আবু দাউদ শরীফ থেকে চয়িত হাদিস সংকলন-৫
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ মঙ্গলবার, অগাষ্ট ১৭, ২০১০ (২:৪০ পূর্বাহ্ণ)
১০১। সালিম (রহ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যানবাহনের উপর থাকাকালে যে কোন দিকে মুখ ফিরিয়ে নফল নামায আদায় করতেন এবং বাহনের পিঠে অবস্থান করেই বেতরের নামাযও আদায় করতেন, তবে ফরয নামায আদায় করতেন না (ফরয নামায মাটিতে অবতরণ করে আদায় করতেন)। (হাদীস নং-১২২৪)
১০২। আনাস ইবন মালিক (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরকালনি সময়ে তাঁর বাহনের (উষ্ট্রীর) মুখ কিবলার দিকে থাকাবস্থায় নফল নামাযের নিয়ত করতেন, অতঃপর জন্তুযান যেদিকে মোড় নিত তিনি সেদিকে ফিরেই নামায পড়তেন। (হাদীস নং-১২২৫)
১০৩। আতা ইবন আবু রাবাহ (র) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি হযরত আয়েশা (রা)- কে জিজ্ঞাসা করেন, মহিলাগণ যানবাহনের উপর নামায পড়তে পারবে কি? তিনি বলেন, স্বাভাবিক অথবা অস্বাভাবিক কোন অবস্থাতেই তাদের জন্য এর অনুমতি নাই। রাবী মুহাম্মদ ইবন শুআয়ব (র) বলেন, এই নির্দেশ কেবলমাত্র ফরয নামাযের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। (হাদীস নং-১২২৮)
১০৪। হযরত উম্মে হাবীবা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি দৈনিক বার রাকাত নফল/সুন্নাত নামায আদায় করবে- এর বিনিময়ে আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্য বেহেশতের মধ্যে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। (হাদীস নং-১২৫০)
১০৫। আবদুল্লাহ ইবন শাকীক (র) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি হযরত আয়েশা (রা)- কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায (সুন্নাত/নফল) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, তিনি (স•) যুহরের পূর্বে ঘরে চার রাকাত নামায আদায় করতেন। অতঃপর বাইরে গিয়ে জামায়াতে নামায আদায় করতেন। পুনরায় ঘরে ফিরে এসে তিনি দুই রাকাত নামায আদায় করতেন। তিনি মাগরিবের ফরয নামায জামায়াতে আদায়ের পর ঘরে ফিরে এসে দুই রাকাত (সুন্নাত) নামায আদায় করতেন। তিনি (স•) জামায়াতে ইশার নামায আদায়ের পর ঘরে এসে দুই রাকাত নামায আদায় করতেন।
রাবী বলেন, নবী করীম (স•) রাতে বেতেরের নামায সহ নয় রাকাত নামায পড়তেন। তিনি (স•) রাতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে ও বসে (নফল) নামায পড়তেন। তিনি দাঁড়িয়ে কিরাআত পাঠ করলে রুকূ-সিজদাও ঐ অবস্থায় করতেন এবং যখন তিনি বসে কিরাআত পাঠ করতেন তখন রুকূ-সিজদাও ঐ অবস্থায় আদায় করতেন। তিনি সুবহে সাদিকের সময় দুই রাকাত (সুন্নাত) নামায আদায় করতেন। অতঃপর তিনি ঘর হতে বের হয়ে (মসজিদে গিয়ে) জামাআতে ফজরের নামায আদায় করতেন। (হাদীস নং-১২৫১)
১০৬। আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহুরের ফরযের পূর্বে চার রাকাত এবং ফজরের ফরযের পূর্বে দুই রাকাত নামায কখনও ত্যাগ করতেন না। (হাদীস নং-১২৫৩)
১০৭। আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামাযের পূর্বে দুই রাকাত নামায আদায়ের ব্যাপারে যে কঠোর নিয়মানুবর্তিতা পালন করেছেন তা অন্য কোন নামাযের (সুন্নাত বা নফল) ব্যাপারে পালন করেননি। (হাদীস নং-১২৫৪)
১০৮। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা কোন সময় ঐ দুই রাকাত নামায (ফজরের সুন্নাত) ত্যাগ করবে না, ঘোড়ায় তোমাদের পিষে ফেললেও। (হাদীস নং-১২৫৮)
১০৯। আবদুল্লাহ ইবন সারজিস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মসজিদে এসে দেখতে পায় যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামায়াত শুরু করে দিয়েছেন। লোকটি একাকী দুই রাকাত নামায পড়ার পর নবী করীম (সা•)- এর সাথে জামায়াতে শরীক হয়। নামায শেষে তিনি বলেনঃ তুমি কোন নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে এসেছ- যে নামায একাকী পড়েছ না যা আমাদের সাথে আদায় করেছ? (হাদীস নং-১২৬৫)
১১০। কায়েস ইবন আমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে পান যে, এক ব্যক্তি ফজরের ফরয নামায আদায়ের পর দুই রাকাত নামায আদায় করছে। মহানবী (সা•) বলেনঃ ফজরের নামায দুই রাকাত। তখন এ ব্যক্তি বলেন, আমি ইতিপূর্বে ফজরে দুই রাকাত সুন্নাত আদায় করতে পারিনি, তা এখন আদায় করছি। তার কথায় রাসূলুল্লাহ (স) নীরব থাকেন। (হাদীস নং-১২৬৭)
১১১। আবু আইয়ূব (রা•) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, যুহরের ফরয নামাযের পূর্বে এক সালামের সাথে যে ব্যক্তি চার রাকাত নামায পড়বে এর বদৌলতে তার জন্য আকাশের দরজাসমূহ উন্মুক্ত হবে। (হাদীস নং-১২৭০)
১১২। আবদুল্লাহ ইবনুল-মুযানী (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমরা যে ইচ্ছা কর মাগরিবের পূর্বে দুই রাকাত নামায আদায় করতে পার। তিনি দুইবার এরূপ বলেন এবং তিনি তা আদায়ে কঠোরতা না করার কারণ এই ছিল, যাতে লোকেরা এটাকে সুন্নাত হিসাবে মনে না করে। (হাদীস নং-১২৮১)
১১৩। আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল (রা•) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ দুই আযানের (আযান ও ইকামতের) মধ্যবর্তী সমযে যে ইচ্ছা করে, নামায আদায় করতে পারে। তিনি দুইবার এরূপ বলেন। (হাদীস নং-১২৮৩)
১১৪। আবু উমামা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক নামায আদায়ের পর হতে অন্য নামায আদায় করা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যদি কেউ কোনরূপ অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত না হয় তবে ঐ ব্যক্তির আমলনামা “ইল্লীন” নামক স্থানে সংরক্ষিত থাকবে। (হাদীস নং-১২৮৮)
১১৫। নবী করীম (সা)-এর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনই নিয়মিতভাবে চাশতের নামায পড়েননি। কিন্তু আমি তা আদায় করি এবং তিনি তা আমল করতে পছন্দ করলেও (মাঝে মাঝে) তার পরিত্যাগের কারণ এই ছিল যে, তিনি নিয়মিতভাবে আদায় করলে লোকদের উপর তা ফরয হয়ে যেতে পারে। (হাদীস নং-১২৯৩)
১১৬। সিমাক (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবের ইবন সামুরা (রা)- কে জিজ্ঞেস করি, আপনি কি অধিক সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থাকতেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি বহু সময় তাঁর সাথে থাকতাম। তিনি ফজরের নামাযের পর ঐ স্থানে সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে থাকতেন। অতঃপর সূর্য উপরে উঠলে তিনি ইশরাকের নামায আদায় করতেন। (হাদীস নং-১২৯৪)
১১৭। ইবন উমার (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দিন ও রাতের (নফল) নামায দুই দুই রাকাত। (হাদীস নং-১২৯৫)
১১৮। ইবন আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাচা আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব (রা)- কে বলেনঃ হে আব্বাস! হে আমার প্রিয় চাচা। আমি কি আপনাকে এমন একটি জিনিস দেব না যার মাধ্যমে আপনি দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন? যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আল্লাহ তা’য়ালা আপনার পূর্বাপরের সমস্ত গুনাহ মাফ করবেন। চাই তা প্রথম বারের হোক বা শেষ বারের পুরাতন হোক কিংবা নতুন হোক, ভুলেই হোক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে, বড়ই হোক অথবা ছোট, প্রকাশ্যেই হোক অথবা গোপনে- আপনি এই দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন, যদি আপনি চার রাকাত নামায নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে আদায় করেন। আপনি এর প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পর এর সাথে অন্য একটি সূরা মিলাবেন। অতঃপর যখন আপনি কিরাআত পাঠ শেষ করবেন তখন পনের বার দাঁড়ানো অবস্থায় এই দু‘আ পাঠ করবেনঃ ‘সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’। অতঃপর আপনি রুকূ করবেন এবং সেখানেও ঐ দু’আ দশবার পাঠ করবেন। পরে রুকূ হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু’আ দশবার পাঠ করবেন। অতঃপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন, পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু‘আ দশবার পাঠ করা পর্যন্ত বসে থাকার পর দাঁড়াবেন (দ্বিতীয় রাকাতের জন্য)। অতঃপর আপনি প্রতি রাকাতে এরূপ পঁচাত্তর বার ঐ দু‘আ পাঠ করবেন এবং এরূপে চার রাকাত নামায আদায় করবেন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয় তবে আপনি এই নামায দৈনিক একবার আদায় করবেন। যদি তা সম্ভব না হয় তবে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার; যদি তাও সম্ভব না হয় তবে প্রতি মাসে একবার; যদি তাও অসম্ভব হয়, তবে প্রতি বছরে একবার; যদি তাও সম্ভব না হয় তবে গোটা জীবনে অন্ততঃ একবার আদায় করবেন। (হাদীস নং-১২৯৭)
১১৯। হযরত কাব ইবন উজরা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী আব্দুল আশহালের মসজিদে মাগরিবের নামায আদায় করেন। তিনি (সজ্ঝ) এসে নামায শেষে তাদের দেখতে পান যে, তাঁরা আরো নামায আদায় করছে। এতদ্দর্শনে তিনি (সজ্ঝ) বলেনঃ এটা (সুন্নাত) তো গৃহে আদায় করার নামায। (হাদীস নং-১৩০০)
১২০। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ঘুমায় তখন শয়তান তার মাথার পেছনের চুলে তিনটি গিরা দিয়ে রাখে এবং প্রত্যেক গিরা দেওয়ার সময় সে বলেনঃ তুমি ঘুমাও রাত এখনও অনেক বাকী। অতঃপর ঐ ব্যক্তি ঘুম থেকে জেগে যদি আল্লাহ তা’য়ালার যিকির করে, তবে একটি গিরা খুলে যায়। অতঃপর সে যখন উযু করে তখন আরেকটি গিরা খুলে যায় এবং সে যখন নামায আদায় করে তখন সর্বশেষ গিরাটিও খুলে যায়। অতঃপর সে ব্যক্তি (ইবাদতের) মাধ্যমে তার দিনের শুভসূচনা করে, অথবা অলসতার মাধ্যমে খারাপভাবে তার দিনটি শুরু করে। (হাদীস নং-১৩০৬)
১২১। আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমরা তাহাজ্জুদের নামায পরিত্যাগ কর না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একে কোন সময় পরিত্যাগ করতেন না। যখন তিনি (সা) অসুস্ত হতেন অথবা আলস্য বোধ করতেন তখন তিনি (সা) তা বসে আদায় করতেন। (হাদীস নং-১৩০৭)
১২২। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে রাত জেগে নামায আদায় করে; অতঃপর সে স্বীয় স্ত্রীকে ঘুম হতে জাগ্রত করে। আর যদি সে ঘুম তে উঠতে না চায় তখন সে তার চোখে পানি ছিটিয়ে দেয় (নিদ্রাভংগের জন্য)। আল্লাহ ঐ মহিলার উপর রহম করুন যে রাতে উঠে নামায আদায় করে এবং স্বীয় স্বামীকে জাগ্রত করে। যদি সে ঘুম হতে উঠতে অস্বীকার করে, তখন সে তার চোখে পানি ছিটিয়ে দেয়। (হাদীস নং-১৩০৮)
১২৩। আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি রাত্রিতে স্বীয় স্ত্রীকে ঘুম হতে জাগিয়ে একত্রে নামায আদায় করে অথবা তারা পৃথক পৃথকভাবে নামায আদায় করে, তখন তাদের নাম যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারিণী স্ত্রী হিসেবে আমলের খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। (হাদীস নং-১৩০৯)
১২৪। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ নামায পাঠের জন্য দণ্ডায়মান হয়, তখন তন্দ্রার কারণে কুরআনের আয়াত পাঠ করা তার জন্য যদি কষ্টকর হয় এবং সে কি পাঠ করছে তা বুঝতে না পারে, এমতাবস্থায় সে নিদ্রার জন্য শয়ন করবে। (হাদীস নং-১৩১১)
১২৫। উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি রাত্রিতে নামায আদায়কালে নিদ্রার কারণে তার সম্পূর্ণ বা আংশিক অযীফা পরিত্যক্ত হয; অতঃপর সে যদি তা ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে পাঠ করে, তবে রাত্রিতে পাঠের ফলে যেরূপ ছওয়াব ঐ ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হত তদ্রুপ ছওয়াব লেখা হয়। (হাদীস নং-১৩১৩)