সুনান আবু দাউদ হতে চয়িত “হাদীস সংকলন” – ৪
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ মঙ্গলবার, অগাষ্ট ১০, ২০১০ (১০:৩২ অপরাহ্ণ)
৭৬। আবু বুরদা ইবন আবু মূসা আল-আশআরী (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা•) আমাকে বলেন- আপনি আপনার পিতাকে জুমুআর দিনের বিশেষ মুহূর্তটি সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, আমি আমার পিতার সূত্রে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (স•) বলেনঃ “এই বিশেষ মুহূর্তটি হল ইমামের খুতবা দানের জন্য মিম্বরের উপর বসার সময় হতে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত”। (হাদীস নং-১০৪৯)
৭৭। হযরত আবুল জাদ আদ-দামিরী (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি বিনা কারণে অলসতা হেতু তিনটি জুমুআর নামায পরিত্যাগ করে আল্লাহ তার অন্তরের উপর মোহর মেরে দেন (যাতে কোন মঙ্গল তাতে প্রবেশ করতে না পারে, ফলে তাতে কল্যাণ ও বরকত প্রবেশের দ্বার বন্ধ হয়ে যায়)। (হাদীস নং-১০৫২)
৭৮। কুদামা ইবন ওয়াবারাহ (রা•) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তির বিনা কারণে জুমুআর নামায পরিত্যক্ত হবে, সে যেন এক দিরহাম বা অর্ধ- দিরহাম অথবা এক সা’ গম, বা অর্ধ-সা গম আল্লাহর ওয়াস্তে সদকা করে। (হাদীস নং-১০৫৪)
৭৯। হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা•) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ যারা জুমুআর নামাযের আযান শুনতে পাবে তাদের উপর জুমুআর নামায আদায় করা ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক)। (হাদীস নং-১০৫৬)
৮০। হযরত নাফে (রহ•) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত ইবন উমার (রা•) শীত ও বায়ু প্রবাহের রাতে নামাযের আযানের পর বলেন, শুনে নাও! তোমরা স্ব-স্ব অবস্থানে নামায আদায় কর। অতঃপর তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচণ্ড শীত অথবা বৃষ্টির রাতে মুআযযিনকে স্ব-স্ব অবস্থানে নামায আদায় করার ঘোষণা দিতে বলতেন। (হাদীস নং-১০৬৩)
৮১। আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ (র) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন একদা হযরত ইবন আব্বাস (রা•) বৃষ্টির দিনে তাঁর মুআযযিনকে বলেন, তুমি “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ” বলার পর ‘হাইয়্যা আলাস সালাত” বল না, বরং বলবে- ‘সাল্লু ফী বাইতিকুম’ (তোমরা নিজ নিজ ঘরে নামায আদায় কর)। এতদশ্রবণে লোকেরা তা অপছন্দ করেন। তখন তিনি বলেন, তা আমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি করেছেন। জুমুআর নামায আদায় করা ওয়াজিব। এরূপ বৃষ্টি-বাদলের মধ্যে হেটে এসে তা আদায় করবার জন্য তোমাদেরকে বাধ্য করতে আমি পছন্দ করি না। (হাদীস নং-১০৬৬)
৮২। হযরত আইয়াস ইবন আবু রামলা আশ- শামী (র•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) হযরত যায়েদ ইবন আরকাম (রা•) কে কিছু জিজ্ঞাসা করার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তিনি (মুআবিয়া) বলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে তাঁর সাথে ঈদ ও জুমুআ একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে দেখেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, তিনি (স) কিরূপে তা আদায় করেন ? তিনি বলেন, নবী করীম (স•) প্রথমে ঈদের নামায আদায় করেন, অতঃপর জুমুআর নামায আদায়ের ব্যাপারে অবকাশ প্রদান করে বলেনঃ যে ব্যক্তি তা আদায় করতে চায়, সে তা আদায় করতে পারে। (হাদীস নং-১০৭০)
৮৩। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহইয়া (রহ•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কারো পক্ষে বা তোমাদের পক্ষে সম্ভব হলে- নিজেদের সচরাচর পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া- জুমুআর নামাযের জন্য পৃথক দু’টি কাপড়ের ব্যবস্থা করে নেবে। ইমাম আবু দাউদ (রহ•) বলেন, আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, ইবন সালাম (রা•) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উপরোক্ত হাদীছ মিম্বরের উপর বসে বলতে শুনেছেন। (হাদীস নং-১০৭৮)
৮৪। আবু হুরায়রা (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ইমামের খুতবা দেয়ার সময় যদি তুমি কাউকে চুপ থাকতেও বল, তবে তুমি বেহুদা কাজ করলে। (হাদীস নং-১১১২)
৮৫। আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা•) বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মসজিদে তিন প্রকারের লোক হাজির হয়ে থাকে। এক ধরনের লোক মসজিদে উপস্থিত হয়ে এদিক-ওদিক ঘুরাফেরা করে এবং অনর্থক কথা বলে। আর এক ধরনের লোক মসজিদে হাজির হয়ে খুতবার সময় দু‘আ ইত্যাদিতে মশগুল থাকে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে এদের দু‘আ কবুল করতে পারেন এবং নাও করতে পারেন। আর এক ধরনের লোক মসজিদে হাজির হয়ে খুতবা পাঠের সময় নিশ্চুপ থাকে এবং অন্যের ঘাড়ের উপর দিয়ে চলাফেরা করে না এবং অন্যকে কষ্ট দেয় না। এই ব্যক্তির জন্য বিগত জুমুআ হতে এ পর্যন্ত এবং সামনের তিন দিনের জন্য এই নীরবতা কাফফারা স্বরূপ হবে। তা এইজন্য যে, আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেছেনঃ “যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করবে সে তার বিনিময়ে এর দশগুণ ছওয়াব পাবে।” (হাদীস নং-১১১৩)
৮৬। আয়েশা (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ যখন নামাযের মধ্যে তোমাদের কারো হাদাছ হয় (উযু নষ্ট হয়) তখন সে যেন তার নাক ধরে বের হয়ে যায় (নাক ধরা উযু নষ্টের পরিচায়ক)। (হাদীস নং-১১১৪)
৮৭। ইবন উমার (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যদি মসজিদে কোন ব্যক্তি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়, তবে সে যেন স্বীয় স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র সরে বসে। (হাদীস নং-১১১৯)
৮৮। আবু হুরায়রা (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকাত পেল, সে যেন সম্পূর্ণ নামায প্রাপ্ত হল। (হাদীস নং-১১২১)
৮৯। নাফে ইবন যুবায়ের (রহ•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমর ইবন আতা (রহ•) তাঁকে সায়েব (রা•)-র খিদমতে এই সংবাদসহ পাঠান যে, আপনি নামায আদায়কালে মুআবিয়া (রা) আপনাকে কি করতে দেখেছেন? তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদের মেহরাবে তাঁর সাথে জুমুআর নামায আদায় করি। নামাযের সালাম ফিরাবার পর আমি স্বস্থানে অবস্থান করে নামায আদায় করি। এ সময় মুআবিয়া (রা) তাঁর ঘরে গিয়ে আমার নিকট সংবাদ পাঠান যে, তুমি এখন যেরূপ করেছ এরূপ আর কখনও করবে না। জুমুআর ফরয নামায আদায়ের পর, স্থান না বদলিয়ে বা কথা না বলে পুনঃ নামাযে দাঁড়াবে না। কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ কেউ যেন এই নামাযের (ফরয) সাথে অন্য নামায না মিলায়, যতক্ষণ না সে ঐ স্থান ত্যাগ করে বা কথা বলে। (হাদীস নং-১১২৯)
৯০। উম্মে আতিয়্যা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামাযে যাওয়ার জন্য মহিলাদের নির্দেশ দেন। এ সময় তাঁকে হায়েযগ্রস্ত মহিলাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ ওয়ায নসীহতে ও দু‘আয় তাদেরও হাযির হওয়া উচিত। এ সময় এক মহিলা বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! শরীর ঢেকে ঈদের নামাযে যাওয়ার মত কাপড় যদি কারো না থাকে তবে সে কি করবে? তিনি বলেনঃ তার সাথী মহিলার অতিরিক্ত কাপড় জড়িয়ে যাবে। (হাদীস নং-১১৩৬)
৯১। হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ঈদের দিনে মারওয়ান খুতবা দেয়ার উদ্দেশ্যে মিম্বর স্থাপন করেন এবং নামাযের পূর্বেই খুতবা দেওয়া শুরু করেন। তখন জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেন, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাতের বরখেলাপ করছ। তুমি ঈদের দিনে মিম্বর বাইরে এনেছ, যা ইতিপূর্বে কখনও করা হয়নি এবং তুমি নামাযের পূর্বে খুতবা দিয়েছ। তখন আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা) বলেন, এই ব্যক্তি কে? তারা বলেন, অমুকের পুত্র অমুক। তিনি বলেন, সে তার দায়িত্ব পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন শরীয়াত বিরোধী কোন কাজ হতে দেখে, তখন সম্ভব হলে তাকে হাত (শক্তি) দ্বারা বাঁধা দিবে। যদি হাত দ্বারা তাকে বাঁধা দেয়া সম্ভব না হয় তবে মুখ দ্বারা বলবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে তাকে অন্তরে খারাপ জানবে এবং এটা দুর্বলতম ঈমানের পরিচায়ক। (হাদীস নং-১১৪০)
৯২। আবদুল্লাহ ইবনুস সায়েব (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদের নামায আদায় করি। নামায শেষে তিনি বলেনঃ আমি এখন খুতবা দেব। যে তা শুনতে চায়, সে যেন বসে থাকে এবং যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে। (হাদীস নং-১১৫৫)
৯৩। ইবন উমার (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামায আদায়ের জন্য এক রাস্তা দিয়ে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন করতেন। (হাদীস নং-১১৫৬)
৯৪। ইবন আব্বাস (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল-ফিতরের নামায আদায়ের জন্য রওনা হয়ে দুই রাকাত ঈদের নামায আদায় করেন। তিনি তার আগে বা পরে কোন নামায আদায় করেননি। অতঃপর তিনি বিলাল (রা)- কে সংগে নিয়ে মহিলাদের নিকট যান এবং তাদেরকে দান- খয়রাতের নির্দেশ দেন। মহিলাগণ তাদের কানের বালা ও গলার হার দান-খয়রাত করেন। (হাদীস নং-১১৫৯)
৯৫। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ঈদের দিন বৃষ্টি হলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে নামায আদায় করেন। (হাদীস নং-১১৬০)
৯৬। আনাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসতিসকার নামাযে ব্যতীত অন্য কোন নামাযে হাত তুলে দু‘আ করতেন না। তিনি এই নামাযে হাত এত উপরে উত্তোলন করতেন যে, তাঁর বগলের নীচের সাদা অংশ দেখা যেত। (হাদীস নং-১১৭০)
৯৭। আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ চন্দ্র-সূর্যগ্রহণ কারও জন্ম-মৃত্যুর ফলে হয় না। যখন তোমরা তা এই অবস্থায় দেখবে, তখন আল্লাহর যিকির করবে, দু‘আ করবে এবং দান-খয়রাত করবে। (হাদীস নং-১১৯১)
৯৮। আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সফরে ও আবাসে দুই দুই রাকাত নামাযই ফরয করা হয়েছিল। অতঃপর সফরের সময়ের নামায ঠিক রাখা হয়েছে এবং আবাসের নামায বৃদ্ধি করা হয়েছে (তিন এবং চার রাকাতে)। (হাদীস নং-১১৯৮)
৯৯। ইবন আব্বাস (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় অবস্থানকালে ভয়ভীতি ও বৃষ্টি জনিত কারণ ছাড়াই যুহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশার নামায একত্রে আদায় করেছেন। ইবন আব্বাস (রা•)- কে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তাঁর উম্মাত যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হয় সেজন্য তিনি এরূপ করেছিলেন। (হাদীস নং-১২১১)
১০০। হাফস ইবন আসিম (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবন উমার (রা)-র সাথে সফরে গেলাম। তিনি পথিমধ্যে আমাদের সাথে দুই রাকাত (ফরয) নামায আদায় করেন। অতঃপর তিনি মুখ ফিরিয়ে দেখতে পান যে, কিছু সংখ্যক লোক দাঁড়িয়ে আছে। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ এরা কি করছে? আমি বললাম, তারা নফল নামায পড়ছে। তিনি বলেনঃ হে আমার ভ্রাতুস্পুত্র! যদি আমি নফল নামায আদায় করতে পারতাম তবে ফরয নামায চার রাকাতই আদায় করতাম। অতঃপর তিনি বলেন, বহু সফরে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সফরসংগী ছিলাম। কিন্তু আমি কখনও তাঁকে তাঁর ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত দুই রাকাতের অধিক নামায আদায় করতে দেখিনি। আমি (বহু সফরে) হযরত আবু বাকর (রা)-র সফরসঙ্গী ছিলাম, কিন্তু তাঁকেও তার ইনতিকালের পূর্ব পর্যন্ত দুই রাকাতের অধিক নামায পড়তে দেখিনি। তিনি আরও বলেন, আমি উমার (রা•) ও উছমান (রা)-র সফরসঙ্গী ছিলাম। কিন্তু তাদেরকেও তাদের ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত দুই রাকাতের অধিক নামায পড়তে দেখিনি। কেননা আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেছেনঃ “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে”। (হাদীস নং-১২২৩)