সুন্নাত মোতাবেক কাজ !
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ রবিবার, জুন ১৩, ২০১০ (৫:০৫ অপরাহ্ণ)
আতা (রহ) থেকে আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা•)-র সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা দুই ব্যক্তি সফরে বের হয়। পথিমধ্যে নামাযের সময় উপনীত হওয়ায় তারা পানি না পাওয়ায় তায়াম্মুম করে নামায আদায় করে। অতঃপর উক্ত নামাযের সময়ের মধ্যে পানি প্রাপ্ত হওয়ায় তাদের একজন উযু করে পুনরায় নামায আদায় করল এবং অপর ব্যক্তি নামায আদায় করা হতে বিরত থাকে। অতঃপর উভয়েই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হয়ে এই ঘটনা বর্ণনা করল। (তিনি (সা•) বলেনঃ তোমাদের যে ব্যক্তি নামায পুনরায় আদায় করেনি সে সুন্নাত মোতাবেক কাজ করেছে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি উযু করে পুনরায় নামায আদায় করেছে তার সম্পর্কে বলেনঃ তুমি দ্বিগুণ ছওয়াবের অধিকারী হয়েছ। (আবু দাউদ শরীফ। হাদীস নং-৩৩৮)
হজ্বের সময় সুন্নত পালনের নামে কালো পাথরে হাজীদের যুদ্ধ ও মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় অন্যান্য হাজিদের কষ্ট দিয়ে সুন্নত পালনের নামে প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যেও মিনার পাদদেশে যোহর নামাজের সময় পর্যন্ত দলবেধে হাজিদেরে অপেক্ষা করতে দেখে এই হাদিসের মর্মবানী মর্মে মর্মে উপলব্দ্ধি করা যায়।
হজ্বের সময় কালো পাথরে চুমবন করা সুন্নত এবং ভিড়ের কারণে এটা করা জরুরি না কিনতু মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব বলে জানি এবং এটা করা জরুরি।
@mujib7,শয়তানকে পাথর মারা ওয়াজিব, কিন্তু ”জোহরের নামাজের পর পাথর নিক্ষেপ সুন্নত” লেখা একটা লিফলেট পেয়ে আমাদের দলের সবাই দুপুর ১২টার পুর্বে মিনায় পৌছেও জোহরের আজানের জন্য ভিরের মধ্যেও আমার অনিচ্ছা সত্ত্যেও শয়তানের কাছে গিয়ে সবাই দাড়িয়ে রইলাম।লক্ষ্য করলাম আরো শত শত হাজি অপেক্ষা করছে জোহরের আজানের অপেক্ষায়। পাশ দিয়ে অন্যান্য হাজিরা কষ্ট করে পাথর নিক্ষেপ করছিল আর ধিক্কার দিচ্ছিল দাড়িয়ে থাকাদের। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন ও ইসলামের সঠিক পথে ও সঠিক নিয়তে চলার তৌফিক দান করুন।আমিন। ।