গোপালভার ও ওহাবি/সালাফি সমাচার !!
লিখেছেন: ' দেশী৪৩২' @ শনিবার, অগাষ্ট ১৪, ২০১০ (১১:৪৯ অপরাহ্ণ)
ছোটবেলায় পড়া একটি চুটকি দিয়েই লেখাটি শুরু করছি।গোপালভার একবার একলোকের কাছ থেকে একটি হাড়ি ধার নিয়েছিল।কিছুদিন পর ছোট একটি হারি নিয়ে হারির মালিককে বল্লো ”ধর, তোমার হাড়ি বচ্চা দিয়েছে” ।হারির মালিক গোপালভারের সততার কথা চিন্তা করতে করতে হাড়িটি নিল ।হাড়িটিতো সে রেখেও দিতে পারতো,আমি কি করে টের পেতাম যে আমার হাড়ি বাচ্চা দিয়েছে ? তার মতো সৎ লোকই হয়না।অনেকদিন হয় গোপালভারের কোন খবরই নেই।হাড়ির মালিক ভাবলো যাক এবার হাড়িটি নিয়েই আসি।বাড়ি গিয়ে হাড়ির কথা বলতেই গোপালভার বল্লো তোমার হাড়ি আরেকটা বাচ্চা দিতে গিয়ে মারা গেছে।হাড়ি আবার মরে নাকি ?কেনো এর আগে যখন বাচ্চা গ্রহন করলে সেটা কিভাবে বিশ্বাস করলে ?এবার মৃত্যু বিশ্বাস করছো না।
ওহাবি আর সালাফিদের মোখ থেকে ছোট খাট বিভিন্ন বিষয়েও যখন বেদাৎ বেদাৎ শুনছিলাম তখন ভাবতেও পারিনি বড় কোন বিষয়ে এদের ভুল হতে পারে।তাই সহজে তাদের সাথে কোন তর্কে যাইনা।বহুদিন থেকেই তাদের নির্ধারিত সময় মতই সব নামাজ পরছিলাম।কিছুদিন পুর্বে দেশ থেকে এক মুরুব্বি এসে যখন জিগ্গেস করলেন এরা যোহরের নামাজের পুর্বে জুমার খুতবা দেয় কিভাবে ? প্রশ্নটাকে আমিও তেমন গুরুত্ব দেইনি।উনি চলে যাওয়ার পর এখনকার ইমামকে একদিন জিগ্গেস করলাম।ইমাম সাহেব জবাব দিলেন।রসুল পাক সা: জুমাকে এক হাদিসে ইদের উৎসবের সাথে উপমা দিয়েছিলেন।তাই সৌদী (ওলামা?) বাজ সাহেব ফটোয়া দিয়েছেন ইদের নামাজ যেহেতু সকালের পর যেকোন সময় পড়া যায়।তাই জুমার নামাজও যেকোন সময় পরা যাবে।এর জন্য আর জোহরের ওয়াক্তের প্রয়োজন নেই।উত্তরটা শুনে তেমন পছন্দ হলো না।তাই বাসায় থাকা ইমাম গাজ্জালি(র:) এর লেখা ”এহইয়াউ উলুমিদ্দন” বই এ জুমা বিষয়ে পড়লাম।পাঠক মন্ডলি আপনাদেরকেও পরার আহ্বান জানাছ্ছি।উনি লিখেছেন জুমার নামাজের প্রথম শর্তই হচ্ছে জোহরের নামাজের ওয়াক্ত হওয়া।সাথে সাথে আমার ছোটকেলে পড়া গোপালভারের গল্পের কথা মনে পরে গেল।এই সালাফিরা এত বড় ভুল করতে পারে আমি তা ভাবতেও পারিনি।আরো ভাবছিলাম গোপালভার না হয় পাতিলের লোভে এ চালাকি করলো,কিন্তু এই ওহাবি/সালাফিরা কিসের লোভে এ চালাকি করছে ? পরে আরো খেয়াল হলো ইদের নামাজেতো কোন আজানো দেয়া হয়না।কিন্তু জুমার নামাজেতো আজান দেয়া হয়। যাই হোক পাঠক মন্ডলী ওহাবি/সালাফিদের কোন গল্প আপনাদের জানা থাকলে জানাবেন।আল্লাহপাক আমাদের সবাইকেই হেদায়েত দান করুন।আমিন।
আপনার চুটকিটাতে হাসতে পারলাম না – তবে আপনার চুটকি দেখে আমাদের উৎসের কথা মনে পড়ে গেলো! আমি প্রায় ভুলেই গেছিলাম যে, “গোপালভার” (??) আসলে বাংলাদেশী মুসলিমদের কারো না কারো পূর্ব-পুরুষ – কারণ আমরা সবাই তো মোটামুটি হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছি। আর তাই ওসবের জগত থেকে বের হতে পারি না আমরা। যাহোক বিন বায সম্বন্ধে অন্তত তিনটা কথা বলা যেতে পারে:
১)তিনি একজন মুসলিম
২)তিনি একজন ‘আলেম
৩)তিনি প্রয়াত
আপনি তার “ফটোয়া”-র(??) রেফারেন্স দেন নাই। আশাকরি রেফারেন্সটা দেবেন। এই রোজা রমযানের দিনে কত মুখরোচক ইফতার সামগ্রীর ছবি ওঠে খবরের কাগজে – সে সব থাকতে আপনি আপনার মৃত ভাইয়ের “গোশত” বেছে নিলেন। ও আরেকটা কথা প্রচলিত রয়েছে দ্বীন শিক্ষার্থীদের মাঝে – “আলেমদের গোশত নাকি খুব বিষাক্ত।”
@loner,মানুষকে সতর্ক করার জন্য যে কেউর গিবত করা জায়েজ।তাছারা বিচারকের কাছে বিচার চাইতে গেলেও
গিবত করা জায়েজ।তারপর আলেমের সঙ্গা কি সম্ভব হলে জানাবেন।আর হজ্বের জন্য ভিসা চাওয়া ও হজ্বের জন্য কোটা সিস্টেম সম্পর্কে বায সাবের কোন ফতোয়া থাকলেও জানাবেন।
//প্রশ্নটাকে আমিও তেমন গুরুত্ব দেইনি।উনি চলে যাওয়ার পর এখনকার ইমামকে একদিন জিগ্গেস করলাম।ইমাম সাহেব জবাব দিলেন।রসুল পাক সা: জুমাকে এক হাদিসে ইদের উৎসবের সাথে উপমা দিয়েছিলেন।তাই সৌদী (ওলামা?) বাজ সাহেব ফটোয়া দিয়েছেন ইদের নামাজ যেহেতু সকালের পর যেকোন সময় পড়া যায়।তাই জুমার নামাজও যেকোন সময় পরা যাবে।//
ভাই, জুম্মাহ নামাযের সময়ের ব্যাপারে শায়খ বিন বাজ রহিমাহুল্লাহ’র ফতোয়া নীচে দেওয়া হলো দয়া করে পড়ে দেখবেন:
Shaykh Ibn Baaz (may Allah have mercy on him) said:
The best time (for Jumu‘ah) is after the sun has passed the meridian, so as to avoid an area of scholarly dispute, because most of the scholars say that it is essential for Jumu‘ah prayer to be after the sun passes the meridian. This is the view of the majority.
Some scholars are of the view that it is permissible to pray Jumu‘ah before the sun passes the meridian in the sixth hour, and there are hadeeths and reports indicating that which are saheeh. So if a person prays Jumu‘ah shortly before the sun passes the meridian, his prayer is valid. But it should only be done after the sun passes the meridian, following all of the hadeeths and so as to avoid an area of scholarly dispute, and so as to make it easy for all people to attend together, and so that the prayer will be at the same time. This is what is better and more on the safe side.
Majmoo‘ Fataawa Ibn Baaz, 12/391-392
meridian = মধ্যাহ্নে সূর্য যে সর্বোচ্চ স্থানে পৌছে, মধ্যাহ্নে, সর্বোচ্চ স্থান ও চূড়া।
আমাদের দেশের সময়ে হিসাব করলে দুপুর বারটার একটু এদিক সেদিক, আর সূর্য এই সর্বোচ্চ চূড়া অতিক্রম করার পর জুম্মাহর নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে উক্ত ফতোয়াতে। আর সূর্য এই সর্বোচ্চ চূড়া অতিক্রম করার পর থেকেই তো জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়। কাজেই আপনার বক্তব্যের সাথে মিল পেলাম না ভাই, তিনি এখানে বলেননি যে কোন সময় জুম্মাহ’র নামাজ পড়া যাবে।
কোন দলের প্রতি বিদ্বেষ থাকতেই পারে কিন্তু বিদ্বেষটা যদি মিথ্যাচার হযে দাড়ায় তখন সেটা একজন মুসলিমের সাথে মোটেই খাপ খায় না। এই রকম বিদ্বেষ আমাদের মুসলিম ভাইদের ঐক্যবদ্ধ করাতো দূরে থাক কাফিরের চেয়ে একজন অপরজনের নিকট শত্রুতুল্য করে তুলবে। শয়তান সব সময়ই টোপ ফেলে রাখছে আমাদের জন্যে, আমরা টোপ গিললেই সে তখন জাল বিস্তার করা শুরু করে। আল্লাহ তাআলা আমাদের হিফাজত করুন এবং মুসলিম ভাইদের ঐক্যবদ্ধ থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
মাআসসালামাহ।
@manwithamission, তাই যদি হয় বায সাহেব ১৫ই সাবানের রাত্রীতে নামাজ পরাকে বেদাত বলেন কি করে। যেকোন রাত্রীতেইতো নামাজ পরা যায়। এটাকি মুসলিম ঐক্যের প্রয়াস হলো ?
হানবলী মাজহাবে দুপুরের আগেই জুমা পড়ার বৈধতা স্বীকার করা হয়, এবং এর পক্ষে দলীলও আছে। এটা শেখ বিন বাজের ব্যাপার নয়, চার মাজহাবের অন্যতম একটি মাজহাবেরই রায় মাত্র। এনিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের প্রয়োজন নেই।
আমি ক্যানাডায় থাকি, আমার শহরের মসজিদে জুমার দুটো জামাত হয়। একটা দুপুরের আগে, একটা পরে।
কেউ যদি এসম্পর্কে পড়তে চান তাহলে তার জন্য ইসলাম-অনলাইন থেকে ফতোয়া কপি করলাম:
“The majority of Muslim jurists agree that the time of Friday Prayer is the same time of Zuhr Prayer, i.e., after the sun’s zenith for that day, and ends when an object’s shadow, minus the length of its shadow at the time of the sun’s zenith, equals the object’s height. Friday Prayer can be performed neither before nor after that specific period.
However, the Hanbali scholars maintain that it is permissible to perform Friday Prayer before its due time. Some of them say the Friday Prayer can be performed at the same time we perform `Eid Prayer, ten or fifteen minutes after sunrise and extends up till the end of Zuhr. Others say that the time of Friday Prayer starts from the hour that precedes sun’s zenith. So, if Zuhr starts at 12 a.m., then the time mentioned above will be at 11 a.m. The view of the Hanbalites is supported by Prophetic Hadiths and by what is reported about the Prophet’s Companions in performing Friday Prayer.
In his book “Al-Mubd`i”, the author says that the due time of Friday Prayer is the same like that of `Eid Prayer. This is approved by Ahmad, Al-Qadi and his companions; `Abdullah ibn Saydan also narrated that he had been once led by Abu Bakr in Friday Prayer, and he noticed that Abu Bakr gave Friday sermon and performed Friday Prayer before mid-day. Then that man was later on led by `Umar in Friday Prayer, and `Umar finished the sermon and the prayer after mid-day; he noticed the same thing when he performed Friday Prayer behind `Uthman. None refuted the behavior of any of the three Rightly-Guided Caliphs. This incident was reported by Ad-Daraqutni and Ahmad, who took it as evidence backing his view.
In his book “Al-Mughni”, Ibn Qudamah explains Al-Kharqi’s view saying that there is no wrong in performing Friday Prayer at the time mentioned above, i.e. before sun’s zenith. Al-Kharqi’s view implies that it is impermissible to perform Friday Prayer before that time, and it was reported that Ibn Mas`ud, Jabir, Sahid and Mu`awiah performed Friday Prayer at that time.
In short, Friday is a feast for Muslims, so it is treated exactly like the two `Eids, as the Prophet (peace and blessings be upon him) said: “Allah has made this day (Friday) a feast for Muslims.” When the `Eid happened to be on Friday, the Prophet (peace and blessings be upon him) also said: “Today, there are two feasts for you (Muslims).” ”
Read more: http://www.islamonline.net/servlet/Satellite?pagename=IslamOnline-English-Ask_Scholar/FatwaE/FatwaE&cid=1119503544586#ixzz0wtpPvqhU
আমি যে শহরে থাকি সেখানকার বেশীরভাগ লোকই মরক্কো ও টিউনিসিয়ার লোক ও আমার জানা মতে তারা মালেকি মাযহাবের লোক।যদিও এদের বেশীর ভাগ লোকই মাযহাব কি জিনিস তা জানে না ও বেশীর ভাগ লোকই অজ্ঞ ধরনের। মসজিদ কমিটি যা বলে তাই মেনে নেয় অথবা মতের মিল না হলে অন্য মসজিদে নামাজ পড়ে। তারপর সব মাযহাবেই যেহেতু যোহরের নামাযের পরও জুমা পড়া যায় তাহলে অযথাই বিতর্কে যাওয়ার প্রয়োজনইবাকি ?