রাসুল পাক (সাঃ) এর উপদেশ-
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ বুধবার, জুন ৯, ২০১০ (১২:৫২ পূর্বাহ্ণ)
আবু যর (রা) বলেন : আমি নিবেদন করলাম,ওগো আল্লাহর রসূল আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি আল্লাহকে ভয় করবার। কারণ এটাই তোমার সমস্ত কাজকে সৌন্দর্য দান করবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : কুরআন পাঠ এবং আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর বিষয়ে আলোচনাকে নিজের কর্তব্য কাজ বানিয়ে নাও। এতে আকাশে তোমায় নিয়ে আলোচনা হবে আর এটা পৃথিবীতে তোমার পথের আলো হবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : বেশী সময় নীরব থাকবে , কম কথা বলবে। এটা শয়তানকে তাড়াবার হাতিয়ার হবে এবং তোমার দীনের কাজের সহায়ক হবে।
আমি আরয করলাম , আমাকে আরো আদেশ দিন।
তিনি বললেন তিক্ত হলেও সত্য কথা বলব.
আমি বললাম , আমাকে আরো কিছু বলুন ।
তিনি বললেন : দরিদ্র লোকদের ভালোবাসবে এবং তাদের সাথে উঠাবসা করবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : তোমার নিজের মধ্যে যেসব দোষ ত্রুটি আছে , সেগুলোর দিকে তাকাও । অন্যের মধ্যে যে দোষ ত্রুটি আছে তা খুজে বেড়ানো এবং বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকো।
অতপর তিনি আমার বুকে হাত মেরে বললেন , আবু যর ! কর্মকৌশল ও কর্মপ্রচেষ্টার চাইতে বড় বুদ্ধিমত্তা আর নেই। হারাম ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার চেয়ে বড় বীরত্ব কিছু নেই। আর সুন্দর ব্যবহারের চাইতে বড় কোনো ভদ্রতা নেই। [ ইবনে হিব্বান ]
সঠিক পথে চলো :-
আমার প্রভু আমাকে নয়টি নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো :
১. গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করতে ,
২. সন্তুষ্টি এবং অসন্তুষ্টি উভয় অবস্থাতে ন্যায় কথা বলতে ,
৩. দারিদ্র ও প্রাচুর্য উভয় অবস্থাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে ,
৪. যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে , তার সাথে সম্পর্ক জুড়তে,
৫. যে আমাকে বঞ্চিত করে , তাকে দান করতে ,
৬. যে আমার প্রতি অবিচার করে , তাকে ক্ষমা করে দিতে ,
৭. আমার নীরবতা যেনো চিন্তা গবেষণায় কাটে ,
৮. আমার কথাবার্তা যেনো হয় উপদেশমূলক ,
৯. আমার প্রতিটি দৃষ্টি যেনো হয় শিক্ষা গ্রহণকারী ।
এ ছাড়া ও আমার প্রভু আমাকে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো :
১. আমি যেনো ভালো কাজের আদেশ করি এবং
২. মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করি। ( সহীহ বুখারী )
শিক্ষনীয় পোষ্ট। ধন্যবাদ।
আলহামদোলিল্লাহ। শুকরিয়া। সুন্দর পোষ্ট।