লগইন রেজিস্ট্রেশন

সাবধান ! ফিতনা ফাসাদ উদ্ভব এর সঠিক দিক নির্দেশনা !

লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ শনিবার, ডিসেম্বর ২৯, ২০১২ (২:২৮ পূর্বাহ্ণ)

(উল্লেখ্য নজদ এর বর্তমান নাম হচ্ছে সৌদীর রিয়াদ শহর)
জনৈক পাঠক রসুল পাক সাঃ এর একটি মাত্র হাদীস বর্ননা করেই ফিতনা ফাসাদের দিক নির্নয়ের ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন বিধায় এ বিষয়ে আরো হাদীস সমৃদ্ধ একটি বই ( http://www.mediafire.com/view/?vvzhy248nd4jl7g ) পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করবো।আশা করি চতুর গবেষক সহ সকলের ফিতনা ফাসাদের সঠিক দিক নির্নয়ে সহায়তা হবে। তাছাড়া এ বিষয়ে পুর্বে লেখা আমার এই http://www.peaceinislam.com/deshi432/13431/ লেখাটিও পড়ার অনুরুধ রইলো সবার কাছে।

আরো কিছু প্রমান দেখুন -

পরিশেষে আবারো দোয়া করি আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক পথে ঐক্যবদ্ধ হওহার তৌফিক দান করুন ও বাতিল সকল পথ ও মত ধ্বংস করে দিন।আমিন।

Processing your request, Please wait....
  • Print this article!
  • Digg
  • Sphinn
  • del.icio.us
  • Facebook
  • Mixx
  • Google Bookmarks
  • LinkaGoGo
  • MSN Reporter
  • Twitter
৬৫৬ বার পঠিত
1 Star2 Stars3 Stars4 Stars5 Stars ( ভোট, গড়:০.০০)

৫ টি মন্তব্য

  1. ভালোই ছবি দিয়েছেন

    দেশী৪৩২

    @kawsartex, আপনার ভালো লাগনো না দুঃখ লাগলো তাতো কিছুই বুঝলাম না ।নিচের ভিডিও ২টা দেখলে হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।ধন্যবাদ।

    ১। http://www.youtube.com/watch?NR=1&v=dpWEdLwG2rM&feature=endscreen
    ২। http://www.youtube.com/watch?v=0llbuRpF-_g

  2. আমার উপর অভিযোগ করা হলো আমি নাকি একটি হাদীস দিয়েই অপব্যাখ্যা করে একটি পোস্ট দিয়েছি । অথচ এই পোস্ট অপব্যাখ্যার একটি উজ্জল প্রমাণ । আপনি যে হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে এতগুলি ছবি ব্যবহার করে পোস্ট দিয়েছেন বুখারীর বিশ্বসেরা ভাষ্যগ্রন্থ ফাতহুল বারী সে কথা বলছে না । তারা বলছে ইরাকের নজদের কথা । ফাতহুল বারী অন্য একটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে নাবী (সাঃ) অন্য হাদীসের ইরাকের দিকে ইংগিত করে বলেছেন , ঐদিকে ফিতনা ফাসাদ এবং শয়তানের শিং বের হবে । সত্যসন্ধানী ভাইদের ফাতহুল বারী দেখে নেয়ার জন্য বলছি । আর আমি আল্লাহর কাছে কামনা করছি – হে আল্লাহ ! আমাকে তুমি সিরাতুল মুসতাকিমের পথে পরিচালিত করা , আমাকে উপকারী জ্ঞান দান কর । আমীন ।

    Monzil

    @ABU TASNEEM, শুধু অপব্যাখ্যা নয়, জালিয়াতি, মিথ্যাচারসহ যাবতীয় শয়তানী সভাব ও কর্ম, আপনাদের নিজস্ব সম্পত্তি। কারণ শয়তানের আরেক নাম শেখ নজদী। জানা আছে নিশ্চয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করার পরিকল্পনাকারী ছিল শেখ নজদী বেসী খোদ শয়তান। তাই শেখ নজদী তথা ইবনে আবদুল ওহাব ও তার অনুসারীদের মধ্যে এই স্বভাবগুলি অকৃত্বিম ভাবেই বিদ্যমান।

    ফাতহুল বারীর লেখক ইবনে হাযার আসকালানির (রহঃ) নিরানব্বই ভাগ কথাই আপনারা মানেন না। মানেন শুধু আপনাদের অপব্যাখ্যার পক্ষে যদি কোন দলিল পাওয়া যায়, সেইটি। উদাহরণ স্বরূপ, উনি সাফি মাজহাব পন্থী ছিলেন আর আপনারা লা-মাজহাবী, ওনি নিরাকার আল্লাহ্ তা’য়ালাতে বিশ্বাসি ছিলেন আর আপনারা আকৃতিধারী কোন এক মুর্তির পূজা করে যাচ্ছেন দিনে পাঁচবার। এই রকম হাজারো বিষয়ে আপনারা ওনার বিরোধিতা করেন।

    যাইহোক মূল বিষয়ের দিকে আসি, ইবনে হাযার আসকালানির (রহঃ) মৃত্যু ৮৫২হিঃ। অতএব মরুভূমীর মধ্যখানে একদম অনউল্যেখযোগ্য একটি স্থানে, এই দীর্ঘ সময়ের ব্যাবধানেও এই হাদিস শরীফের প্রতিফলন না দেখে ধারণা করেছিলেন যে, হয়ত নজদ বলতে অন্যকোন স্থান বুঝায়ে থাকতে পারেন।এইটা ছিল ওনার শুধুই

    ধারণা

    এবং যার উপর ভিত্তি করেই ইরাকের

    ব্যাখ্যা

    দিয়েছিলেন। অতএব এইটা ছিল ব্যাখ্যা যার মূল ছিল ওনার

    নিজস্ব ধারণা

    । কিন্তু যখন বারশ হিজরিতে ইবনে আবদুল ওহাব নজদী তার খারেজী মতবাদ নিয়ে আবির্ভাব হল, তখন পুর্ব-পশ্চীম, উত্তর-দক্ষিণের সমস্ত ওলেমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল এই হাদিস শরীফের প্রকৃত অর্থ।শত শত কিতাব লিখা হল এই বিষয়ে, এমনকি তার ভাই সূলায়মান ইবনে আবদুল ওহাব (রহঃ) ও কিতাব লিখলেন তার খারেজী মতবাদ খন্ডন করে।এছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদ বলতে যে নজদই বুঝায়েছেন, সেই বিষয়েও সহি হাদীস আছে অনেক।যথাস্থানে উল্ল্যেখ করা হবে।

    যে কেউ দেখে নিতে পারেন গুগল ম্যাপে, মদিনা শরীফ থেকে পূর্বদিকে একটি সরলরেখা টানলেই সেইটা গিয়ে মিলবে শেখ নজদীর জন্মস্থান ইয়ামামা ও তার প্রচারের স্থান দারিয়া, নজদে। একদম নাক বরাবর।

  3. সৌদি আরব সহ গালফের সকল ক্ষমতাসীন এবং আমাদের এ অঞ্চলের রাজনীতি জীবিরা সকলেই পাশ্চাত্যের গোলাম। ইংরেজ এই গোলামীর ভবিষ্যদ্বানী করে গেছে আরো দুশো বছর আগে। আর সামনেও কত সময় এই গোলামী চলবে তা বলা যায়না। এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সবর ও সর্বাত্মক জিহাদের প্রয়োজন রয়েছে যাতে রাষ্ট্রীয় নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা যায়। আফগান,সোয়াত ও মধ্য আফ্রিকা এবং সম্প্রতি আরব বিশ্বের মিসর- সুদানে এই নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে পারছে। এবং ইসলামী সঠিক মুল্যবোধের জাগরনে প্রতিটি মুসলিম দেশেই বড় আকারে সম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তির জাগরন উদ্ভাসিত। তবে মধ্যপ্রাচ্যের এবং ভারতীয় উপমহাদেশের এই রাজনৈতিক নির্ভরশীলতার এর অর্থ এই নয় যে, আপনার এই রাজনৈতিক চরিত্রের কারনে বেসিক্যাল ঈমান আক্বীদা সব গেল।

    ” আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদী” ইরাক থেকে সৌদি আ্শ্রয় নিয়েছিলেন, যেমনি ইবনে তাইমিয়া রহ: এমন অনেক ব্যাক্তিত্ব, নিজ দেশের ফিৎনার সময় হেজাযে আশ্রয় চেয়েছেন। বর্তমান সৌদি আরবের ঐতিহাসিক নাম হেজায, নজদ নয়। নজদ ইরাক অঞ্চল। নজদের ব্যাপারে যেমন উক্ত হাদীস পেশ করছেন, তেমনি আবার বিপরীতমুখী হাদিস ও পাবেন। ইমাম আবু হানিফা ইরাকের। পারস্য অঞ্চলের সালমান ফারসী রযি এর গোষ্ঠীর ব্যাপারে জ্ঞান দ্বীনের ইলমের কথা বহু হাদীসে আছে। সুতরাং এসব আঞ্চলিকতা ইসলাম সমর্থন করে না।
    আল্লামা ইকবাল এর লেখায় এবং তার দেখায় আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদী সাহেবের ব্যাপারে ভাল ধারনাই পাওয়া যায়, দি রোড টু মক্কার লেখক ইহুদী থেকে মুসলিম হওয়া মুহাম্মদ আসাদের বক্তব্য ও পড়তে পারেন, এরা সালাফি ঘরনা লেখক নয়, এবং এরা দুজনই নজদীকে দেখেছেন।
    তবে এ কথা সত্য যে, কথিত সালাফি গোষ্ঠি ইবনে তাইমিয়া ও নজদীর নাম করে সৌদি আরবের বিশেষ পরজীবি সুবিধা ভোগ করে,, আর সৌদি রাজ পরিবার ও এ গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে “জিহাদ” কিত্বাল” বিরোধী বিতর্কিত স্বার্থ জড়িত ফতোয়া ও স্টীম চালিয়ে যায়। সম্রাজ্যবাদের বিরোধী কোন জিহাদী জাগরণকেই এরা সহ্য করতে পারেনা।