আল্লাহর জিকিরের উপকারিতা -
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ মঙ্গলবার, অগাষ্ট ১৬, ২০১১ (১০:৩০ অপরাহ্ণ)
প্রখ্যাত হাদিসবেত্তা হাফেজ ইবনে কায়্যিম জিকিরের উপকারিতা বিষয়ে রচিত তার ”আল ওয়াবিলুছ ছায়্যিব ” নামক গ্রন্থে সবিস্তার আলোচনা করেছেন।লিখেছেন।জিকিরের মধ্যে রয়েছে একশতটিরও বেশী উপকারিতা।সেখান থেকে ৭৪টি উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে-
১। আল্লাহর জিকির শয়তানকে তাড়িয়ে দেয় ও তার শক্তি খর্ব করে।
২। জিকির আল্লাহর পরিতোষ লাভের উপায়।
৩।হ্রদয়ে বা মনের বিষন্নতা দুর করে।
৪।মনে আনে আনন্দ।
৫।উজ্জীবিত ও প্রফুল্ল রাখে হ্রদয় বা মন ও শরীরকে।
৬।চেহারা ও অন্তরকে করে জ্যোতির্ময়।
৭।উত্তম রিজিক আকর্ষন করে।
৮।জিকিরকারীকে প্রভাব ও প্রশান্তির পোশাক পরানো হয়।তাকে দেখলে সমীহবোধ যেমন জাগে,তেমনি জাগে ভালোবাসা।
৯।হ্রদয় বা মন ভরে দেয় আল্লাহর ভালবাসায়।
১০।জিকিরের দ্বারা লাভ হয় মোরাক্বাবা(ধ্যনমগ্নতা) যা পৌছে দেয় এহসানের স্তরে।
১১।সকল বিষয়ে আল্লাহই হন একমাত্র আশ্রয়স্হল।
১২।লাভ হয় আল্লাহর নৈকট্য।
১৩।খুলে যায় মারেফাতের দরজা।
১৪।অর্জিত হয় আল্লাহর ভয়।
১৫।আল্লাহ তাকে স্বরন করেন।(তোমরা আমাকে স্বরন কর , আমিও তোমাদেরকে স্মরন করবো-সুরা বাকারা-১৫২ )
১৬।দিলকে জিন্দা করে।
১৭।জিকির হচ্ছে ক্বলব(মন) ও রুহের(আত্না) আহার।
১৮।ক্বলবের মরিচা দুর করে।
১৯।দুর করে দেয় ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ভুলভ্রান্তি।
২০। দুর করে দেয় গাফিলতি বা অমনোযোগিতা।
২১।বান্দা যে জিকির আজকার করে, তা আরশের চতুর্দিকে ওই বান্দার
জিকির করে ঘুরতে থাকে।
২২।সুখের সময় যে আল্লাহর জিকির করে ,তার দুঃখের সময় আল্লাহ তাকে স্মরন করে।
২৩।জিকির আল্লাহর আযাব থেকে নাজাতের ওসিলা।
২৪।জিকিরের কারনে সাকিনা অবতীর্ন হয়।
২৫।জিকিরের বরকতে জবান,গীবত,চোগলখুরী,অসত্য ও অনর্থক কথা থেকে নিরাপদ থাকে।
২৬।জিকিরের মজলিস হচ্ছে ফেরেশতাদের মজলিস।
২৭।জিকিরের বদৌলতে জিকিরকারীর সঙ্গীসাথিরাও সৌভাগ্যবান হয়।
২৮।কিয়ামতের দিন জিকিরকারীদের কোন আক্ষেপ থাকবে না।
২৯।ক্রন্দনকারী -জিকিরকারী কিয়ামতের দিনে আল্লাহর আরসের ছায়ায় আশ্রয়লাভ করবে।
৩০।দোয়াকারীগনের চেয়ে জিকিরকারীদের অধিক প্রাপ্তি হবে।
হাদিসে কুদসিতে বর্নিত হয়েছে,আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা এরশাদ করেন,আমার জিকিরের কারনে যে দোয়া করার ফুসরত পায় না,আমি তাকে দোয়াকারীদের চেয়ে বেশী দান করি।
৩১।সবচেয়ে সহজ এবাদৎ হওয়া সত্বেও জিকির সকল এবাদতের চেয়ে উ্ত্তম।
৩২।আল্লাহর জিকির জান্নাতের ছায়াগাছ।
৩৩।জিকিরের জন্য যে প্রতিদান ও পুরুস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে,অন্যকোন আমলের জন্য সেরকম প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়নি।হাদিস শরীফে বলা হয়েছে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউহয়ী ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন কাদির’, এই দোয়া যদি কেউ দিনে একশতবার পাঠ করে,তবে তাকে দেয়া হয় দশজন কৃতদাস মুক্ত করে দেয়ার সওয়াব,তার আমলনামায় লিখে দেয়া হয় একশত নেকি এবং গুনা মাফ করে দেয়া হয় একশতটি।আর সন্ধা পর্যন্ত সে শয়তানের আক্রমন থেকে হেফাজতে থাকে।
৩৪।নিজের কল্যানের কথা ভুলে যাওয়ার বিপদ থেকে রক্ষা করে।রোধকরে ক্বলবের মৃত্যুকে।
৩৫।জিকির মানুষের অশেষ উন্নতি সাধন করে।যার ক্বলব জিকিরে জাগ্রত,তার নিদ্রিত অবস্হাও গাফেল রাত্রী জাগরনকারীর চেয়ে উত্তম।
৩৬।জিকিরের নুর দুনিয়ায় সঙ্গে থাকে, সঙ্গে থাকে কবরেও।আর পুলসিরাতে চলতে থাকবে আগে আগে।রসুল পাক সাঃ এই নুরের জন্যই প্রার্থনা করতেন এভাবে, – হে আমার আল্লাহর ! আমার মাংশে ,অস্হিতে,চর্মে,পশমে,কানে,চোখে,উপরে,নিচে,ডানে,বামে,সন্মুখে , পশ্চাতে নুর দান কর।আরো বলতেন,আমার আপাদমস্তক নুরে ভরপুর করে দাও।
৩৭।জিকির তাসাউফ শাস্রের মৌলিক বিষয় গুলির মুল।সকল তরিকার পীর মুর্শিদগন এব্যাপারে একমত।যার জন্য জিকিরের দার উন্মুক্ত হয়েছে,তার জন্য খুলে গিয়েছে মারেফাতের পথ।
চলবে ইনশাআল্লাহ –
শুকরিয়া , জাযাকাল্লাহ।
@এম এম নুর হোসেন, লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, আরো জানতে এখানে দেখুন- http://www.hakimabad.com/webcontent/eBook/Text/68.%20e-Book%20ALLAHR%20ZIKIR.pdf
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুবই উপকারী লেখা।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এধরনের লেখা আরো পাব।