে বা তাদের ‘খয়ের খা’ হবে। আর একজন নীতিবান লোক এসকল রাজা বাদশাহদের গুন গান তো দুরের কথা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াকেউ অনৈতিক মনে করবে। ইমাম আবু হানিফা রা: এদের চেয়েও অনেক ভাল বাদশাহর প্রস্তাবিত প্রধান বিচারকের দায়িত্বও গ্রহন করেন নি।বিনিময়ে তাকে জেল খাটতে হয়েছে।কিন্তু কোন সময়ই মীর জাফরদের অভাব হয়নি, তাই সৌদী বাদশাহদের মাদ্রাসায়ও ছাত্রের অভাব হয়না।বা তাদের অর্থ সাহায্য পাওয়ার জন্য মাদ্রাসার যে কোন সিলেবাস গ্রহন করতেও অসুবিধা হয় না।বিনিময়ে যা হবার তাই হচ্ছে।এরা ইসলামের পক্ষে কাজ না করে এই সব রাজা বাদশাহদের যারা চক্ষুশুল ও যাদের ওসিলায় আল্লাহ পাক দেশে দেশে ইসলামের পতাকা জিয়িয়ে রেখেছেন তাদের কে আঘাত করাই এই ওহাবি সালাফিদের মুল লক্ষ।তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডকে বেদাত বলা বা তাদের প্রচারিত বিভিন্ন হাদিসকে জাল বলতেও দিধা করে না।আর এই ওয়াবী সালাফিদের সাথে কাদিয়ানি,মোতাজিলা,শিয়া সহ বিভিন্ন বাতিল ফেরকার লোক তো আছেই।এদের কাছে মোসলমানদের নফল নামাজ,জিকির আসকার ,রসুল পাক সা: এর প্রতি মহব্বত ইত্যাদি বেদাত।কিন্তু খাট করে দাড়ি রাখা বা মসজিদে সুন্নত বা নফল নামাজ না পড়ে মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন দোকানে ঘুরে বেড়ান শ্রেয়।এরা নিজেরাতো আরাম আয়াসের বেঘাত না করে কোন এবাদত বন্দেগি করবেই না বরং অন্য কোন মোসলমান তা করতে গেলে বেদাত বলে উড়িয়ে দিবে। এরা নিজেদের জানা মতে রসুল পাক সা: ও সাহাবী রা; গন যাহা করেন নি তাকেই বেদাত বলবে। অথচ অন্য কেউ এ বিষয়ে জেনে কোন আমল করলেও বেদাত বলবে বা অস্বীকার করবে।
এদেশে দ্বীন প্রচারে আউলিয়া কেরামের ভূমিকা অনেক বেশি, সুতরাং উনাদের অবজ্ঞা করা হয় এমন কথা বলা কখনো উচিৎ হবেনা। আপনাকে ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে যাদেরকে সাধারণত ওহাবী বলা হয় তাদের সাথে আপনার লেখার ওয়াহাবিদের সাথে মিল নাই।